বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনে স্মরণাতীতকালের মধ্যে সবচেয়ে উল্ল্যেখযোগ্য পরিমাণে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়েছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির অনেক খাতের যুগোপযোগী ব্যবহার দেখে। যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। শুধু তৈরি করা বললে বোধহয় ভুলই বলা হবে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সব ক্ষেত্রে এই পরিচয়পত্র যাতে কাজে লাগানো যায় সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এবারে জাতীয় নির্বাচন এমনভাবে সম্পাদন করা হয়েছে, যা আগে কখনও করা হয়নি। সরাসরি যোগাযোগ বা ডাক ব্যবস্থার পরিবর্তে নির্বাচনের বিভিন্ন কাজে দেশীয় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারবিহীন ডাটা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের দেশের জন্য যতটুকু সম্ভব প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। দেখা যাক, কী কী প্রযুক্তির সাহায্যে এবারের নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ন্যাশনাল আইটি কনসালট্যান্ট এ আর আজিমুল হক রায়হান বলেন, এবারের নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি করা ভোটার লিস্ট খুবই আধুনিক উপায়ে তৈরি করা হয়েছে, যা শুধুই ভোটার তালিকা হিসেবে ব্যবহার না করে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ সংরক্ষণ যে শুধুই নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য তা নয়। জাতীয়ভাবে নাগরিককে শনাক্ত করার কাজেও এ তালিকা সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য একটা স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।
এ আর আজিমুল হক রায়হান
ভোটার তালিকা তৈরি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে ইউএনডিপির (ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) সহায়তায় প্রায় আট হাজার ল্যাপটপ দিয়ে ভোটারদের ডাটা সংগ্রহ করা শুরু হয়। তারপর এগুলোকে প্রসেসিং করা হয় বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন ধাপে। এবারের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন নিজস্ব GIS (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ভিত্তিক একটি সিস্টেম তৈরি করেছে। ভোটারদের ডাটা রাখার জন্য এই সিস্টেমে GEOCODE (জিওস্প্যাশাল এনটিটি অবজেক্ট কোড) ব্যবহার করে ফিল্ডে অ্যাড্রেসিং করা হয়েছে। যার ফলে এটা যে শুধুই জাতীয় কাজেই ব্যবহার করা হবে তা নয়, যথাযথভাবে যেকোনো কাজে এটা ব্যবহার করা যাবে। সেই সাথে এসব ডাটা সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রতিবছর যাতে এটি আপডেট করা যায়, সে ব্যাপারে ও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ভোটারের ডাটা কালেক্ট বলতে শুধুই যে তার বিভিন্ন তথ্য জমা রাখা হয়েছে, ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। তথ্যের পাশাপাশি ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়েছে বিভিন্নভাবে। এসব ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিংয়ের জন্য শুরুতেই একটি ম্যাচিং এলগরিদম তৈরি করে নেয়া হয়েছে। এই ম্যাচিং এলগরিদম ব্যবহার করা হবে নানারকম ডুপ্লিকেশন প্রতিহত করার কাজে। এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিংয়ের কাজ উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে আন্তঃজেলা বা দেশব্যাপী ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানান। এসব ডাটা পরে NIRA-কে (ন্যাশনাল আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) সরবরাহ করা হবে।
প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, জিআইএসভিত্তিক একটি সিস্টেম আবার কী? জিআইএসভিত্তিক সিস্টেম এমন একটি মাধ্যম বা উপায়, যাতে কোনো নির্ধারিত অঞ্চলের উপাদান বা কনটেন্টের (নাগরিক বা মানুষও এই কনটেন্টের আওতায় পড়তে পারে) ডাটা বা উপাত্ত সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা, পর্যালোচনা, ব্যবস্থাপনা এবং উপস্থাপন করা যায় সেই ব্যবস্থা। যাতে করে যেকেউ সেই সিস্টেম থেকে কনটেন্টের মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট কিছু খুঁজে বের করতে বা প্রয়োজনমাফিক ডাটা যাচাইবাছাই করে কাজে লাগাতে পারে। এই GIS বেইজড একটি সিস্টেম সাধারণত নানা গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, আর্কিওলজি, পরিবেশগত ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট, আরবান প্ল্যানিং, কার্টোগ্রাফি, ক্রিমিনোলজি, ভৌগোলিক ইতিহাস, মার্কেটিং, লজিস্টিকস ইত্যাদি অন্যতম।
জিআইএসভিত্তিক সিস্টেমের মাধ্যম শুধু নির্বাচন কমিশনই নয়, ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়েও নানারকম অথেন্টিকেশন প্রসেসের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের দেশে অনেক সময় ব্যাংকে, স্টক মার্কেটে বা এরকম প্রতিষ্ঠানে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করা হয়। এই সিস্টেম কম্প্যাটিবল করে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করা হয়েছে বলে এ ধরনের ভুয়ামি প্রায় পুরোটাই রোধ করা সম্ভব। দেখা যায়, আমাদের দেশে বিও অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে অনুমোদিত সংখ্যার বেশি অ্যাকাউন্ট অনেকেই ব্যবসায়ের সুবিধার্থে খুলে রাখেন। আবার দেখা যায় অন্যায় উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ভিত্তিহীন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। জিআইএসভিত্তিক সিস্টেম কম্প্যাটিবল বলে এই পরিচয় তালিকা দিয়ে এসব অযাচিত ভুয়ামি দূর করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, শুধু ভোটারদের ডাটা নিয়ে একবার নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়নি। ভোটার তালিকার জন্য প্রথমে ভোটারদের কাছ থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন প্রসেসিং করার পর ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়, যাতে করে অতীতের মতো নির্বাচন এলেই নতুন নতুন ভোটার তালিকা তৈরি বা ভুয়া ভোটার সৃষ্টি প্রতিহত করা সম্ভব হয়। শুধু ভোট বা নির্বাচন নিয়েই নয়, পরীক্ষামূলকভাবে অনেক ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানও এসব ডাটা নিচ্ছে ভবিষ্যতে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে। তারা এটাকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত আইডেন্টিটির ডুপ্লিকেশন বা ভুয়া পরিচয় বের করতে পারবে। এটা সম্ভব হয়েছে যেহেতু ফিঙ্গারপ্রিন্ট কাজে লাগানো হয়েছে তার কারণে। আর আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ডুয়াল আইডেন্টিটির প্রমাণ পেয়েছি। আমরা এমন দেখেছি যে চেহারা বদল করে নতুন পরিচয় মানুষ নিতে চেয়েছে। এসব সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং এ ধরনের ভুয়া পরিচয় বের করা এখন অনেক সহজ।
ভোটারদের আইডেন্টিটি প্রসেসিংয়ের এক পর্যায়ে তিনি আরো বলেন, ডাটাবেজের কাজ করার সময় নির্বাচন কমিশনের ডাটাগুলো ম্যাচিং করার ফলে অনেক ভোটারেরই ডবল আইডেন্টিটি ধরা পড়েছে। আইসিটির কল্যাণেই আমরা এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, সব ধরনের প্রসেসিং করার পর নির্বাচন কমিশন একটি ডাটাসেন্টার বানিয়েছে যাতে স্টোরেজ ক্ষমতা ৩০ টেরাবাইট (১০২৪ গিগাবাইটে ১ টেরাবাইট ধরা হয়)। বাংলাদেশে নানারকম স্টোরেজ সার্ভারের মধ্যে এটাই আমাদের জানামতে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার স্টোরেজ সিস্টেম। এর মধ্যে প্রায় ১৫ টেরাবাইটের মতো আমাদের প্রয়োজন পড়বে। বাকিটা ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সংরক্ষিত হয়েছে। এজন্য আমরা আপাতত দুটি সার্ভার বসিয়েছি। ভবিষ্যতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সার্ভার রুম তৈরি করে তাতে সার্ভারসহ ১০টি করে ল্যাপটপ রাখা হবে। এগুলো করা হবে নতুন ভোটার সংযোজন বা পরিবর্তনের জন্য। সেই সাথে প্রতি বছর যাতে এগুলো সংযোজন বা পরিবর্তন করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।
সংযোজন এবং বিয়োজনের প্রশ্নে তিনি আরো জানান, এসব ক্ষেত্রে মূল ডাটা কেন্দ্রে ব্যাকআপ রেখে তারপরে সম্পাদনা বা এডিট করতে দেয়া হবে। মূল ডাটা কোনোভাবেই যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা হবে। আর এডিট করতে তখনই দেয়া হবে, যখন আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হব যে উপজেলা সার্ভার রুমের কর্মীরা এসব কাজে যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠেছে। তাই ডাটা নষ্ট হবার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়াও সাধারণ জনগণ যাতে এসব ডাটা নিতে বা চেক করতে পারে সেজন্য আমরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভোটারদের তথ্য নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি উপজেলা সার্ভাররুমে তথ্য সংযোজন বিয়োজন এবং সম্পাদনে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ওয়েব ক্যাম এবং স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এগুলো অতিরিক্ত পাওয়ার না নেয় সেরকম ওয়েব ক্যাম, স্ক্যানার যুক্ত করা হয়েছে। আর বিদ্যুৎ ছাড়াও অন্তত তিন ঘন্টা যাতে এসব প্রযুক্তিভিত্তিক যন্ত্রাংশ কাজে লাগানো যায় এবং মানুষকে সেবা দেয়া যায় সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেকোনো মানুষ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারবেন www.ecs.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে।
নির্বাচন উপলক্ষে এবারে নির্বাচন কমিশনের সাথে উপজেলা লেভেলে ইন্ট্রানেটওয়ার্কিং করা হয়েছে। নির্বাচনী হলফনামা জেলা পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ওয়্যারলেস জুম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের পর আমরা উপজেলা পর্যায়ে এই কাজগুলো করবো। আর ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগ করা হবে এই ইন্ট্রানেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
এই ইন্ট্রানেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সফলভাবে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতে এর ব্যবহার বাড়ানো হবে। এই ব্যবস্থা সাধারণত দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। একটি হয়েছে অ্যাসেট ডেভেলপমেন্ট সিস্টেম এবং নির্বাচনী প্রগ্রেসিভ ফলাফল পাঠানো।
এবারের নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তির আরেকটি ব্যবহার দেখা যায় মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানানোর ব্যবস্থা রাখায়। অবশ্য ওয়েবের মাধ্যমেও নির্বাচন কমিশনের সাইটে ফলাফল দেখানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেইসাথে ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল আলাদা হেলপ লাইনের। এই হেলপ লাইনের মাধ্যমে নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা অভিযোগের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
ভৌগোলিক অবস্থান বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই নির্বাচনী এলাকা অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে মানচিত্র বা অ্যাটলাস প্রকাশ করা হবে। আর পুরনো বিভিন্ন তথ্য এবং আনুষঙ্গিক ডাটা প্রসেসিং করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ইউনিকোডভিত্তিক একটি কনভার্টার, ফন্ট প্রভৃতি তৈরি করা হয়েছে। পুরনো ডাটার সাথে নতুন ডাটার সমন্বয় করার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক পুরনো তথ্য কনভার্ট করতে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু এই কনভার্টার থাকার কারণে খুব সহজেই আমরা ইউনিকোডে কনভার্ট করতে পারবো। আমাদের এই কনভার্টার যেকেউ www.ecs.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে পারবেন।
এবারের নির্বাচনে অন্যান্য মিডিয়ার পাশাপাশি ইকেট্রনিক মিডিয়ারও ব্যাপক ভূমিকা ছিল। নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে পাশাপাশি নির্বাচনী স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে।
নির্বাচনের সময় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণত এসব নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয় নিরাপত্তার কারণে।
এবারে প্রথমবারের মতো এধরনের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়নি। আর নির্বাচনী বিভিন্ন কাজে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ইন্টারনেটের সহায়তা নেয়া হয়েছে। সারাদেশ থেকে এই অনলাইন সুবিধা নেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সিটিসেলের জুম নেটওয়ার্কক। এমনকি ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠনোর জন্যও এই জুম নেটওর্য়াক ব্যবহার করা হয়েছে।
সব ভোটকেন্দ্রে এবারে ছবিসহকারে ভোটার তালিকা আগেই পাঠানো হয়েছে বলে এবারে ভোট গ্রহণ দ্রুত সম্ভব হয়েছে। যার ফলে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ার পরেও পুরো ভোটিং প্রক্রিয়া দ্রুত হয়েছে। সেইসাথে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ভোটের পরিসংখ্যান দ্রুত প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।
প্রযুক্তির সার্বিক ব্যবহার শুধু এই নির্বাচনেই নয় ভবিষ্যতেও চালু রাখা হবে বলে আমরা আশা রাখি। প্রযুক্তির এমন ব্যবহারের ফলে নির্বাচন যেমন সুষ্ঠু করা সম্ভব, তেমনি পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত করা সম্ভব। তাই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এমন উন্নত নির্বাচন আমরা হয়তো ভবিষ্যতেও দেখতে পাবো।