লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
লুৎফুন্নেছা রহমান
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
২০১৭ সালের সেরা ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
পিসিতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার না রাখার কোনো কারণ থাকতে পারে না। কেননা, বর্তমানে আমাদের চারপাশে প্রচুর ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার রয়েছে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হলো অন্যতম প্রথম জিনিস, যা আপনার কমপিউটারে ইনস্টল করা উচিত। এর ফলে আপনার সিস্টেমের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রিতে পেতে পারেন উঁচুমানের নিরাপত্তা। অন্যতম এক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার সুবিধা হলো এগুলো একই ‘বহমরহব’ ব্যবহার করে, যেমনটি পেইড ভার্সনে ব্যবহার হয়ে থাকে।
আপনি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্যাকেজ থেকে আরও বেশি সুবিধা পেতে পারেন, যদি একটি ইন্টারনেট সিকিউরিটি স্যুট কিনে থাকেন। তবে অ্যান্টিভাইরাসের ফ্রি ভার্সনটি তুলনামূলকভাবে কম সুবিধা ও ফিচার সেট সংবলিত এক প্যাকেজ। যদিও কোনো কোনো ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার থেকে স্প্যাম ফিল্টার, উন্নততর ফায়ারওয়াল, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ও মোবাইল ডিভাইসের সামান্য কিছু সাপোর্ট পাওয়া গেলেও বাড়তি সুবিধা ও পরিপূর্ণ ফিচারের আশা করা উচিত নয় কোনো ব্যবহারকারীর।
অ্যাভাস্ট, এভিজি, অ্যাভাইরা, বিটডিফেন্ডার ও পান্ডা প্রভৃতি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার অফার করে বেসিক অ্যান্টিভাইরাস ফিচার অ্যান্টিম্যালওয়্যার প্রটেকশন। এ সফটওয়্যার প্যাকেজগুলোর প্রতিটিই পিসিকে হুমকিমুক্ত থাকার ভালো সুযোগ করে দিচ্ছে, যেগুলো আপনার ডাটা নষ্ট করে দিতে পারে ও প্রচুর সময় নেবে।
যেহেতু রিয়েল ম্যালওয়্যারসহ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার টেস্ট করার জন্য দরকার প্রচুর সময় ও প্রচেষ্টা এবং বলার অবকাশ রাখে না, এর সাথে দরকার প্রচ- বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের। তাই এ লেখায় উল্লিখিত পরীক্ষাগুলো নিজেরা সম্পন্ন না করে বিভিন্ন স্বতন্ত্র টেস্ট হাউসের টেস্টের ফলাফল থেকে তুলে ধরা হয়েছে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করে।
ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কি আসলেই ফ্রি?
ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসগুলো অবশ্যই ফ্রি, তবে এর জন্য হয়তো ব্যবহারকারীদেরকে কিছুটা প্রাইভেসি ট্রেড অফ বা বিনিময় করতে হয়। এভিজি এর প্রাইভেসি পলিসি তুলে ধরে যে, যখন আপনি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার পণ্য ডাউনলোড করে ফ্রি ব্যবহার করতে শুরু করবেন, তখন থেকে আপনার ব্যক্তিগত ও অপেশাদার তথ্যের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে থাকে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো এবং প্রচ- উন্মাদনার কারণ হয়ে দাঁড়ায় প্রথম প্রকাশের পর থেকেই। কিছু তথ্য থার্ডপার্টিতে সেন্ড করার অধিকার ব্যবহারকারীরা মেনে নেন, যা সম্পৃক্ত করতে পারে বিজ্ঞাপন।
অনেকেই বলে থাকেন, এভিজি এর প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে অনেক বেশি আপফ্রন্ট তথা খোলামেলা। সুতরাং প্রতিটি কোম্পানি তাদের প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে কী বলে, তা আমাদের প্রত্যেকেরই চেক করে দেখা উচিত। এগুলো সব একই ধরনের নয়। বিটডিফেন্ডার দাবি করে, এরা নিজেদের কোম্পানির বাইরে অন্য কারও সাথে তথ্য শেয়ার না করতে। অনেকের মতে, এমনটি হওয়া উচিত সিকিউরিটি পণ্যের ক্ষেত্রে।
ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কাজ করে কী?
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোকে ডিজাইন করা হয়েছে আক্রান্ত পিসি ও ল্যাপটপ থেকে প্রোগ্রাম ড্যামেজ হওয়া প্রতিরোধ করতে। সব ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস পণ্যই এ কাজটি করে থাকে। তবে সব পণ্যই একে অপরের মতো কার্যকর নয়। ফুল পেইড ভার্সন অনাকাঙিক্ষত বিজ্ঞাপন কমিয়ে দেয় এবং অফার করে অন্যান্য কিছু। বিভিন্ন স্বতন্ত্র টেস্ট হাউসের পর্যবেক্ষণের আলোকে ২০১৭ সালের জন্য সেরা কয়েকটি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। যেহেতু টেস্ট হাউসগুলো নিজস্ব কিছু রীতি-নীতি ও পর্যবেক্ষণের আলোকে সেরা অ্যান্টিভাইরাস নির্বাচন করে থাকে, তাই এ লেখায় উল্লিখিত সেরা অ্যান্টিভাইরাসগুলোর ক্রম অন্যান্য হাউসের পর্যবেক্ষণের ক্রমানুযায়ীর সাথে নাও মিলতে পারে। এখানে ২০১৭ সালের জন্য কয়েকটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
বিটডিফেন্ডার
বিটডিফেন্ডার হলো একটি রোমানিয়ান ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার কোম্পানি। এ কোম্পানিটি ২০০১ সাল থেকে অনলাইন প্রটেকশন ডেভেলপ করে আসছে। স্পাইওয়্যার ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে বিটডিফেন্ডার। এ প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীরা যেকোনো ধরনের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ও স্পাইওয়্যারের হামলার বিরুদ্ধে রিয়েল টাইম প্রটেকশনের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারবেন। বিটডিফেন্ডার হলো অ্যান্টিডায়ালার ফিচার সংবলিত প্রথম সিকিউরিটি প্রোগ্রাম, যা কার্যকরভাবে স্পাইওয়্যার ব্লক করতে সক্ষম।
যদি আপনার ডিভাইস বা মেশিনের জন্য সেরা পার্সোনাল সিকিউরিটি স্যুট ব্যবহার করতে চান, তাহলে নিঃসন্দেহে বিটডিফেন্ডার বেছে নিতে পারেন।
বিটডিফেন্ডার টোটাল সিকিউরিটি ২০১৭ টুলটি হলো উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস এবং অ্যান্ড্রয়িড প্লাটফরমের জন্য একটি কম্প্রেহেনসিভ সিকিউরিটি প্যাকেজ, যার সবগুলো ম্যানেজ হয় সেন্ট্রাল ওয়েব পোর্টাল থেকে।
ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড ও ইনস্টল করে নিতে পারবেন বিটডিফেন্ডার সফটওয়্যারের ফ্রি ভার্সন অথবা কিনে নিতে পারবেন পেইড ভার্সন। এ সফটওয়্যারের ফ্রি ভার্সনে এমন অনেক ফিচার আছে, যেগুলো পেইড ভার্সনের মতো। আর এ কারণেই নির্দ্বিধায় বিটডিফেন্ডার সফটওয়্যার ডাউনলোড ও ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারেন। বিটডিফেন্ডারের পেইড ফর টোটাল সিকিউরিটি প্যাকেজটি চমৎকার এবং এর ফ্রি অফার করা স্কোর দেখে বিস্মিত না হয়ে থাকতে পারবেন না। কেননা, এটি ব্যবহার করে একই ধরনের ভাইরাস ডিটেকশন ইঞ্জিন।
আসলে এ বছরের প্রথম দুই মাসের টেস্টের সময় সফলভাবে ম্যালওয়্যার ব্লক করায় এবং এভি-টেস্টের (AV-Test) অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্কোর ৬/৬ প্রটেকশন, দারুণ পারফরম্যান্স ও ব্যবহারযোগ্যতার কারণে বিটডিফেন্ডারকে পুরস্কৃত করা হয়।
অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস
অ্যাভাস্ট সফটওয়্যার কোম্পানির ডেভেলপ করা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস ও অ্যান্ড্রয়িডের জন্য। অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস হলো ইন্টারনেট সিকিউরিটি অ্যাপ্লিকেশনের এক পরিবার।
অ্যাভাস্ট হলো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ সিকিউরিটি কোম্পানি, যারা রিয়েল টাইম সাইবার অ্যাটাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ব্যবহার করছে পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি, তথা নেক্সট জেনারেশন টেকনোলজি।
যৌক্তিকভাবে বলা যায়, একটি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানির উচিত শুধু বেসিক প্রটেকশন ফ্রি অফার করা, তবে পেইড ভার্সনে সংরক্ষিত অ্যাডভান্সড বোনাস ফিচার। এর ব্যতিক্রম হতে দেখা যায়নি অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাসের ক্ষেত্রে। অ্যাভাস্ট ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ২০১৭ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্যের তুলনায় অনেক বেশি বাড়তি ফিচার সংবলিত। অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ২০১৭ প্রটেকশনে যুক্ত করা হয়েছে একটি নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি স্ক্যানার, একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার, একটি সিকিউর ব্রাউজারসহ অনেক কিছু।
অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ২০১৭ তৈরি করে এক স্কেলেবেল ক্লাউডভিত্তিক সিকিউরিটি অবকাঠামো, যা ইন্টারনেটে কী কী ঘটছে তার সবকিছু খেয়াল করে।
অ্যাভাস্টেও ইনোভেটিভ সিকিউরিটি অ্যাপ্রোচ যুক্ত করা হয়েছে সবচেয়ে মেধাবী ও অভিজ্ঞ সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ।
ব্যবহারকারীদের জন্য সুসংবাদ হলো, অ্যাভাস্টের অ্যান্টিভাইরাস প্রটেকশনটি পুরোপরি সলিড। অতি সম্প্রতি এভি-টেস্টের ফলাফলে দেখা গেছে ৬/৬ ও একই ফলাফল দেখা গেছে এর ব্যবহারযোগ্যতায়। শুধু পারফরম্যান্স টেস্টে ফলাফল ছিল আদর্শ মানের চেয়ে অর্ধেক পয়েন্ট কম। সম্প্রতি এসই ল্যাব (SE Labs) টেস্টের সার্বিক রেট দাঁড়ায় ৯২ শতাংশ। একই ফলাফল ছিল অক্টোবর-ডিসেম্বর টেস্টে।
মাইক্রোসফট অ্যান্টিভাইরাস
উইন্ডোজ ডিফেন্ডার উইন্ডোজ ১০ ও ৮-এ বিল্টইন এবং পিসিকে রক্ষা করে ভাইরাস ও অন্যান্য ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। সুতরাং তর্কাতীতভাবে বলা যায়, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর কাছে এটি সবচেয়ে সহজ অপশন। কেননা, ইতোমধ্যেই এটি সক্রিয় অবস্থায় কাজ করা শুরু করে দিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা ডিজ্যাবল করা হচ্ছে, অথবা অন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইনস্টল করা হচ্ছে।
যদি আপনি পিসিকে উইন্ডোজের পুরনো ভার্সন উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনি মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেন্সিয়াল ফ্রি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করে কম্প্রেহেন্সিভ ম্যালওয়্যার প্রটেকশন, যা ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ও অন্যান্য ক্ষতিকর সফটওয়্যারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এটি ব্যবহারকারীর হোম ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের পিসির জন্য প্রদান করে ফ্রি রিয়েল টাইম প্রটেকশন। এর অন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে আছে অনলাইন সিস্টেম স্ক্যানিং ও ক্লিনিং সুবিধা, ডায়নামিক সিগনেচার সার্ভিস, অফলাইন সিস্টেম স্ক্যানিং ও ক্লিনিং।
আধুনিক মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেন্সিয়াল বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য এভি ইঞ্জিনযুক্ত। এটি সেরা হিসেবে গণ্য করা না হলেও নির্দিষ্ট কিছু কাজ চমৎকারভাবে করতে পারে। মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেন্সিয়াল ও উইন্ডোজ ডিফেন্ডারের মধ্যে পার্থক্য হলো উইন্ডোজ ডিফেন্ডার তুলনামূলকভাবে ভালো প্রটেকশন অফার করে রুটকিট ও বুটকিটের বিরুদ্ধে।
জানুয়ারি-মার্চ ২০১৭-এর এসই ল্যাব টেস্টে মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেন্সিয়ালকে পুরস্কৃত করে। টেস্টে সার্বিক ফলাফল ৯৪ শতাংশ। এভি-টেস্ট প্রটেকশনের জন্য ৬-এর মধ্যে প্রদান করে ৫.৫, পারফরম্যান্সে ৫ ব্যবহারযোগ্যতায় ৬-এর মধ্যে ৬ প্রদান করে।
এভিজি
এভিজি ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক উন্নত করা হয়েছে। এটি এখন ম্যালওয়্যার ও পারফরম্যান্স ইস্যু উভয়ের জন্য স্ক্যান করতে পারে, ভুয়া ওয়েবসাইট এড়িয়ে যেতে সহায়তা করে ও নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন আপনি কতটুকু নিরাপদ।
এভিজির অ্যাডভ্যান্সড অ্যান্টিভাইরাস টুল প্রোটেক্ট করতে পারে কমপিউটার, ওয়েব ও ই- মেইল। এর রিয়েল টাইম প্রটেকশন ফিচার আপনার কমপিউটারকে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, রুটকিট, ট্রোজান ও খারাপ ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষিত করবে। এটি ব্লক করবে অনিরাপদ লিঙ্কস, ডাউনলোড ও ই-মেইল অ্যাটাচমেন্ট এবং আপনাকে সুযোগ দেবে দ্রুতগতিতে রিমুভাল ইউএসবি ও ডিভিডি ড্রাইভ স্ক্যান করার।
এভিজি আপনার সিকিউরিটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট করে। নতুন নতুন হুমকি থামিয়ে দিতে এ টুলের সাথে সমন্বিত রয়েছে অ্যাডভান্সড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রিয়েল টাইম অ্যানালাইসিস। সার্বিকভাবে বলা যায়, প্রটেকশনের ব্যাপারে এই ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস প্যাকেজটি চমৎকার ফিচার অফার করলেও বর্তমানে সেরা অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে একে গণ্য করা যায় না।
জানুয়ারি-মার্চ ২০১৭ এসই ল্যাব টেস্টের সার্বিক রেটিং দেয়া হয়েছে ৯৩ শতাংশ। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সময়ের মধ্যে এভি-টেস্টের ফলাফল ৬ স্কোরের মধ্যে ৫ স্কোর পেয়েছে। ব্যবহার যোগ্যতার দিক থেকে এটি যথার্থ।
অ্যাভাইরা
অ্যাভাইরা মাল্টিপল ডিভাইসের জন্য অফার করে কিছু শক্তিশালী ফিচার। গত বছর অ্যাভাইরার প্রিমিয়াম সিকিউরিটি ভার্সন ভাইরাস শনাক্তকরণে, ব্যবহারযোগ্যতায়, সেলফ-ডিফেন্স, রিপেয়ার এবং লো সিস্টেম ইমপ্যাক্টের আলোকে অর্জন করে সেরা ইন্ডাস্ট্রির স্কোর।
অ্যাভাইরার ইন্টারফেসটি সহজ ব্যবহারযোগ্য এবং চমৎকারভাবে ডিজাইন করা। অ্যাভাইরার সবশেষ ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নতুন ফিচার। এর ঝবধৎপযঋৎবব Toolbar-এ রয়েছে একটি ওয়েবসাইট সেফটি অ্যাডভাইজার ও অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানিগুলো থেকে আপনার অনলাইন অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করার অপশন ব্লক করা।
অ্যাভাইরা এর পণ্যের সাথে বান্ডেল করে একটি ফায়ারওয়াল। অ্যাভাইরায় ফাইল স্ক্যানকে শিডিউল করা যেতে পারে। এতে সম্পৃক্ত আছে একটি ক্যুইক স্ক্যান সেট, যা বাইডিফল্ট প্রতি ১৬৮ ঘণ্টা পরপর রিপিট করে অথবা বলা যেতে পারে প্রতি সপ্তাহে একবার রিপিট করে।
এভি-টেস্টে অ্যাভাইরার স্কোর দারুণ। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি ২০১৭-এর এভি-টেস্টে প্রটেকশনের জন্য অ্যাভাইরার স্কোর ৫.০ ও পারফরম্যান্স স্কোর ৬-এর মধ্যে ৫.৫। তবে অতি সম্প্রতি SE Labs অ্যাভাইরার ওপর কোনো টেস্ট পরিচালনা করেনি। সার্বিকভাবে বলা যায়, অ্যাভাইরার পেইড ভার্সনের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় এর ফ্রি ভার্সনটি দারুণ কার্যকর
ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com