• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > প্রণীত হোক কমপিউটারের ওয়ারেন্টি নীতিমালা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রণীত হোক কমপিউটারের ওয়ারেন্টি নীতিমালা
প্রণীত হোক কমপিউটারের ওয়ারেন্টি নীতিমালা
বাংলাদেশে ক্রেতা-বিক্রেতা বিড়ম্বনা সব সময় লেগেই আছে সেই আদিকাল থেকে। এর মূল কারণ হলো, আমাদের দেশের বাজারে ভোক্তাদের কোনো অধিকারই নেই বলা যায়। এমনকি আধুনিক প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রেও এর কোনো ব্যত্যয় হতে দেখা যায় না। প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে যে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়, তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ওয়ারেন্টিসংশিস্নষ্ট। প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টিকে কেন্দ্র করেই মূলত ক্রেতা-বিক্রেতার বিড়ম্বনার সূত্রপাত। যার চূড়ান্ত পরিণতি হলো ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হওয়া।
মূলত দেশের প্রযুক্তিপণ্যের ওয়ারেন্টির কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এ বিড়ম্বনার সৃষ্টি। প্রযুক্তিপণ্যে ক্রেতা-বিক্রেতার বিরম্বনার জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা যায় না অর্থাৎ উভয়েই দায়ী। কেননা ক্রেতারা কখনই কোনো প্রযুক্তি পণ্য কেনার সময় এর ওয়ারেন্টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তেমন কিছু জেনে নেন না, যেমন- কোন কোন শর্ত সাপেক্ষে, কতদিনের জন্য, কোন কোন কারণে এ ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে, লাইফটাইম ওয়ারেন্টি বলতে কী বোঝায়, লিমিটেড ওয়ারেন্টি বলতে কী বোঝায় ইত্যাদি বিষয়। অপরদিকে প্রযুক্তিপণ্যের বিক্রেতারাও ক্রেতাকে কখনই উপযাচক হয়ে ওয়ারেন্টি বিষয়ে তেমন কিছুই বলেন না।
সম্প্রতি দেশের প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) কমপিউটার ওয়ারেন্টি নীতিমালায় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীবান্ধব নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ওয়ারেন্টি নীতিমালা প্রমিতকরণ ও এমআরপি নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিসিএসের ৮টি শাখা কমিটির প্রতিনিধিরা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
নতুন ওয়ারেন্টি নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ক্রেতাদেরকে ওয়ারেন্টি প্রদান করা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি পূরণে এ ব্যবস্থা নিয়মিতভাবে প্রচলিত রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচুর খরচ করতে হয়। ব্যবসায় নিজেদের ক্ষতি করে কেউ সেবা দিতে চাইবেন না। তাই এমন এক নীতি প্রণীত হওয়া উচিত, যেখানে ওয়ারেন্টি সেবা দেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের কোনো খরচ হবে না। কোনো বিড়ম্বনা ছাড়াই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষেত হবে। সুষ্ঠু ধারায় প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায় পরিচালিত হবে। আরেকটি বিষয়, ওয়ারেন্টি নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) নজরদারিও দরকার।
মো: নাজমুল হাসান
আজিমপুর, ঢাকা

তথ্যপ্রযুক্তি রফতানিতে নগদ প্রণোদনা দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত
এক সময় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির খাতটি ছিল সবচেয়ে অবহেলিত এক খাত। তখন মনে করা হতো, দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটলে বেকাত্বের হার শুধু যে বেড়ে যাবে তা নয়, বরং অনেকেই চকরিচ্যুত হবেন, বিশেষ করে যারা নতুন প্রযুক্তির সাথে নিজেদেরকে আপগ্রেড করতে না পারবেন। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিটি পণ্যই ছিল অনেক ব্যয়বহুল। ফলে তা ছিল অনেকটাই সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে।
মূলত এ খাতটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারনির্ভর এক খাত, যা ছিল সম্পূর্ণরূপে আমদানিনির্ভর। অবশ্য এখনও হার্ডওয়্যার খাতটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হিসেবে থেকে গেলেও সফটওয়্যার খাতটি কিন্তু কিছুটা রফতানি খাত হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সফটওয়্যার খাতটি একটি সম্ভাবনাময় শিল্পখাত হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। বেসরকারি উদ্যোগে ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে এক রফতানি খাত হিসেবে বহির্বিশ্বে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। সরকার দেশের সফটওয়্যার খাতটি উন্নত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করলেও সফটওয়্যার রফতানিতে নগদ প্রণোদনা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। সরকার যদি সত্যি সত্যি সফটওয়্যার খাতকে শিল্পখাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে চায়, তাহলে রফতানিতে নগদ প্রণোদনা দিতে হবে যাতে এ শিল্পে ব্যবসায় করতে উদ্যোগী হন। প্রাথমিকভাবে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সফটওয়্যার খাত শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রফতানির ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত যেন শুধু সিদ্ধামেত্মর মধ্যে না থেকে বাস্তবায়িত হবে, তা আমরা সবাই প্রত্যাশা করি
পান্থ
উত্তরা, ঢাকা

২০২১ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াইফাই
ইন্টারনেট আধুনিক সভ্যতার ধারক ও বাহক। বলা হয়, আধুনিক সভ্যতার মানদ-ই হলো একটি দেশের জনগণের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে হলে দরকার ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা বাড়ানো, প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমানো, অর্থাৎ চার্জ কমানো। কিন্তু বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক বছরে অনেক বাড়লেও আশানুরূপ বলা যায় না। তাই সরকার দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
দেশের জনগণকে বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ জনবল তৈরিতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ২০২১ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও তারহীন ইন্টারনেট সেবা বা ওয়াইফাইয়ের আওতায় নিয়ে আসা। ২০২১ সাল নাগাদ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো ফাইবার অপটিক মিনিমাম ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি দিয়ে কানেক্ট করা। অবশ্য এর আগেই শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে যোগ্য করে তুলতে দেশের প্রায় ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে ফ্রি ওয়াইফাই জোন উদ্বোধন করা হয়েছে। পরিশেষে ২০২১ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াইফাই সম্প্রসারণ কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করছি।
ফাতেমা
স্টেশন রোড, রাজবাড়ী

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস