• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > থ্রিজি সংযোগের গতি যেভাবে বাড়ানো যায়
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আনোয়ার হোসেন
মোট লেখা:৭৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
থ্রি জি
তথ্যসূত্র:
মোবাইলপ্রযুক্তি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
থ্রিজি সংযোগের গতি যেভাবে বাড়ানো যায়
আজকের দিনে আমরা প্রতি মুহূর্তে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। আমরা যে সেক্টরেই থাকি না কেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়। উদাহরণস্বরূপ- ছাত্ররা বিভিন্ন টপিকের ওপর তথ্য পেতে, ব্যবসায়ীরা বাজার সম্পর্কে সর্বশেষ খবর জানতে অথবা দেশ-বিদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের খবর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে থাকে। দেশে স্মার্টফোনের গ্রাহকসংখ্যা প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে মোবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা। কিন্তু মোবাইলে থ্রিজি সংযোগে প্রায়ই ধীরগতির কারণে বিরক্তিকর ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা হয়। ইন্টারনেটের গতি ধীর হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন- খারাপ সিগন্যাল, নেটওয়ার্কে জ্যাম বা লোড বেশি হওয়া ইত্যাদি। কোনো মোবাইল কোম্পানিই তাদের গ্রাহকদেরকে ইন্টারনেটে সম্পূর্ণ গতির নিশ্চয়তা দেয় না। তাই সব অপারেটরের ইন্টারনেটই ব্যবহার শুরুর কিছুদিন পরই গতি ধীর হতে দেখা যায়। ধীরগতির ইন্টারনেটের চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু হয় না। এ নিয়ে এক সময় টিভিতে একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করা হয়েছিল। যেখানে লোডিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ব্যবহারকারীর বয়স বেড়ে যাওয়া দেখানো হয়েছিল। ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে ব্রাউজ করা সম্ভব নয়, সম্ভব নয় পছন্দের কনটেন্ট ডাউনলোড করা। তবে সাধারণ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে থ্রিজি কানেকশনের গতি বাড়ানো সম্ভব। এবার দেখে নেয়া যাক, গতি বাড়ানোর সেই পদক্ষেপগুলো।
সঠিক ব্রাউজার ডাউনলোড করা
অ্যান্ড্রয়িড ডিভাইসের জন্য অনলাইনে প্রচুর ব্রাউজার রয়েছে। গুগল ক্রোম তাদের অন্যতম। ক্রোম ভালো ব্রাউজারগুলোর একটি। এটি ইন্টারনেটে অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্য একাধিক ডিভাইসে সিনক্রোনাইজ করতে পারে। এটি সব পাসওয়ার্ড এবং বুক মার্কগুলো স্মরণ রাখে। যদিও ক্রোম ইনস্টল হতে বেশি জায়গা নেয়। সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে মেমরি সেভিং ফিচার সংবলিত ব্রাউজার অপেরা ম্যাক্স। এর থার্ডপার্টি ভিপিএন সার্ভিস দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং, অডিও-ভিডিও প্লেব্যাক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ডাটা সেভ করা সম্ভব। এর বাইরে এটি ব্যবহারকারীর অ্যাপগুলোকে মনিটর করে থাকে। অপেরা খেয়াল রাখে কোন অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি ডাটা ব্যবহার করছে, কোনটি কম ব্যবহার করছে এবং এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ডাটা ব্যবহার ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখে। এই ব্রাউজারের একটি লাইটার ভার্সনও আছে, যার নাম অপেরা মিনি।
ব্রাউজারে ইমেজ ডিজ্যাবল করা
দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সুবিধা পাওয়ার খাতিরে ব্রাউজারকে টেক্সট অনলি করে রাখা যেতে পারে। গুগল প্লেতে পাওয়া সব ব্রাউজার অ্যাপে এই ফাংশানটি সাপোর্ট করে না, কিন্তু এই ফাংশনটি ব্রাউজারগুলোর সেটিংয়ের মধ্যে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব। একবার ব্রাউজারকে টেক্সট অনলি মোডে চালু করে নিলে এই ফিচার ব্রাউজারে ইমেজ লোড হওয়া প্রতিরোধ করবে। ইমেজ লোড হতে নেটওয়ার্কের গতির অনেকটাই ব্যয় হয়। ফলে এর অনুপস্থিতিতে ইন্টারনেটের গতি বেড়ে যাবে।
ক্যাশ মুছে দেয়া
ডিভাইস ধীরগতির হওয়ার জন্য যে নিয়ামকগুলো দায়ী, তাদের অন্যতম হচ্ছে ক্যাশ। যেসব ফোনে পুরনো ভার্সনের অ্যান্ড্রয়িড ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে ক্যাশ একটি খুব সাধারণ সমস্যা। একঝাঁক ক্যাশ ফোনকে জ্যাম করে দেয়ার সাথে সাথে ইন্টারনেটের গতিও ধীর করে দেয়। তাই ইন্টারনেটের ভালো গতির জন্য ক্যাশ মুছে দিতে হবে। এজন্য ফোন সেটিং থেকে অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে যে অ্যাপের ক্যাশ মুছে দিতে চান সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। ক্যাশ মুছে দিতে ক্যাশ ক্লিনার অ্যাপও ব্যবহার করা যেতে পারে, যার সাহায্যে একসাথে সব ক্যাশ মুছে ফেলা যাবে খুব সহজেই।
অব্যবহৃত অ্যাপ আনইনস্টল করা
ফোনে ইনস্টল করা এমন অনেক অ্যাপ থাকে, যেগুলো অনেক বেশি জায়গা দখল করে রাখার পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে সবসময় সচল থেকে ফোনের গতি ধীর করে দেয়। তাই সব অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে, দেখতে হবে সেগুলো কী পরিমাণ মেমরি ব্যবহার করছে, কত সময় ধরে সেটি সচল থাকছে ইত্যাদি বিষয়গুলো। সচরাচর ব্যবহার করা হয় না এমন অ্যাপগুলো আনইনস্টল করে দিতে হবে।
নেটওয়ার্ক সেটিং চেক করা
নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার পরও যদি ওয়েবের ধীরগতি বজায় থাকে, তবে ফোনের সেটিং চেক করে দেখতে হবে। এজন্য ফোনের সেটিং থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে হবে। ফোনের মেনুর নামগুলো ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসে ভিন্ন ভিন্ন হয়। নিশ্চিত করতে হবে ফোনটি সঠিক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত আছে এবং এটি টুজি বা থ্রিজিতে রেস্টিকটেড করে দেয়া নেই। বিশ্বেও বেশিরভাগ এলাকায় জিএসএম/ডব্লিউসিডিএমএ/ এলটিই নেটওয়ার্ক চলে। তাই এগুলোতে প্রথমে চেষ্টা করে দেখতে হবে। এগুলো কাজ না করলে আপনার এলাকাতে কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় সেটা দেখতে হবে। কিছু ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক খুঁজে নেয়।
অ্যাড ব্লক ইনস্টল করা
অনেক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ মালিক হয়তো অ্যাড ব্লক করা পছন্দ করবেন না। কিন্তু এটাই সত্য, অ্যাড প্রচুর রিসোর্স ব্যবহার করে। পাওয়ার প্রসেসিং করার সাথে সাথে অ্যাড প্রতিমাসে আপনার মোবাইল ডাটার একটা অংশ খরচ করে ফেলে। অ্যান্ড্রয়িডের জন্য ভালো একটি অ্যাড ব্লক সলিউশন খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে অনেক অ্যাড ব্লকিং ওয়েব ব্রাউজার আছে, যেগুলো ডিভাইসে থাকা ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজারের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ওয়েব পেজকে রাখবে অ্যাডমুক্ত
ফিডব্যাক : hossain.anower009@gmail.com


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস