লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পিসির ঝুটঝামেলা
সমস্যা : আমি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম ও অফিস-২০১৩ ব্যবহার করি। যখন অনলাইনের কোনো পছন্দের বিষয় থাকে, তখন আমি পরে পড়ে নেব ভেবে ওয়ার্ড ফাইলে কপি পেস্ট করে সেভ দিয়ে রাখি। পরে পড়তে গিয়ে দেখি কিছু কিছু বাক্য পড়ার অযোগ্য হয়ে আছে। যেমন- ‘ফিরে এসেছে অতি জনপ্রিয় স্টার্ট মেনু।’ এই মেনুতে রয়েছে সার্চ বার যাতে কাজ করবে ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্টানা। এর টাচ সংস্করণে পর্দাজুড়ে স্টার্ট মেনু আনার ব্যবস্থা রয়েছে। কেন এমনটি হচ্ছে? এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কী? দয়া করে জানাবেন।
আমি যখন অভ্র দিয়ে কিছু লেখার জন্য F12 চাপি, তখন নিচের বারে দেখায় BANGLA (INDIA)। আমি ডিফল্ট হিসেবে BANGLA (BANGLADESH) সেট করে দিলেও কার্যকর হয় না। কেন এমন হয়?
-মুহম্মদ আবদুর রহমান
চুয়াডাঙ্গা
সমাধান : আপনি যে সমস্যাযুক্ত লেখাটি মেইল করেছেন, তাতে কোনো সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। কারণ আপনি যা লিখে পাঠিয়েছেন, আমাদের পিসিতে তা সঠিকভাবেই দেখাচ্ছে। একেক ওয়েবসাইটে একেক ধরনের বাংলা ফন্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন কোনো সাইটের লেখা কপি করে ওয়ার্ড ফাইলে পেস্ট করেন, তখন আপনার পিসিতে যদি সে ফন্ট (যে ফন্টটি ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়েছে) না থাকে, তবে তার বদলে অন্য আরেকটি কাছাকাছি মানের বাংলা ফন্ট যেটি আপনার পিসিতে ইনস্টল করা আছে তাতে রূপান্তর করে নেয়। এর ফলে কিছু কিছু শব্দ বা বর্ণ ভেঙে যেতে পারে বা দুর্বোধ্য কিছু অক্ষর দেখাতে পারে। অনেক সময় এমনও হয়, পুরো লেখার কিছুই পড়া যায় না। প্রথম যখন কপি করে পেস্ট করবেন তখন দেখে নিন ওয়েবসাইটে কী ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, সে ফন্ট পিসিতে ইনস্টল করে নিলে এ সমস্যা আর হবে না। আরেকটি কাজ করতে পারেন- দুর্বোধ্য অক্ষর দেখানো ডকুমেন্টের লেখাগুলো সিলেক্ট করে অন্য বাংলা ফন্টগুলোতে রূপান্তর করে দেখুন। যেটিতে ভালোমতো সাপোর্ট করবে সে ফন্ট লেখাগুলো সঠিকভাবে দেখাবে।
উইন্ডোজের ল্যাঙ্গুয়েজ বারের অপশনে গিয়ে সেখান থেকে বাংলা (ইন্ডিয়া) অপশনটি মুছে ফেলুন। বাংলা লেখার সময় কিবোর্ডের উইন্ডোজ বাটন চেপে রেখে স্পেসবার চাপলে ল্যাঙ্গুয়েজ বারের ফন্ট স্টাইল বদলে যাবে।
সমস্যা : আমার ল্যাপটপে এর আগে একবার ভাইরাস ঢুকেছিল, যার ফলে ল্যাপটপের কিবোর্ডের == এই বোতামটি সবসময় টিপ লাগত। অনেক দিন পরে তা ঠিক হয়। কিন্তু এখন আবার কিবোর্ডের ডিলিট বোতাম সবসময় চাপছে। ১০টার মতো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেছি কাজ হয়নি। আমি চাচ্ছি ল্যাপটপের যতগুলো ড্রাইভ আছে সবগুলো ফরম্যাট করতে। কিন্তু কীভাবে করব? আমার কাছে মাদারবোর্ডের ডিস্কও নেই। আর আমার ল্যাপটপের তিনটি ইউএসবির মধ্যে দুটি পুড়ে গেছে, এটি কি ঠিক করা যাবে? কত টাকা লাগবে ঠিক করতে? আসা করি উত্তর দেবেন।
-মুন্না কাজী
রামপুরা, ঢাকা
সমাধান : ভাইরাসের সমস্যা হলে এতগুলো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার পরই সেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। যদি সব ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকেন, তবে ভাইরাস ধরতে পারার সম্ভাবনা কম। তাই ভালোমানের ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখুন, যদি তা ভাইরাসজনিত কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকেন, তবে ল্যাপটপের কিবোর্ডে সমস্যা থাকতে পারে। কিবোর্ড ব্লোয়ার মেশিন বা মিনি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। সমস্যাযুক্ত কিবোর্ডের আশপাশ থেকে ভালো করে সব ময়লা ও ধুলাবালি পরিষ্কার করে নিন। ল্যাপটপের মডেল লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে তার ড্রাইভারগুলো ডাউনলোড করে নিন। যেমন- আপনার ল্যাপটপ যদি হয় আসুস কে৪২এফ, তবে সার্চ করুন ‘asus k42f driver’ লিখে। ড্রাইভার নামানোর আগে কোন অপারেটিং সিস্টেম এবং ৩২ নাকি ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ড্রাইভার নামাচ্ছেন তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। ল্যাপটপ সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে তাদের দেখান, তারাই ভালো বলতে পারবেন যে ইউএসবি পোর্ট সারানো যাবে নাকি যাবে না এবং খরচ কত পড়বে। যদি সারানো যায়, তবে খরচ খুব একটা বেশি হবে না। সার্ভিস সেন্টারে খরচের বেশ হেরফের হতে পারে। তাই সঠিক কত খরচ হতে পারে তা বলা যাচ্ছে না। আর ল্যাপটপের যদি কিবোর্ডে সমস্যা থেকে থাকে, তবে তা বদলে নিতে পারেন
ফিডব্যাক : jhutjhamela24@gmail.com