লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
লুৎফুন্নেছা রহমান
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
লেখার ধরণ:
অ্যান্টি-ভাইরাস
কয়েকটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
তথ্যপ্রযুক্তির অপার কল্যাণে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা যেমন সহজ হয়েছে, তেমনই হয়েছে গতিময়- এ কথা যেমন সত্য, তেমনই সত্য আমাদের কমপিউটিং জীবন সব সময় যে উদ্বেক ও উৎকণ্ঠামুক্ত তা কিন্তু নয়। আমাদের স্বাভাবিক কমপিউটিং জীবন সব সময়ই ব্যাহত হয়ে আসছে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, যেমন- ভাইরাস, ট্রোজান, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার ইত্যাদির মাধ্যমে। তাই প্রত্যেক ব্যবহারকারীর উচিত ডাটার নিরাপত্তা বিধানের জন্য বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস টুল ব্যবহার করা।
আমাদের কমপিউটিং জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক, উদ্বেক ও উৎকণ্ঠামুক্ত রাখতে প্রতিনিয়তই উন্মুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন ফিচারসমৃদ্ধ অ্যান্টিভাইরাস টুল, যা ব্যবহারকারীর ডাটার নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে লক্ষণীয়, সব অ্যান্টিভাইরাস টুলই যে ডাটার নিরাপত্তা শতভাগ দিতে পারে, তা জোর দিয়ে বল যাবে না কোনোভাবে। এসব টুলের কোনো কোনোটি খুব কার্যকরভাবে ডাটার নিরাপত্তা বিধানে সক্ষম হলেও কিছু কিছু টুল আছে, যেগুলো ব্যাপকভাবে সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করা ছাড়া এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করে না।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস টুল পাওয়া যাচ্ছে। এসব টুলে রয়েছে পেইড ও ফ্রি ভার্সন। ফ্রি ভার্সনগুলোর তুলনায় পেইড ভার্সনগুলো তুলনামূলকভাবে একটু বেশি ফিচারসমৃদ্ধ হলেও ফ্রি ভার্সনগুলো ডাটা নিরাপত্তা বিধানে বেশ ভালোই কাজ করে, বিশেষ করে হোম ইউজারদের জন্য।
এ লেখায় ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে বর্তমানে বাজারে যেসব ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস টুল পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো ডাটার নিরাপত্তা বিধানে সক্ষম। এসব টুলের মধ্য থেকে শীর্ষ কয়েকটি অ্যান্টিভাইরাস টুলের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে, যার আলোকে বেছে নিতে পারবেন আপনার জন্য সেরা অ্যান্টিভাইরাস টুলটি। লক্ষণীয়, একেক বিশেষজ্ঞ একেকভাবে সেরা অ্যান্টিভাইরাস টুল নির্ধারণ করলেও মৌলিক কিছু বিষয় সবসময় ঠিক থাকে। তাই শীর্ষ তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রেও কিছু তারতম্য হতে পারে।
ইসেট স্মার্ট সিকিউরিটি
ইসেট (ESET) স্মার্ট সিকিউরিটি হলো একটি ইন্টারনেট সিকিউরিটি স্যুট, যা ম্যালওয়্যার যেমন ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার ও রুটকিট থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করে। বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার কমপিউটার সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করার জন্য ব্যবহার করে সৃজনশীল অ্যাপ্রোচ এবং সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর সিস্টেমকে রক্ষা করে সন্দেহাতীত ক্ষতি ও হিডেন বা গোপন ঝুঁকি থেকে। কমপিউটার ভাইরাস এক কমপিউটার থেকে আরেক কমপিউটারে নিজেদের রেপ্লিকেট বা হুবহু নকল তৈরি করার মাধ্যমে বিস্তৃতি লাভ করে। ওয়ার্ম ভলনিয়ারিবিলিটিকে কাজে লাগিয়ে নেটওয়ার্কে নিজেদেরকে ছড়িয়ে দেয়। ট্রোজান হর্সেস ক্ষতিকর নয়, এই হিসেবে আচরণ করে যতক্ষণ পর্যন্ত না এগুলো ক্ষতি করতে পারছে। স্পাইওয়্যার যতটুকু সম্ভব আপনার ব্যক্তিগত আইডেন্টিটি এবং অনলাইনের আচরণের তথ্য সংগ্রহ করে। রুটকিট অপারেটিং সিস্টেমের গভীরে ঢুকে তত্ত্বাবধানের নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি যখন অনলাইনে থাকবেন, তখন এসব ম্যালওয়্যার থেকে আপনাকে রক্ষা করবে ফিশিং প্রচেষ্টাকে প্রতিহত তথা ব্লক করে এবং ই-মেইল স্ক্যানিং করে। এই টুলটি এক্সটারনাল মিডিয়াকেও ম্যালওয়্যারের হাত থেকে রক্ষা করে। ইসেট হিউরিস্টিক অ্যানালাইসিস ব্যবহার করে ফাইলের আচরণ লক্ষ করে এটি নতুন ভাইরাসকে প্রতিহত করে, যেটি এখন পর্যন্তও থ্রেড ডাটাবেজে সম্পৃক্ত হয়নি।
ইসেট অ্যান্টিভাইরাসে এমন কিছু ফিচার আছে, যার কারণে এ টুলটি অ্যান্ট্রিলেভেল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারে সীমা ছাড়িয়ে ক্যাটাগরাইজ হচ্ছে একটি ইন্টারনেট সিকিউরিটি স্যুটের কাতারে। ইসেট স্মার্ট সিকিউরিটি স্যুটে সমন্বিত রয়েছে ফায়ারওয়াল, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্রটেকশন, সোশ্যাল মিডিয়া প্রটেকশন, বুটেবল রেসকিউ সিডি, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল প্রভৃতি ফিচার।
ইসেট স্মার্ট সিকিউরিটি স্যুট হলো অন্যতম সহজ ইন্টারনেট সিকিউরিটি স্যুট। নেভিগেশনে কোনো সমস্যা নেই। ডিফল্ট সেটআপ মনে হয় বিগেনারদের উপযোগী এবং এতে সমন্বিত আছে একটি অ্যাডভ্যান্স মোড অপশন। সহজ নেভিগেশনের জন্য কিবোর্ড শর্টকাটও আছে এতে। এর ল্যাপটপ মোড সিস্টেমকে রক্ষা করে ব্যাটারি অপচয় না করে।
ইসেট স্মার্ট সিকিউরিটি টুলের ফিচার
* অ্যান্টিভাইরাস (থ্রেডসেন্স টেকনোলজি) দূর করে উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনআক্স ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, রুটকিট এবং ম্যালওয়্যার। * অ্যান্টিস্পাইওয়্যার সুরক্ষিত করে আপনার অনলাইন প্রাইভেসি এবং আইডেন্টিটি। * রিমুভাল মিডিয়া কন্ট্রোল ফিচার ম্যালওয়্যার সংক্রমণ থেকে ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, সিডি ও ডিভিডি প্রভৃতিকে রক্ষা করে। ডিভাইস আইডির মাধ্যমে ব্লক করাকে এনাবল করে। * অ্যান্টিরুটকিট ম্যালওয়্যার শনাক্ত ও অপসারণ করে, যেগুলো অপারেটিং সিস্টেম থেকে লুকানো থাকে। * অ্যান্টিস্প্যাম অনাকাঙিক্ষত ই-মেইল ব্লক করে। * ইন্টেলিজেন্ট ফায়ারওয়াল রিমোট অ্যাটাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে যেসব প্রযুক্তি অ্যাডাপ্ট হয়ে গেছে। * ইসেট স্মার্ট সিকিউরিটি অ্যান্টিভাইরাস টুলের বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউটর স্টার টেক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
ম্যাকাফি ইন্টেল সিকিউরিটি
ইন্টেল কর্পোরেশন ২০১১ সালে বিশ্বের বড় সিকিউরিটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফিকে কিনে নেয় এবং ২০১৪ সাল থেকে ম্যাকাফি ব্র্যান্ডের সিকিউরিটিগুলো ইন্টেল সিকিউরিটি ম্যাকাফি নামে বাজারজাত করছে। বিশ্বখ্যাত আইটি প্রতিষ্ঠান ইন্টেল কর্পোরেশন তাদের ডেডিকেটেড সিকিউরিটি টেকনোলজি পণ্য ইন্টেল সিকিউরিটি ম্যাকাফির বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান কমপিউটার ভিলেজকে। কমপিউটার ভিলেজ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ডিলার চ্যানেলের মাধ্যমে ইন্টেল সিকিউরিটি ম্যাকাফির পণ্যগুলো বাজারজাত করবে।
ম্যাকাফি ব্যবহারকারীদের নিরাপদে ইন্টারেনেটে যুক্ত করে ও ওয়েবে নিরাপদে সার্ফ করার সক্ষমতা দান করে। ম্যাকাফি প্রদান করে ডাটা সিকিউরিটি, ডাটা প্রটেকশন, ডাটাবেজ সিকিউরিটি, ই-মেইল ও ওয়েব সিকিউরিটি, এন্ড পয়েন্ট প্রটেকশন, মোবাইল সিকিউরিটি, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি অ্যান্ড নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়াল, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি ফিচার।
ইন্টেল সিকিউরিটি ম্যাকাফি প্রদান করে প্রোঅ্যাক্টিভ প্রোভেন সলিউশন ও সার্ভিস, যা সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক বিশ্বকে সিকিউর করতে সহায়তা করে। ম্যাকাফি সব আকারের কনজ্যুমার ও ব্যবসায়কে সর্বাধুনিক ম্যালওয়্যার এবং উদ্ভূত অনলাইন থ্রেড থেকে রক্ষা করে। ম্যাকাফির সলিউশনকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে অ্যান্টিম্যালওয়্যার, অ্যান্টিস্পাইওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার একত্রে সমন্বিত হয়ে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ফিচারের সাথে কাজ করতে পারে এবং প্রদান করতে পারে অনতিক্রমনীয় রিয়েল টাইম ভিজিবিলিটি ও অ্যানালাইটিক, কমাতে পারে নিরাপত্তা ঝুঁকি, নিশ্চিত করতে পারে কমপ্লায়েন্স, উন্নত করতে পারে ইন্টারনেট সিকিউরিটি এবং সহায়তা করে ব্যবসায়ের সক্রিয়তার দক্ষতা।
হার্ডডিস্কে স্বয়ংক্রিয় ম্যালওয়্যার ছড়ানো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশসহ ৩০টিরও বেশি দেশের কমপিউটারের হার্ডডিস্কে গোপন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে। রাশিয়া থেকে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছে। আর সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি ‘ইকুয়েশন গ্রুপ : কোয়েশ্চনস অ্যান্ড আনসারস’ নামে প্রকাশও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গোপন সফটওয়্যারটির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকছেন একজন ব্যবহারকারী। আর জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ডের হার্ডডিস্কেই রয়েছে এই গোপন সফটওয়্যার। তোশিবা, স্যামসাং, ম্যাক্সটর, সিগেট কিংবা ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল, বাদ পড়েনি কোনো ব্র্যান্ডই।
ক্যাসপারস্কির তথ্যানুযায়ী, গোয়েন্দারা এমন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তা কাজে লাগাচ্ছে, যাতে অস্পষ্ট কোডের ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা ফার্মওয়্যার প্রতিবার কমপিউটার চালুর সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে। ডিস্ক ড্রাইভে এ ধরনের ফার্মওয়্যারকে গোয়েন্দা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরা পিসি হ্যাকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বলেই মনে করেন। বায়োস কোডে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ইনস্টলের পরেই ফার্মওয়্যারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়।
ক্যাসপারস্কির গবেষক কোস্টিন রায়ু বলেছেন, এই হার্ডওয়্যারের কারণে কমপিউটার বারবার আক্রান্ত হতে থাকে। এই ম্যালওয়্যার যারা ছড়ানোর কাজ করেন, তারা শত শত পিসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং সেখান থেকে ফাইল সরানো বা নজরদারির সব কাজ সারতে পারেন দূরে বসেই। কিন্তু তারা সব কমপিউটারে এ ধরনের কাজ করেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা তাদের লক্ষ্যবস্ত্ত হিসেবে পরিণত হন, তাদেরই শুধু আক্রমণ চালানো হয়। এখন পর্যন্ত ৩০ দেশে ৫০০ ভুক্তভোগীর সন্ধান পেয়েছে ক্যাসপারস্কি।
ক্যাসপারস্কি দাবি করেছে, যাদের হাতে সোর্স কোড থাকে শুধু তারাই এ ধরনের ম্যালওয়্যার ঢোকাতে পারেন। সাধারণ মানুষের পিসির তথ্য ব্যবহার করে সোর্স কোড ছাড়া হার্ডড্রাইভের অপারেটিং সিস্টেম রিরাইট করা সম্ভব নয়। এনএসএ কীভাবে সোর্স কোড পেয়েছে সে বিষয়টিও পরিষ্কার নয়। ক্যাসপারস্কির মতে, নজরদারিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, চীন, সিরিয়া, মালি, ইরান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্কসহ প্রভৃতি দেশ। এসব দেশের বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানে হার্ডডিস্কের এই গোপন সফটওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য খাতের প্রতিষ্ঠান, দূতাবাস, সামরিক সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম প্রভৃতি।
ক্যাসপারস্কির বিশেষজ্ঞ ইগর সোমেনকভ জানিয়েছেন, এই গোপন সফটওয়্যার থেকে সুরক্ষার কার্যকর উপায় হচ্ছে এ ধরনের হার্ডড্রাইভ পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলা। কারণ, এ ধরনের সফটওয়্যার এমনভাবে হার্ডড্রাইভে লুকানো থাকে যাতে ড্রাইভ ফরম্যাট দিয়ে, নতুন করে ফ্ল্যাশ দিয়ে আবার ইনস্টল করলেও তা থেকে মুক্তি মেলে না। এই সফটওয়্যার দক্ষ সাইবার বিশেষজ্ঞ ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয়। যেকোনো উইন্ডোজচালিত পণ্য এবং উইন্ডোজ ছাড়াও অন্যান্য ওএস, হার্ডড্রাইভ ফার্মওয়্যার এমনকি ইউএসবি স্টিক ও সিডিতেও এ ধরনের ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারে ইকুয়েশন গ্রুপটি।
ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন, এই গোপন কৌশল বের করতে তারা দুই সপ্তাহের বেশি সময় নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে একটিমাত্র ক্রিপটোগ্রাফিক উপাদান বের করতে সক্ষম হন।
গবেষকেরা বলছেন, এই বিষয়টি ব্যবহারকারী কীভাবে গ্রহণ করছেন তার ওপর নির্ভর করে। অন্যদিকে আক্রমণকারীরা কিন্তু তাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। কাকে কখন আক্রমণ করতে হবে, তা তাদের হাতের নাগালেই থাকে।
সম্প্রতি কানাডার ভ্যানকুভারে অনুষ্ঠিত ক্যানসেকওয়েস্ট সিকিউরিটি কনফারেন্সে কমপিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেনো কোভাহ এবং কোরে ক্যালেনবার্গ দেখিয়েছেন কীভাবে বায়োস চিপের মাধ্যমে হ্যাকিং হয়। বায়োস চিপ একটি কমপিউটারের মাদারবোর্ডে ফার্মওয়্যারের মাধ্যমে ধারণকারী মাইক্রোচিপ। বায়োস একটি কমপিউটার বুট করে এবং অপারেটিং সিস্টেম লোড করতে সাহায্য করে। এই মূল সফটওয়্যারে সংক্রমণ করে, যা কি না অ্যান্টিভাইরাস এবং অন্যান্য নিরাপত্তা পণ্যের নিচে পরিচালিত হয় এবং সাধারণত এগুলো স্ক্যান করে না অ্যান্টিভাইরাস। ফলে গুপ্তচরেরা খুব সহজেই এখানে ম্যালওয়্যার দিয়ে দিতে পারে এবং এই ম্যালওয়্যার কমপিউটারের অপারেটিং সিস্টেম মুছে ফেললে বা পুনরায় ইনস্টল করলেও থেকে যায়। পরবর্তী সময়ে হ্যাকিং আক্রমণ দূর থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে অথবা সিস্টেমে ফিজিক্যাল ইন্টারডিসকাশনের মাধ্যমে করা যায়। উইয়ার্ড রিপোর্ট অনুযায়ী গবেষকেরা একে ‘ইনকারশন ভলনারেবিলিটিস’ বলেন, যে উপায়ে হ্যাকারেরা প্রায় সব কমপিউটারে প্রবেশ করতে পারে