• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ই-ক্যাব বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশের ই-কমার্সকে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: খান মোহাম্মদ নুরুন্নবী
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ই-কমার্স
তথ্যসূত্র:
ই-কমার্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ই-ক্যাব বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশের ই-কমার্সকে
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাস্তবতা হচ্ছে ই-কমার্স এখনো প্রতিষ্ঠিত একটি খাত নয়। ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশে ই-কমার্স জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। দুয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশিরভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানই ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তরুণ উদ্যোক্তারা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেছেন। এসব উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগ ঢাকা এবং তার আশেপাশের এলাকায় রয়েছেন। আবার অনেকে ই-কমার্সে আসতে ইচ্ছুক কিন্তু কিভাবে তা করবেন কোন পথ পাচ্ছিলেন না। ই-ক্যাব শুরু হবার পরে এসব উদ্যোক্তাদের অনেকেই ই-ক্যাব-এর সদস্য হয়েছেন। যারা ই-কমার্স ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তারাও ই-ক্যাব-এর সাথে যোগাযোগ করেছেন। ই-ক্যাব নানাভাবে এসব উদ্যমী তরুণ-তরুণীদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে যার ফলে এদের অনেকের জীবন বদলে গিয়েছে। এমনি কিছু তরুণ-তরুণীর বদলে যাবার গল্প পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছি-
খান মোহাম্মদ নুরুন্নবী
ডোমেইন কিনেছি বেশ আগে, সাইটও মোটামুটি তৈরি, কিন্তু সাহস পাচ্ছিলাম না। ই-ক্যাব আমাকে সাহস দিয়েছে। ই-ক্যাব আড্ডা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। শুধু আমি নই, এ আড্ডায় যারা আসে তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হয়। ই-ক্যাব আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসায় শুরু করতে হয়। শুধু তাই নয়, ই-কমার্স ব্যবসায়ের সব সমস্যা নিয়েও এখানে নিয়মিত আলোচনা হয়, যা একজন উদ্যোক্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি কোনো ব্যক্তি ই-ক্যাব ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়ে, তবে সে যে কারও সাহায্য ছাড়াই এ ব্যবসায় শুরু এবং পরিচালনা করতে পারবে।
আমু আহমেদ মনসুর
এক কথায় ই-ক্যাব আমাকে ই-কমার্স ব্যবসায় কী তা শিখিয়েছে। আমি শুধু স্বপ্ন দেখতাম যে, আমি আমার জামদানি নিয়ে বিশেষ কিছু করব। কিন্তু কীভাবে কী করব তা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, নেই কোনো অনুকূল পরিস্থিতি। তারপরও ই-ক্যাব আমাকে কিছু করার সাহস ও রাস্তা দেখিয়েছে।
ই-ক্যাবের কাছে আমি কতটা ঋণী, তা লিখে বা বলে বোঝানো সম্ভব নয। ধন্যবাদ ই-ক্যাবকে।
মঞ্জুর আল ফেরদৌস
আমি একলা একলাই ব্যবসায় শুরু করি এবং একই সাথে ব্যবসায় শেখা ও ব্যবসায় চালানো ছিল খুবই কঠিন। ই-ক্যাব আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ই-ক্যাব খুবই সুন্দর একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে আমরা ব্যবসায় শিখতে পারি এবং একই সাথে বিভিন্ন পরামর্শ ও সাহায্য পেয়ে থাকি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে ই-ক্যাবের মাধ্যমে আমরা একত্রিত হতে পেরেছি। ধন্যবাদ ই-ক্যাব। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।
আতিক ফয়সাল
আমার কাছে মনে হয় ই-ক্যাব হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও প্রথম ই-কমার্সের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিনামূল্যে ই-কমার্স সম্পর্কিত এত তথ্য অন্য কোথাও নেই। আমি ই-ক্যাব থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি ব্যবসায় করতে হলে আগে ভালো করে জানতে হবে, না হয় ঝরে পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
লিটন সৈকত নীল
কক্সবাজার ই-শপ শুরু করেছি এক বছরেরও বেশি সময় হয়েছে। ব্যবসায়টা সেভাবে শুরু করতে পারছিলাম না। এরই মধ্যে ই-ক্যাবের সদস্য হয়ে যাই। এরপর থেকে আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কক্সবাজার ই-শপ ই-ক্যাবের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে দিন দিন সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ও ব্যবসায়ের পরিধি বেড়ে চলেছে। সেই সাথে বলতে হয় ই-ক্যাবের স্কাইপ আড্ডার কথা। যা চালু না করলে হয়তো আমার মতো অনেকেরই অনেক কিছু অজানা থেকে যেত। আড্ডায় সবাই সবাইকে সহযোগিতার যে মনমানসিকতা আছে, সেটা অতুলনীয়। একজন আরেকজনের সাথে তাদের ভুলত্রুটি, সফলতা, ব্যর্থতা, অভিজ্ঞতা যেভাবে শেয়ার করে, সেটা সত্যিই অভাবনীয়। যার দরুন এখানে শেখার পরিমাণটা ব্যাপক। এজন্য ই-ক্যাব ও ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ ও আড্ডার সবার প্রতি আমরা অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।
আনোয়ার হোসেন
ই-ক্যাব ভালো মানুষদের একটি গ্রুপ। এখানে বিভিন্ন জায়গায় ঠকে যাওয়া অনেক মানুষ এসে ভিড় করছে। আমি নিজেও ঠকে যাওয়া মানুষদের একজন। আমি যেহেতু লেখালেখির সাথে আছি, তাই এ বিষয়েই বলি। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে খুবই বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজের বিনিময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাওনা টাকা দূরে থাক, অনেক ক্ষেত্রে ধন্যবাদও পাইনি। কিছু ক্ষেত্রে কাজের টাকা পাওয়ার জন্য মাসের পর মাস ঘুরে বেড়িয়েছি। এরপর সৌভাগ্যবশত অনলাইনে ই-ক্যাবের লিঙ্ক পাই। রাজিব ভাইকে অনুরোধ করে ই-ক্যাবের ভলান্টিয়ার রাইটার্স ক্লাবে যোগ দেই। ব্লগে লেখালেখি শুরু করি। পরামর্শ নিতে থাকি স্কাইপে রাজিব ভাইয়ের কাছ থেকে। মাঝে মাঝে যোগ দেই ই-ক্যাবের সবচেয়ে উপকারী ই-ক্যাব স্কাইপ আড্ডাতে। এ আড্ডাতে আমার দেখা হয় (কথা হয়) খুব ভালো কিছু মানুষের সাথে। ই-ক্যাবের এ আড্ডাতে একঝাঁক ভালো মানুষ সারারাত জেগে মানুষের উপকার করে বেড়ান। মানুষের বিভিন্ন ধরনের নেশা থাকে। ই-ক্যাব আড্ডার মানুষগুলোর নেশা হচ্ছে মানুষের উপকার করা। এ আড্ডাবাজদের মধ্যে আছেন ডোমেইন হোস্টিং সেবাদানকারী, ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ লোক বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তারা সবাই (আমিসহ) অনেককে বিনামূল্যে পরামর্শ এমনকি সেবাও দিয়ে যাচ্ছেন। আরও আগে ই-ক্যাবের সাথে পরিচিত হলে আমি ঠকতাম না।
মাসুম ইবনে শিহাব
আমি মাসুম ইবনে শিহাব, সাইপ্রাস থেকে বলছি। আমি এ দেশ থেকে সণাতক শেষ করেছি হোটেল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে। সাইপ্রাস দেশটির অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হচ্ছে পর্যটন খাত। আমাদের পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের অভাবে আমরা এই বিশাল খাতে উন্নতি সাধন করতে পারছি না। তাই আমরা কিছু বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করি কীভাবে আমাদের দেশে পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করা যায়। আমরা বাংলাদেশকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে পরিচিত করানোর জন্য কিছু পরিকল্পনা হাতে নেই, যার প্রথম উদ্যোগ হচ্ছে ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’। এই সেস্নাগানের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বড় ধরনের অনুষ্ঠানে, উৎসবে ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’ প্রচারণা শুরু করি। ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’ টিমের পরবর্তী প্রয়াস হচ্ছে একটি ম্যাগাজিন বানানো। কিন্তু কিছু সরকারি, আইন, নীতিমালা এবং পর্যাপ্ত আর্থিক অনুদান না থাকার কারণে আমরা আমাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসি। তখনই ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ ভাইয়ের পরামর্শক্রমে আমরা একটি অনলাইন ট্রাভেল নিউজ পোর্টাল বানানোর সিদ্ধান্ত নেই, যা অতি ব্যয়সাপেক্ষ নয় এবং ঝুঁকিমুক্ত। সেই পথচলায় রাজিব ভাই আমাদের সব সময় সাহায্য করে যাচ্ছেন। তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমরা এখন এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করা যায়, ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’ টিম খুব শিগগিরই আপনাদের মাঝে আমাদের বহুল প্রত্যাশিত ট্রাভেল নিউজ পোর্টাল নিয়ে উপস্থিত হতে পারবে।
আসাদুজ্জামান রাজু
মাত্র চার মাস প্যারিসে এসেছি। আমি কিছু সময় নিয়ে ভাবছিলাম, আমি কী করতে আসলে পছন্দ করি। তিন দিন পর সিদ্ধামেত্ম পৌঁছলাম যে, আমি ই-কমার্স প্রজেক্ট নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করব। রাতে বসেই ডোমেইন নিয়ে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্ট খুলে পরিকল্পনা করা শুরু করলাম।
আমার আইটি টিম দিয়ে StarBluster.com-এ হাত দিলাম এবং প্রথম প্রজেক্টের bohota.com কাজও প্রায় শেষ। ঠিক তখন মনে হলো বাংলাদেশে যদি কোনো অ্যাসোসিয়েশন থাকত। গুগল ও ফেসবুকে বাংলাদেশ ই-কমার্স, ই-কমার্স ইন বাংলাদেশ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করাতে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নাম জানতে পারি। আমি তখন অ্যাসোসিয়েশনকে মেইল করি আর তার রিপ্লাই আসে আমাদের ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব ভাইয়ের কাছ থেকে। তিনি ধারাবাহিকভাবে আমাকে ফেসবুক গ্রুপ এবং স্কাইপ আড্ডাতে যোগদান করতে বলেন এবং সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত একদিনের জন্যও এ আড্ডা থেকে দূরে থাকতে পারিনি। আমি এই অ্যাসোসিয়েশন থেকে এত কিছু পেয়েছি এবং অ্যাসোসিয়েশন আমাকে এত কিছু দিয়েছে, যা লিখতে গেলে আমাকে দেয়া ২০০ ওয়ার্ডের আর্টিকল দিয়ে প্রায় অসম্ভব

খান মোহাম্মদ নুরুন্নবী
ডোমেইন কিনেছি বেশ আগে, সাইটও মোটামুটি তৈরি, কিন্তু সাহস পাচ্ছিলাম না। ই-ক্যাব আমাকে সাহস দিয়েছে। ই-ক্যাব আড্ডা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। শুধু আমি নই, এ আড্ডায় যারা আসে তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হয়। ই-ক্যাব আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসায় শুরু করতে হয়। শুধু তাই নয়, ই-কমার্স ব্যবসায়ের সব সমস্যা নিয়েও এখানে নিয়মিত আলোচনা হয়, যা একজন উদ্যোক্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি কোনো ব্যক্তি ই-ক্যাব ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়ে, তবে সে যে কারও সাহায্য ছাড়াই এ ব্যবসায় শুরু এবং পরিচালনা করতে পারবে।
আমু আহমেদ মনসুর
এক কথায় ই-ক্যাব আমাকে ই-কমার্স ব্যবসায় কী তা শিখিয়েছে। আমি শুধু স্বপ্ন দেখতাম যে, আমি আমার জামদানি নিয়ে বিশেষ কিছু করব। কিন্তু কীভাবে কী করব তা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, নেই কোনো অনুকূল পরিস্থিতি। তারপরও ই-ক্যাব আমাকে কিছু করার সাহস ও রাস্তা দেখিয়েছে।
ই-ক্যাবের কাছে আমি কতটা ঋণী, তা লিখে বা বলে বোঝানো সম্ভব নয। ধন্যবাদ ই-ক্যাবকে।
মঞ্জুর আল ফেরদৌস
আমি একলা একলাই ব্যবসায় শুরু করি এবং একই সাথে ব্যবসায় শেখা ও ব্যবসায় চালানো ছিল খুবই কঠিন। ই-ক্যাব আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ই-ক্যাব খুবই সুন্দর একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে আমরা ব্যবসায় শিখতে পারি এবং একই সাথে বিভিন্ন পরামর্শ ও সাহায্য পেয়ে থাকি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে ই-ক্যাবের মাধ্যমে আমরা একত্রিত হতে পেরেছি। ধন্যবাদ ই-ক্যাব। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।
আতিক ফয়সাল
আমার কাছে মনে হয় ই-ক্যাব হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও প্রথম ই-কমার্সের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিনামূল্যে ই-কমার্স সম্পর্কিত এত তথ্য অন্য কোথাও নেই। আমি ই-ক্যাব থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি ব্যবসায় করতে হলে আগে ভালো করে জানতে হবে, না হয় ঝরে পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
লিটন সৈকত নীল
কক্সবাজার ই-শপ শুরু করেছি এক বছরেরও বেশি সময় হয়েছে। ব্যবসায়টা সেভাবে শুরু করতে পারছিলাম না। এরই মধ্যে ই-ক্যাবের সদস্য হয়ে যাই। এরপর থেকে আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কক্সবাজার ই-শপ ই-ক্যাবের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে দিন দিন সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ও ব্যবসায়ের পরিধি বেড়ে চলেছে। সেই সাথে বলতে হয় ই-ক্যাবের স্কাইপ আড্ডার কথা। যা চালু না করলে হয়তো আমার মতো অনেকেরই অনেক কিছু অজানা থেকে যেত। আড্ডায় সবাই সবাইকে সহযোগিতার যে মনমানসিকতা আছে, সেটা অতুলনীয়। একজন আরেকজনের সাথে তাদের ভুলত্রুটি, সফলতা, ব্যর্থতা, অভিজ্ঞতা যেভাবে শেয়ার করে, সেটা সত্যিই অভাবনীয়। যার দরুন এখানে শেখার পরিমাণটা ব্যাপক। এজন্য ই-ক্যাব ও ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ ও আড্ডার সবার প্রতি আমরা অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।
আনোয়ার হোসেন
ই-ক্যাব ভালো মানুষদের একটি গ্রুপ। এখানে বিভিন্ন জায়গায় ঠকে যাওয়া অনেক মানুষ এসে ভিড় করছে। আমি নিজেও ঠকে যাওয়া মানুষদের একজন। আমি যেহেতু লেখালেখির সাথে আছি, তাই এ বিষয়েই বলি। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে খুবই বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজের বিনিময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাওনা টাকা দূরে থাক, অনেক ক্ষেত্রে ধন্যবাদও পাইনি। কিছু ক্ষেত্রে কাজের টাকা পাওয়ার জন্য মাসের পর মাস ঘুরে বেড়িয়েছি। এরপর সৌভাগ্যবশত অনলাইনে ই-ক্যাবের লিঙ্ক পাই। রাজিব ভাইকে অনুরোধ করে ই-ক্যাবের ভলান্টিয়ার রাইটার্স ক্লাবে যোগ দেই। ব্লগে লেখালেখি শুরু করি। পরামর্শ নিতে থাকি স্কাইপে রাজিব ভাইয়ের কাছ থেকে। মাঝে মাঝে যোগ দেই ই-ক্যাবের সবচেয়ে উপকারী ই-ক্যাব স্কাইপ আড্ডাতে। এ আড্ডাতে আমার দেখা হয় (কথা হয়) খুব ভালো কিছু মানুষের সাথে। ই-ক্যাবের এ আড্ডাতে একঝাঁক ভালো মানুষ সারারাত জেগে মানুষের উপকার করে বেড়ান। মানুষের বিভিন্ন ধরনের নেশা থাকে। ই-ক্যাব আড্ডার মানুষগুলোর নেশা হচ্ছে মানুষের উপকার করা। এ আড্ডাবাজদের মধ্যে আছেন ডোমেইন হোস্টিং সেবাদানকারী, ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ লোক বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তারা সবাই (আমিসহ) অনেককে বিনামূল্যে পরামর্শ এমনকি সেবাও দিয়ে যাচ্ছেন। আরও আগে ই-ক্যাবের সাথে পরিচিত হলে আমি ঠকতাম না।
মাসুম ইবনে শিহাব
আমি মাসুম ইবনে শিহাব, সাইপ্রাস থেকে বলছি। আমি এ দেশ থেকে সণাতক শেষ করেছি হোটেল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে। সাইপ্রাস দেশটির অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হচ্ছে পর্যটন খাত। আমাদের পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের অভাবে আমরা এই বিশাল খাতে উন্নতি সাধন করতে পারছি না। তাই আমরা কিছু বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করি কীভাবে আমাদের দেশে পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করা যায়। আমরা বাংলাদেশকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে পরিচিত করানোর জন্য কিছু পরিকল্পনা হাতে নেই, যার প্রথম উদ্যোগ হচ্ছে ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’। এই সেস্নাগানের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বড় ধরনের অনুষ্ঠানে, উৎসবে ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’ প্রচারণা শুরু করি। ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’ টিমের পরবর্তী প্রয়াস হচ্ছে একটি ম্যাগাজিন বানানো। কিন্তু কিছু সরকারি, আইন, নীতিমালা এবং পর্যাপ্ত আর্থিক অনুদান না থাকার কারণে আমরা আমাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসি। তখনই ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ ভাইয়ের পরামর্শক্রমে আমরা একটি অনলাইন ট্রাভেল নিউজ পোর্টাল বানানোর সিদ্ধান্ত নেই, যা অতি ব্যয়সাপেক্ষ নয় এবং ঝুঁকিমুক্ত। সেই পথচলায় রাজিব ভাই আমাদের সব সময় সাহায্য করে যাচ্ছেন। তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমরা এখন এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করা যায়, ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ’ টিম খুব শিগগিরই আপনাদের মাঝে আমাদের বহুল প্রত্যাশিত ট্রাভেল নিউজ পোর্টাল নিয়ে উপস্থিত হতে পারবে।
আসাদুজ্জামান রাজু
মাত্র চার মাস প্যারিসে এসেছি। আমি কিছু সময় নিয়ে ভাবছিলাম, আমি কী করতে আসলে পছন্দ করি। তিন দিন পর সিদ্ধামেত্ম পৌঁছলাম যে, আমি ই-কমার্স প্রজেক্ট নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করব। রাতে বসেই ডোমেইন নিয়ে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্ট খুলে পরিকল্পনা করা শুরু করলাম।
আমার আইটি টিম দিয়ে StarBluster.com-এ হাত দিলাম এবং প্রথম প্রজেক্টের নড়যড়ঃধ.পড়স কাজও প্রায় শেষ। ঠিক তখন মনে হলো বাংলাদেশে যদি কোনো অ্যাসোসিয়েশন থাকত। গুগল ও ফেসবুকে বাংলাদেশ ই-কমার্স, ই-কমার্স ইন বাংলাদেশ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করাতে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নাম জানতে পারি। আমি তখন অ্যাসোসিয়েশনকে মেইল করি আর তার রিপ্লাই আসে আমাদের ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব ভাইয়ের কাছ থেকে। তিনি ধারাবাহিকভাবে আমাকে ফেসবুক গ্রুপ এবং স্কাইপ আড্ডাতে যোগদান করতে বলেন এবং সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত একদিনের জন্যও এ আড্ডা থেকে দূরে থাকতে পারিনি। আমি এই অ্যাসোসিয়েশন থেকে এত কিছু পেয়েছি এবং অ্যাসোসিয়েশন আমাকে এত কিছু দিয়েছে, যা লিখতে গেলে আমাকে দেয়া ২০০ ওয়ার্ডের আর্টিকল দিয়ে প্রায় অসম্ভব

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস