• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলার কার্যক্রম সফল হউক
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলার কার্যক্রম সফল হউক
নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলার কার্যক্রম সফল হউক
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়াএবং ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ঘোষণা দেয় এবং সে লক্ষ তথা ভিশিন ২০২১ অর্জনের উদ্দেশে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভিশিন ২০২১ লক্ষঅর্জনের উদ্দেশেসরকারবিভিন্নকর্মসূচীগ্রহণকরে। এসবকর্মসূচীবাস্তবায়নেবিভিন্নপদক্ষেপগ্রহণকরাহলেও তেমনগতিবা উদ্যমতাআমাদের চোখেপরেনি।
নারীরাআমাদেরসমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং প্রযুক্তিতে নারীদের অংশ নেয়ারবিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ।ডিজিটালবাংলাদেশ গড়াজন্য সরকারবিভিন্নকর্মসূচীগ্রহণকরলেওপ্রায় সব ক্ষেত্রেইনারীরা থেকেছে বেশ পেছনে।সহজকথায়বলাযায়, ডিজিটালবাংলাদেশ গড়ারজন্য সরকারেরগৃহীতবিভিন্নউন্নয়নকর্মকান্ডেনারীদেরকেচরমভাবেউপেক্ষাকরাহয়েছে।অথচ এদেশেরপ্রধানমন্ত্রী, বিরোধি দলের নেতা, সংসদ স্পিকারমহিলা। শুধুতাইনয়, বেসরকাররিপর্যায়েগৃহীতবিভিন্নকর্মসূচীতেনারীদের তেমনঠায় দেয়া হয়নি।
অথচ দেশের মোটজনসংখ্যারপ্রায়অর্ধেকইনারী। এই বিশালনারীজনগোষ্ঠীকেএড়িয়েডিজিটালবাংলাদেশ গড়া কোনোভাবে সম্ভব নয়।নারীসমাজকেএড়িয়েডিজিটালবাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন, স্বপ্নহিসেবেই থেকে যাবে। বাস্তবতার ছোঁয়াবাআলোকখনোই দেখাযাবেনা।
বিস্ময়করহলেওসত্য যে, এই বিশালজনগোষ্ঠীরমাঝে খুব কমসংখ্যকনারীইআছেনযারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণারাখেনএবং এ সম্পর্কে সচেতন। শুধুতাইনয়, তথ্যপ্রযুক্তিতে তেমন কোনোনারীউদ্যাক্তার দেখাওপাওয়াযায়না।অথচ দেশেরবিশালজনগোষ্ঠীরনারীরাযদি তথ্যপ্রযুক্তিতে তেমনভাবে সম্পৃক্ত হতো, তাহলেডিজিটালবাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন যেমন দ্রুতবাস্তবতা পেত, তেমনইবাংলাদেশের অর্থনীতর চেহারাটাইপাল্টে যেতপুরোপুরি।
এ সত্যটিঅনেক দেরীতেহলেওউপলদ্ধি করতে পেরেছেসরকারেরনীতিনির্ধারণ কর্তব্যক্তিরা।আর এ কারণেইডিজিটাল সেন্টারেরনারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে সম্প্রতিঅ্যাকসেসটুইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামএবংমাইক্রোসফটবাংলাদেশের সাথে একটিসমঝোতা স্মারকসইকরেছে
চুক্তির আওতায় দেশব্যাপী ৫২৭৩টি ডিজিটাল সেন্টারেরনারী উদ্যোক্তাদের কমপিউটারহার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারেরওপরপ্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষেডিজিটাল সেন্টারগুলোসরাসরিসার্ভিস সেন্টারের সাথে যুক্ত হয়ে সেবাদিতেপারবে। প্রযুক্তিবিষয়ক এই ট্রেনিং প্রোগ্রামেরমাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা ডিজিটাল সেন্টারেরযাবতীয়কাজেঅভিজ্ঞতাঅর্জনকরারপাশাপাশিইউনিয়নপর্যায়েরনাগরিকদেরহার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারসংক্রান্তসহায়তাদিতেসক্ষমহবে।
ডিজিটালবাংলাদেশ নির্মাণেপ্রতিটিইউনিয়নপরিষদে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনএবংপ্রতিটি কেন্দ্রে একজনকরেনারী ও পুরুষ উদ্যোক্তার অবস্থানখুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষকরেনারী উদ্যোক্তা থাকারকারণেগ্রামাঞ্চলেনারীদের সেবা দেয়ারসুযোগ তৈরিহয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেন্টারেরনারীদেরকেনিয়েমাইক্রোসফটের এ প্রশিক্ষণতাদেরকেআরওএকধাপএগিয়েনিয়েযাবে। চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে মাইক্রোসফটবাংলাদেশ দেশেরডিজিটাল সেন্টারের ৫২০০ জনের বেশিনারীর সাথে কাজকরারসুযোগপাবে।
আমাদেরপ্রত্যাশাআগামীতেও এ ধারাঅভ্যাহত থাকবেএবংমাইক্রোসফটেরমতোঅন্যান্য বড়বড়আইসিটিপ্রতিষ্ঠান যেমন ডেল, ইন্টেল, এইচপিইত্যাদীরসাথেও চুক্তিবদ্ধ হয়েআরোডিজিটাল সেন্টারপ্রতিষ্ঠাকরেনারীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায়শিক্ষেতকরারপাশাপাশিনারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলারকার্যক্রম গ্রহণকরবেএবংডিজিটালবাংলাদেশ গড়ে তোলারপাশাপাশিভিশিন ২০২১ লক্ষ অর্জনের পথে আরোএগিয়েযাবে।

নাজমুল হোসেন
আজিমপুর, ঢাকা।
আইসিটি বিভাগের সফলতা অভ্যাহত থাকুক
রাজনীতিবিদেরা দাবী করে থাকেন, মিডিয়সবসময়তাদেরসমালোচনাকরে থাকে। তাদেরভালোকাজেরজন্য মিডিয়াকখনোইপ্রসংশাকরেনাবা লেখা-লেখিকরেনা। তাদের দৃষ্টিতেমিডিয়ারকাছেরাজনীতিবিদেরা সবসময়ইসমালোচিত।আসলেতাসত্য নয়। এটারাজনীতিবিদদের এক ঢালাওঅভিযোগছাড়াকিছুইনা।মিডিয় যেমনআমাদেরভুল-ভ্রামিত্মগুলো যেমনতুলেধরে, তেমনই কোনোকাজকেকিভাবেআরো সুন্দর ও গোছানোভাবেবানিখুঁতভাবেসম্পন্নতাতুলেধরে। আর সেখানেইসৃষ্টিহয়মিডিয়াএবংরাজনীতিবিদদেরমাঝেপারস্পরিকঅসোমেত্মাষ।মজারব্যবাপহচ্ছে, অরাজনৈতিকএবংবিশেষায়িতপত্রিকা যেমনআইসিটিসংশ্লিষ্টপত্রিকাগুলো সম্পের্কেওরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরমনে নেতিবাচকধারণাবদ্ধমূল। আর এ কারণেকমপিউটারজগৎপত্রিকার ৩য় মতবিভাগেরজন্য এ লেখারঅবতারণা, আশাকরছিতাপ্রকাশকরাহবে।
সম্প্রতি দেশেরডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরআইসিটিবিভাগসফলতার সাথে তার দুইবছর পার করল।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরআইসিটিবিভাগতার দুইবছরপূর্তিতে নিজেদেরনানাসফলতারকথাতুলেধরতেসম্প্রতিরাজধানীতে‘এগিয়েযাওয়ার দুইবছর’নামে এক অনুষ্ঠানেরআয়োজনকরে। অনুষ্ঠানেআইসিটিপ্রতিমন্ত্রীজুনাইদ আহমেদ বলেন, ডিজিটালবাংলাদেশকেএগিয়েনিতেআমরা ২০১৬ সালেঅনেককাজহাতেনিয়েছি। আমাদেরঅর্জন ও সফলতারধারাবাহিকতাধরেরাখতেচাই।
এ অনুষ্ঠানেজানানোহয়, গত দুইবছরেবাংলাগভনেটপ্রকল্পেরআওতায় ৫৮টি মন্ত্রণালয়, ২২৭টি অধিদফতর, ৬৪টি জেলাপ্রশাসকেরকার্যালয় ও ৬৪টি নির্বাচিতউপজেলানির্বাহীপ্রশাসকেরকার্যালয় একই নেটওয়ার্কেরআওতায় নেয়াহয়েছে। গাজীপুরেরকালিয়াকৈরেহাইটেকপার্কেরঅবকাঠামোউন্নয়নেরকাজচলছে। জনতাটাওয়ারেসফটওয়্যার টেকনোলজিপার্কেরউদ্বোধনকরাহয়েছে। যশোর ও রাজশাহীতেওএমন উদ্যোগ নেয়াহয়েছে।
এ অনুষ্ঠানেবলাহয়, বিভিন্নপ্রকল্পের অংশ হিসেবেপ্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৩৪ হাজারজন। সরকারেরজন্য ৬০০ মোবাইলঅ্যাপ তৈরিকরাহয়েছে। বিগত দুই অর্থবছরেআইসিটিবিভাগ থেকে উদ্ভাবনীমূলককাজেরজন্য ৩৯ জনকে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৩ হাজারটাকা দেয় হয়েছে।
দেশেরডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরআইসিটিবিভাগ গত দুইবছরেএখনেউল্লিখিত যেসবকাজসম্পন্নকরেছেতারজন্য নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।আমরাচাই, দেশেরডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরআইসিটিবিভাগ সব ধরনেরবাধা-বিপত্তিকেএড়িয়েআগামীতেও এ ধারাঅভ্যাহতরাখবে। সে সাথে এও প্রত্যাশাকরি, বাংলাদেশ সরকারেরঅন্যান্য মন্ত্রাণালয়গুলোদেশেরডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরআইসিটিবিভাগএর পদাঙ্ক অনুসরণতাদেরওপরন্যাস্তসংশ্লিষ্ট সব কাজযথাসময়েসম্পন্নহবেএবং দেশেরসাধারণজনগণকেআমলাতান্ত্রিকজটিলতা থেকে তথালালফিতার দৌরাত্বেওহাত থেকে রক্ষাকরবে।
তাহমিনা আক্তার
জিন্দাবাজার, সিলেট।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস