• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সাইবার ক্রাইম: সেলুলয়েড থেকে বাস্তবে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সিকিউরিটি
তথ্যসূত্র:
সিকিউরিটি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সাইবার ক্রাইম: সেলুলয়েড থেকে বাস্তবে
অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আপনা-আপনি জ্বলে উঠল স্পাইরূপী নায়কের ল্যাপটপের ক্যামেরা লাইট। আর তার পরের দৃশ্যেই দেখা গেল সেই ছবি ছাপা হচ্ছে পত্রিকার প্রথম পাতায়। ফলাফল- বরখাস্ত করা হলো নায়ককে। কিংবা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কারও যাবতীয় ব্যাংক ব্যালেন্স তুলে নেয়া বা ছাঁটাই করা কর্মী সার্ভার রুমে ঢুকে কমপিউটারে এটা-সেটা টিপে প্রতিষ্ঠানকে পথে নামিয়ে দেয়াু হলিউডি মুভিতে হরহামেশাই এমন দৃশ্য দেখা যায়। এতদিন ‘এসব শুধু সেলুলয়েডের ফিতায়ই হয়’ বলে হেসে উড়িয়ে দিলেও নিচের তথ্যগুলো দ্বিতীয়বার ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে-
* বাংলাদেশে ২০১২ সালে হ্যাক করা হয় অন্তত ২৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট।
* ২০১৩ সালে হ্যাকড হয় র্যােপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) ও একাধিক সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইট।
* দেশে প্রথম অনলাইন ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যায় ২০১৪ সালে। সে বছর একটি বেসরকারি ব্যাংকের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ‘কম্প্রোমাইজ’ করে টাকা তুলে নেয়া হয়।
* ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং নিয়ে ২০১৬ সালের পুরোটা জুড়ে শোরগোল হলেও এর শুরু ২০১৫ সালে। সে বছর বেশ কিছু ব্যাংকের গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড স্ক্র্যামিং করে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
* বহুল আলোচিত রিজার্ভ ব্যাংক ডাকাতিতে হ্যাকারেরা ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেশি তুলে নেয়।
আমাদের দেশে এ ধরনের হামলার ঘটনা এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি হলেও বহির্বিশ্বে অহরহই ঘটছে এবং ফি বছর এত ঘটনা ঘটে যে, হয়তো কাগজ-কলম ফুরিয়ে যাবে কিন্তু ২০১৬ সালের সব ভিকটিমের নামও লিখে শেষ করা যাবে না। তাই হ্যামডলসিকিউরিটি অবলম্বনে এক-দুই কথায় উদাহরণ দিচ্ছি-
* বিশ্বের মোট কমপিউটারের ৯৯ শতাংশ কোনো না কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত।
* তেমন কিছু না করার পরও আপনার পিসি ভাইরাসের শিকার হতে পারে, যদি কখনও তাতে ওরাকল জাভা, অ্যাডোবি রিডার বা ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ইনস্টল করা থাকে।
* সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যেমন কমবেশি সবার আনাগোনা, ঠিক তেমনি হ্যাকারদের নজরও এখানেই সবচেয়ে বেশি- প্রতিদিন গড়ে হ্যাক হয় অন্তত ৬ লাখের বেশি ফেসবুক আইডি।
অনেকেই ধারণা করে থাকেন, তিনি যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না, নিশ্চয়ই তিনি ভাইরাসের আশঙ্কা থেকে মুক্ত। তার সদয় অবগতির জন্য জানিয়ে রাখছি- ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে সাইবার হামলা করা সম্ভব নয় ধারণাকে এক রকম বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে স্টাক্সনেট।
এরই মধ্যে স্টাক্সনেট সবচেয়ে বড় সাইবার হামলা হিসেবে স্বীকৃত। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো হয় এই ভাইরাস দিয়ে। ইরানের পরমাণু কার্যক্রম ঠেকানোর জন্য যে ক’টি প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে স্টাক্সনেট অন্যতম। কমপিউটার ব্যবহার করে যন্ত্রপাতি অকেজো করে দেয়ার কাজটাই করে থাকে স্টাক্সনেট।
সময়ের সাথে সাথে জীবন ডিজিটাল হওয়ায় ক্রমেই সাইবার হামলার শিকার হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। ফেসবুকে নিত্যদিনের খুঁটিনাটি শেয়ারিং থেকে টুকটাক অনলাইন শপিং- অন্তত এসব কিছু নিরাপদ রাখতে হলেও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কমপিউটার বা মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলোর আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করা, অপরিচিত মেইল থেকে অ্যাটাচমেন্ট এলে তা ডাউনলোড না করা ও কোনো সাইটের নামের শুরুতে এইচটিটিপিএস ও সবুজ চিহ্ন না থাকলে সেখানে কোনো ব্যাংকিং তথ্য উল্লেখ না করা- এসব হচ্ছে প্রাথমিক সচেতনতা।
কমপিউটার ও স্মার্ট ডিভাইসের নিরাপত্তায় ব্যবহার করুন রিভ অ্যান্টিভাইরাস। এর টার্বো স্ক্যান প্রযুক্তি পিসি স্লো না করেই নিশ্চিত করে সম্পূর্ণ সুরক্ষা। ফ্রি মোবাইল সিকিউরিটি অ্যাপসহ একক ডিভাইসের পাশাপাশি রিভ অ্যান্টিভাইরাসে রয়েছে দুই বা ততোধিক ডিভাইসে ব্যবহারসহ নজরদারির জন্য অ্যাডভান্সড প্যারেন্টাল কন্ট্রোল। ঘরে কিংবা অফিসে বসেই ক্যাশ অন ডেলিভারিতে রিভ অ্যান্টিভাইরাস কিনতে ভিজিট করুন www. reveantivirus.com অথবা কল করুন ০১৮৪৪০৭৯১৮১ নম্বরে


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা