• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। অনেক সময় ছোট-বড় যেকোনো ধরনের সরকারি উন্নয়ন কর্মকা--র সিদ্ধামেত্মর জন্য কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়ার পরপরই শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত ঘটনা। এ ছাড়া সরকারি কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে আরেকটি বিষয় আছে, তা হলো কমিশনভোগীদের দৌরাত্ম্য, যা সরকারের কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়াকে অনেক দীর্ঘতর করে এবং যেকোনো উন্নয়ন কর্মকা- সম্পন্ন হতে অনেক সময় লাগে। তবে মাঝে-মধ্যে সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ব্যতিক্রমও দেখা যায়, যা ইতিবাচক দিক। কিন্তু সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়া যদি হয় অস্বাভাবিকভাবে দ্রুতগতিতে, তাহলে সেটিকে কোনোভাবেই ইতিবাচক দৃষ্টিতে নেয়া যায় না। এমনই এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। বিটিসিএল অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিকে একটি আন্তর্জাতিক ক্রয়প্রক্রিয়া মাত্র চার দিনে সম্পন্ন করার নজির সৃষ্টি করেছে। দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে রাজধানীর সংযোগ গড়ে তোলার এই কাজটির দরপত্রের যাবতীয় কাজ মাত্র চার দিনে সম্পন্ন করায় বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেদের পক্ষ থেকে। কেননা, এই চার দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান, গ্রহণ, মূল্যায়ন, অনুমোদন ও চুক্তি স্বাক্ষর ইত্যাদি সবই সম্পন্ন করেছে। এটি বাংলাদেশে সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্নের একটি রেকর্ড সময় ধরে নেয়া যায়। অধিকন্তু বিটিসিএল বিক্রেতার কাছ থেকেও সরবরাহ পেয়ে গেছে। আর এই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আরেকটি সরকারি সংস্থা টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) থেকে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে।
ক্রয়সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞেরা ছাড়া ব্যবসায়ীদের অভিমত, এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক ক্রয়ের কাজ মাত্র চার দিনে সম্পন্ন করা কিছুতেই সম্ভব নয়। কারণ, এজন্য বেশ কয়েকটি সময়ক্ষেপী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিউ) পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাঁচ-ছয়টি পদক্ষেপ সম্পন্ন করতে হয়। প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পন্ন করতে কয়েক দিন সময় প্রয়োজন। আলোচ্য ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পেয়েছি অতিদ্রুততার সাথে এসব কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। মনে হয়, টেশিস ও বিটিসিএল কর্মকর্তারা একযোগে সম্মিলিতভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন। যেহেতু এটি সরাসরি ক্রয়, তাই এর জন্য সরবরাহকারীকে অফার দেয়ার পর কমপক্ষে ১৪ দিন সময় দেয়া প্রয়োজন। সাধারণত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সাত দিন সময় নেয় একটি প্রস্তাবে ভালো-মন্দ বিস্তারিত পরীক্ষা করে দেখার জন্য। বোর্ডকে তা অনুমোদন দিতে হয়। প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে আছে আরও নানা আনুষ্ঠানিকতা। এরপর চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এমনই আরও কিছু কিছু আনুষ্ঠানিকতা। অথচ যেসব কর্মকর্তা এই সরকারি ক্রয়কাজের দায়িত্বে ছিলেন তাদের দাবি- সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুন মেনেই এই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর ও অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
এই ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের ৯ নভেম্বর, যখন বিটিসিএল বোর্ড এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় সরাসরি কেনার ব্যবস্থার আওতায় ঢাকা-কুয়াকাটা ট্রান্সমিশন সিস্টেম স্থাপনের। বৈঠকের কার্যবিবরণী স্বাক্ষর হয় ১৩ নভেম্বর। তা সত্ত্বেও দলিল মতে টেশিস ক্রয়প্রস্তাব পেশ করে ১০ নভেম্বর। টেশিস কখনই এ ধরনের সিস্টেম তৈরি বা সংযোজন করেনি। ২০০৮ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল চুক্তি স্বাক্ষরের আগে পারফরম্যান্স সিকিউরিটি নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। নোটিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর টেশিস একটি চিঠির মাধ্যমে বিটিসিএলকে নিশ্চিত করে, এটি যথাসম্ভব সংক্ষেপ্ত সময়ের মধ্যে এই সিকিউরিটি ডিপোজিট দেবে টেকনোলজি পার্টনার থেকে তা পাওয়ার পর। এখানেও আবার লঙ্ঘিত হয়েছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল।
গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এই প্রক্রিয়াটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আদালত বিটিসিএলকে নতুন করে দরপত্র আহবানের আদেশও দিয়েছেন। সরকারি ক্রয়ে এ ধরনের দ্রুততার সাথে মাত্র চার দিনে এই ক্রয়প্রস্তার সম্পন্ন করা ও অন্যান্য ঘটনা থেকে এটুকু স্পষ্ট, এখানে একটি দুষ্টচক্র কাজ করেছে। ভবিষ্যতে যাতে সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এমন অনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে ভবিষ্যতে সরকারি কেনাকাটার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আরও বড় ধরনের অনিয়মের সম্ভাবনা থেকে যাবে, যা আমাদের দেশের উন্নয়নে এক বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
আবু তাহের
পাঠানটুলী, নারায়ণগঞ্জ

দেশে স্মার্টসিটি গড়তে আহবায়ক কমিটি সফল হোক
দেশে স্মার্টসিটি গড়ার লক্ষ্য নিয়ে একসাথে কাজ করবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠনগুলো। সেই লক্ষ্যে এসব অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা মিলে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জববারকে আহবায়ক করে ওই কমিটি ঘোষণা করেছেন কয়েকটি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। এই কমিটি স্মার্টসিটিবিষয়ক পলিসি, অ্যাডভোকেসি এবং সচেতনতা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করবে। স্মার্টসিটি মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশেরই আরেকটি রূপ, যেখানে নাগরিকের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা দেয়া হবে। একই সাথে এগুলো পরিচালিত হবে একটি কেন্দ্র থেকে, যেন নাগরিকরা তাৎক্ষণিকভাবে সেই সেবাগুলো পেয়ে থাকেন।
স্মার্টসিটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করা সবগুলো অ্যাসোসিয়েশন একসাথে কাজ করবে। ফলে এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে। স্মার্টসিটি গড়ার প্রধান কাজ করবে সরকার, বেসরকারি উদ্যোগ ও জনগণ। তবে এই খাতের ট্রেড বডি হিসেবে সবাই সরকারকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। সেটা পলিসি প্রণয়ন, গাইডলাইন তৈরি থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনও কিন্তু সেই স্মার্টসিটি গড়ার লক্ষ্যেই। কিন্তু দেশে সবাই কাজ করলেও তা করছে পৃথকভাবে। ফলে দেখা যায় একই কাজ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, সিটি কর্পোরেশন কিংবা বেসরকারি সংস্থাগুলো করছে অথচ আলাদা করে। এর ফলে তা কেন্দ্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সবাই একটি গাইডলাইন ও পলিসির মাধ্যমে সেই কাজগুলো একত্রে করলে অর্থ ও শ্রমের অপচয় যেমন কমবে, তেমনি বাড়বে কাজের গতি। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে
আবদুল গাফফার
উত্তরা, ঢাকা


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস