• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সম্ভাবনা ও স্বপ্নের হাইটেক পার্ক
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদক
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সম্ভাবনা ও স্বপ্নের হাইটেক পার্ক
বলার অপেক্ষা রাখেনা আজকের এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে হাইটেক পার্ক যেমনি স্বপ্নের, তেমনি সম্ভাবনার, দেশের মানুষের প্রত্যাশা বাংলাদেশে তৈরি হবে বিশ্ব মানের প্রযুক্তিপণ্য। স্বদেশে তৈরি সফটওয়্যার দিয়েই চলবে দেশের ব্যাংক, বীমা, কলকারখানা, অফিস-আদালত ও অন্যান্য সবকিছু। বাংলাদেশে বসেই গুগল, ফেসবুক, ইন্টেল, মাইক্রোসফটসহ আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত বিভিন্ন প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠানের আইটি বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদেরা। আর এসবের দুয়ার খুলে দেবে সরকারের হাইটেক পার্ক। প্রযুক্তিনির্ভর এসব হাইটেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদেরকর্মসংস্থানএবংহার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারশিল্পেরউত্তরণ ও বিকাশেসুযোগের দুয়ারখুলে দেবে। এসব হাইটেক পার্ক হবে জাতীয় রাজস্ব আয়ের কেন্দ্র বিন্দু। এমনটি প্রত্যাশা করে আসছে এদেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সরকরও বেশকয়েক বছর ধরে দেশবাসীর সে প্রত্যাশার কথায় শুনিয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবে এ ক্ষেত্রে তেমন গতিশীলতা আছে বলে মনে হয় না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হাইটেক পার্ক নির্মাণের বিষয়টি সরকারের কাছে একটি অগ্রাধিকারের বিষয়।
বলা হচ্ছে, ইতোমধ্যেই ৫০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষে সরকার বড় বড় হাইটেক পার্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থান আইটি পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সম্প্রতি বলেছেন, ‘আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর হাইটেক পার্কের দুয়ার উন্মোচন ছিল অগ্রাধিকার পাওয়া একটি বিষয়। তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের এ সময়ে হাইটেক পার্ক দেশের শিল্পায়নে প্রাণ সঞ্চয় করবে। শিল্পায়ন ও শিক্ষাক্ষেত্রে হাইটেক পার্ক সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। হাইটেক পার্ক ১০ লাখআইটি পেশাদার তৈরির মাধ্যমে আগামী ৫ বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রতিবছর রফতানি আয় ১০০ কোটি ডলারে উন্নত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ পার্কগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাখ লাখ ব্যক্তির কর্মসংস্থান হবে।’
আইসিটিপ্রতিমন্ত্রীর এই আশাবাদকে আমরা স্বাগতজানাই। তার এই আশাবদ বাস্তবেরূপনিক, তাইআমাদেরআন্তরিককামনা। কিন্তু হাইটেকপার্ক, বিশেষকরেকালিয়াকৈরহাইটেকপার্ক প্রকল্পবাস্তবায়নেধীরগতি দেখে আমাদেরমধ্যেকখনোকখনো একধরনেরহতাশএসে ভরকরে। আবারযখনসরকারেরবাসরকারেরসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরকাছে থেকে নতুনকরে কোনোআশাবাদেরকথা শোনানো হয়, তখনআশাবাদীহতে ইচ্ছে করে। সম্প্রতি‘বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক অথেরিটি’তথাবিএইচটিপিএসূত্রজানিয়েছে, ইতোমধ্যেইকালিয়াকৈরে ২৩২ একরজমিতে দেশেরপ্রথমহাইটেকপার্ক নির্মাণেরকাজশুরুহয়ে গেছে। এরবাইরেসিলেটের কোম্পানিগঞ্জউপজেলারখরিতাজুড়িবিলে দেশেরদ্বিতীয়হাইটেকপার্ক স্থাপনেরজন্য ১৬৩ একরজমিঅধিগ্রহণকরাহয়েছে। পাশাপাশিকারওয়ানবাজারেরজনতাটাওয়ার, যশোর, রাজশাহীসহ দেশেরসাতটিবিভাগে ১২ জেলায়সফটওয়্যার টেকনোলজিপার্ক স্থাপনেরকাজের দৃশ্যমানঅগ্রগতিহয়েছে। অপরদিকে হাইটেকপার্কেরবিনিয়োগকারীদেরবিশেষপ্রণোদনাদিচ্ছেসরকার। প্রণোদনাঅনুযায়ীবিনিয়োগকারীদেরকয়েকধাপের কর অব্যাহতি দেয়া হবে। এরফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতেরবিনিয়োগবাড়বেএবং দেশে প্রচুরকর্মসংস্থানসৃষ্টিহবে।
অতীতেআমরা দেখেছি, হাইটেকপার্ক নির্মাণেবিলম্ব হওয়ারএকটাবড়কারণহচ্ছেতহবিলেঅভাব। তবেসুখেরকথা, এসবহাইটেকপার্ক উন্নয়নেএবংবিনিয়োগেরজন্য বিশে^রবিভিন্ন দেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। গত নভেম্বরেল-নেঅনুষ্ঠিত ই-বাণিজ্য মেলায় যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক চারটিপ্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক অথেরিটি ৩০০ কোটিডলারেরবিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরকরেছে। অপরদিকে জাপান এই হাইটেকপার্কে বিনিয়োগেআগ্রহ দেখাচ্ছে। এরামানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণেবাংলাদেশকেসহায়তাকরতেওআগ্রহী।
আমরামনেকরি, দেশে হাইটেকপার্কে অর্থয়ানেঅসুবিধাহলেএক্ষেত্রে বিদেশী অর্থায়নেরবিষয়টি ভেবে দেখা যেতেপারে। কারণ, ইতোমধ্যেইহাইটেকপার্ক নির্মাণেঅনেকটাবিলম্ব হয়ে গেছে। প্রয়োজনে বিদেশে অর্থসহায়তানিয়ে এই হাইটেকপার্ক নির্মাণ দ্রুতসম্পন্নকরতেহবে। সবারআগেকালিয়াকৈরেরহাইটেকপার্ক নির্মাণেরদিকেমনোযোগদিতেহবে। এর পর এক-একটিকরেবাকিহাইটেকপার্ক ও আইটিপার্ক নির্মাণেপরিকল্পনাবাস্তবায়নকরতেহবে। নইলেহাইটেকপার্ক নিয়েআমাদেরযাবতীয় স্বপ্ন যেমনিবিফলেযাবে, তেমনিএরযাবতীয় সম্ভাবনাওবিনষ্টহবে।তাছাড়াএক্ষেত্রেবিলম্ব করারঅপর অর্থ প্রকল্পখরচবাড়ানোযাকাম্য না।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস