• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল ক্যামেরা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: লাকিতুল্লাহ প্রিন্স
মোট লেখা:৩২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ডিজিটাল ক্যামেরা
তথ্যসূত্র:
প্রযুক্তি বাজার
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল ক্যামেরা

প্রয়োজনের তাগিদে বিবর্তনের ধারায় ম্যানুয়্যাল ক্যামেরা থেকে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরার উদ্ভাবন ঘটে৷ তা আরো উন্নত হয়ে ডিজিটাল ক্যামেরায় রূপান্তরিত হয়েছে৷ কিন্তু কাজ একই : ছবি তোলা৷ ছবি তোলাতেও প্রযুক্তির ছোঁয়া আজ সবাইকে করেছে মুগ্ধ৷ ক্যামেরা এনালগ হোক বা ডিজিটাল, কাজ একই : ফটোগ্রাফি৷ সহজ বাংলায় যাকে বলে ছবি তোলা৷ ১৮৯৩ সালে বিজ্ঞানী স্যার জন এফ ডবি­উ হার্সেল ফাগ্রোফি শব্দটির প্রথম ব্যবহার করেন৷ এরপর ক্যামেরার প্রবর্তন হয়৷ ১৮৩৯ সালে ১২০ পাউন্ড ওজনের ক্যামেরা বাজারে আবির্ভাব ঘটে৷ বর্তমানে সেই ক্যামেরা রূপান্তরিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরায়৷ ওজন কমেছে, কমেছে দাম৷ বেড়েছে এর ফাংশনগুলো৷ আর পরিবর্তনের হাওয়া আজ বয়ে চলেছে ডিজিটাল ক্যামেরার ভুবনে৷



ফিল্মলেস ক্যামেরা

একটি ডিজিটাল ক্যামেরা এবং একটি ফিল্মভিত্তিক ক্যামেরার মাঝে মল পার্থক্য হলো ডিজিটাল ক্যামেরাতে কোনো ফিল্ম লাগে না৷ ডিজিটাল ক্যামেরাতে একটি সেন্সর থাকে, যা আলোকে ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জে রূপান্তর করে৷ বেশিরভাগ ডিজিটাল ক্যামেরাতে থাকে চার্জ কাপলড ডিভাইস (সিসিডি)৷ এছাড়া কিছু নিন্ম মানের ক্যামেরায় মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর (সিএমওএস)টেকনোলজি ব্যবহার হয়৷



ক্যামেরার রেজ্যুলেশন

ক্যামেরার সর্বোচ্চ মানের ইমেজ ধারণক্ষমতাকে সাধারণ ভাষায় বলা হয় রেজ্যুলেশন৷ এটি পরিমাপ করা হয় পিক্সেলে৷ যদি ক্যামেরার ৬৪০-৪৮০ পিক্সেলের রেজ্যুলেশন আছে বুঝায়, তবে বুঝতে হবে ছবিটির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা প্রস্থ ৬৪০ এবং উচ্চতায় ৪৮০ পিক্সেল৷ ক্যামেরার মান মলত এর রেজ্যুলেশনের পার্থক্যের ওপর নির্ভর করে৷ বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরার রেজ্যুলেশন হলো-

২৫৬-৫৬ পিক্সেল : এটি সর্বমোট ৬৫,০০০ পিক্সেল সংখ্যা ধারণ করে৷

৬৪০-৪৮০ পিক্সেল : এটি সর্বমোট ৩,০৭,০০০ পিক্সেল সংখ্যা ধারণ করে৷

১২১৬-৯১২ পিক্সেল : এটি সর্বমোট ১১,০৯,০০০ পিক্সেল সংখ্যা ধারণ করে৷

১৬০০-১২০০ পিক্সেল : এটি সর্বমোট ১০.২ মেগা পিক্সেল সংখ্যা ধারণ করে৷

ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার গাইডলাইন

বাংলাদেশে ডিজিটাল ক্যামেরার প্রচলন বেশ কয়েক বছর আগে হলেও এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় গত ১/২ বছর আগে থেকে৷

বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের ও মডেলের ডিজিটাল ক্যামেরা পাওয়া যাচ্ছে৷ এসব ক্যামেরার রেজ্যুলেশন, পিক্সেল, মেমরি কার্ড, এলসিডি ডিসপে­ ও অন্যান্য বিল্ট ইন সুবিধার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে৷ আপনি কোনটি কিনবেন? ক্যামেরা নির্বাচনের আগে আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ্য বুঝতে হবে৷ এজন্য আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে৷ এরকম কিছু বিষয় নিচে দেয়া হলো :

যদি পার্টি, জন্মদিন বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবি তোলার জন্য শুধু ব্যবহার করতে চান, তাহলে খুব উচ্চ কনফিগারেশনের ডিজিটাল ক্যামেরার দরকার নেই৷ যদি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হন, তাহলে অবশ্যই সর্বোচ্চ সুবিধাসম্পন্ন মডেলের দিকে তাকাতে হবে, যেগুলো অনেক বেশি ম্যানুয়াল সেটিং এবং অনেক মেগাপিক্সেলের সুবিধা দেবে৷



যদি নতুন ফটোগ্রাফার হন অথবা ফটোগ্রাফি শিখতে চান, আপনাকে সাবলীল ক্যামেরা খুঁজতে হবে, যেটাতে ম্যানুয়ালি এবং অটোমেটিক উভয় মোডেই শুট করার অপশন থাকবে৷ শাটার স্পিড, অ্যাপারচার, ফোকাস-এগুলো ম্যানুয়ালি থাকলে আপনি SLR ক্যামেরা ব্যবহারে অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন৷

কম দাম দিয়ে অটোমেটিক ক্যামেরা কিনলে এটা দিয়ে উঁচুমানের ছবি আশা করা যাবে না৷ ভালো মান পেতে ভালো দামও দিতে হবে৷

বাজারে নতুন অনেক কোম্পানির সাধারণ অটোমেটিক ক্যামেরা আছে৷ ক্যানন, সনি, অলিম্পাস, ফুজি ইত্যাদি বড় কোম্পানি সাধারণ ক্যামেরার পাশাপাশি উন্নতমানের ক্যামেরাও তৈরি করে৷ নিজেকে যদি উন্নতমানের ফটোগ্রাফার মনে করেন বা ভালো মানের পেশার লক্ষ্য থাকে, তাহলে সর্বোচ্চ সুবিধার কথা ভাবতে হবে৷

সাধারণত ৩.২ মেগাপিক্সেল থেকে উচ্চ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাগুলো উঁচুমানের হয়৷ উঁচুমানের ক্যামেরায় ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক উভয় মোডসহ লেন্স পরিবর্তনের সুবিধাও থাকে৷ হুট করে কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন-কী কাজে এটা ব্যবহার করবেন, আপনার বাজেট কত?

যদি সক্ষ্ম মডেল পছন্দ করতে চান সেক্ষেত্রে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাই ভালো৷ এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নেয়া উচিত৷ তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট ভিজিট করুন৷ এখানে অনেক তথ্য পাবেন৷ এভাবে আপনি সঠিক ক্যামেরা নির্বাচন করুন৷ সঠিক ক্যামেরা দিয়ে অসাধারণ ছবি তুলুন৷

সতর্কতা

আপনি যে ক্যামেরাটি কিনবেন তা যেন সঠিক ব্র্যান্ডের ও গ্যারান্টি সহকারে হয়৷ এজন্য নির্ধারিত আমদানিকারক বা ডিলারের কাছ থেকেই ক্যামেরা কেনা ভালো৷ এতে ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টির পাশাপাশি অরিজিনাল ক্যামেরাটি কিনতে সক্ষম হওয়া যায়৷ আমরা অনেকেই জানি না, বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া মোট ক্যামেরার প্রায় ৯০ শতাংশই আসে অবৈধভাবে গ্রে মার্কেটের মাধ্যমে৷ ফলে এসব ক্যামেরার ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে না৷ তাই কেনার আগে এদের সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা জেনে নিন৷ এছাড়া কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ডটিও সংগ্রহ করে নেবেন৷

শেষ কথা

বিশববাজারে ক্যানন, সনি, অলিম্পাস, ফুজি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের বেশ কিছু মডেলের ভালো ক্যামেরা রয়েছে৷ যেগুলো বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রতিনিয়তই প্রতিযোগিতা করে আসছে৷ ফলে বাজারে এদের অবস্থান বেশ সুদৃঢ় এবং এদের মানও ভালো৷ এসব ক্যামেরার মধ্যে বাংলাদেশে ক্যাননের দখলে আছে ৪০-৬০ শতাংশ৷ বাংলাদেশে ডিজিটাল ক্যামেরার একমাত্র পরিবেশক জেএএন অ্যাসোসিয়েট লি.৷ এ মুহূর্তে বাংলাদেশে ক্যাননের বেশ কয়েকটি মডেলের ক্যামেরা পাওয়া যাচ্ছে৷ তার মধ্যে কিছু হলো : 40D, 350D, 400D (DSLR), A550, A460, A720 (Power Shot)৷ আপনি যেখান থেকেই ক্যামেরা কিনুন না কেনো তা যেনো অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয় এবং অনুমোদিত ডিলার থেকে হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে৷ ক্যামেরা কেনার সময় ওয়ারেন্টির ব্যাপারে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে৷
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
২০০৮ - জানুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস