লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
হিটলার এ. হালিম
মোট লেখা:২২
লেখা সম্পর্কিত
ফ্রি ইন্টারনেট বনাম ফ্রি ইন্টারনেট সেবা!
শিরোনামটি দুটি ভাগে বিভক্ত। একটির সাথে আরেকটির যুদ্ধ। কোনটি জিতবে? উত্তরে বলা যায়, প্রথমটির কথা। কারণ শৌর্য-বীর্যে এটিই এগিয়ে। আর শেষোক্তটি একটু দুর্বল ধরনের। এই দুর্বলের সাথে সবলের লড়াই শুরু হয়েছে। আর সেই লড়াই উস্কে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বলছি ফ্রি ইন্টারনেট সেবার কথা। অথচ মানুষের বলায়-কওয়ায়, তর্কে-কুতর্কে কোথাও ফ্রি ইন্টারনেট সেবা কথাটি থাকছে না। থাকছে শুধু ফ্রি ইন্টারনেটের কথা। আসলেই কী ফ্রি ইন্টারনেট সম্ভব? কীভাবে? ইন্টারনেট সংযোগই যদি না থাকে তাহলে ফ্রি বা বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা কীভাবে ব্যবহার করা যাবে?
ধরা যাক, আপনি বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেবেন। সেই বিদ্যুতে আপনি জ্বালাবেন টিউব লাইট বা এনার্জি সেভিং বাল্ব। এর মধ্যে কোনটিতে আপনি লাভবান হবেন, সেটিই তো জ্বালাবেন। ধরা যাক, আপনি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাতে ঘুমাবার সময় ডিমলাইট বা জিরো ওয়াটের বাল্ব জ্বালাতে চান। এই লাইট জ্বালাতে কোনো বিদ্যুৎ খরচ হয় না। ফলে এতে কোনো বিলও উঠবে না। কিন্তু যদি আপনি বেশি আলোর জন্য টিউব লাইট জ্বালাতে চান সে ক্ষেত্রে বিল চার্জ হবেই। যতই জিরো ওয়াটের বাল্ব লাগানো হোক না কেনো, এর জন্য তো বিদ্যুৎ সংযোগ লাগবে। আর এই কথাটিই কেউ বুঝতে চাইছে না। জিরো বিদ্যুৎ যেমন সম্ভব নয়, তেমনি জিরো ইন্টারনেট কীভাবে সম্ভব?
যদিও এই সেবাটি নিয়ে মোবাইল অপারেটর রবি, সরকারি পক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায় রয়েছে। কেউই মুখ খুলে বলতে চাইছে না ফ্রি ইন্টারনেট সেবায় বাহবা নেয়ার জন্যই হোক বা বাহাদুরি দেখানোর জন্যই হোক- একবার মুখে বলে ফেলায় আর সেই ফ্রি ইন্টারনেটকে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা বলা যাচ্ছে না। বললে যদি বাহাদুরি কমে যায়! আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে সমালোচক আর কু-তর্ককারীরা।
সদ্য চালু হওয়া ফ্রি ইন্টারনেট সেবা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। অনেকের কাছেই বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় সেবাটি নিয়ে তাদের মধ্যে ‘নেতিবাচক’ প্রতিক্রিয়াও লক্ষ করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ফ্রি ইন্টারনেট’ না বলে ‘ফ্রি ইন্টারনেট সেবা’ বলা হলে ব্যবহারকারীদের এই দ্বন্দ্ব অনেকাংশে দূর হবে।
সম্প্রতি দেশে ফেসবুকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ডট অর্গ চালু হয়েছে। মোবাইল ফোন অপারেটর রবির মাধ্যমে বর্তমানে ইন্টারনেট ডট অর্গ ‘বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা’ দিচ্ছে। শিগগিরই গ্রামীণফোন এই সেবার সাথে যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। অন্য অপারেটরগুলোও পর্যায়ক্রমে একে একে এই সেবার সাথে যুক্ত হবে। এক সময় দেশের সব মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এই ‘বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা’ ভোগ করতে পারবেন। এখনই উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা না হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ যখন এই সেবা পেতে চাইবে তখন উপকারের পরিবর্তে তা ‘সমস্যা’ হয়ে দেখা দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবহারকারীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছানোয় সংশ্লিষ্ট সেবাটি নিয়ে জনমনে এরই মধ্যে বিভ্রান্তি এবং ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে দেশের উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘আমাদের গ্রাম’ প্রকল্পের পরিচালক রেজা সেলিম বলেন, প্রকল্পটি কিছু কিছু দেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রি কনটেন্ট সেবা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থাৎ এদের ঠিক করে দেয়া কিছু কিছু নির্ধারিত সাইট আপনি ফ্রি দেখতে পাবেন। ঠিক ওই সময় আপনার ইন্টারনেট বিল কাটা হবে না, যা দুনিয়াব্যাপী ‘জিরো সেবা’ নামে পরিচিত। কিন্তু কোনো একটি ইন্টারনেট সেবার গ্রাহক আপনাকে হতেই হবে, যার অর্থ হলো আপনি কমপিউটার বা মোবাইল ফোন চালু করেই ইন্টারনেট ফ্রি পেয়ে যাবেন না, যদিও এদের রচনা, বিজ্ঞাপন আর সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এ ধরনের কথা প্রচার করা হচ্ছে।
রেজা সেলিম জানান, এই সেবা নিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে। বিশেষ করে নেট নিরপেক্ষতা বলে বেশিরভাগ দেশ যে সমতাভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে ও নিয়েছে, সেখানে এ ধরনের উদ্যোগ বৈষম্যমূলক। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আরও বাড়ছে।
সহজ ভাষায়, বর্তমানে এই সেবা চালুর ব্যাপারে এগিয়ে এসেছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। শুধু রবি গ্রাহকেরা এই সেবা আপাতত উপভোগ করতে পারবেন। গ্রামীণফোন, টেলিটকসহ অন্য অপারেটরেরা শিগগিরই এ সেবায় যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
রবি ইন্টারনেট ডট অর্গের মাধ্যমে যেসব সেবা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ সেগুলোর বাইরে কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে বা ভিডিও দেখতে চাইলে ‘সাধারণ ইন্টারেনট চার্জ’ দিতে হবে গ্রাহককে। কোনো ডাটা প্যাক কেনা না থাকলে ইন্টারনেট ডট অর্গ ব্যবহারের সময়ও গ্রাহক তার পছন্দের প্যাকেজটি বেছে নিতে পারবেন। যদি ডাটা প্যাক না থাকে এবং গ্রাহক কোনো প্যাকেজ না কিনে ভিডিও কনটেন্ট দেখতে চায় তাহলে পে-পার-ইউজের ভিত্তিতে চার্জ প্রযোজ্য হবে।
যদিও কিছু দিন আগে থেকেই রবি গ্রাহকেরা তাদের স্মার্টফোন দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে ‘ফ্রি ডাটা’ উপভোগ করছেন। স্মার্টফোনের ওপরে লেখা প্রদর্শিত হচ্ছে ‘ফ্রি ডাটা’। আগে থেকে রবির জিরো ফেসবুক চালু থাকলেও তার জন্য এসএমএস পাঠিয়ে বিনামূল্যের প্যাকেজ নিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হতো।
এই সেবা উদ্বোধনের সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এ দেশে প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি ফেসবুকে আইডি খোলা হচ্ছে। এই হার দেশের জন্মহারের চেয়েও বেশি। তিনিও বললেন, এটি তো ফ্রি ইন্টারনেট নয়। কয়েকটি সেবা (সাইট) ফ্রি পাওয়া যাবে। যারা এই সেবা-সুবিধায় যুক্ত হবেন তাদের সেবা (সাইট) মানুষ বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবে। তিনি জানান, দেশে নতুন কিছু চালু বা শুরু করতে গেলে সমালোচনা আসবেই। কিন্তু সেজন্য বসে থাকলে তো চলবে না। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এর সুফল যখন সবাই পেতে শুরু করবে, তখন সমালোচনা বন্ধ হয়ে যাবে।
কিন্তু সমস্যা রয়েছে এখানেও। এরই মধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ, মতামত আসছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ফেসবুক (মোট ২৯টি ওয়েবসাইট) থেকে অন্যান্য লিঙ্কে যেতে গেলে টাকা কাটা যাচ্ছে। বিষয়টি অনেকে না বুঝে করছেন বা ভুলে যাচ্ছেন যে এই সেবা ব্যবহারের সময় সংশ্লিষ্ট ২৯টি ওয়েবসাইট ছাড়া অন্যান্য সাইটে যেতে মানা। এই ভুলে যাওয়া বা না জানার ফলে মোবাইলের ব্যালেন্স থেকে গ্রাহকের টাকা কাটা যাচ্ছে। এই পরিমাণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেকোনো ইন্টারনেট প্যাকেজের মূল্যের চেয়েও বেশি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানাচ্ছেন, এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব কি না, যে ব্যবস্থায় মোবাইল ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট সাইট ছাড়া অন্য কোনো সাইটে বা লিঙ্কে ক্লিক করলে জানতে পারবেন (বা তাকে মনে করিয়ে দেয়া হবে), ওই লিঙ্কে গেলে তার টাকা কাটা যাবে, তাহলে ব্যবহারকারী সতর্ক হতে পারবেন।
এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সচিব সরোয়ার আলম জানান, এ ধরনের কিছু একটা তৈরি এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এটা তো একটা বড় ধরনের সমস্যা। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কতজনের পক্ষে এটা মনে রাখা সম্ভব, এই সাইটে গেলে তা ফ্রি আর ওই সাইটে গেলে টাকা কাটা যাবে। তিনি মনে করেন, এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এমন কোনো পদ্ধতি বা কৌশল বের করতে হবে, যা গ্রাহককে সতর্ক থাকতে বা হতে সহায়তা করবে।
সরোয়ার আলম বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যখন ‘বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা’র আওতায় কোনো সাইট ব্রাউজ করবেন তখন সেখান থেকে অন্য কোনো সাইটে যেতে বা কোনো লিঙ্কে ক্লিক করতে চাইলে তখন যদি মেসেজ আকারে কোনো সতর্কবাণী ব্যবহারকারীকে দেখানো হয় তাহলে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই সাইটে যাবেন কি না।
তিনি উদাহরণ দেন, ধরা যাক কেউ ফেসবুক ব্যবহার করছেন। ফেসবুকে অনেক নিউজ সাইট বা মজার মজার সাইটের (কোনো তথ্য) লিঙ্ক শেয়ার করা থাকে। কারও কোনো একটি লিঙ্ক পছন্দ হলো। তিনি ওই লিঙ্কে যেতে চান। ওই লিঙ্কে ক্লিক করার সাথে সাথে স্ক্রিনে ইমেজ বা বার আকারে একটি মেসেজ আসবে। যাতে লেখা থাকবে, ‘এই লিঙ্কে গেলে আপনার মোবাইলের টাকা কাটা যাবে, আপনি রাজি?’ এর নিচে থাকতে পার ‘ইয়েস’ বা ‘নো’ অপশন। তখন ব্যবহারকারীই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তিনি ওই সাইটে যাবেন কি না। সেটা তখন তার ইচ্ছের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এতে কারও অজামেত্ম তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
সরোয়ার আলম বলেন, এমন একটি অপশন চালুর বিষয়ে আমাদের এখনই অগ্রসর হতে হবে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ‘বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা’ ভবিষ্যতে বড় খরচের খাত হয়ে দাঁড়াবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বিটিআরসি এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে কোনো নির্দেশনা জারি করলে মোবাইল অপারেটরগুলো ওই নির্দেশনা মেনে চলবে। তখন ‘বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা’ ব্যবহার নিয়ে ব্যবহারকারীদের কোনো অভিযোগ থাকবে না। রবির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই হার এক ধাপে ৮ শতাংশ বেড়ে যাবে যদি দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর ইন্টারনেট ডট অর্গের ‘ফ্রি ইন্টারনেট সেবা’ চালু করে।
তিনি আরো বলেন, ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু করায় অপারেটরটি প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা করে রাজস্ব হারাচ্ছে। তবে এই সেবা চালুর পর এক সপ্তাহে রবির ফ্রি ডাটার (ইন্টারনেট) ব্যবহার ৪০ শতাংশ বেড়েছে। সিম বিক্রির পরিমাণও বেড়ে গেছে বলে জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, এতদিন যারা মোবাইলে (রবি গ্রাহক) ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন না তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যবহার শুরু করেছেন। যারা ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তারা ফিরে আসছেন। ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে তারা জানান।
প্রসঙ্গত, মোবাইল অপারেটর রবি ইন্টারনেট ডট অর্গের মাধ্যমে যেসব সেবা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ সেসবের বাইরে কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে বা ভিডিও দেখতে চাইলে ‘সাধারণ ইন্টারেনট চার্জ’ দিতে হবে গ্রাহককে। কোনো ডাটা প্যাক কেনা না থাকলে ইন্টারনেট ডট অর্গ ব্যবহারের সময়ও গ্রাহক তার পছন্দের প্যাকেজটি বেছে নিতে পারবেন। যদি ডাটা প্যাক না থাকে এবং গ্রাহক কোনো প্যাকেজ না কিনে ভিডিও কনটেন্ট দেখতে চায় তাহলে পে-পার-ইউজের ভিত্তিতে চার্জ প্রযোজ্য হবে। যদিও রবি গ্রাহকেরা তাদের স্মার্টফোন দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করার সময় ‘ফ্রি ডাটা’ লেখা দেখতে পারছেন স্মার্টফোনের একেবারে ওপরের দিকে।
ফেসবুকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো ইন্টারনেট ডট অর্গ। প্রসঙ্গত, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ভাষায় ইন্টারনেট ডট অর্গ হচ্ছে অলাভজনক একটি উদ্যোগ যাতে প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে বেসিক ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবে বাংলাদেশী রবি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক।
স্মার্টফোন থেকে এই সেবাটি ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করতে হবে ইন্টারনেট ডট অর্গ অ্যাপটি। ইনস্টল করে অ্যাপটি ওপেন করলে যেসব ওয়েবসাইট ফ্রি ব্রাউজ (ব্যবহার) করা যাবে, তার একটি তালিকা দেখা যাবে। ওই তালিকায় ক্লিক করলেই কোনো ধরনের ডাটা চার্জ ছাড়াই এই সেবাটি স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। গুগল স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।
আফ্রিকার কয়েকটি দেশসহ পাশের দেশ ভারতেও ইন্টারনেট ডট অর্গ চালু করেছে বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশ দশম দেশ হিসেবে ফেসবুকের ‘বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা’ চালু করেছে।
যেসব সাইট দেখতে টাকা লাগবে না
ফেসবুক, ইএসপিএন ক্রিকইনফো, প্রথম আলো, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, সন্ধান ডটকম, সোশ্যাল বাড, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেসেঞ্জার, মায়া আপা, হেলথপিরিওর, শিক্ষক ডটকম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিডিজবস, বিক্রয় ডটকম, বিং, উইকিপিডিয়া, অ্যাকুওয়েদার, আমার দেশ বুটিক, আস্ক, বেবি সেন্টার অ্যান্ড মামা, ক্রিটিক্যাল লিঙ্ক, ফ্যাক্টস ফর লাইফ, ওয়াটপ্যাড, ইওরমানি, গার্ল ইফেক্ট, কৃষি মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাইনেট।
বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা পেতে
অ্যাপটি ডাউনলোড করে মোবাইল ফোনে ইনস্টল করতে হবে। এরপর ইন্টারনেট ডট অর্গে লগইন করতে হবে। অ্যাকাউন্ট না থাকলে নিবন্ধন (সাইনআপ) করতে হবে।
ইন্টারনেট ডট অর্গের হোমপেজে গেলে তালিকাভুক্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের নাম (ওয়েবসাইট) দেখা যাবে। তবে ছবি, ভিডিও বা ফাইল জাতীয় কোনো কনটেন্ট আপলোড বা ডাউনলোড করা যাবে না এবং এই ২৯টি সাইট দেখতে গেলে কোনো টাকা (ডাটা চার্জ) লাগবে না।
ইন্টারনেট ডট অর্গ (ওআরজি) প্রকল্প নিয়ে কিছু ভিন্নমতও আছে দেশে। সেবাটি নিয়ে এরই মধ্যে দেশে-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে
ফিডব্যাক : hitlarhalim@yahoo.com