• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বন্ধ করা হউক অবৈধপথে আন্তর্জাতিককল
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বন্ধ করা হউক অবৈধপথে আন্তর্জাতিককল
বন্ধ করা হউক অবৈধপথে আন্তর্জাতিককল
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে বিষয়গুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত, সমালোচিত, বিভিন্ন সভা-সেমনিারের মাধ্যমে দাবী আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে, সরকারের শীর্ষস্থানীয় নীতি-নির্ধারণী মহল থেকে কিছু দিন পরপর আশার কথা শোনানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো সম্ভবত অবৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল বন্ধ করার কথা।
বলা যায়, প্রায় ১৫-২০ বছর ধরেই আমরা শুনেআসছি, অবৈধপথে ভিওআইপিকলচলছে।আরএরফলে বৈধপথে আসাকলেরসংখ্যাকমছে। ফলেসরকারভিওআইপিকল থেকে বিপুলপরিমাণরাজস্বহারাচ্ছে।সরকারআসেসরকারযায়। নতুন করেদায়িত্বপাপ্তকর্মকর্তারা দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণাদিয়েবলেন, অচিরেইঅবৈধভিওআইপিকলবন্ধকরাহবে। সংশ্লিষ্টমন্ত্রীরা দায়িত্ব নিয়েঅবৈধভিওআইপিকলবন্ধকরারব্যাপারে জেহাদ ঘোষণারকথাজাতিকেশুনিয়ে থাকেন প্রায় সময়। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে, অনেকটা মৌলস্নার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত এর মতো।সাধারণমানুষমনেকরে, এবারবুঝিসত্যিই দেশে অবৈধভিওআইপিকলের মালিক-মোক্তারদের পতনঘটবে। দেশ থেকে বিদায় নেবেঅবৈধভিওআইপিকল। কিন্তু কয়দিন পরই স্পষ্টহয়েযায়, এ দেশ থেকে অবৈধভিওআইপিকলেররাজত্বেরঅবসানঘটারনয়। কারণ, প্রভাবশালীমহল এ ক্ষেত্রেতাদের স্থায়ী আসন গেড়েবসেআছে। যাদের সামনেসরকারকেও যেনঅসহায়মনেহয়। নইলেবছরের পর বছর দেশে অবৈধভিওআইপিকলনিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনারপরওকিকরেতাআজোঅবাধে চলছে অবৈধ ভিওআইপি্ব্যবসায়।
অতিসম্প্রতিএকটিজাতীয় দৈনিকের খবর থেকে জানাযায়- দেশে বিশেষসুবিধানিয়েপ্রভাবশালী ব্যক্তিদের মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডবিস্নউ) প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত মুনাফাকরছে আইজিডবিস্নউরওপরএকচেটিয়ানিয়ন্ত্রণপ্রতিষ্ঠারমাধ্যমে। তাদের এই একচেটিয়ানিয়ন্ত্রণের ফলে পথে বসছেন স্বল্প আয়েরভিওআইপিসার্ভিস প্রোভাইডার (ভিএসপি) লাইসেন্সধারীরা। এ ধরনেরনিয়ন্ত্রণের ফলে বৈধপথে ভিওআইপিকলকমে যাচ্ছে। আর এ খাতেসরকারেররাজস্বহারানোরপরিমাণওবাড়ছে।চলতিবছরেরশুরুতেইবাংলাদেশ টেলিযোগাযোগকমিশনে (বিটিআরসি) জমা দেয়া মোবাইল অপারেটরদের সংগঠনঅ্যামটবেরহিসাবে দেখাযায়, বৈধপথে আসাকলেরপরিমাণপ্রতিমাসেগড়ে প্রায় ৫৮ কোটিমিনিটকমেছে। এরফলেসরকার প্রতিমাসেরাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ২ হাজার কোটিটাকা। কিন্তু আইজিডবিস্নউপ্রতিষ্ঠানগুলোরআয়হচ্ছেপ্রায় দেড় হাজার কোটিটাকা।
তবেবরাবরেরমতোঅবৈধকলবন্ধেরব্যাপারেসরকারিআশ্বাসপ্রক্রিয়াকিন্তু থেমে নেই। আন্তর্জাতিককলেরমূল্য নির্ধারণ ও সরকারেররাজস্ব ভাগাভাগিরবিষয়েবিটিআরসিএকটিবাস্তবসম্মত প্রস্তাব তৈরিকরেছে।এই প্রস্তাববাস্তবায়িতহলেসরকাররাজস্ব হারাবেনা, সংশ্লিষ্টব্যবসায়ীরাওক্ষতিগ্রস্তহবেননা। এখন দেখার বিষয়,প্রস্তাবটিকতদিনে বাস্তবায়িত হয়। এর সফল বাস্তবায়ন আদৌও জাতি দেখতে পায় কি না। নাকি এটিও আগের মতো কথামালার ফুলজুড়ি মাত্র।
আন্তর্জাতিকতথ্যপ্রযুক্তি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানলার্ন এশিয়ারএর মতে দুটিকারণেঅবৈধআন্তর্জাতিককলনিয়ন্ত্রণকরাযাচ্ছে না। প্রথমত, সরকারের অতিরিক্ত পরিমাণরাজস্ব ভাগাভাগিরহারনির্ধারণ। দ্বিতীয়ত, মধ্যস্বত্বভোগীসৃষ্টিরমাধ্যমে ভয়েসকলঅপারেটরদের হাতেব্যবসায়নারাখা। আসলে, বাস্তবতাবিবেচনানাকরেভিএসপিলাইসেন্স দেয়ারসিদ্ধান্তছিলভুল। এখনতা-ই প্রমাণিতহয়েছে।
আসলেভিওআইপিব্যবসায়নানাজটিলতার শেষ নেই। সময়ের সাথে এসবজটিলতাশুধুবাড়ছেই। তবেসমস্যার মূলে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এদেরঅবস্থানযতদিন এ খাতেটিকে থাকবে, ততদিন এ খাতেসুষ্ঠুব্যবসায়েরসুযোগসৃষ্টিহবেনা। চলবে মধ্যস্বত্বভোগীদেরকায়েমি অবৈধভিওআইপিকলব্যবসায়। তাই মধ্যস্বত্বভোগীদেরহাত থেকে ভিওআইপিব্যবসায়কে বেরকরতেইহবে। আরএজন্য প্রয়োজনসরকারেরসদিচ্ছা ও কঠোরঅবস্থান।
প্রীতম

স্যামসাং-এর কারখানা এবং আমাদের প্রত্যাশা
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত পুরোপুরি আমদানি নির্ভর এক খাত। এখাতে বিপুল পরিমাণের অর্থ খরচ হয় প্রযুক্তিপণ্য কিনতে যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা পুরোপুরি পেতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই প্রযুক্তিপণ্যের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে এবং উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে নিজেদেরকে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রে। এ কাজটি রাতারাতি বাস্তবায়ন করা কোনোভাবে সম্ভব নয়। এজন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। ম্যানফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট গড়ে তোলার জন্য দরকারপ্রয়োজনীয় আবকাঠোমো গড়ে তোলা। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি চাই দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার পবিকল্পনা।
অনেকদিন ধরে শুনে আসছিলাম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য প্রস্ত্ততকারক বাংলাদেশে ম্যানফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে আগ্রহী। কেননা চীন, ভিয়েতনাম সহ অন্যান্য দেশের শ্রম মূল্য অনেক বেড়েগেছে। তাই এসব কোম্পানি মূলত সস্তা শ্রম-মূল্যের বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে আগ্রহী। সম্প্রতি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাং বাংলাদেশীদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য তুলে দিতে নরসিংদীতে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট করছে। এই উদ্যোগে স্যামসাংয়ের সাথে থাকছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার কামার গাঁওয়ে ১৬ একর জায়গার ওপর এই কারখানার ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেছেন। এই কারখানায় টিভি, রেফ্রিজারেটর, এসি, মাইক্রোওয়েভওভেন ও ওয়াশিং মেশিন প্রস্ত্তত করা হবে। স্যামসাংয়ের দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় এখানকার সব পণ্য প্রস্ত্তত করা হবে।সাড়ে ৭ লাখ স্কয়ার ফুটের এই প্লান্ট থেকে বছরে ৪ লাখ রেফ্রিজারেটর, ২ লাখ ৫০ হাজার মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ১ লাখ ২০ হাজার এসি, ২ লাখ টিভি ও ৫০ হাজারওয়াশিং মেশিন তৈরি হবে।বিশ্ব খ্যাত স্যামসাং প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে। এ প্লান্টে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশী ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে স্যামসাং পণ্য কিনতে পারবে। তিন হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এখানে।স্যামসাংয়ের এই উৎপাদন ইউনিটটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের ব্যবসায় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি হবে। আমরা আশা করছি. আগামীতে আরো কিছু প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশে তাদের পণ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট এখানে প্রতিষ্ঠা করবে যা আমাদেরঅর্থনীতিতে রাখবে এক বলিষ্ট ভূমিকা রাখবে।
আসাদ চৌধুরী
উত্তরা, ঢাকা।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - আগস্ট সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস