• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > যেভাবে তৈরি করবেন বেনামে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: ডা. মোহাম্মদ সিয়াম মোয়াজ্জেম
মোট লেখা:১৮
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আইসিটি
তথ্যসূত্র:
ব্যবহারকারীর পাতা
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
যেভাবে তৈরি করবেন বেনামে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট
ইন্টারনেট সারাবিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে আমরা খুব সহজেই বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মুহূর্তে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি। এমন অবস্থায় কেউ ইন্টারনেটে বেনামে থাকতে পারেন না। তবে কেউ কেউ বিশেষ কিছু কারণে ইন্টারনেটে নামহীন বা বেনামে থাকতে চান, এমনকি যখন ই-মেইল করেন তখনও।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন থেকে শেয়ারিং ইকোনমি সবকিছুরই নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছে, এ সময় প্রাইভেসি বলতে কিছুই নেই এবং তা নিয়ে কেউ শঙ্কিত নয়। আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যাদের কাছে বেনামে থাকাটা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনলাইন সার্ভিসের জন্য সাইনআপ করতে চাইলে এর প্রথম তিনটি অপশন যেমন- গুগল, ফেসবুক বা টুইটার অ্যাকাউন্টের মতো সার্ভিসের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এটি অনেকটা সূক্ষ্ম ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের মতো। গুগলের মতো অন্যান্য সার্ভিসও আশা করে, আপনি শেয়ার করবেন ফোন নাম্বার এবং সাইনআপ করবেন তুলনামূলকভাবে পুরনো ই-মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে (যদি প্রাথমিক সাইনআপে না হয়, তাহলে আপনার দরকার হবে এগুলোকে পরে অ্যাক্টিভেট করা)। সুতরাং সত্যিকার অর্থে বলা যায়, আপনি কোনোভাবেই আপনার ট্র্যাককে লুকাতে বা হাইড করতে পারছেন না।
আপনি কী করবেন, যদি একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস সেটআপ করতে চান, যা সম্পূর্ণরূপে গোপন এবং নামহীন থাকবে কোনো নির্দিষ্ট সংযোগ ছাড়া। তবে নিজস্ব সার্ভার সেটআপ করার মতো তেমন কোনো ঝামেলা আপনাকে পোহাতে হবে না এ ক্ষেত্রে।
এই কাজটি মেসেজ এনক্রিপ্টিংয়ের চেয়েও বেশি কিছু। স্ট্রিকের ‘সিকিউর মেইল’-এর মতো ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করে যেকেউ ওয়েবভিত্তিক ই-মেইলে এ কাজটি করতে পারবেন, যেমন- জি-মেইল। ডেস্কটপ ই-মেইল ক্লায়েন্টের জন্য জিএনইউপিজি (GnuPG), তথা প্রাইভেসি গার্ড বা ইঞ্জিনমেইল অবশ্যই থাকতে হবে। তবে কে মেসেজ পাঠিয়েছে, তা এগুলো হাইড করে না।
এখানে কিছু সার্ভিসের কথা উল্লেখ করা হলো, যেগুলো সত্যিকার অর্থে ব্যবহার করা উচিত নামহীন, আইডেন্টেফাইয়েবল ই-মেইল অ্যাড্রেস তৈরি করার জন্য। তবে এ কাজে আপনার ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
প্রথম ধাপ : বেনামে ব্রাউজ করুন
আপনার ওয়েব ব্রাউজার আপনাকে ট্র্যাক করছে। এটিই বাস্তবতা। সুতরাং কুকিজ এবং এসব থামানো অসম্ভব- ‘সুপার কুকিজ’ জানে আপনি কোথায় আছেন, আপনি নেটে কী করছেন এবং সেগুলো কি শেয়ার করতে চাচ্ছেন কি না তাও বুঝতে পারে। এটি অনেকাংশেই নিশ্চিত করে বলা যায়, আপনি টার্গেট করা অ্যাড দেখছেন। তবে এতে খুব বেশি সান্তবনা পান না তারা, যারা একান্তই ব্যক্তিগতভাবে নেটে সার্ফ করতে চান।
আপনার ব্রাউজারের ছদ্মবেশী/প্রাইভেট মোড বেশ কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সাইটগুলো আপনার আইপি অ্যাড্রেস রেকর্ড করতে থাকে। এমন অনেক ব্যবহারকারী আছেন, যারা চান না নেটে তাদের গতিবিধি কেউ ট্র্যাক করুক। এ ধরনের ব্যবহাকারীরা বিভিন্ন কারণে বেনামে বা ছদ্মনামে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান। কিন্তু মাইক্রোসফটকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়নি যে আপনি ইচ্ছে করলে নিজের আইডেন্টিটি হাইড করতে পারবেন বা বেনামে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
বেনামে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার আগে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের লোকেশন ও ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস (আইপি) অবশ্যই যেন বেনামে হয়। এ কাজটি যে সবাই করতে পারবেন তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। আপনার লোকেশন হাইড করার সবচেয়ে সহজতম উপায় হলো টর ব্রাউজার (Tor Broswer), তথা ‘দি অনলাইন রাউটার’ ডাউনলোড করা, যার ভিত্তি হলো ফায়ারফক্স। সহজ কথায় বলা যায়, যদি আপনি বেনামে ব্রাউজ করতে চান, তাহলে আপনার জন্য দরকার টর ব্রাউজার। টর ব্রাউজার হলো একটি সিকিউরিটি ল্যাডেন টর প্রজেক্টের মজিলাভিত্তিক ব্রাউজার। এটি অনিয়ন রাউটার (Onion Router) ব্যবহার করে এবং আপনাকে বেনামে রাখতে চেষ্টা করে। এজন্য আপনি যেসব ট্রাফিক ইন্টারনেটে সেন্ড করেন, সেগুলোকে অনেকগুলো সার্ভারে জ্যাম্প করায়, যাতে অপর প্রামেত্মর কেউ বুঝতে না পারে আপনি কোথা থেকে এটি পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ টর আপনাকে এক সিরিজ সার্ভার, ভলেন্টিয়ারদের মধ্যামে সরবরাহ করা ডাবলড নোডের মাধ্যমে রাইট করবে। এর ফলে সার্ভার নেটওয়ার্ক থেকে যখন বের হয়ে ওপেন ইন্টারনেটে যাবেন, তখন আপনি কোথা থেকে এসেছেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। টর ব্রাউজার অন্য যেকোনো ব্রাউজারের মতো। এখানে একমাত্র পার্থক্য হলো এটি স্টার্টআপ হতে বাড়তি কিছু সময় নেবে, যেহেতু ব্রাউজার টর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়।
আপনি সরাসরি টর প্রজেক্টের ওয়েবসাইট থেকে টর ব্রাউজার ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে পারবেন। টর ব্রাউজার সিস্টেমে ইন্টিগ্রেটেড নয় যেভাবে অন্যান্য অ্যাপ সিস্টেমে ইন্টিগ্রেটেড হয়।
টর ব্রাউজার ১৫টি ল্যাঙ্গুয়েজে এভেইলেবল যেমন- উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনআক্সে। এটি সেলফ কনটেইন ও পোর্টেবল, অর্থাৎ যদি আপনি এটি সরাসরি ইনস্টল করতে না চান, তাহলে চূড়ান্তভাবে ব্যবহার করতে পারেন ইউএসবি ফ্ল্যাশড্রাইভ। এটি সম্পূর্ণর ফ্রি। এমনকি ফেসবুকেরও রয়েছে একটি টর সিকিউর অ্যাড্রেস, যা ইউজারের লোকেশন সেভ করে এবং ইউজারকে অ্যাক্সেসের সুবিধা দেয়, যেখানে সামাজিক নেটওয়ার্ক অবৈধ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে এবং ব্লক করা হয়েছে, যেমন- চীন। এমন জোরালো ধারণা পোষণ করা ঠিক হবে না যে টর একেবারে পারফেক্ট এবং হাজারভাগ বেনামী। তবে এটি অনেক বেশি সিকিউর, যা ওপেনলি সার্ফিংয়ে সক্ষম।
বেনামে ই-মেইল
আপনি সেটআপ করতে পারেন তুলনামূলকভাবে বেনামে বা নামহীন জি-মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন, তবে গুগলকে আপনার প্রকৃত নাম, প্রকৃত লোকেশন, প্রকৃত জন্মদিন অথবা এ ধরনের অন্য কোনো কিছু দেয়া ঠিক হবে না, যা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে আপনার সাইনআপের সময় (টর ব্রাউজার ব্যবহার করে)।
আপনাকে গুগলকে দিতে হবে যোগাযোগের জন্য অন্যান্য আইডেন্টিফায়িং মেথড, যেমন- একটি থার্ড পার্টি ই-মেইল অ্যাড্রেস বা একটি ফোন নাম্বার। ফোন নাম্বার দিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন একটি বার্নার/অস্থায়ী নাম্বার। ব্যবহার করুন একটি অ্যাপ, যেমন- হাসড (Hushed) বা বার্নার (Burner) বা একটি প্রি-পেইড সেলফোন কিনুন এবং পার্সোনাল তথ্য যখন চাইবে তখন এমন তথ্য দিন, যা মোটেও সত্য নয়, যা আপনাকে আসলেই রাখবে বেনামে বা ছদ্মবেশে।
থার্ড পার্টি ই-মেইলের জন্য রয়েছে বেনামে ই-মেইল সার্ভিস, যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। সুতরাং কেন জি-মেইল ব্যবহার করবেন? ইলেকট্রনিক ফরেনটিয়ার ফাউন্ডেশনের (IEFF) মতে, যদি আপনি নামহীন থাকতে চান, তাহলে আপনার পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিন্ন ই-মেইল প্রোভাইডার ব্যবহার করুন, যা হবে অধিকতর স্মার্ট। এভাবে হয়তো আপনি কম পরিতৃপ্ত হতে পারবেন এবং সন্দেহজনক কিছু ভুল করতে পারেন। লক্ষণীয়, আপনার উচিত একটি ই-মেইল সার্ভিস ব্যবহার করা, যা সাপোর্ট করে সিকিউর সকেট লেয়ার (SSL) বা এনক্রিপ্টশন। এটি একটি বেসিক এনক্রিপ্টশন, যা ব্যবহার হয় ওয়েব কানেকশনে, যাতে প্রাথমিক বা খাপছাড়া স্নুপিং থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, যেমন অ্যামাজনে যখন শপিং করবেন তখন। আমরা জানি, যখন ইউআরএলে এইচটিটিপির পরিবর্তে এইচটিটিপিএস দেখা যায়, তখন বুঝতে পারবেন এটি অ্যানক্রিপ্টেড। অথবা যদি অ্যাড্রেসবারে বা স্ট্যাটাসবারে একটি লক সিম্বল দেখা যায়, তাহলে এটিও এনক্রিপ্টেড। সবচেয়ে বড় ওয়েব মেইল প্রোভাইডার জি-মেইল, ইয়াহু মেইল এবং আউটলুক ডটকম সবাই সাপোর্ট করে এইচটিটিপিএস।
ফায়ারফক্স, ক্রোম, অপেরা ও অ্যান্ড্রয়িডের জন্য এইচটিটিপিএস এভরিহোয়ার এক্সটেনশন ব্যবহার করে। সুতরাং নিশ্চিত হয়ে নিন, এই প্রটোকল ব্যবহারের জন্য ওয়েবসাইট ডিফল্ট কি না।
এইচটিটিপিএস এভরিহোয়ার ওয়েব সার্ফিংয়ের জন্য চমৎকার কাজ করে, তবে এইটিটিপিএস ই-মেইলিংয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা জানি ই- মেইল Pseudonyms যথেষ্ট নয়। টর ছাড়া লগইন করার অর্থ হচ্ছে আপনার প্রকৃত আইপি অ্যাড্রেস রেকর্ড হতে যাচ্ছে। এটিই যথেষ্ট আপনাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য। এভাবেই এহবৎধষ চবঃৎধবঁং আবদ্ধ হয়।
এই পয়েন্টে যখন পৌঁছে যাবেন, তখন ফিরে আসার কোনো কারণ নেই। মেসেজ সেন্ড করার জন্য ব্যবহার করুন প্রকৃত বেনামের ওয়েবভিত্তিক মেইল সার্ভিস। নিচে কয়েকটি সেরা ওয়েবভিত্তিক মেইল সার্ভিস সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
হাসমেইল
ইএফএফ তথা ইলেকট্রনিক্স ফরেনটিয়ার ফাউন্ডেশন এবং অন্যদের অনুমোদিত সার্ভিস হলো হাসমেইল (Hushmail)। হাসমেইলের খ্যাতি হলো এটি ওয়েবভিত্তিক সহজ ব্যবহারযোগ্য, কোনো বিজ্ঞাপন নেই এবং সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বিল্টইন এনক্রিপ্টশন। অবশ্য এসব কিছু পেতে চাইলে আপনাকে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। প্রতিবছর ১ গিগাবাইট অনলাইন স্টোরেজের জন্য ৩৪.৯৯ ইউএস ডলার। ফ্রি ভার্সনের স্টোরেজ স্পেস মাত্র ২৫ মেগাবাইট। তবে প্রতি তিন সপ্তাহে একবার করে রিআপের জন্য সাইনইন করতে হয়। ব্যবসায়ে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি মাসের জন্য খরচ হবে ৫.২৪ ডলার এবং ক্রেতা পাবেন তাদের নিজস্ব ডোমেইন নেম। ফ্রি ট্রায়াল অপশনও আছে, যা দিয়ে নিজে নিজেই হাসমেইল চেক করতে পারবেন।
হাইড মাই অ্যাস
হাইড মাই অ্যাস (Hide My Ass) একটি সুপিরিচিত প্রাইভেট ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সার্ভিস, যা ইউজারদের জন্য একটি সেতু বা ব্রিজ তৈরি করে, যাতে ব্যবহারকারী তাদের লোকেশনে ব্লক করা কনটেন্টে অ্যাক্সেস করতে পারেন।
এখানে দরকার হয় না হায়ার লেভেলের প্রাইভেসির প্রদানের জন্য উল্লেখ করা। এখানে মাসিক বেজ প্রাইজ হলো ১১.৫২ ডলার। এই মূল্য আরও কম হতে পারে যদি আপনি একসাথে কয়েক মাসের টাকা পরিশোধ করেন। হাইড মাই অ্যাসের বাড়তি সুবিধা হলো এর অ্যানোনিমাস ই-মেইল সার্ভিস তথা বেনামী ই-মেইল সার্ভিস। আসলে এটি সবার জন্য ওপেন। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সার্ভিসের জন্য আপনাকে কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না। আপনি একটি অ্যাড্রেস @hmamaid.com পাবেন, যা সেট করতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা, এক সপ্তাহ, এক মাস, ছয় মাস বা ১২ মাসের জন্য। এখানে একটি কাউন্টডাউন ক্লক আছে, যা নির্দেশ করে মেসেজ পড়তে আর কতটুকু বাকি আছে। সাইনআপের সময় এটি বিদ্যমান ই-মেইল অ্যাড্রেস জিজ্ঞেস করে। সুতরাং হাইড মাই অ্যাস একে একটি নোট সেন্ড করতে পারে যখন আপনি একটি মেসেজ পাবেন বেনামী অ্যাকাউন্টে। তবে এটি দরকার নেই। এই ইন্টারফেস এখন পর্যন্ত কোনো অ্যাওয়ার্ড পায়নি। হাইড মাই অ্যাসের আছে আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়িড অ্যাপস, যা দেয় নিরাপদ মোবাইল কানেকশন। এছাড়া অন্যান্য হাইড মাই অ্যাস তথা এইচএমএ’র ব্যবহারকারীর সাথে এসএমএস টেক্সট এবং চ্যাট সার্ভিস প্রাইভেটাইজ করতে পারে।
গরিলা মেইল
গরিলা মেইল দেয় ডিসপোজাল, টেম্পোরারি ই-মেইল। কারিগরিভাবে অ্যাড্রেস বিদ্যমান থাকবে সব সময়ের জন্য এবং কখনই আবার ব্যবহার হবে না। শুধু শেষ এক ঘণ্টার যেকোনো মেসেজ রিসিভ হয় অ্যাড্রেসে, যা guerrillamial.com-এ অ্যাক্সেসযোগ্য। আপনি পুরোপুরি স্ক্র্যামবেল ই-মেইল অ্যাড্রেস পাবেন, যা সহজেই ক্লিপবোর্ডে কপি করা যায়। আপনার নিজস্ব ডেমেইন নেম ব্যবহার করার অপশন পাবেন, যথাসম্ভব আপনাকে রাডারের অন্তর্গত রাখবে না। গরিলামেইল (guerrillamail) একটি যথার্থ উপায় ই-মেইল অ্যাড্রেস তৈরি করার জন্য, যা হবে আরও ভিন্ন কিছুর জন্য সাইনআপ, আরও স্থায়ী বেনামী ই-মেইল অ্যাড্রেস। দ্রুতগতিতে বেনামী ই-মেইল সেন্ড করার জন্য সাইনআপের দরকার হয় না। আপনি ফাইল অ্যাটাচ করতে পারবেন যদি সাইজ হয় ১৫০ মেগাবাইটের কম।
মেইলিনাটর
মেইলিনাটর হলো একটি ফ্রি ডিসপোজাবল ই-মেইল, যার রয়েছে একটি সিস্নক তথা সুদক্ষ ইন্টারফেস, যা সম্ভবত খুব একটা প্রয়োজন হয় না। যখনই ই-মেইলের জন্য চেষ্টা করবেন, তখন মেকআপ করবেন একটি নাম এবং @Mailinator.com-এ আবদ্ধ থাকবেন শেষ পর্যন্ত। এরপর সাইটে ভিজিট করে নাম এন্টার করুন এবং কোনো মেসেজ এলে দেখতে পারবেন। এর জন্য সাইনআপের দরকার হয় না। তারপর গুগল অ্যাকাউন্টে সাইনইন করতে পারবেন। এখানে একটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি একই নামে কেউ যদি আসে, তাহলে উভয়ই মেসেজ অ্যাক্সেস করতে পারবে যেটি তারা রিসিভ করবে। এখানে কোনো পাসওয়ার্ডও নেই। এখানে সেভিং সম্ভব নয়। যদি কোনো মেইল পান মেইলিনাটরের কাছ থেকে সেটি হলো জালিয়াতির লিখিত অঙ্গীকার। এটি শুধু কুইক সার্ভিস সাইনআপ এবং সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর গুপ্ত নাম, যার মুখোমুখি হবেন
ফিডব্যাক : siam.moazzem@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস