• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৭ তারা পাঁচ খুদে চ্যাম্পিয়ন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: রাহিতুল ইসলাম
মোট লেখা:৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিবেদন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৭ তারা পাঁচ খুদে চ্যাম্পিয়ন
তারা সবাই স্কুলে পড়ে। পাশাপাশি কেউ কেউ কমপিউটার প্রোগ্রামিংও করে। আবার অনেকেই জানে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে। এই শিক্ষার্থীদের নিয়েই অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৭। প্রতিযোগিতা ছিল প্রোগ্রামিং ও কুইজ-এ দুই বিভাগে। সারা দেশে ১৬টি আঞ্চলিক ও ৩টি উপজেলা পর্যায়ে এক মাস ধরে প্রতিযোগিতা হওয়ার পর ৭ এপ্রিল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পর্ব। পর্বে মোট আঞ্চলিক পর্ব থেকে বাছাই করা ১ হাজার ২০০ জন অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতায় ১১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রোগ্রামিংয়ে সিনিয়র ও জুনিয়র বিভাগে দুজন চ্যাম্পিয়ন, এবং কুইজে জুনিয়র, হায়ার সেকেন্ডারি ও সেকেন্ডারি বিভাগে তিনজন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই পাঁচ চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে লিখেছেন কমপিউটার জগৎ-এর বিশেষ প্রতিনিধি রাহিতুল ইসলাম।
ইচ্ছা বড় কিছু করে দেখানোর
রুহান হাবীব গত বছর জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় জুনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন এবং আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছিলেন। এ বছর জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় সিনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন। রুহান রাজধানীর রিজেন্ট এডুকেয়ারে ‘ও’ লেভেলে পড়াশোনা করছে। বাবা ফজলুস সাত্তার মানবাধিকারবিষয়ক গবেষক এবং মা জাকিয়া হাবীব কলেজ শিক্ষক। প্রোগ্রামিং ও পদার্থবিজ্ঞানে দারুণ কিছু করার স্বপ্ন দেখে রুহান। সে বলে, ‘ছোটবেলায় ডাক্তার হতে চাইতাম। আমার বাবা একদিন একটা বিশ্বকোষ কিনে দিলেন। তারপর থেকে আমার বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। সেখান থেকেই বিজ্ঞান ও কমপিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু।’ আপাতত ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় রুহান। আর চায় মুক্ত সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে।
থাকতে চাই প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং নিয়ে
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে পড়ছে মামনুন সিয়াম। বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং মা রোকসানা মান্নান গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সিয়াম ছোট। সে বলে, ‘আসলে এই প্রতিযোগিতায় প্রোগ্রামিংয়ের সমস্যাগুলো জটিল ছিল আবার সহজও ছিল। তবে সমস্যা সমাধানের পর বেশ মজা লেগেছে।’ বড় হয়ে কমপিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে পড়তে চায় সিয়াম। ভবিষ্যতেও থাকতে চায় প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং নিয়ে। আর চায় নিজের একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে।
গুগল বা মাইক্রোসফটে কাজ করতে চাই
সিলেট ক্যাডেট কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাশরাফুল হক। বাবা মাজারুল হক ব্যাংকে কর্মরত এবং মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কুইজ প্রতিযোগিতা নিয়ে মাশরাফুল বলে, ‘আসলে কুইজের বেশির ভাগ প্রশ্নই ছিল তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক। এর মধ্যে কমপিউটার, হার্ডওয়্যারসহ অনেক কিছু ছিল। ২০টি প্রশ্নের মধ্যে আমি ১৭টির সমাধান দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এইচএসসির পর আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাগায় পড়তে চাই। আর গুগল, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাই।’
প্রোগ্রামিং নিয়েই থাকতে চাই
ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমামুর নুরের বাবা ও মা দুজনেই ঠাকুরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ইমামুর নুর ঢাকায় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করছে। কুইজ প্রতিযোগিতার ফলাফল জানানোর সময় বেশ হতাশ হয়ে যায় ইমামুর নুর। কারণ হিসেবে সে বলে, ‘এক এক করে সবাই পুরস্কার পাচ্ছে অথচ আমার নাম নেই। পরে আমি একজনকে জানিয়ে আসি, ফলাফলে যদি কিছু হয়, তবে যেন আমাকে জানায়। এরপর আমি চলে আসি। এরপরই তিনি আমাকে ফোনে জানালেন যে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’ ইমামুর প্রোগ্রামিং নিয়েই কাজ করে যাবে বলে জানায়।
আমি দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই
খুলনা জিলা স্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে মুহাইমিনুল ইসলাম। সে বলে, ‘আসলে ঢাকায় আসার আগে আমি খুব ভালোভাবে প্রস্ত্ততি নিয়ে এসেছিলাম। আর তাই কুইজও ভালো হয়েছে। আমি চাই সফটওয়্যার প্রকেŠশলী বা রোবট প্রকৌশলী হতে। আমার একটা স্বপ্নও আছে, আমি দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস