লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
মোহাম্মাদ আব্দুল হক
মোট লেখা:১৭
লেখা সম্পর্কিত
একটি সাধারণ হাইটেক গল্প
এই গল্পের শুরুর গল্পটা ২০০৪ সালের। কমপিউটারে Microsoft Money ২০০৪ ইনস্টল করি নিছক কৌতূহলে। ব্যক্তিগত টাকা পয়সার হিসাব রাখার অসাধারণ একটি সফটওয়্যার। করিৎকর্মার সিইও এবং এমডি লুৎফর রহমান নির্ঝর বেশি মুগ্ধ হন এর ইউজার ইন্টারফেস এবং সহজ ব্যবহারে। সফটওয়্যার তো নয় যেনো কবিতা। তিনি সেটি খুলে তাকিয়ে থাকতেন। তার মাথা পুরো খারাপ হয়ে গেল। সেই সময় তার নিজের টাকা খুব কম ছিল না। এখনও তার কাছে অনেক প্রিয় সফটওয়্যার এটি। মাইক্রোসফট এটি আর ডেভেলপ করে না। ক্যুইকবুক এখন রিকমেন্ড করে। তিনি ভাবতেন, যদি এমন একটা সফটওয়্যার বানানো যেত।
আর বর্তমান গল্পের শুরু ২০১০ সালে। সেই সময় SAP বাংলাদেশে অনেক হৈচৈ শুরু করেছিল। সব কর্পোরেট অফিসে SAP করে ফেলবে। নির্ঝর একটু খোঁজ নিতে গিয়ে অভিভূত। ৩০ বছরের পুরনো একটা জার্মান কোম্পানির প্রোডাক্ট এটি। প্রথমে ছিল অ্যাকাউন্টিং, এখন ইআরপি। পৃথিবীর প্রথম সারির একটা প্রোডাক্ট। এই মুগ্ধতা কাটতে না কাটতে একটা ছোট্ট ধাক্কা খান তিনি। অনেক দাম এই SAP-এর। এই বিশাল টাকা খরচ করে কোনো দেশের ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন না। তখনই তিনি পরিকল্পনা করেন একটা ইআরপি বানাবেন, যা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন কম খরচে।
যেভাবে করিৎকর্মা ও বিজআরপি
সেই সময় প্রিয় বন্ধু কনক আদিত্যকে কথা প্রসঙ্গে একদিন বললেন, তার প্রতিষ্ঠান ‘দেশাল’-এর সুতা থেকে শুরু করে ফাইনাল প্রোডাক্ট শোরুমে পাঠিয়ে ক্রেতা পর্যায়ের বিপণনের পুরো প্রক্রিয়াকে একটা সিস্টেমে আনা যায়। নির্ঝর তার স্বপ্নের কথা কনক দা-কে বলেছিলেন সেদিন। সেই বৈঠকেই শাওন আকন্দের কাছে প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা নাম চাওয়া হয়। তিনি কিছুদিন পরে নাম দেন করিৎকর্মা। যার অর্থ বিশ্বকর্মা। বিষ্ণুর আরেক নাম। লোগো হিসেবে বিষ্ণুর মূর্তিকে একটু পরিবর্তন করে বসানোর আইডিয়া দেন। পরে নির্ঝর বিষ্ণুর অগ্নিচক্রকে লোগো বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। নির্ঝরদের ক্রিয়েটিভ সেকশন ইন চার্জ রবি খান লোগোটির ডিজাইন শেষ করেন। আর BizRP নামটি নির্ঝরের দেয়া। ইআরপি হলো এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানার। নির্ঝর একটু কৌশল করে নাম দেন Business Resource Planner।
নাম দেয়ার কিছুদিন পরে দেশাল নির্ঝরদের একটা বড় অঙ্কের টাকাসহ কার্যাদেশ দেয় সফটওয়্যার বানানোর জন্য। সেই টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘করিৎকর্মা’। করিৎকর্মার এখন বাংলাদেশের বাইরে লন্ডনে নিজস্ব অফিস আছে। আর কার্যক্রম আছে বাহরাইন, মোজাম্বিক, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাতে।
অটোমেশন কেনো জরুরি?
প্রতিষ্ঠানের অটোমেশন বলতে ব্যবসায়িক প্রসেসগুলোর স্বয়ংক্রিয়তাকে বুঝায় বা সফটওয়্যারের সমন্বয়কে বুঝানো হয়। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের সব প্রসেসকে একটি কেন্দ্রীয় সফটওয়্যারের মধ্যে আনা হয়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগের সামগ্রিক রূপ এক সাথে দেখা যায় এবং জরুরি সিদ্ধান্তগুলো নেয়া যায় সহজে।
কী আছে বিজআরপিতে
বিজআরপি অ্যাকাউন্টস : এটি চার্ট অব অ্যাকাউন্টস এবং চার্ট অব বাজেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানের চাহিদামতো এটিকে সাজিয়ে নেয়া যায় এবং সাজাতে কোনো ধরনের প্রোগ্রামিং জানার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু তাই নয়, অন্য মডিউলে যদি কোনো ক্রেতা এবং সরবরাহকারীকে যুক্ত করা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের ‘অ্যাকাউন্টস হেড’ তৈরি হয়ে যায় এবং তা চার্ট অব অ্যাকাউন্টসে যুক্ত হয়ে যায়। বিজআরপি অ্যাকাউন্টস পৃথিবীর সব দেশের সব মুদ্রাকে সমর্থন করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুদ্রার বিনিময় মূল্য হিসেব করতে পারে। শুধু তাই নয়, যদি প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান থাকে তাকেও কেন্দ্রীয়ভাবে যোগ করা যায়।
বিজআরপি ইনভেন্টরি : এটি একাধিক গুদাম ব্যবস্থাপনা করতে পারে। প্রত্যেকটি পণ্যের ব্যাচ নাম্বার এবং সিরিয়াল নাম্বার যুক্ত করতে পারে। কাজ করতে পারে বারকোড এবং কিউআর কোড নিয়ে। তাই গুদামে পণ্য খুঁজে বের করা অনেক সহজ হয়ে যায়। ধরা যাক, কোনো একটি ছোট প্রতিষ্ঠানের একটি মাত্র গুদাম আছে। সেই গুদামের ভেতরে পাঁচটি তাক আছে। বিজআরপি ইনভেন্টরিতে এই পাঁচটি তাককে পাঁচটি ভার্চুয়াল গুদামঘর হিসেবে দেখানো যায়। এই পদ্ধতিতে পণ্য খুঁজে বের করা অনেক সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি যদি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার থাকে, ইনভেন্টরি সিস্টেম একটি টুলের মাধ্যমে মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। সর্বোপরি প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্যবিষয়ক বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করে ইনভেন্টরি।
বিজআরপি সেলস : পণ্য বিক্রি না করলে প্রতিষ্ঠানের পয়সা তৈরি হয় না। এটি ব্যবসায়ের অনেক বড় একটা বিষয়। বিজআরপি সেলস স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু কাজ করে।
বিজআরপি সাপোর্ট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স : বিক্রয়োত্তর সেবা অনেক জরুরি একটি বিষয়। বিজআরপি এই সেবার মাপকাঠিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রেতাদের অভিযোগ ই-মেইল থেকে নথিভুক্ত করতে পারে। ধরা যাক, কোনো একজন ক্রেতা support@company.com-এ মেইল করলেন। বিজআরপি সিস্টেম তার জন্য তাৎক্ষণিক একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করে সেবায় নিয়োজিত দলকে জানিয়ে দেবে। এতে সেবার মান এবং সময় দুটিই অনেক ভালো হয়।
বিজআরপি এইচআরএম : মানবসম্পদ বা কর্মচারী ব্যবস্থাপনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখান থেকেই কর্মচারীদের বেতন/ভাতা, বোনাস, ওভারটাইম, ছুটি, পেনশন এবং কর্মদক্ষতার হিসেব করতে হয়। বিজআরপি এইচআরএম অনেক স্মার্টলি এই কাজগুলো করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থেকে ডাটা নিয়ে নিজ দায়িত্বে তার বেতন হিসেব করতে পারে। কর্মীদের কর্মদক্ষতা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থাপকদের সুপারিশ করতে পারে যে কাকে পদোন্নতি দেয়া উচিত কিংবা কাকে বহিষ্কার করা উচিত।
বিজআরপি সিআরএম : সিআরএম তথা কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি। এর ওপর ভর করেই সুনাম বা দুর্নাম টিকে থাকে। এই স্বয়ংক্রিয় মডিউল থেকে কোনো ক্রেতার শুরুর দিন থেকে আজ অবধি সব বিক্রীত পণ্য বা সেবার খুঁটিনাটি তথ্য জানা যায়। যদি প্রতিষ্ঠান মনে করে এই জাতীয় পুরনো ভালো ক্রেতাকে বাড়তি সুবিধা দেবে, সিআরএম এই দায়িত্ব নিয়ে নেয় পুরোপুরি। কিংবা বিশেষ দিন যেমন জন্মদিন, বিয়ে বার্ষিকী কিংবা নববর্ষে সব ক্রেতাকে শুভেচ্ছাসহ ই-মেইল বা এসএমএস দিতে পারে এই সিস্টেম।
বিজআরপি প্রজেক্ট : প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সব পণ্য বা সেবা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজন। এটি একটি আদর্শ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল। প্রজেক্টের ভেতরের বিভিন্ন মাইলস্টোন, টাস্ক এবং টাইমলগের তথ্য সিস্টেম সংরক্ষণ করে এবং রিপোর্টে প্রকাশ করে। এটি এজাইল প্রসেস ম্যানেজমেন্টের জন্য সহায়ক।
বিজআরপি ম্যানুফ্যাকচারিং : পণ্য বা সেবা প্রস্ত্তত প্রণালী অনেক বিস্তারিত একটি প্রক্রিয়া। ধরা যাক, একটি বুটিক গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান সুতা থেকে কাপড় বানানো, কাপড় থেকে পোশাক এবং সেই পোশাক নিজস্ব বিপণন কেন্দ্র থেকে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। বিজআরপি ম্যানুফ্যাকচারিং সিস্টেম পুরো বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ করে পোশাকটির ক্রেতা পর্যায়ের মূল্য বের করতে পারে। এটি কোনো পণ্যের সঠিক দাম বের করার জন্য অনেক জরুরি। কারণ, এর থেকেই লভ্যাংশ ধরে মালিক পক্ষ হিসেব করে।
বিজআরপি প্রকিউরমেন্ট : সব প্রতিষ্ঠান চালাতে অনেক কিছু বা সার্ভিস কিনতে হয়। এই ক্রয়প্রণালী অনেকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ধরা যাক, কোনো একটি পণ্য কেনার প্রয়োজন, যার মূল্য ৫ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী এটি কিনতে হলে দরপত্র আহবান করা প্রয়োজন। বিজআরপি সিস্টেম সেই পণ্যের দরপত্র থেকে শুরু করে সরবরাহকারী নির্ধারণ করার কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে দেয়। এমনকি সরবরাহকারীদের অতীত সব রেকর্ড হিসেব করে দরকষাকষিতে সাহায্য করে।
বিজআরপি প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কলাবরেশন : সহকর্মীদের সাথে অনেক সময় অনেক তথ্য বিনিময় করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ই-মেইল অথবা এসএমএস হয় এই মাধ্যম। কিন্তু দলীয়ভাবে তথ্য সংগৃহীত থাকে না। বিজআরপি কলাবরেশন সিস্টেম গ্রম্নপ অথবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে বার্তা সরবরাহ কিংবা ফাইল শেয়ারিং করতে পারে। এতে একই প্রজেক্টের ভেতর অনেক কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
বিজআরপি সিএমএস : ওয়েবসাইট অথবা ই-কমার্স সাইটে তথ্য হালনাগাদ করতে হয় সবসময়। এর জন্য আলাদা করে কোনো সিস্টেম ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। বিজআরপি সিএমএস ওয়েব পাবলিশ করাসহ ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এর জন্য দেয়া আছে সুন্দর কমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা থেকে সেন্ট্রাল সিস্টেম থেকে বিভিন্ন ডাটা নিয়ে পাবলিশ করা যায় ওয়েবে।
বিজআরপি রিপোর্ট : মালিক পক্ষ সবসময় সবকিছুর রিপোর্ট দেখতে চায়। এটাই স্বাভাবিক। বিজআরপির ভেতরে দেয়া আছে মোট ১১৮টি রিপোর্ট সিস্টেম। এরপরও যদি কারও বাড়তি রিপোর্ট প্রয়োজন হয়, ড্র্যাগ এবং ড্রপ করে তা তৈরি করে নেয়া যায়।
বিজআরপি অনেক ধরনের অ্যাড-অন দিয়ে থাকে। যেমন : এসএমএস এখান থেকেই পাঠানো যায়, তাও আবার কোম্পানির নামে। এখানে পিওএস মেশিন যোগ করা যায়। যোগ করা যায় বায়োমেট্রিক ডিভাইস। যোগ করা যায় কলসেন্টার। মোবাইল কমার্স ও পেমেন্ট গেটওয়ে যোগ করা যায়।
তাৎক্ষণিক ব্যবসায়িক তথ্য জরুরি
ব্যবসায়ীরা সবসময় তাদের ব্যবসায়ের তাৎক্ষণিক অবস্থা জানতে আগ্রহী থাকেন। এটাই স্বাভাবিক। যত নিখুঁত এবং দ্রুততায় ব্যবসায়িক তথ্য হাতে পাওয়া সম্ভব ততই উপকার। কারণ, এসব তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিজআরপি কী?
বিজআরপি একটি ইআরপি তথা এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানার সিস্টেম সফটওয়্যার। এটি যেকোনো ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে। ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোকে সহজ করে দিয়ে পরিকল্পনায় সরাসরি সাহায্য করে এই সিস্টেম।
যেহেতু এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সিস্টেম, তাই আর বাড়তি কোনো সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় না। এটি ওয়েবভিত্তিক একটি সিস্টেম এবং সরাসরি ক্লাউড সিস্টেম থেকে চলে। তাই রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা নেই। বিজআরপি (BizRP) করিৎকর্মা লিমিটেডের (karitkarma.com) একটি পণ্যসেবা।
কীভাবে বিজআরপি কাজ করে
বিজআরপি বাংলাদেশে তৈরি এবং বাংলাদেশের ডাটা সেন্টার থেকে সেবা দেয়। এই ডাটা সেন্টার ইন্টারনেট এবং বিডিআইএক্স তথা বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জের সাথে যুক্ত। তাই বাংলাদেশের সাথে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলও বিজআরপি সচল থাকে। ১২৮ কেবিপিএস গতির ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে বিজআরপি চমৎকার কাজ করে।
বিজআরপি ব্যবহার করতে কী লাগে?
এই সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহারের জন্য শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজার প্রয়োজন হয়। তাই যেকোনো স্মার্টফোনেও এটি ব্যবহার করা যায় সহজেই। এ জাতীয় সফটওয়্যারের জন্য আগে সবসময় নির্ভর করতে হতো বিদেশি কোম্পানির ওপর। কিন্তু এখন হাতের নাগালের মধ্যে আছে দেশী পণ্য।
বড় পরিসরের এই সফটওয়্যার সিস্টেমের জন্য তৈরি করতে হয়েছে নিজস্ব ক্লাউড সিস্টেম। তৈরি করতে হয়েছে নিজস্ব ডাটা সেন্টার। ২০১০ সালে শুরু হওয়া এই প্রজেক্টটি করিৎকর্মা লিমিটেডের। মূলত ব্যবসায়ীদের সাহায্য এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এই সফটওয়্যার প্রজেক্টটি হাতে নেয় করিৎকর্মা।
বিজআরপি কাদের জন্য?
কোনো প্রতিষ্ঠানের যদি কর্মী সংখ্যা পাঁচ বা এর বেশি হয়, তাহলে বিজআরপি ব্যবহার করতে পারবে। উপযোগী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো : ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, বুটিক ফ্যাশন হাউস, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, গাড়ি বিক্রেতা, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞাপন সংস্থা, বই প্রকাশনী এবং বিক্রেতা, অডিও-ভিডিও প্রকাশনী ও বিক্রেতা, ওষুধ প্রস্ত্ততকারক প্রতিষ্ঠান, ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, স্কুল ও কলেজ এবং খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা (কমপিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি)।
কেনো বিজআরপি অন্যদের থেকে আলাদা
বিজআরপি ব্যবহার করতে কোনো ডাটা সেন্টারের প্রয়োজন হয় না। তাই অনেক খরচ কমে। প্রয়োজন হয় না কোনো ধরনের আইটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। তথ্যের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি কোনো ব্যয় হয় না এবং প্রয়োজন হয় না তথ্যের ব্যাকআপ রাখার। যেহেতু সব কিছু ক্লাউডে, তাই ঝামেলামুক্ত পুরো বিষয়টি। আর যেহেতু পুরো সলিউশন বিডিআইএক্স (BDIX)-এর সাথে যুক্ত, তাই কাজ করে অনেক দ্রুত।
ব্যবহার করতে খরচ কেমন?
৫০০ টাকা প্রতি ব্যবহারকারী প্রতি মাসে এবং যদি সরাসরি প্রশিক্ষণ ও প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হয়, তাহলে ১০ হাজার থেকে শুরু ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। আর কোনো প্রতিষ্ঠান যদি করিৎকর্মার ক্লাউডের বাইরে নিজস্ব ডাটা সেন্টার থেকে বিজআরপি ব্যবহার করতে চায়, সেই ব্যবস্থাও আছে। সে ক্ষেত্রে করিৎকর্মার কোনো বিপণন কর্মকর্তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
বিজআরপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
২০১৬ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৫০টি দেশে কার্যক্রম শুরু করা এবং কমপক্ষে ২০টি ভাষায় পরিপূর্ণভাবে এটি প্রতিষ্ঠা করা। বিজআরপি সম্পর্কে জানতে ই-মেইল করুন sales@karitkarma.com-এ এবং ওয়েবসাইট karitkarma.com