লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
লুৎফুন্নেছা রহমান
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - সেপ্টেম্বর
ফটোশপের বিকল্প কয়েকটি সেরা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার
ইমেজ এডিটর সফটওয়্যার অ্যাডোবি ফটোশপের নাম শুনেননি এমন ব্যবহারকারী খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনকি যারা কোনো দিন কমপিউটারে ইমেজ নিয়ে কাজ করেনি, সে ধরনের ব্যবহারকারীও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফটোশপ খুব শক্তিশালী এক ইমেজ এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন, যা উইন্ডোজ এবং ম্যাক উভয় প্লাটফরমের জন্য রয়েছে। অনেক পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ডিজাইনার অ্যাডোবি ফটোশপ ইমেজ এডিটরটি ব্যবহার করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রায় সব ধরনের ইমেজ এডিটিংয়ে ফটোশপ ব্যবহার করা যায়, যেমন ফটোতে রিটাচ করা, উঁচুমানের গ্রাফিক্স তৈরি করা ইত্যাদিসহ। অ্যাডোবি ফটোশপ প্রচুর ফিচারসমৃদ্ধ, কিন্তু খুবই ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণের নাগালের বাইরে। তবে সম্প্রতি ফটোশপের ব্যবহারের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব অ্যাডোবির ক্রিয়েটিভ ক্লাউড ফটোগ্রাফি প্ল্যানের সাবস্ক্রিপশন হওয়ার মাধ্যমে।
অনেক বছর ধরে ইমেজিং বিশ্বে অ্যাডোবি ফটোশপ এমনভাবে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আছে যে, এ সফটওয়্যার ছাড়া অন্য কোনো ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার যে থাকতে পারে তা আমরা কখনই বিবেচনায় আনি না। ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার ফটোশপ সারা বিশ্বে এত বেশি জনপ্রিয় যে, এটি বর্তমানে গুগলের মতোই প্রায় সর্বব্যাপী হয়ে উঠেছে। কিন্তু, সৌভাগ্যবশত বর্তমানে ফটোশপের বিকল্প বেশ কিছু ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলোর কোনোটি কেনোটি ফ্রি আবার কোনোটির জন্য অফার করা হয় ফ্রি ট্রায়াল ভার্সন। তবে যাই হোক, এসব সফটওয়্যারকে কখনই ফটোশপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
নিচে ইমেজ এডিটিংপ্রেমীদের কিছু সফটওয়্যারের পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে, যেগুলোকে ফটোশপের বিকল্প সেরা টুল হিসেবে গণ্য করা যায়।
অ্যাফিনিটি ফটো
অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে ডিজাইনার এবং ফটো এডিটরদের কাছে অ্যাডোবি ফটোশপ সফটওয়্যার তর্কাতীতভাবে প্রথম এবং একমাত্র পছন্দ ছিল। তবে সম্প্রতি ফটো এডিটিংয়ের জন্য আরও কিছু সফটওয়্যারের আবির্ভাব ঘটে যেগুলো ব্যবহারকরারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব টুলের মধ্যে অন্যতম একটি হলো অ্যাফিনিটি ফটো, যা ম্যাকের জন্য।
ম্যাকের জন্য ফটো এডিটিংয়ের অ্যাফিনিটি ফটো নামের টুলটি তৈরি করতে সময় নেয় ৫ বছর। ম্যাকের জন্য এ সফটওয়্যারটি ফটো এডিটিংয়ের চৌহদ্দিকে রিডিফাইন করে। অ্যাফিনিটি ফটোর সাথে সমন্বিত রয়েছে ব্যাপক বিসত্মৃত রেঞ্জের হাই-এন্ড ফিল্টারসহ লাইটেনিং, বস্নার, ডিস্টোরশন, টিল্ড-শিফট, শ্যাডো, গ্লো ইত্যাদি। এ টুলকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে ফটোগ্রাফারেরা তাদের কাজকে আরও উন্নত ও রিটাচ করার সুযোগ পাবেন।
অ্যাফিনিটি ফটো সফটওয়্যারটি ফটোশপ এবং অন্যান্য ফাইল ফরম্যাটের সাথে পুরোপুরি কম্প্যাটিবল। পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ডিজাইনারদের প্রতি লক্ষ রেখে এই টুলটি ডেভেলপ করা হয়, যদিও এ টুলটি ফটোশপের তুলনায় অনেক সস্তা সাবস্ক্রিপশন ছাড়া। অ্যাফিনিটি ডেভেলপারেরা দাবি করেন, এটি মূলত অন্য যেকোনো ফটো এডিটিং টুলের তুলনায় ভালো, উচ্চতর গতিসম্পন্ন, কম ক্র্যাশ হয় এবং আনলিমিটেড আনডু সুবিধাসংবলিত।
এ কথা সত্য, উন্নততর পারফরম্যান্স কতটুকু পাবেন তা নির্ভর করে আপনার কমপিউটারে ব্যবহার হওয়া ইক্যুইপমেন্টের ওপর। অ্যাফিনিটি ফটো সফটওয়্যারটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সর্বাধুনিক কোয়াড কোর টেকনোলজির সুবিধা নেয়ার জন্য। লক্ষণীয়, এটি কিছু সময়ের জন্য শুধু ম্যাকের। যারা ফটোশপের বিকল্প ফটো এডিটিং টুলের সন্ধান করছেন, তাদের জন্য অ্যাফিনিটি ফটো এক আদর্শ বিনিয়োগ। দিন দিন বেশি থেকে বেশি স্টুডিও ফটোশপের পাশাপাশি বাড়তি টুল হিসেবে অ্যাফিনিটি ফটো ব্যবহার হচ্ছে।
স্কেচ
স্কেচ নামের টুলে সম্পৃক্ত করা হয়েছে ফটোশপ ও ইলাস্ট্র্যাটরের কিছু অংশ। এই টুলটি ম্যাক প্লাটফরমের জন্য এক পেশাদার ডিজিটাল ডিজাইন টুল। এই টুল সবসময় আপনাকে দেবে কাজে শক্তি, নমনীয়তা ও স্পিড- যা আপনি সবসময় প্রত্যাশা করেন হালকা ধরনের এবং সহজ ব্যবহারযোগ্য কাজে। এ টুলটি মূলত তৈরি করা হয়েছে ডিজাইনিং ইন্টারফেস, ওয়েবসাইট, আইকনসহ অনেক কিছুর জন্য। স্কেচ টুলের দাম ফটোশপের এক ভগ্নাংশ মাত্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজাইন কমিউনিটিতে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে স্কেচ নামের একটি প্রফেশনাল টুলের ভেক্টর গ্রাফিক্স অ্যাপের সৃজনশীল বৈশিষ্ট্যের কারণে।
স্কেচের ইউজার ইন্টারফেসটি সহজ-সরল। এই টুলের রয়েছে লেয়ারস, গ্র্যাডিয়েন্ট, কালার পিকার এবং স্টাইল প্রিসেটসহ ফটোশপ ও ইলাস্ট্র্যাটরের মতো অনেক ফিচার। ক্রমবর্ধমান হারে রেটিনা ডিসপ্লে ও মোবাইল ডিভাইসের জনপ্রিয়তা বাড়ায় স্কেচ টুলের ডেভেলপমেন্ট টিম সীমাহীন জুমিং সাপোর্ট এবং ভেক্টর শেপ দিয়ে একে যতটুকু সম্ভব ফ্লেক্সিবল করে তুলেছে, যেগুলো মাল্টিপল রেজ্যুলেশনের জন্য পারফেক্ট। আপনি একটি নতুন গ্রাফিক্স তৈরি করতে পারেন মৌলিক শেপ থেকে অথবা ভেক্টর বা পেন্সিল টুল দিয়ে একটি নতুন গ্রাফিক্স শুরু করতে পারেন বা তৈরি করতে পারেন। এ টুল ম্যাক অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যায়। এর জন্য দরকার ওএসএক্স ১০.৯+ এ।
পিক্সেলম্যাটর
পিক্সেলম্যাটর ম্যাকের জন্য এক শক্তিশালী, দ্রুততর ও সহজ ব্যবহারযোগ্য ইমেজ এডিটর টুল। পিক্সেলম্যাটর ম্যাক, আইফোন, আইপ্যাড প্লাটফরমের উপযোগী এক টুল। এ টুল আপনাকে সুযোগ দেবে ফটো টাচ ও অ্যানহ্যান্স করা, স্কেচ, ড্র ও পেইন্ট, টেক্সট ও শেপ যুক্ত করা, অ্যাপ্লাই করে ড্যাজলিং ইফেক্ট ও আরও কিছু কাজ। পিক্সেলম্যাটর তৈরি ও ডেভেলপ করা হয়েছে ম্যাকের জন্য। এটি ওএসএক্সের সর্বাধুনিক ফিচার এবং টেকনোলজির পুরো সুবিধা নেয়।
দ্রুততর ও শক্তিশালী ইমেজ এডিটিং টুল তৈরি করার জন্য পিক্সেলম্যাটর ব্যবহার করে ম্যাক ওএসএক্স লাইব্রেরি। যেহেতু এটি ম্যাক ও আইওএস টেকনোলজিতে তৈরি। এটি সফটওয়্যারকে যেমন আইফটো ও অ্যাপচারকে অবিচ্ছিন্নভাবে
সমন্বিত করা অনুমোদন করে, তেমনি অনুমোদন করে আইক্লাউডকেও সমন্বিত করা।
পিক্সেলম্যাটরে রয়েছে ফেসবুক ও ফ্লিকারের জন্য বিল্টইন এক্সপোর্ট টুল। পিক্সেলম্যাটরে রয়েছে ব্যাপক-বিসত্মৃত রেঞ্জের টুল, যা আপনাকে সুযোগ দেবে পেইন্ট করার, নিখুঁতভাবে ড্রইং ও ইমেজ রিটাচ করার। কালার কারেকশন টুল যেমন হিউ/সেচ্যুরেশন, শ্যাডো/হাইলাইটস এবং কন্ট্রাস্ট প্রভৃতি সবই রয়েছে কারেক্ট করা, যাতে ফটোশপে ব্যবহার হওয়া অপারেশনগুলোর অনেকগুলোই পাওয়া যাবে। পিক্সেলম্যাটরের সবশেষ ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছে ডায়নামিক টাচ নামে এক নতুন ফিচার, যা সব রিটাচিং টুলের ব্রাশ সাইজ সমন্বয় করার সুযোগ দেবে আপনার আঙ্গুলের টিপ বা আঙ্গুলের বড় এরিয়া ব্যবহার করে।
অ্যাকর্ন
অ্যাকর্ন প্রোগ্রাম ডিজাইন করা হয়েছে অ্যাকর্নের নতুন আপডেট সম্পৃক্ত করে বাড়তি নন-ডিস্ট্রাকটিভ ফিল্টার। এ টুলটি পাওয়া যায় আইওএস ও অ্যান্ড্রয়িড প্লাটফরমে। অ্যাকর্ন এক ফ্রি টুল। ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার অ্যাকর্ন প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ২০০৭ সালে। শৌখিন শিল্পীদের কাছে এটি ফটোশপের বিকল্প একটি ব্যয়সাশ্রয়ী টুল হিসেবে গণ্য করা হয়।
অ্যাকর্ন সফটওয়্যারে সম্পৃক্ত রয়েছে লেয়ার স্টাইল, নন-ডিস্ট্রাক্টিভ ফিল্টার, কার্ভ ও লেভেল, বেস্নন্ডিং মোডসহ অনেক ফিচার।
কোরেল পেইন্টশপ প্রো
ফটোশপের বিকল্প উইন্ডোজ প্লাটফরমের সাশ্রয়ী মূল্যের আরেক শক্তিশালী ফটো এডিটিং টুল হলো কোরেল পেইন্টশপ প্রো। ফটো এডিটিং টুল কোরেল পেইন্টশপ প্রোর আবির্ভাব ঘটে একই সফটওয়্যার হাউস থেকে যেটি প্রডিউস করে পেইন্টার, পেইন্টশপ প্রো প্রভৃতি। এ টুল দীর্ঘদিন ধরে ফটোশপের বিকল্প এক শক্তিশালী ইফেক্ট ও এডিটিং টুল হিসেবে বিবেচিত। এ টুলটি অফার করে এক ব্যাপক-বিসত্মৃত রেঞ্জের ফটো এডিটিং ও গ্রাফিক্স ক্রিয়েশন টুলসহ ফেস রিকগনিশেন বৈশিষ্ট্য।
কোরেল পেইন্টশপ প্রোর রয়েছে লেয়ারের সাপোর্ট ও এডিটিং, কালার কারেকশন, ক্লোনিং ও ফটোর মেক ওভারের জন্য টুলের সম্পূর্ণ স্যুট।
ফটোশপের মতো পেইন্টশপ ফটো ওয়ার্কফ্লো অ্যাপ্লিকেশন নয়, যদিও এতে আউটপুট অর্গানাইজ করার জন্য টুল সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে তখনই এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন ফটো ইম্পোর্ট করা হয়। কেননা ইম্পোর্টের সময় আপনি প্রিভিউ বা ট্যাগ ইমেজ পান না। ইমেজ ওভাররাইট হয় না, যখন এডিট করার কাজ সেভ করা হয়, তবে সেভ হয় পেইন্টশপের নিজস্ব ফরম্যাট পিএসপিতে (PSP)। আপনি ইচ্ছে করলে অ্যাডোবি পিএসডি (PSD) ফরম্যাটসহ ডজনখানেক অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড ইমেজ ফরম্যাটে সেভ করতে পারেন।
পেইন্ট ডটনেট
ফটো এডিটিংয়ের জন্য ফটোশপের বিকল্প আরেকটি চমৎকার সফটওয়্যার হলো মাইক্রোসফটের পেইন্ট ডটনেট। এটি এক ফ্রি ফটো এডিটিং টুল। পেইন্ট ডটনেট উইন্ডোজভিত্তিক এক পেইন্ট এডিটর, যা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ভার্সনের সাথে চালু করে। এ টুল বিস্ময়করভাবে খুবই সহায়ক।
পেইন্ট ডটনেট খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এবং আর্টিস্টিক সৃজনশীলতার পরিবর্তে এ টুলের প্রবণতা হলো ফটো এডিট করা। এ টুলে রয়েছে এক রেঞ্জ বিশেষ ইফেক্ট, যার মাধ্যমে আপনি ফেইক পারস্পেকটিভ তৈরি করতে পারবেন, ক্যানভাসের চারদিকে পিক্সেল বেস্নন্ড করতে পারবেন, রয়েছে টাইল অ্যান্ড রিপিট সিলেকশন ইত্যাদি টুল।
বেশ কিছু সিলেকশন টুল আছে, যেগুলো সাপোর্ট করে লেয়ার ও অ্যাডজাস্টমেন্ট, যেমন কার্ভস ও ব্রাইটনেস/কন্ট্রাস্ট। এসব টুলের কারণে পেইন্ট ডটনেটকে ফটো এডিটের জন্য ফটোশপের বিকল্প এক চমৎকার টুল বলা যায়
জিআইএমপি
জিআইএমপি তথা জিএনইউ ইমেজ ম্যানিপুলেশন প্রোগ্রাম নামে আরেকটি জনপ্রিয় ইমেজ এডিটিং প্রোগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে ফটোশপের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি বিশেষ কিছু কাজ, যেমন ফটো রিটাচিং, ইমেজ কম্পোজিশন এবং ইমেজ অথোরিংয়ের জন্য ফ্রিভাবে ডিস্ট্রিবিউটেড প্রোগ্রাম। জিআইএমপি একটি ফ্রি, ওপেনসোর্স সফটওয়্যার। বর্তমানে এই টুলটি লিনআক্স, উইন্ডোজ ও ম্যাক প্লাটফরমে রান করে।
ফটোশপের মতো বিভিন্নভাবে জিআইএমপি অফার করে এক ব্যাপক-বিসত্মৃত রেঞ্জের টুলসেট এবং ওইসব ব্যবহারকারীর কাছে ফটোশপের বিকল্প টুল হিসেবে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে যারা ফটো এডিটিং টুলের জন্য কোনো টাকা-পয়সা খরচ করতে চান না তাদের কাছে। ফটোশপের ইন্টারফেসের সাথে জিআইএমপির ইন্টারফেসের পার্থক্য সামান্য, তবে জিআইএমপির একটি ভার্সন আছে, যার লুক ও ফিল অনেকটাই অ্যাডোবি ফটোশপের মতো। এর ফলে ফটোশপ থেকে সরে আসা আপনার জন্য সহজ।
লেয়ার, ব্রাশ, টুল, পাথসহ অন্য অনেক অপশনের জন্য রয়েছে একই ধরনের প্যানেল। এর মেনু যেমন ফাইল, এডিট, সিলেক্ট, ভিউ, ইমেজ, ফিল্টার ও হেল্প ইত্যাদি ফটোশপের কাছাকাছি এবং ফাংশন একইভাবে কাজ করলেও একটু ভিন্ন। জিআইএমপির কালার এবং টুল মেনু ইউনিক। জিআইএমপির টেক্সট মেনুর মিশিং এর টেক্সট ক্যাপাবিলিটির একটি আভাস, তবে ফটোশপের মতো ফিচার-সমৃদ্ধ নয়।
ফটোশপের এক্সটেন্ডেড এবং ক্রিয়েটিভ ক্লাউড ভার্সনে থ্রিডি কমান্ডের মেনু থাকলেও জিআইএমপির অংশ নয়। জিআইএমপির কিছু কিছু জিইজিএল তথা জেনেরিক গ্রাফিক্স লাইব্রেরি স্ক্রিপ্ট ফাংশন একই ধরনের অপারেশন পারফরম করতে বেশ সহায়ক ভূমিক পালন করে।
পিক্সেলর
পিক্সেলর (আগে এর নাম ছিল পিক্সেলর এক্সপ্রেস) হলো এক মজার ও শক্তিশালী ফ্রি অনলাইন ইমেজ এডিটর টুল। আইওএস, অ্যান্ড্রয়িড প্লাটফরমের জন্য পিক্সেলর নামের ফটো এডিটর টুলের রয়েছে ৬০০-র বেশি ইফেক্ট। শক্তিশালী এই টুলটির মাধ্যমে আপনি দ্রুতগতিতে ক্রপ, রোটেড ও যেকোনো ছবিকে ফাইন-টিউন করতে পারবেন।
পিক্সেলর কোম্পানির দাবি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ফটো এডিটর। পিক্সেলর পরিবারের ফটো এডিটিং অ্যাপ লেয়ারে কাজ করে, রিপ্লেস করে কালার, ট্রান্সফরম করে অবজেক্টসহ অনেক কিছু। আর এ সবকিছুই হয়ে থাকে আপনার ব্রাউজার থেকে।
পিক্সেলর এক্সপ্রেস অ্যাপ্লাই করে ক্যুইক ফিক্স বা সৃজনশীল ইফেক্টসহ যুক্ত করে পার্সোনাল টাচ, ওভারলে ও বর্ডার। পিক্সেলর মোবাইল প্রতিটি মুহূর্তকে সুন্দর করে তোলে। পিক্সেলর ডেস্কটপ ম্যাক বা পিসির জন্য প্রতিদিনের ইমেজকে কাজের আর্টে ট্রান্সফরম করে পিক্সলরসহ।
ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com