ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আধুনিক বিশ্বকে কল্পনাই করা যায় না। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার ওপর নির্ধারণ করা হয় সে দেশটি কতটুকু উন্নত। বলা যায়, একটি দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বেশি হবে, সে দেশ তত উন্নত হিসেবে বিবেচিত। কেননা, বর্তমানে বিশ্বে সভ্যতার মানদ- নির্ধারিত হয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর। সুতরাং, ইন্টারনেট সভ্যতার এ যুগে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর উচিত ইন্টারনেটে ব্যবহৃত কিছু প্রচলিত টার্ম বা শব্দ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখা। এ সত্য উপলব্ধিতে এ লেখার অবতারণা।
ওয়েব বনাম ইন্টারনেট
ইন্টারনেট হলো একটি বিশাল কমপিউটার নেটওয়ার্কের আন্তসংযোগ। এতে অঙ্গীভূত রয়েছে লাখ লাখ কমপিউটিং ডিভাইস, এগুলো তথ্যের বাণিজ্যিক ভলিউম। বর্তমানে ডেস্কটপ কমপিউটার, মেইনফ্রেম, জিপিএস ইউনিট, সেলফোন, কার অ্যালার্ম, ভিডিও গেম কন্সোল এবং এমনকি সোডা পপ মেশিন নেটের সাথে সংযুক্ত।
ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে আমেরিকার মিলিটারি প্রজেক্ট হিসেবে। এরপর থেকে মাকড়সার জালের মতো ব্যাপক আকারে বিস্তৃতি লাভ করে সর্বসাধারণের জন্য। বর্তমানে ইন্টারনেটে কোনো সিঙ্গেল বা একক মালিকানা নেই বা কোনো একক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছে না ইন্টারনেটকে। নেট বিস্ময়করভাবে, অলাভজনক, বেসরকারি খাত, সরকার এবং উদ্যোক্তা সম্প্রচারকদের মাধ্যমে বিস্তৃত হচ্ছে।
ইন্টারনেট হলো কয়েক লেয়ারের তথ্যের আবাসস্থল। এখানে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টেশন ডেভিকেটেড থাকে প্রতিটি লেয়ারে। এসব ভিন্ন ভিন্ন লেয়ারকে বলে ‘প্রটোকল’। সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রটোকল হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, এফটিপি, টেলনেট, গোফার, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ও ই-মেইল। ইন্টারনেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা সংক্ষেপে ওয়েব। ওয়েব ব্রাউজার সফটওয়্যার দিয়ে ওয়েব ভিউ করা হয়।
লক্ষণীয়, গ্রামার ও স্পেলিং ব্যবহার করুন ক্যাপিটালাইজ ‘Internet’ এবং ‘Web’ যখন প্রতিটি ওয়ার্ড নাউন তথা বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহার হবে। ব্যবহার করুন লোয়ার কেস ‘internet’ এবং বিন যখন এখানকার প্রতিটি ওয়ার্ড অ্যাডজেক্টিভ তথা বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার হয়।
এইচটিটিপি এবং এইচটিটিপিএস
হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকলের সংক্ষেপ্ত রূপ হলো এইচটিটিপি (http)। এটি একটি টেকনিক্যাল টার্ম এবং ওয়েবপেজের ল্যাঙ্গুয়েজ। যখন কোনো ওয়েবপেজে এটি প্রিফেক্স হিসেবে থাকে, তখন আপনার লিঙ্ক, টেক্সট ও ছবি আপনার ওয়েব ব্রাউজারে কাজ করা উচিত। এইচটিটিপিএস (https) হলো হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল সিকিউরডের সংক্ষেপ্ত রূপ। এর অর্থ হচ্ছে ওয়েবপেজে রয়েছে অ্যানক্রিপশনের বিশেষ লেয়ার, যা যুক্ত করা হয়েছে আপনার পার্সোনাল তথ্য ও পাসওয়ার্ড লুকিয়ে রাখার জন্য। যখনই আপনি অনলাইন ব্যাংকে অথবা আপনার ওয়েব অ্যাকাউন্ট লগইন করবেন, তখন এইচটিটিপিএস দেখতে পারবেন ওয়েবপেজ অ্যাড্রেসের আগে।
এখানে :// হলো এক অদ্ভুত এক্সপ্রেশন, ‘this is a computer protocal’ আমরা সাধারণত এই তিনটি ক্যারেক্টার যুক্ত করি এই বোঝাতে যে, কোন সেট ল্যাঙ্গুয়েজের নিয়ম ডকুমেন্টকে প্রভাবিত করবে যা আপনি ভিউ করছেন।
ব্রাউজার
ব্রাউজার হলো একটি ফ্রি সফটওয়্যার প্যাকেজ, যা আপনাকে ওয়েবপেজ, গ্রাফিক্স ও অনলাইন কনটেন্ট ভিউ করার সুযোগ দেয়। ব্রাউজার সফটওয়্যারকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে এইচটিএমএল এবং এক্সএমএলকে রিডেবল ডকুমেন্টে রূপান্তর করে। ২০১৪ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলো হলো- গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স, ইন্টারনেট এক্সপেস্নারার এবং সাফারি।
এইচটিএমএল এবং এক্সএমএল
হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ হলো একটি প্রোগ্রামেটিক ল্যাঙ্গুয়েজ, যা ওয়েবপেজের ভিত্তি। এইচটিএমএল আপনার ওয়েব ব্রাউজারকে কমান্ড দেয় টেক্সট এবং গ্রাফিক্সকে যথাযথভাবে ডিসপ্লে করার জন্য। এইচটিএমএল ব্যবহার করে কমান্ড, যাকে বলা হয় এইচটিএমএল ট্যাগ, যা দেখতে নিমণরূপ :
<body></body>
<title></title>
এক্সএমএল হলো এক্সটেনসিবল মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। এক্সএমএল ফোকাস করে ওয়েবপেজের টেক্সট কনটেন্টকে ক্যাটালগ ও ডাটাবেজ করার কাজে। এক্সএমএল কমান্ড দেখতে নিমণরূপ :
এক্সএইচটিএমএল হলো এইচটিএমএল এবং এক্সএমএলের কম্বিনেশন।
ইউআরএল
ইউআরএল অথবা ‘ইউনিফরম রিসোর্স লোকেটরস’ হলো ইন্টারনেট পেজ এবং ফাইলের ওয়েব ব্রাউজার অ্যাড্রেস। একটি ইউআরএল আইপি অ্যাড্রেসের সাথে একত্রে কাজ করে ওয়েব ব্রাউজারের জন্য নেম-লোকেট ও বুকমার্ক করা পেজের ফাইল নির্দিষ্ট করতে সহায়তা করার জন্য। ইউআরএল একটি পেজ বা ফাইল অ্যাড্রেস করতে সাধারণত তিনটি অংশ ব্যবহার করে। যেমন- প্রটোকল (যে অংশটি শেষ হয় ‘//:’ দিয়ে, হোস্ট কমপিউটার (যা কখনও কখনও .com দিয়ে শেষ হয়) এবং ফাইলনেম/পেজনেম নিজেই। যেমন-
https://personal.bankofamerica.com/login/password.htm
http://forums.about.com/ab-guitar/?msg61989.1
ftp://files.microsoft.com/public/eBookreader.msi
telnet://freenet.edmonton.ca/main
lelnet://frenet.edmonton.ca/main
আইপি অ্যাড্রেস
আপনার কমপিউটারের ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস হলো চার অংশ বা আট অংশের ইলেকট্রনিক সিরিয়াল নাম্বারবিশিষ্ট। একটি আইপি অ্যাড্রেস অনেকটা ২০২.৩.১০৪.৫৫ বা 21DA:D3:0:2F3B:2AA:FF:FE28:9C5A-এর মতো, যা শেষ হয় ডট বা ক্লোন সেপারেটর দিয়ে। প্রতিটি কমপিউটার, সেলফোন এবং ডিভাইস- যা ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস করে, সেগুলোকে ট্র্যাকিংয়ের উদ্দেশ্যে অ্যাসাইন করা হয় ন্যূনতম একটি আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে। আপনার ব্রাউজার যেখানেই থাকুক না কেন, যখনই ই-মেইল বা ইনস্ট্যান্ট মেসেজ সেন্ড করেন না কেন এবং যখন ফাইল ডাউনলোড করেন না কেন, আপনার আইপি অ্যাড্রেস আচরণ করবে অটোমোবাইল লাইসেন্স প্লেটের মতো অ্যাকাউন্টেবিলিটি এবং ট্র্যাকেবিলিটিকে এনফোর্স করার জন্য।
ইমেইল
ইমেইল আগে লেখা হতো ই-মেইল (হাইপেনসহ), যার অর্থ ইলেকট্রনিক মেইল। এটি টাইপরাইট করা মেসেজ এক স্ক্রিন থেকে আরেক স্ক্রিনে সেন্ড ও রিসিভ করে। ই-মেইল সাধারণত ওয়েবমেইল সার্ভিসের মাধ্যমে (যেমন- জি-মেইল বা ইয়াহু মেইল) বা একটি ইনস্টল করা সফটওয়্যার প্যাকেজের মাধ্যমে যেমন মাইক্রোসফট আউটলুক হ্যান্ডেল হয়। ই-মেইলের অনেক কাজিন আছে যেমন- টেক্সট মেসেজিং, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, লাইভ চ্যাট, ভিডিও মেইল (ভি-মেইল) ও গুগল ওয়েভিং।
ব্লগ এবং ব্লগিং
একটি ব্লগ (ওয়েব লগ) হলো একটি মডার্ন অনলাইন রাইটার কলাম। শৌখিন এবং পেশাদার লেখকেরা তাদের ব্লগ প্রকাশ করে থাকেন অতি সাম্প্রতিক ধরনের সব বিষয়ের ওপর। যেমন- শখের বিষয়, হেলথ কেয়ার, তাদের মতামত, সেলিব্রেটিদের কলঙ্ক ও গুজব, প্রিয় ছবির ফটো ব্লগ, মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহারের টেক টিপ ইত্যাদি। যেকেউ যখন-তখন ব্লগ শুরু করতে পারেন। কেউ কেউ তাদের ব্লগে বিজ্ঞাপন বিক্রি করে বেশ ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করতে সক্ষম হয়েছে। ওয়েব লগ সাধারণত বিন্যাসিত হয় কালক্রমানুসারে এবং পূর্ণ ওয়েবসাইটের তুলনায় কম সৌজন্যতায়। ব্লগ বেশ তারতম্য হতে পারে। যেমন- খুবই শৌখিন থেকে খুবই পেশাদারি। একজনের পার্সোনাল ব্লগ শুরু করতে কোনো খরচ বহন করতে হয় না।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং সোশ্যাল বুক মার্কেটিং
যেকোনো অনলাইন টুলে সোশ্যাল মিডিয়া হলো একটি বিশাল টার্ম, যা ব্যবহারকারীকে অন্যান্য হাজার হাজার ব্যবহারকারীর সাথে ইন্টারেক্ট করার জন্য এনাবল করে। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং এবং চ্যাটিং হলো সোশ্যাল মিডিয়ার সাধারণ ধরন, অনেকটা ব্লগসহ কমেন্টের মতো, ডিসকাশন ফোরাম, ভিডিও শেয়ারিং এবং ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইটের মতো। ফেসবুক ডটকম, মাইস্পেস ডটকম খুব বড় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, যেমনটি ইউটিউব ডটকম এবং ডিগ ডটকম।
সোশ্যাল বুক মার্কেটিং হলো সোশ্যাল মিডিয়ার বিশেষ ধরন। সোশ্যাল বুক মার্কেটিং হলো এমন এক ক্ষেত্র, যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে ইন্টারেক্ট করে ওয়েবসাইট রিকোমেন্ডিংয়ের মাধ্যমে।
আইএসপি
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সংক্ষেপ্ত রূপ হলো আইএসপি। আইএসপি হতে পারে প্রাইভেট কোম্পানি বা গভর্নমেন্ট অর্গানাইজশেন, যা আপনাকে বিশ্বের বিশাল ইন্টারনেট জগতের সাথে প্ল্যাগ করবে। আপনার আইএসপি বিভিন্ন মূল্যে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস অফার করবে। যেমন- ওয়েবপেজ অ্যাক্সেস, ই-মেইল, নিজের ওয়েবপেজ হোস্টিং, নিজের ব্লগ হোস্টিং ইত্যাদি অনেক কিছু। আইএসপিগুলো বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট কানেকশন স্পিড অফার করে মাসিক ভিত্তিতে। যেমন- আল্ট্রা হাইস্পিড ইন্টারনেট বনাম ইকোনমি ইন্টারনেট। ইদানীং আপনি আরও শোনে থাকবেন WISP সম্পর্কে। এগুলো মূলত ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সম্পর্কিত।
ডাউনলোড
ডাউনলোডিং হলো এক ব্যাপক বিস্তৃত টার্ম, যা বর্ণনা করে যখন আপনি ইন্টারনেটে বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে নির্দিষ্ট কোনো কিছু খুঁজে বের করে পার্সোনাল কপি তৈরি করেন। সাধারণত ডাউনলোডিং টার্মটি গান, মিউজিক এবং সফটওয়্যার ফাইলসংশ্লিষ্ট হয়ে থাকে। যেমন- ‘I want to download a new musical ringtone for my cell phone’ এবং ‘I want to download a trial copy of Microsoft office 2010’। আপনি যত বড় ফাইল কপি করবেন, আপনার ডাউনলোড যত দীর্ঘতর হবে, আপনার কমপিউটারে ট্রান্সফার হতে তত বেশি সময় নেবে। কোনো কোনো ডাউনলোডে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় নেয়, যা অবশ্য নির্ভর করে ইন্টারনেটের স্পিডের ওপর।
লক্ষণীয়, ডাউনলোডিং নিজেই পুরোপুরি বৈধ, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সতর্ক থাকবেন অবৈধ বা পাইরেটেড মুভি বা মিউজিক ডাউনলোড না করার ব্যাপারে।
ম্যালওয়্যার
হ্যাকারদের ডিজাইন করা যেকোনো ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যারকে বোঝাতে ব্যবহার হওয়া এক বিশাল টার্মকে ম্যালওয়্যার বলে। ম্যালওয়্যার সম্পৃক্ত করে ভাইরাস, ট্রোজান, ব্লটওয়্যার, কীলগার, জম্বি প্রোগ্রাম এবং অন্য যেকোনো সফটওয়্যার- যা নিমণলিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি সম্পন্ন করার জন্য অনুসন্ধান করে।
* ব্যবহারকারীর কমপিউটারে কোনো না কোনোভাবে ভ্যান্ডালাইজ করবে।
* ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করবে।
* দূর থেকে ব্যবহারকারীর কমপিউটারের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
* কোনো কিছু কেনার জন্য ম্যানিপুলেট করে।
রাউটার
একটি রাউটার বা অনেক ক্ষেত্রে একটি রাউটার মডেম কম্বিনেশন হলো হার্ডওয়্যার ডিভাইস, যা বাসার নেটওয়ার্কের সিগন্যালের জন্য ট্রাফিক কপ হিসেবে কাজ করে। একটি রাউটার হতে পারে ওয়্যারড বা ওয়্যারলেস বা উভয়। আপনার রাউটার করে হ্যাকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং আপনার বাসার কোন কমপিউটার বা প্রিন্টারে সিগন্যাল পাওয়া উচিত তা সিদ্ধামেত্মর জন্য রিডেরেশন সার্ভিস উভয়ই। যদি আপনার রাউটার অথবা রাউটার মডেম যথাযথভাবে কনফিগার করা হয়, তাহলে আপনার ইন্টারনেট স্পিড হবে দ্রুতগতির এবং হ্যাকার লকআউট হবে। যদি আপনার রাউটার দুর্বলভাবে কনফিগার করা হয়, তাহলে আপনার নেটওয়ার্ক ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে পড়বে এবং হ্যাকারের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
কীওয়ার্ড এবং ট্যাগ/লেবেল
কীওয়ার্ড হলো সার্চ টার্ম, যা ব্যবহার হয় ডকুমেন্ট লোকেট করার জন্য। এক থেকে পার্চ ওয়ার্ড দীর্ঘ যেকোনো জাগয়ায় কীওয়ার্ড থাকতে পাওে, যেগুলো আলাদা করা হয় স্পেস বা কমা দিয়ে। যেমন- ‘horseback riding calgary’, ‘ipad purchasing advice’, ‘ebay tips selling’। কীওয়ার্ড হলো ওয়েব ক্যাটালগ করার ফাউন্ডেশন এবং প্রাথমিকভাবে বলা যায় ওয়েবে কোনো কিছু খোঁজ করার জন্য ব্যবহার হয়। ট্যাগকে (Tags) কখনও কখনও লেবেল বলা হয়। ট্যাগ হলো কীওয়ার্ডের রিকোমেন্ডেশন। ট্যাগ এবং লেবেল ফোকাস করে সংশ্লিষ্ট ক্রশলিঙ্কিং কনটেন্টে যেগুলো আধুনিক বিবর্তন।
টেক্সটিং ও চ্যাটিং
টেক্সট মেসেজের সংক্ষেপ্ত রূপ হলো টেক্সটিং। সেলফোন বা হ্যান্ডহেল্ড ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে সাধারণ সংক্ষেপ্ত ইলেকট্রনিক নোট সেন্ড করাকে বলা হয় টেক্সটিং। টেক্সটিং ওইসব লোকজনের কাছে জনপ্রিয়, যারা মোবাইল অবস্থায় আছেন এবং যারা তাদের ডেস্কটপ কমপিউটার থেকে দূরে আছেন তাদের কাছে। টেক্সটিং অনেকটা আগের দিনের অর্থাৎ নববই দশকে ব্যবহৃত পেজারের মতো কাজ করে, তবে এর রয়েছে ই-মেইলের ফাইল অ্যাটাচমেন্টের সক্ষমতা।
টেক্সট মেসেজ সেন্ড করার জন্য আপনার দরকার কীবোর্ড এনাবল সেলফোন এবং একটি টেক্সট মেসেজ সার্ভিস, যা পাবেন আপনার সেলফোন প্রোভাইডারের মাধ্যমে। আপনি আপনার টেক্সট মেসেজ অ্যাড্রেস করেন রিসিপিয়েন্টের সেলফোন নাম্বার।
২০১০ সালে টেক্সটিং বংশবিস্তার সৃষ্টি করে এক বিতর্কমূলক অভ্যাস, যাকে বলা হয় সেক্সটিং। সেক্সটিংয়ের মাধ্যমে তরুণেরা অন্য সেলফোন ব্যবহারকারীর নাম্বারে নিজেদের সেক্সচুয়াল ফটো সেন্ড করে।
আইএম
আইএম তথা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং হলো আধুনিক অনলাইন চ্যাটিংয়ের একটি ধরন। আইএম অনেকটা টেক্সটিং ও ই-মেইলের মতো এবং অনেক বেশি মনে হয় ক্লাসরুমে নোট সেন্ড করার মতো। আইএম ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার, যাকে অভিহিত করা হয় নো-কস্ট সফটওয়্যার হিসেবে, যা আপনার কমপিউটারে ইনস্টল করেন। আইএম সফটওয়্যার সম্ভাব্য হাজার হাজার আইএম ব্যবহারকারীদেরকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কানেক্ট করে। আপনি লোকেট করতে পারবেন বিদ্যমান বন্ধুদের এবং নতুন বন্ধু খুঁজে বের করতে পারেন তাদের আইএম নিকনেম সার্চ করার মাধ্যমে। সফটওয়্যার ও আপনার বন্ধুদের লিস্ট একবার একত্রিত করতে পারলে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে শর্ট মেসেজ সেন্ড করতে পারবেন একে অপরের কাছে। ফাইল অ্যাটাচমেন্ট অপশন এবং লিঙ্ক ব্যবহার করে রিসেপেয়েন্ট তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মেসেজ দেখতে পারবেন এবং তারা পরবর্তী অবসর সময়ে জবাব দেয়ার অপশনও পাবেন
ফিডব্যাক : siam.moazzem@gmail.com