লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - ফেব্রুয়ারী
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে
আমাদেরজীবনযাত্রারপ্রতিটি ক্ষেত্রআইসিটিনির্ভরহয়েপড়েছে। এরফলেকাজেরগতি যেমন বেড়েছে, তেমনিপ্রতিটি ক্ষেত্রেইউৎপাদনশীলতাও বেড়েছেবহুগুণে।এ কথাটিআমাদেরকমপিউটিংজীবনযাত্রায়অপরিহার্য বাস্তবতা।কিন্তুএরপাশাপাশিআরেকটিবাস্তবতাহলো, আমাদের ক্রমবর্ধমানকমপিউটিংনির্ভরতাকেকলুষিতকরতে এক শ্রেণির দুষ্টু চক্রও গড়ে উঠেছে। এরফলেবলাযায়, আমাদেরকমপিউটিংজীবনযাত্রা কোনোভাবেইপুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়।
ভাইরাস, ম্যালওয়্যার,হ্যাকারপ্রভৃতিআমাদেরকমপিউটার নেটওয়ার্কে হামলাচালিয়েগুরুত্বপূর্ণ তথ্যহাতিয়ে নেয়ারপাশাপাশিব্যাপকক্ষতিসাধনকরেআসছেপ্রতিনিয়তই। এ তথ্যেরসত্যতারপ্রমাণপাওয়াযায়কমপিউটারেরঅ্যান্টিভাইরাস ও নিরাপত্তা সেবা দেয়া রুশপ্রতিষ্ঠানক্যাসপারস্কি ল্যাবপ্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে।ক্যাসপারস্কি ল্যাবপ্রকাশিতপ্রতিবেদন থেকে জানাযায়, চলতিবছরবিশ্বজুড়েইন্টারনেটব্যবহারকারীর ২৫ শতাংশ কোনোনা কোনোভাবেসাইবারহামলারশিকারহয়েছে। এইপ্রতিবেদনে বলাহয়েছে, সব ধরনেরওয়েবসাইটইকমবেশিসাইবারহামলারশিকারহয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেজনপ্রিয়সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মাইক্রোবস্নগিংসাইটটুইটার, ই-মেইল সেবাজি-মেইলইত্যাদি। কমপিউটারেঅ্যান্টিভাইরাস ও নিরাপত্তা সেবা দেয়া রুশপ্রতিষ্ঠানক্যাসপারস্কি ল্যাবপ্রকাশিত এইপ্রতিবেদনে ভয়ঙ্কর সব তথ্য উঠে আসে।
এই রিপোর্টে আরওউল্লেখকরা হয়, ১১ শতাংশ ব্যক্তির ই-মেইলআক্রান্তহয়েছেএবং ৭ শতাংশেরঅনলাইনব্যাংকিংবাশপিংঅ্যাকাউন্টহ্যাকহয়েছে। ইন্টারনেটব্যবহারকারীরাতাদের পেজেআসাবিভিন্ন লিঙ্কে প্রবেশকরেমূলতহামলারশিকারহয়ে থাকেন। এরমাধ্যমে সাইবারঅপরাধীদেরজন্য ওই ব্যবহারকারীরঅ্যাকাউন্টহ্যাকসহজহয়েযায়।
ক্যাসপারস্কি গবেষকদেরমতে, বিশ্বেরপ্রায়প্রতিটি দেশেই সাইবারহামলারঘটনা বেড়েছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ভারতে গত এক বছরেহামলারঘটনাউল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একটিজরিপে উঠে এসেছে, অনলাইনেবিভিন্ন সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরাপাসওয়ার্ডেরবিষয়েসচেতন নন বলেইএমনঘটনা ঘটেছে। জরিপেবলাহয়েছে, ৩২ শতাংশঅনলাইনব্যবহারকারীতাদেরপরিচিতকারওঅ্যাকাউন্টহ্যাকহওয়ারসংবাদ জেনেছেন। মাত্র ৩৮ শতাংশব্যবহারকারীঅনলাইন সেবারজন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারকরছেনবলেসুরক্ষিতরয়েছেন।
লক্ষণীয়, বাংলাদেশে সম্প্রতি ক্রমবর্ধমানহারেআইসিটিনির্ভরব্যবসায়, ব্যাংকিং, ই-কমার্স ইত্যাদি বেড়েইচলেছে। তবেএখনওবিশ্বেরঅন্যান্য দেশেরতুলনায়অনেককম হওয়ায়হ্যাকারদেরটার্গেটে পরিণতহয়নি। সুতরাংযারা গুরুত্বপূর্ণ কাজেরজন্য ইন্টারনেটব্যবহারকরছেনএবংইন্টারনেটে কেনাকাটাকরছেন,তাদেরকেএখন থেকেই আরওসতর্ক হতেহবেকমপিউটিংজীবনযাত্রার ক্ষেত্রে। কেননা, এ ক্ষেত্রেসরকারবাআমাদেরদেশে আইসিটিসংশ্লিষ্টব্যবসায়িকসংগঠনগুলোপুরোপুরিউদাসীনইবলাযায়।তাই এ মুহূর্তে রক্ষাকবচহিসেবেপ্রত্যেকইন্টারনেটব্যবহারকারীরকঠিনপাসওয়ার্ড ব্যবহারকরা যেমনউচিত, তেমনিঅচেনা লিঙ্কে ক্লিককরা থেকে বিরত থাকতেহবে।
আবদুল মোতালিব
মিরপুর, ঢাকা
দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের যাত্রা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্বাবনীমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নেয়া হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে দেশে উদ্ভাবনীমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। রাজধানীরকারওয়ানবাজারেরজনতাটাওয়ারেঅবস্থিত দেশেরপ্রথমএই সফটওয়্যার টেকনোলজিপার্ক।
বাংলাদেশ কমপিউটারকাউন্সিলেরঅডিটোরিয়ামেসম্প্রতিপ্রধানঅতিথি হিসেবেপার্কেরউদ্বোধনকরেনপ্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টাসজীবওয়াজেদ জয়। সফটওয়্যার টেকনোলজিপার্কে বরাদ্দপাওয়াপ্রথমচারটি কোম্পানিকেআনুষ্ঠানিকভাবেজায়গাবুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া এই পার্কেরচতুর্থ তলায়অবস্থিত স্টার্টআপইনকিউবেটরেযাতেসঠিক স্টার্টআপগুলোজায়গাবরাদ্দপায়তারউদ্দেশ্যে ‘Connecting Start Ups Bangladesh’শীর্ষকপ্রতিযোগিতারআয়োজনকরা হয়।
আইসিটিডিভিশন ও বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক অথরিটি এই প্রতিযোগিতারআয়োজনকরে। সহযোগিতায়ছিলবাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যারঅ্যান্ডইনফরমেশনসার্ভিসেস (বেসিস) ও বাংলাদেশ কমপিউটারকাউন্সিল (বিসিসি)।
দেশে উদ্বাবনীমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের উদ্যোগকেসামনেএগিয়েনিতে ১০টি উদ্যোগকেসফটওয়্যার টেকনোলজিপার্কে এক বছরেরজন্য বিনামূল্যে জায়গাবরাদ্দ দেয়া হবে। সেখানেউচ্চগতিরইন্টারনেট, নিরবচ্ছিন্নবিদ্যুৎব্যবস্থা, বড়কনফারেন্সরুমব্যবহারেরসুবিধাসহতাদেরবিনিয়োগসমস্যাসমাধান, মানোন্নয়নসহ উদ্যোগটিযাতেআন্তর্জাতিকপর্যায়েভূমিকারাখতেপারেতারব্যবস্থা করাহবে। এছাড়াভালো উদ্যোগগুলো স্টার্টআপইউকিউবেটরেজায়গাভাড়ানিতেপারবে। এ ধরনের উদ্যোগখুঁজে পেতেই‘Connecting Start Ups Bangladesh’প্রতিযোগিতারআয়োজন।
মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতারজন্য www.ictd.gov.bd/connectingstartupsবা www.connectingstartupsbd.net লিঙ্ক থেকে আবেদনকরাযাবে। আবেদনকরা স্টার্টআপগুলোপর্যাপ্তযাচাই-বাছাই শেষেনির্বাচিতদেরসাক্ষাৎকার নেয়া হয়। দ্বিতীয়পর্যায়েউপস্থিত দুইশতাধিক স্টার্টআপনিয়ে‘Connecting Start Ups Bangladesh’বিষয়েএকটিকর্মশালাঅনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীরকারওয়ানবাজারেরজনতাটাওয়ারেঅবস্থিত দেশেরপ্রথমসফটওয়্যার টেকনোলজিপার্কেউদ্ভাবনীমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের উদ্যোগকেসামনেএগিয়েনিতে যে ১০টি উদ্যোগকেসফটওয়্যার টেকনোলজিপার্কে এক বছরেরজন্য বিনামূল্যে জায়গাবরাদ্দ দেয়া হবেতা যেনযথার্থ হয়, সেদিকে খেয়ালরাখতেহবেসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।এরঅন্যথাহলেসরকারি এইপ্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে, যাআমাদেরকারওকাম্য নয়।
বেলাল আহমেদ
শমসেরপুর, গোপালপুর
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৫
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদেরকে উৎসাহ দিতে এবং আউটসোর্সিংকেসারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ারজন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(বেসিস) দেশে এবছর ৬৪টি জেলা থেকে সেরা ৫৮ফ্রিল্যান্সারতথাআইটি উদ্যোক্তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়।
প্রতিবারের মতো এবারও স্বীকৃতি পেল দেশে আউটসোর্সিংয়ে সেরা প্রায় একশ’ আউটসোর্সিং পেশাজীবী ও প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) উদ্যোগে পঞ্চমবারের মতো গত ২ নভেম্বর রাজধানীর কাকরাইলে ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৫’ শীর্ষক অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
আউটসোর্সিংকেসারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ারজন্য এবছর ৬৪টি জেলা থেকে সেরা ৫৮ফ্রিল্যান্সারতথাআইটি উদ্যোক্তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে ৮ জনএবং ৩ জনকেনারীক্যাটাগরিতেঅ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। পাশাপাশিপ্রাতিষ্ঠানিকক্যাটাগরিতে ১৫টি কোম্পানিআউটসোর্সিংখাতেবিশেষঅবদানেরজন্য বেসিসআউটসোর্সিংঅ্যাওয়ার্ড পায়। এবারইপ্রথম স্টার্টআপ কোম্পানিক্যাটাগরিতে ১০টি কোম্পানিকেঅ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
বেসিসের এ ধরনেরকার্যক্রম আগামীতেওঅব্যাহত থাকবে-এপ্রত্যাশাআমাদেরসবার।
পাভেল
দক্ষেণ মুগদা, ঢাকা