• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > অধ্যাপক আবদুল কাদেরের কিছু উদ্ধৃতি ও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সুমন ‍ইসলাম
মোট লেখা:৮৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
অধ্যাপক আবদুল কাদের
তথ্যসূত্র:
স্মরণ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
অধ্যাপক আবদুল কাদেরের কিছু উদ্ধৃতি ও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি



অধ্যাপক আবদুল কাদেরের কিছু উদ্ধৃতি ও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি
কমপিউটার জগৎ একটি নাম, একটি পত্রিকা, একটি প্রতিষ্ঠান ও একটি আন্দোলন৷ এই প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের৷ বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বে একটি বলিষ্ঠ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি৷ তার বিভিন্ন সময়ের ভাবনা কথা হয়ে ফুটে উঠেছে তার বিভিন্ন লেখায়৷ কমপিউটার জগৎ-এ প্রকাশিত তার সেই লেখা থেকেই তার ভাবনাকে তুলে আনা কিছু উদ্ধৃতি এখানে তুলে ধরা হয়েছে৷ তার এসব উদ্ধৃতি থেকে এদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ বলে অভিহিত এই মহান ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কিছুটা হলেও ‍আচঁ করা যাবে৷ গ্রন্থনা করেছেন সুমন ইসলাম৷



জনগণের হাতে কমপিউটার চাই

বিগত ২-৩ দশকের বিবর্তনে কমপিউটার আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার বিস্ময়কর অবদান মানুষের জীবন ও সভ্যতার সব ক্ষেত্রকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করছে৷ সূচনা হচ্ছে কমপিউটার বিপ্লবের৷ এই বিপ্লবে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে হবে৷ জনগণের হাতে হাতে পৌঁছে দিতে হবে কমপিউটার৷ মে ১৯৯১৷

সমন্বয় দরকার

মন্ত্রী পরিষদে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে কোনো কমপিউটার শিক্ষা চালু করা হলো না, কেনো বিশ্ববাজারে বিরাট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সফটওয়্যার রফতানির কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখতে সব পক্ষের মধ্যে একটি সমন্বয় দরকার৷ জুন ১৯৯১৷

ডাটা এন্ট্রিতে কর্মসংস্থান

কমপিউটারের ডাটা এন্ট্রির কাজকে অবলম্বন করে বিদেশ থেকে অফুরন্ত কাজ এনে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার তরুণকে কাজে লাগানো সম্ভব৷ এর ফলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আসবে৷ জুলাই ১৯৯১৷

ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন

দেশের মানুষের হাত থেকে কমপিউটারকে সরিয়ে রাখার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে৷ সফটওয়্যার রফতানির ব্যাপারে অনেক কিছু করার থাকলেও সরকার করছে না৷ কমপিউটারের ওপর ট্যাক্স বাড়িয়ে এর সুফল থেকে দেশবাসীকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে৷ তাই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে৷ আগস্ট ১৯৯১৷

অবকাঠামো দরকার

ডাটা এন্ট্রি সার্ভিসের জন্য অনতিবিলম্বে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে৷ তথ্য পাঠানো ও গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিকমানের টেলিযোগাযোগ লাইন থাকতে হবে৷ রাজধানীর আশপাশে ছোট ছোট ডাটা প্রসেসিং পল্লী তৈরি করা সম্ভব৷ যেখানে সব ধরনের সুবিধা থাকবে৷ অক্টোবর ১৯৯১৷



অবহেলিত সার্ভিস সেক্টর

এদেশের একটা সম্ভাবনাময় সেক্টর দুর্ভাগ্যজনকভাবে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত৷ আর এটি হচ্ছে সেবা খাত বা সার্ভিস সেক্টর৷ বিশ্বের সব বাণিজ্যের প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগই হচ্ছে এই খাতটি৷ সবাইকে বুঝতে হবে এই সার্ভিস সেক্টর হতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তির চাবিকাঠি৷ নভেম্বর ১৯৯১৷

প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা

তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক করতে প্রয়োজন কমপিউটারের ব্যবহার৷ জনজীবনের ভিত্তিমূলে কমপিউটারকে এ শতাব্দীর মধ্যে পৌঁছে দিতে দেশে চাহিদা, মেধা, কৌশলের অভাব নেই৷ প্রয়োজন সরকারের নীতিনির্ধারক মহল, প্রশাসন ও বিজ্ঞানীদের সমন্বিত প্রয়াস গড়ে তোলার সঠিক কার্যক্রম, নির্দেশনা ও পরিকল্পনা৷ ডিসেম্বর ১৯৯১৷

বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে

দারিদ্র্যপীড়িত এদেশে প্রশাসনসহ শিল্প, বাণিজ্য, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি৷ সরকরের লক্ষ্যহীনতা, নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা এবং উদাসীনতার কারণে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে ভয়াবহভাবে৷ জানুয়ারি ১৯৯২৷

দুঃখী মানুষের হাতিয়ার

কমপিউটার শুধু মাতৃভাষাকেই ধারণ করেনি, আভিজাত্যের ও গজদন্ত মিনার ছেড়ে গণমানুষের দ্বারপ্রান্তে হাজির হয়েছে৷ দুর্জয় স্বাধীন অস্তিত্বে জাতীয় ভবিষ্যৎ নির্মাণে কমপিউটার দেশের দুঃখী মানুষের হাতিয়ার হতে চলেছে৷ ফেব্র্রুয়ারি ১৯৯২৷

যন্ত্রাংশ সংযোজন

বিদেশ থেকে কমপিউটারের যন্ত্রাংশ এনে দেশেই সংযোজন করছে কিছু প্রতিষ্ঠান৷ এতে অবশ্য জাতীয় আয় বৃদ্ধি বা কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ তবে কমপিউটারের প্রসারে এই শিল্প ভূমিকা রাখবে৷ মার্চ ১৯৯২৷

আমদানি ট্যাক্সশূন্য হোক

কমপিউটারকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কমপিউটার আমদানি ট্যাক্স ফ্রি বা করশূন্য ঘোষণা করতে হবে৷ এর ফলে সরকারের রাজস্ব কমবে না, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়নে কমপিউটার যে ভূমিকা রাখবে তাতে সরকারের আয় বাড়বে বহুগুণে৷ জুন ১৯৯২৷

ভিত্তি নির্মাণ জরুরি

গত এক দশকে গার্মেন্টস শিল্প গড়ে তোলার জন্য যেমন অজস্র প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়েছে, তেমনিভাবে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের আগ্রহে, পথিকৃত্দের নেতৃত্বে কমপিউটার সার্ভিস শিল্পের ভিত্তি নির্মাণ ও প্রসারিত করা জরুরি৷ জুলাই ১৯৯২৷

বিশ্বাস যেন না হারাই

ভবিষ্যতের ওপর যেন আমরা বিশ্বাস না হারাই৷ এর চাইতে দুঃসহ বর্তমানের মধ্যেও অনেক জাতি অনুপম ভবিষ্যৎ রচনার কাজ করেছে৷ কমপিউটারে সজ্জিত একজন মানুষ কাগজপত্রে সজ্জিত হাজার মানুষের সমান-এ উপলব্ধি নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে৷ আগস্ট ১৯৯২৷

দাম কমাতে হবে

বিশ্বব্যাপী চলছে কমপিউটারের দাম কমানোর প্রতিযোগিতা৷ কিন্তু এর সুফল বাংলাদেশের মানুষ পাচ্ছে না৷ কমপিউটারের দাম কম হলে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তের এমনকি নিম্নবিত্তদের মধ্যে কমপিউটারের প্রসার হবে অভাবিত৷ সেপ্টেম্বর ১৯৯২৷

প্রয়োজন পাঁচসালা পরিকল্পনা

কী ঘটছে, তার প্রচার আজ আর যথেষ্ট নয়৷ তথ্যপ্রযুক্তির নতুন স্তর আমরা কিভাবে আয়ত্তে আনতে পারবো, তার জন্য প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পাঁচসালা পরিকল্পনা নিতে হবে৷ এমন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের৷ নভেম্বর ১৯৯২৷

সুপার কমপিউটার

পুরো জাতির লাখ লাখ মেধাবী মানুষের মননশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানকে ধারণ করে তার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের একটি প্রায়োগিক বিস্ফোরণ ঘটাতে হলে সুপার কমপিউটার ও সিডি রমের স্তর স্পর্শ করা ছাড়া কোনো পথ নেই৷ হীনতা ও সংকীর্ণতার দিকে অগ্রসর না হয়ে সুপার কমপিউটার যুগে প্রবেশই হোক আমাদের অগ্রযাত্রার লক্ষ্য৷ ডিসেম্বর ১৯৯২৷

কাজ ধরতে হবে

উন্নত বিশ্বের কাজ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বময়৷ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পরিহার করে দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলারের সেই কাজ ধরতে হবে৷ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩৷

নৈরাজ্য প্রবল হচ্ছে

সরকার ও কমপিউটার কাউন্সিলের নিষ্ক্রিয়তায় কমপিউটার রাজ্যে নৈরাজ্য দিন দিন প্রবল হচ্ছে৷ জনগণ ও জাতিকে এজন্য মূল্য দিতে হচ্ছে৷ অর্থনীতি ও শিক্ষিত জনঅংশকে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রসরবৃত্তে এগিয়ে না নিতে পারলে এদেশকে আরো বহু দশক শোচনীয় বিপর্যয়ের অতলে পড়ে থাকতে হবে৷ মার্চ ১৯৯৩৷

জনউদ্যম দরকার

সরকার, সংসদ ও কাউন্সিলের কাছে আর কোনো নিবেদন নয়৷ বরং সদ্য গড়ে ওঠা জনপ্রতিষ্ঠান সম্মিলিত কমপিউটার সার্ভিস কোম্পানিকে সামনে রেখে বিদেশ থেকে কাজ এনে শিক্ষিত তরুণদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের দ্বারোদঘাটন এবং শিল্প ও বিজ্ঞানে দেশ-বিদেশের জাতীয় মেধা ও দক্ষতাকে কাজে যুক্ত করার জন্য আরো বড় জনউদ্যম দরকার৷ মে ১৯৯৩৷

জনপ্রতিনিধদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

জনগণের চাহিদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে জনপ্রতিনিধদের৷ নিজস্ব মেধা ও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার ঘটিয়ে চলমান বিশ্বের পরিবর্তনগুলোকে নিজেদের অনুকূলে কাজে লাগাতে হবে৷ এটি করতে হবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের কাজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও বিশ্ব দরবারে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য৷ জুলাই ১৯৯৩৷

ব্যাংকিং খাতে কমপিউটারায়ন

কেবল কনভার্টিবিলিটির জন্য নয়, সার্বিক বিশৃঙ্খলা মুক্তির জন্যই ব্যাংকিং খাতে কমপিউটারায়ন দরকার৷ কমপিউটার কেবল কর্মসহায়ক যন্ত্র নয়, নতুন যুগে, নতুন সভ্যতার ধারণ, বিকাশের মাধ্যম ও বাহন হয়ে উঠেছে৷ অক্টোবর ১৯৯৩৷

সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস শিল্পের বিকাশ ও সম্ভাবনা এখনো শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও হাইস্পিড ডাটা লিঙ্ক চ্যানেল প্রতিষ্ঠার ওপর নির্ভর করছে৷ ফাইবার অপটিকের জাতীয় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বঙ্গোপসাগরের তলদেশে স্থাপনের পরিকল্পনাধীন ফ্ল্যাগ (এফএলএজি)বিশ্ব ফাইবার অপটিক সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এর জন্য জরুরি৷ জানুয়ারি ১৯৯৪৷

অধিকার চাই

আমরা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদের ২৭নং ধারায় বর্ণিত অধিকার বঞ্চিত করার অবসান চাই৷ চাই অবিলম্বে বিশ্ব জ্ঞানভাণ্ডারের সাথে যুক্ত হয়ে তথ্য আদান-প্রদানের পূর্ণ অধিকার৷ এপ্রিল ১৯৯৪৷

টেলিযোগাযোগ অগ্রাধিকার খাত

টেলিযোগাযোগ যখন কমপিউটার, টিভি, ই-মেইলের সাথে যুক্ত হয়ে উঠেছে, তখন এ খাতটিকে জাতির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের খাত হিসেবে গ্রহণ করা ছাড়া বাংলাদেশের আধুনিক শিক্ষা ও অর্থনীতিতে জরামুক্তি অসম্ভব৷ এমনকি বিদেশী বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রফতানির বিশাল কর্মকাণ্ড এই খাতের অগ্রগতি ছাড়া অগ্রসর হবে না৷ মে ১৯৯৪৷

সেল্যুলার ফোন দিন

স্ট্যাটাস সিম্বল নয়, ব্যাপক জনগণের হাতে তুলে দিন সেল্যুলার ফোন৷ কৃষিযুগ, যন্ত্রযুগের পর বিশ্ব এখন এমন এক নতুন অর্থনৈতিক যুগে পড়েছে যার চালিকাশক্তি হচ্ছে উন্নত টেলিযোগাযোগ এবং কমপিউটার তথ্যপ্রযুক্তি৷ সেল্যুলার প্রযুক্তি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেলে দৃঢ় হবে দেশের অর্থনীতির চাকা৷ জুলাই ১৯৯৪৷

ইনফো পদ্ধতি

উন্নয়ন ও উত্তরণের অজস্র পথ ও পন্থার মধ্যে কমপিউটার, টেলিকমিউনিকেশন, অফিস অটোমেশন সম্বলিত ইনফো পদ্ধতি সবচাইতে দক্ষ ও কার্যকর৷ এ ব্যবস্থা মগজের ওপর চাপ কমায়, জনগণকে বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী করাসহ সক্রিয় করে৷ আগস্ট ১৯৯৪৷

উচ্চগতির পাইপলাইন

নতুন শতাব্দীতে এশিয়াকেন্দ্রিক প্রাযুক্তিক বাণিজ্যিক বিপ্লবের সাথে পা মিলিয়ে চলতে, সম্মানজনক অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে ডাটা এন্ট্রি সফটওয়্যার তথা কমপিউটার সার্ভিস শিল্প নিয়ে অগ্রসর হওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে৷ এ লক্ষ্যে এ মুহূর্তেই সর্বপ্রথম প্রয়োজন ব্যাপকভাবে কমপিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা বিস্তারের সাথে সাথে উচ্চগতির সুপ্রশস্ত ডাটা পাইপলাইন তথা উন্নত টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার৷ জানুয়ারি ১৯৯৫৷

অর্থনীতি গতি পেত

সেল্যুলার টেলিফোনের মনোপলি যোগাযোগকে দুর্বিষহ করে তুলেছে৷ অথচ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ১০/১২ গুণ বেড়ে গেলে সমাজ ও অর্থনীতি বদলাতে শুরু করতো অভাবিত গতিতে৷ মে ১৯৯৫৷

গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কমপিউটার ব্যবহার কিংবা নির্বাচন কমিশনের ভোটার ডাটাবেজ ও আইডি কার্ডে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অথবা স্কুল-কলেজে কমপিউটার দেয়া জাতির ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ৷ জুন ১৯৯৫৷

পিছিয়ে পড়ছি

শুধু পাশ্চাত্য নয়, উন্নয়নের নবযুগে প্রবেশ করেছে প্রাচ্যের প্রায় সব দেশ৷ ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ৷ সরকারের লক্ষ্যহীনতা, নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা আর উদাসীনতার কারণে পিছিয়ে পড়ছি আমরা৷ যদিও দেশে মেধার অভাব নেই৷ কমপিউটারবিদ হওয়ার উদগ্র বাসনায় নবীন প্রজন্ম দীপ্ত৷ জুলাই ১৯৯৫৷

প্রয়োজন বিপুল প্রোগ্রামার


কেবল উচ্চগতিতে তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা এবং ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েই বিশ্ব সফটওয়্যার বাজারে অনুপ্রবেশ করা যাবে না৷ প্রয়োজন হবে বিপুলসংখ্যক প্রোগ্রামারের৷ অক্টোবর ১৯৯৫৷
ঋণ দিন

আমাদের তরুণ কমপিউটার শিক্ষার্থীরা যেনো তাদের শিক্ষাকালীন একটি কমপিউটারের মালিক হয়ে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আইটি শিল্পের বিকাশকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয় সে জন্য দেশের ব্যাংকগুলোকে সহজশর্তে ঋণদান কর্মসূচি চালু করতে হবে৷ নভেম্বর ১৯৯৫৷

নতুন বিশ্বের নেতৃত্ব

নতুন বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে কমপিউটার বিশ্ব৷ বিশ্বময় ইন্টারনেট ওয়েবের রূপকল্পকে পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে অবলোকন করার দিন শেষ হতে চলেছে৷ তথ্যপ্রযুক্তির ধারণা ও চেতনায় স্বল্পমূল্যের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার প্রত্যয় নিয়ে এবার সগৌরবে তৃতীয় বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে ইন্টারনেট ও বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিপণ্য৷ ডিসেম্বর ১৯৯৫৷

হাত-পা বাঁধা

ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সাথে জাতির সংযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য সারাবিশ্বে টেলিকমিউনিকেশন উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে৷ এ যোগাযোগ যুগপৎ প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আসবে৷ এক্ষেত্রেও বাংলাদেশের হাত-পা বেঁধে রেখেছে টিঅ্যান্ডটি বোর্ড ও ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু প্রকল্প ব্যবসায়ী৷ মে ১৯৯৬৷

ইন্টারনেট সংযোগ

ইন্টারনেটের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করার মতো জ্ঞানসম্পন্ন বা পারদর্শী শিক্ষিত জনবল দরকার৷ এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে৷ ইন্টারনেটকে সত্যিকার জাতীয় অগ্রগতির বাহন করতে হাজার হাজার দক্ষ মানুষ দরকার হবে৷ জুলাই ১৯৯৬৷

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ

দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রয়োজন জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও সরকার৷ তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়ক বেয়ে বিশ্বের সব রাষ্ট্র এক ভূমণ্ডলায়নে যুক্ত হতে চলেছে৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশে উন্নতি এখন দূরের স্বপ্ন৷ প্রলয়বোধ করাই আশু করণীয়৷ আগস্ট ১৯৯৬৷

তথ্যপ্রযুক্তি উত্পাদন মাধ্যমও

এ পরিবর্তনশীল বিশ্বের প্রধান নিয়ামক এখন তথ্যপ্রযুক্তি৷ তথ্যপ্রযুক্তি শুধু একটি লাভজনক পণ্যই নয়, উত্পাদন মাধ্যমও৷ একে জড়িয়ে জাতির বিভিন্ন অর্থনীতিতে তথা সমাজ-সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে৷ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬৷

কার্যকরী তথ্যকাঠামো

দেশে একটি কার্যকরী তথ্যকাঠামো গড়ে তুলতে হবে৷ এ জন্য অনতিবিলম্বে প্রয়োজন বিক্ষিপ্তভাবে সরকারের যেসব দফতরে কমপিউটার ব্যবস্থাপনার প্রয়াস হয়েছে সেগুলোর মূল্যায়ন ও তার অভিজ্ঞতার আলোকে সরকারের অন্যান্য দফতরে কমপিউটার ব্যবস্থাপনার সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন৷ নভেম্বর ১৯৯৬৷

সচেতন হতে হবে

সরকারের সচেতনতার অভাবে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ডাটা এন্ট্রি শিল্প শুরুতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ আমাদের তাই সচেতন হতে হবে এখনই, না হলে স্রেফ তথ্য এবং যোগাযোগ অবকাঠামোর অভাবে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের বিনিয়োগ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবো আমরা৷ জানুয়ারি ১৯৯৭৷

দূরদর্শিতা প্রয়োজন

সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে পারলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতটি দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব রাখতে পারে৷ এজন্য প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে দূরদর্শিতা এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা৷ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭৷

সুপার কমপিউটার চাই

প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের চাই সুপার কমপিউটার৷ ১৯৯২ সাল থেকেই আমরা এ দাবি করে আসছি৷ সরকারকে বিষয়টির গুরুত্ব এখনই বুঝতে হবে৷ ভারত এটি বুঝতে পেরে বহুদূর এগিয়ে গেছে৷ জুন ১৯৯৭৷

অগ্রাধিকার দিন

আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকারদের কথা চিন্তা করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতটিকে আরো বাণিজ্যিক সহায়তা ও অগ্রাধিকার দিতে হবে৷ বিদেশে ১০ জন অদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর চেয়ে একজন দক্ষ প্রোগ্রামার পাঠানোর উপযোগিতা বুঝা দরকার৷ সবকিছুতেই সফটওয়্যার শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭৷

শিক্ষার্থীরা ঠকছে

স্কুল, কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলেবাস যুগোপযোগী নয়৷ যারা শেখান তাদেরও নেই প্রশিক্ষণ৷ ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ঠকছে৷ তাই আধুনিক সিলেবাস তৈরি করে শিক্ষা দিতে হবে৷ বেসরকারি প্রশিক্ষণের অভিন্ন পাঠক্রম, পরীক্ষা পদ্ধতি ও সার্টিফিকেশন পদ্ধতি চালু করে কমপিউটার প্রশিক্ষণবিষয়ক প্রতারণা কমিয়ে আনা সম্ভব৷ অক্টোবর ১৯৯৭৷

অহেতুক আনুষ্ঠানিকতা

তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ব্যয়বহুল এবং অহেতুক আনুষ্ঠানিকতামুক্ত করতে হবে৷ বিদেশী দাতাদের অর্থে পাঁচতারা হোটেলে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সেমিনার করলেই সমস্যার সমাধান হবে না৷ প্রকৃত কাজটা করতে হবে বাস্তবতার নিরিখে৷ ডিসেম্বর ১৯৯৭৷

আমরা পিছিয়ে

দক্ষ জনবল এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা পিছিয়ে রয়েছি৷ সরকার একটু সচেষ্ট হলে প্রযুক্তিগত দৈন্য এবং জনবলের সমস্যাও দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব৷ জুলাই ১৯৯৮৷

বঞ্চিত কমপিউটার সায়েন্স

আমাদের দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট সবচেয়ে বঞ্চিত ডিপার্টমেন্টগুলোর একটি৷ তাদের না আছে ল্যাব, না লাইব্রেরি, না যথেষ্টসংখ্যক ক্লাসরুম৷ যথেষ্ট শিক্ষকও নেই৷ এখানে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ও ই-মেইলের সুযোগও পায় না৷ এর অবসান দরকার৷ আগস্ট ১৯৯৮৷

বাংলা ভাষার কোড

ভারতীয় বাংলা ও বাংলাদেশের বাংলা নামে দ্বিখণ্ডিত মাতৃভাষা চাই না৷ আমরা চাই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটিমাত্র বাংলা ভাষার কোড এবং সেটা অবশ্যই হতে হবে বাংলাদেশের বাংলা৷ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮৷

গ্রহণযোগ্য কী বোর্ড

বিজ্ঞানসম্মত ও ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কী বোর্ড প্রমিত হিসেবে ঘোষণা এবং ইউনিকোডে বাংলার জন্য নির্ধারিত স্লটে আমাদের বাংলা ভাষার কোডসেটকে প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি৷ তা না হলে অপূরণীয়-সীমাহীন দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে হবে৷ নভেম্বর ১৯৯৮৷

পূর্বশর্ত

ইন্টারনেটের সুলভ ব্যবহারপ্রাপ্তি হলো ডাটা এন্ট্রি ও সফটওয়্যার শিল্প বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত৷ কিন্তু অতিরিক্ত কর ধার্য করে এই বিকাশকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে৷ একই সাথে তরুণ প্রজন্মের মেধার সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷ এর অবসান দরকার৷ ডিসেম্বর ১৯৯৮৷

মেধাস্বত্ব আইন

মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে আইন করতে হবে৷ চৌর্যবৃত্তির পথ খোলা রেখে আমরা মেধাবী কাজগুলো নমুনা হিসেবে আমাদের ভাণ্ডারে আনতে ও রাখতে সমর্থ হবো না৷ অর্থাৎ ডাটা এন্ট্রি হতে সফটওয়্যার পর্যন্ত শত শত কোটি ডলারের কাজ আমাদের অনায়ত্ত থেকে যাবে৷ মার্চ ১৯৯১৷

কাঁচামাল যখন মেধা-মনন

সফটওয়্যার শিল্প আর দশটা সাধারণ শিল্পের মতো নয় যে কাঁচামাল কিনে এনে কারখানায় ঢুকিয়ে দিলেই বিক্রয়যোগ্য পণ্য হয়ে বেরিয়ে আসবে৷ এটিই একমাত্র শিল্প যেখানে কাঁচামাল হিসেবে দরকার হয় মেধা আর মননের৷ মে ১৯৯৯৷

কমপিউটার কিনতে উত্সাহ

আয়কর রেয়াত পাবার লোভ দেখিয়ে যেভাবে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য উত্সাহ দেয়া হয়, উচ্চহারের অবচয়ের উল্লেখ করেও সেই একইভাবে ব্যবসায়ীদের কমপিউটার কেনার ব্যাপারে উত্সাহ দেয়া সম্ভব৷ জুলাই ১৯৯৯৷

ঘরে বসে আয়

বিকল্প অর্থকরী কর্মকাণ্ডের একটি হচ্ছে স্বল্প পুঁজিতে বাড়িতেই ছোট্ট অফিস চালানো৷ পশ্চিমাদের ভাষায় যাকে বলা হয় স্মল অফিস হোম অফিস৷ ছাত্রছাত্রী, গৃহবধূ, পার্ট টাইম ওয়ার্কার, কমপিউটার পেশাজীবী থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত প্রোগ্রামাররা পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে উপার্জন করতে পারেন বাসায় বসেই৷ আগস্ট ১৯৯৯৷

টেকনোলজি পার্ক চাই

নতুন মিলেনিয়ামের শুরুতেই দেশের তথ্যপ্রাযুক্তিক অবকাঠামোর ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে৷ হাইস্পিড ডাটা ট্রান্সমিশনের সুবিধাসম্পন্ন একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক করতে হবে৷ জানুয়ারি ২০০০৷

খরচ কমবে

ভি-স্যাট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিটিটিবির নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ায় ইন্টারনেটের খরচ কমেছে৷ এর ফলে ডাটা এন্ট্রি, সফটওয়্যার রফতানি, ব্যবসায় বাণিজ্য, চিকিত্সা সেবার সুযোগ বেড়ে যাবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অবারিত সুযোগের দ্বার উন্মোচিত হবে৷ মার্চ ২০০০৷

ভি-স্যাট

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল রাজধানীর সাথে একই তথ্য অবকাঠামোর ভেতরে টেনে আনতে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের পাশাপাশি ভি-স্যাটভিত্তিক নেটওয়ার্ক কাজে আসবে৷ আমাদের নদীমাতৃক দেশে এই ভি-স্যাটনির্ভর যোগাযোগ কাঠামোই হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্গমতা, পরিকল্পনা এবং অর্থনৈতিক সামর্থ্যসিদ্ধ একমাত্র সমাধান৷ এপ্রিল ২০০০৷

ব্রডব্যান্ড

বিশ্বজনীন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ইন্টারনেট তথা ব্রডব্যান্ড পাল্টে দেবে গোটা বিশ্ববাসীর জীবনযাত্রা৷ আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এখন থেকেই এ প্রযুক্তিকে গ্রহণের জন্য উদ্যোগী হয়, তাহলে ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী সুফল আমরাও ঘরে উঠাতে পারবো৷ মে ২০০০৷

কমিটমেন্ট চাই

তথ্যপ্রাযুক্তিক কর্মকাণ্ডে বিরাজমান স্থবিরতা কাটাতে পরিকল্পনার পাশাপাশি কমিটমেন্টও দরকার৷ নইলে কোনো কর্মসূচিই বাস্তবায়িত হবে না৷ জুলাই ২০০০৷

ডিজিটাল ডিভাইড

দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে আমাদের নিজেদের স্বার্থে৷ তাই প্রযুক্তিকেন্দ্রিক বিভক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে হবে৷ এজন্য সচেতন মানুষ চাই৷ আগস্ট ২০০০৷

রাজস্ব ঘাটতির ধুয়া

রাজস্ব ঘাটতির ধুয়া তুলে প্রযুক্তিকে ঠেকিয়ে রাখার অপচেষ্টা না করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে৷ সেপ্টেম্বর ২০০০৷

কলসেন্টার

কলসেন্টার ডাটা ট্রান্সক্রিপশনের মতো সেবা শিল্প তৈরির জন্য সরকারি-বেসরকারি উভয় দিক থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে৷ এই খাতই পারে জনগণকে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রাযুক্তিক বিপ্লবের সাথে সম্পৃক্ত করতে৷ নভেম্বর ২০০০৷

সাধারণ মানুষের জন্য

কমপিউটার, ইন্টারনেট আর ই-কমার্স যেন শুধু সমাজের বিত্তবান মানুষেরই প্রযুক্তি না হয়ে ওঠে৷ এ প্রযুক্তিকে পৌঁছে দিতে হবে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে৷ ডিসেম্বর ২০০০৷

ঐচ্ছিক নয়, বাধ্যতামূলক

কমপিউটার কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং শিক্ষার প্রথম দিন থেকেই বাধ্যতামূলক বিষয় হওয়া উচিত৷ যতদিন এদেশের প্রতিটি মানুষ কমপিউটার ব্যবহার করতে না জানবে ততদিন আমরা একুশ শতকের দাবি করতে পারবো না৷ জানুয়ারি ২০০১৷

উন্নয়নে বাধা

তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত-দক্ষ জনবলের তীব্র অভাব৷ এছাড়া সাবমেরিন ক্যাবল বা ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে যুক্ত না থাকা৷ ফলে এই খাতে বিনিয়োগে বিদেশীরা এগিয়ে আসছে না৷ মার্চ ২০০১৷

মুখ ফেরাবো না

আমরা ইন্টারনেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবো না৷ বরং আমরা সন্ধানে থাকবো আরো প্রতিশ্রুতিশীল ইন্টারনেটপ্রযুক্তির খোঁজে৷ নইলে এগিয়ে যাবার সড়কপথ থেকে ছিটকে পড়বো৷ মে ২০০১৷

চাই আইপি টেলিফোনি

টেলিফোনির জগতে সুযোগ ও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে এসেছে আইপি টেলিফোনি৷ আর এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেট ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল ভিওআইপির কল্যাণে৷ গরিব দেশ হিসেবে আমাদের প্রয়োজন সস্তায় নানা ধরনের সার্ভিস৷ আইপি টেলিফোনি আমাদের দিতে পারে সস্তায় ভয়েস কল সার্ভিস৷ জুন ২০০১৷

এইচ ওয়ান বি ভিসা

আমাদের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ ওয়ান বি ভিসা পাওয়ার যোগ্য করে তুলতে পারি৷ এর ফলে দেশে বেকারত্বের চাপ কমবে৷ দেশে বৈদেশিক মুদ্রাও আসবে৷ জুলাই ২০০১৷

মাল্টিমিডিয়া সম্ভাবনাময়

এ যুগের সম্ভাবনাময় এক প্রযুক্তি হলো মাল্টিমিডিয়া৷ এই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে৷ কাটাতে হবে দুর্বলতা৷ এ খাত থেকে মুখ ফেরানো বোকামিরই নামান্তর৷ আগস্ট ২০০১৷

যুগোপযোগী কোর্স দরকার

নট্রামস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সারাদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সেখানে যেসব কোর্স চালু রয়েছে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই যুগোপযোগী নয়৷ তাই কোর্সগুলোকে করতে হবে প্রায়োগিক ও যুগোপযোগী৷ সেপ্টেম্বর ২০০১৷

সাইবার অ্যাটাক মোকাবেলা

সাইবার অ্যাটাক মোকাবেলায় আমাদের সাইবার নিরাপত্তা বিন্যাস জোরালো করতে হবে, ভৌত নিরাপত্তার মূল্যায়ন করতে হবে, নীতিনির্ধারক ও সাইবার রেসপন্স টিমের মধ্যে বহুধা যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে, ভাইরাস সিগনেচার হালনাগাদ করতে হবে, নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট অকেজো করতে হবে৷ অক্টোবর ২০০১৷

কর্মপরিকল্পনা

দেশে যে খসড়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা তৈরি হয়েছে তাকে বাস্তবভিত্তিক রূপ দেয়ার জন্য একটি যথাযথ কর্মপরিকল্পনা দরকার৷ এজন্য বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে৷ ডিসেম্বর ২০০১৷

সম্ভাবনার দুয়ার

সুযোগের সদ্ব্যবহারের সাথে সাথে খুলতে হবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার৷ এটা করতে না পারলে জাতীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখা কিছুতেই সম্ভব নয়৷ তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়কে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে হলে আমাদের হতে হবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং খুঁজতে হবে সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র৷ জানুয়ারি ২০০২৷

প্রয়োজন সহায়তা

বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পকে অনেকটা সরকারি সহায়তা ছাড়াই এগিয়ে যেতে হচ্ছে৷ এই সহযোগিতা পেলে এ খাতে রফতানি আয় বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব৷ মে ২০০২৷

আয়ের পথ

আইটি এনাবল্ড সার্ভিস খাতটি বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময়৷ একে কাজে লাগানো গেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ সুগম হতে পারে৷ ফলে এক্ষেত্রে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে বাংলাদেশ৷ জুন ২০০২৷
যা দরকার

এ মুহূর্তে প্রয়োজন সরকারের নিজস্ব কমপিউটারাইজেশন এবং আইসিটি নীতিমালা প্রণয়ন ও কপিরাইট আইন বাস্তবায়ন৷ এর সাথে বিদেশে বাজারের সন্ধান, মার্কেটিং মিশন, দেশের একটি সুন্দর ইমেজ গড়ে তোলা, অবকাঠামো গড়ে তোলা, আইটি শিক্ষার প্রসার ও মান বৃদ্ধি ইত্যাদি৷ আগস্ট ২০০২৷
প্রতারণা চাই না

ব্রডব্যান্ড নিয়ে প্রতারণা চলছে৷ ইন্টারনেট বিকাশের সময় এমন প্রতারণা দেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ নভেম্বর ২০০২৷
আউটসোর্সিং

সারাবিশ্বে যখন আউটসোর্সিংয়ের জোয়ার, তখন বাংলাদেশের অবস্থান পেছনের সারিতে৷ এ অবস্থার উত্তরণে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া দরকার৷ মার্চ ২০০৩৷

কজ ওয়েব

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
২০০৮ - জুলাই সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস