• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ড্রাগন এজ ইনকুইজিশন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ড্রাগন এজ ইনকুইজিশন
ড্রাগন এজ ইনকুইজিশন
বছর শেষের গেমগুলোর মধ্য থেকে কোনটা রেখে কোনটা বাদ দিয়ে গেম অব দ্য ইয়ার বাছাই করব, সেটা নিয়ে বেশ কিছুদিন দোটানায় ছিলাম। সব মিলিয়ে দ্য গেম অব দ্য ইয়ার ২০১৪-এর পদবিটা ড্রাগন এজ ইনকুইজিশনকে দিতে পেরে মন্দ লাগছে না। গেমটির মাঝে একটা অন্যরকম আমেজ আছে। শুরুটা হয় আকাশ চিরে। যারা বিজ্ঞান নিয়ে কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকেন, তারা ভাবতে পারেন- যা নেই তা নিয়ে আবার কাটাকাটি কী করে! তবে অসাধারণ সুন্দর গ্রাফিক তাদের চিন্তাভাবনা সব থামিয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য করবে। আকাশ চিরে গেমারের নামার কারণও আছে। কারণ, গেমারকে এখন কোনো নায়ক বা ভিলেনের চরিত্রে নয়, খেলতে হবে স্বয়ং গডের চরিত্রে। এবার গেমিং মিলেছে ধর্ম এবং ইতিহাসের সাথে। যুক্তিকে মিশিয়েছে কল্পনায়, জাদুকে মিশিয়েছে বিজ্ঞানে। প্রতিষ্ঠা করতে পারে নিজের বিশ্বাসকে। সব মিলিয়ে অনন্যসাধারণ স্টোরিলাইন, মনোমুগ্ধকর গ্রাফিক, বাস্তবসম্মত অডিও ভিজ্যুয়ালাইজেশন। গেমিং জগৎ গত তিন বছরে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার বছর ত্রয়ীর শেষের ক্যানভাসে শেষ অাঁচড় দেয়ার মতো একটি মাস্টারপিস। গেমারকে খেলতে হবে অ্যাম্বাসাডর থেকে শুরু করে কম্ব্যাটান্ট হিসেবে। মুখোমুখি হতে হবে সম্ভাব্য সব বাস্তবতার। গেমারকে পার হয়ে যেতে হবে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, বিশাল এবড়ো-খেবড়ো পর্বতমালা, জটিল সব গোলকধাঁধা, পুরনো অট্টালিকা, পারদভর্তি গুহা, মৃত মানুষের দেশ, ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি। যুদ্ধ করতে হবে ভয়ঙ্কর সব দানব, ড্রাকুলা, কীটপতঙ্গ, কঙ্কাল প্রভৃতির সাথে। গেমারের পুরো যাত্রাই প্রতি স্তর বিপদসঙ্কুল আর আকস্মিকতায় ভরা। এর মাঝে গেমারকে সমাধান করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ধাঁধা, অর্জন ও প্রতিষ্ঠা করতে হবে বিশ্বাস। আর শ্যাডো অব দ্য কলসাসের পাড় ভক্তরাও এখানে খুঁজে পাবেন তাদের পছন্দসই বিশালাকৃতির টাইটানদের সাথে যুদ্ধ এবং তার পাশাপাশি যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব। খুঁজে ফিরতে হবে বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া গুপ্তধন। গেমার ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্নভাবে অর্জন করা জাদুমন্ত্র আর অদ্ভুত ক্ষমতাসম্পন্ন সব অস্ত্র। ড্রাগন এজ ইনকুইজিশনে আছে অপূর্ব সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড ন্যারেশন, যা গেমারকে প্রতিমুহূর্তে এনে দেবে নতুন উদ্যম। সবচেয়ে বড় মাধুর্য লুকিয়ে আছে গেমগুলোর সাউন্ডট্র্যাকে, প্রত্যেকটি সুর যেন বিশেষ করে ওই ধরনের পরিস্থিতির জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর প্রত্যেক সত্যের আছে অদ্ভুত সব ক্ষমতা, যা গেমারের ক্ষমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করবে। প্রত্যেকটি যুদ্ধে থাকবে অনন্যসাধারণ থ্রিডি শো, যা গেমারকে মুগ্ধ করবে। গেমের পুরোটাই সুন্দর গ্রাফিক্যাল টেক্সচার দিয়ে তৈরি। তাই গেমারেরা গেমটিকে বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করবেন বলা যায়। কারণ, এ ধরনের ক্লাসিক গেমিং প্রোডাকশন ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই আসে। সুতরাং আর দেরি না করে শুরু হয়ে যাক গেম অব দ্য ইয়ার ২০১৪ ড্রাগন এজ ইনকুইজিশন।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৩ ২.৩ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ২ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ১৬+ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস ।
লিজেন্ড অব গ্রিম রক ২
লিজেন্ড অব গ্রিম রকের অভিবাদন সঙ্গীতই সহজে মোড সেট করে দেবে একটি গ্রীষ্মকালীন ব্লকবাস্টার ফ্যান্টাসির জন্য। একটি প্রজ্বলিত, শব্দাড়ম্বরপূর্ণ সুর এবং পরিণামে একটি গ্র্যান্ড দুঃসাহসিক কাজ আর গেমিং। শুরু হবে ভয়ঙ্কর অন্ধকূপ দিয়ে আর এমনই তার ভিজ্যুয়ালাইজেশন যে, যারা ক্লস্ট্রফোবিক তাদের এটা নিয়ে না বসাই ভালো। এরপরের অংশ আবার টানেল থেকে একেবারেই আলাদা। শ্বাসরুদ্ধ করা পরিবেশ- ফেরারি হিসেবে পালানো। সেই পালানোর ওপর একটি ফোকাস, একটি ফোকাস মেকানিক্স আর এনভায়রনমেন্টাল আর্কিটেক্ট দিয়ে মিশ্রিত করা হয়েছে এমনভাবে যে, দৌড়ানোর সময় রাস্তার নুড়ি থেকে স্কাইলাইন পর্যন্ত কিছুই চোখ এড়াবে না। গেমটিতে আছে কনটেন্ট, আছে সুন্দর স্টোরিলাইন, আছে হিউমার। ‘For them beauty exists only to be destroyed’। আর সবচেয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে কমব্যাট স্যুট, রিফাইনড, ক্লাসিক এবং চয়েস সেন্ট্রিক। এখন ভেতরের কথাগুলো বলে নেয়া যাক। গেমটি ছোট ছোট গল্পে বিভক্ত। প্রত্যেকটি গল্প একটির চেয়ে আরেকটির সৌন্দর্যের ভয়াবহতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। এই প্রচ-তার সবকিছু শেষ করে ফেলা যাবে মাত্র একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে যতক্ষণ লাগে, ততক্ষণের মধ্যেই হয়তো। আর এই দ্রুতলয়ের গেমিং গেমারকে তার সর্বোচ্চ শক্তির শেষটুকু ব্যবহার করতে বাধ্য করবে এবং গেমার পাবেন ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল দেখার মতোই উত্তেজনা।
গেমারেরা হয়তো এখন ভাবছেন এত তাড়াহুড়া আর উত্তেজনার মাঝে হয়তো গেমটির অনেক অংশই ঠিকমতো বুঝে ওঠা যাবে না। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক এর উল্টো। গেমের প্রত্যেকটি চরিত্রের চারিত্রিক গভীরতা গেমের প্রত্যেকটি অংশকে সৌন্দর্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছে। নিখুঁত স্টোরিলাইন, হৃদয় অাঁকড়ানো রোল প্লেয়িং- সব মিলিয়ে গেমটি ‘ওর্থ দ্য টাইম’। এখানে প্রত্যেকটি এপিসোডের মধ্যে ওপরে বলা বিষয়গুলো ছাড়াও একটি মজার ব্যাপার আছে। গেমটির প্রত্যেকটি অংশই মৌলিক, রিদমিক এবং নতুনত্বসম্পন্ন। প্রত্যেকটি ব্যাটল ভিন্ন ভিন্ন ট্যাকটিক্সকে বের করে নিয়ে আসে। আর প্রত্যেক অনুভূতি তার মানবিক চূড়াকে স্পর্শ করে যায়। গল্পের প্রতিটি বাঁকে গেমারকে হতে হবে হতভম্ব বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায়। এক পর্যায়ে গেমার শিখে নেবে শক্তিশালী সব জাদু, দ্রুত জীবন বাঁচানোর দক্ষতা। পাওয়া যাবে ক্রস বো, গ্রেনেড, ধারালো ফাঁদসহ অনেক কিছু। কিন্তু সব কিছু ছাড়িয়ে গেমারকে নির্ভর করতে হবে নিজের সিদ্ধান্তগুলোতে, যার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে সবকিছুর ভবিষ্যৎ। সব মিলিয়ে গেমার খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন পুরো গেমিং ম্যাট্রিক্সের সাথে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৩ ১.৫ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ১ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ১০+ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস।
সামুরাই গান
গেমটি অবশ্যই গেমারেরা যাকে বলে কি না ‘বস্নাড বাথ’ ধরনের গেম। সেটার আগে কখনও ভেবেছেন কী কোন ধরনের মানুষ জীবন নয়, অর্থ নয়, রাষ্ট্র, দর্শন কিংবা ধর্মও নয়, শুধু সামনের জন্য যুদ্ধ করে। এমনভাবে যেখানে কিছু হারাবার ভয় নেই, যাকে কি না বলে ফাইট ফর অনার। উত্তর হচ্ছে- মৃত মানুষ আর জম্বিদের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে সামুরাই গান। বিভিন্ন শক্তিশালী এজেন্ট, সেনাবাহিনী, রোবটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে গেমারকে।
গেমিং জগতের সবচেয়ে পুরনো জনরা বোধহয় টুডি প্লাটফর্ম অ্যাকশন গেমিং আর এর মৌলিক ধারণার ওপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় গেমিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। সেই ঐতিহ্যের ধারা ফিরিয়ে আনতে এবার সামুরাই গান। যাই হোক, ছেলেমেয়েরা শিশুকাল থেকেই অনেক অভ্যাস রপ্ত করে তাদের বাবা-মায়ের আচরণকে নকল করে। বুদ্ধিমান বাবা-মায়ের ঘরে ভবিষ্যৎ বুদ্ধিজীবী কিংবা নীরোগ বাবা-মায়ের ঘরে একজন ভবিষ্যৎ গতি তারকা জন্ম নেয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। তেমনি অসম্ভব নয় একজন দক্ষ গুপ্তঘাতকের সন্তানের জাদুকর হয়ে ওঠাটাও। আর জাপানের এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আরও প্রকট। সেখানকার কিংবদন্তি সামুরাইকে নিয়ে এবারের কাহিনি। গেমটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে হিরো যদি মারা পরেও, তারপরও গেমারকে একেবারে প্রথম থেকে খেলা শুরু করতে হবে না। ক্লাসিক টুডি প্লাটফর্ম অ্যাকশন গেমিংয়ের এটি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এখানে গেমারকে বিভিন্ন কায়দায় জাদু আর নানা অস্ত্রের সাহায্যে অসংখ্য মায়াবী জাদুপূর্ণ ঘর পার হতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে অসংখ্য মৃতদেহ, জাদুকর, জম্বি, যোদ্ধা এমনকি জীবন্ত জলছবিদের সাথেও।
গেমটিতে গেমারের প্রথম লক্ষ্য থাকবে স্বর্ণভা-ার। এর জন্য পথে গেমার পাবে বিভিন্ন ধরনের ম্যাপ, রত্নভা-ার, অস্ত্র, আপগ্রেড। এ ছাড়া থাকছে বিভিন্ন ধরনের রিউন্স। যেগুলো দিয়ে গেমার তার হিরোর নানা জাদুকরী ক্ষমতার শক্তি বাড়াতে পারবে। গেমারকে গেমের শুরুতেই তিনজন হিরো থেকে যেকোনো একজনকে নিয়ে খেলা শুরু করতে হবে। প্রত্যেক হিরোর রয়েছে আলাদা ক্ষমতা, ভিন্নতর স্টোরিসেট। প্রত্যেক বস ব্যাটল গেমারের গেমিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাবে অনন্য এক উচ্চতায়। গেমটির সম্পূর্ণ আস্বাদন করতে চাইলে সব মোডেই ভিন্ন ভিন্নভাবে গেমটি শেষ করতে হবে। যারা এখনও ভাবছেন সামুরাই গান অন্যান্য যেকোনো সাধারণ প্ল্যাটফর্ম গেমগুলো থেকে ভিন্নতর কিছু নয়, তাহলে দেরি না করে এখনই গেমটি নিয়ে বসে পড়ুন।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ১.৫ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যা ম : ২ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ৫+ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস