প্রযুক্তি আর প্রকৃতির মধ্যবর্তী ব্যবধানটুকু অপসারণের লক্ষ্যে মানুষের সাধনা অবেশেষে সফল হতে চলেছে৷ সেমিকণ্ডাক্টরের চিপের পরিবর্তে প্রোটনের জৈব অণুকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা মেমরি যোগ করানোর পাশাপাশি কমপিউটিং দক্ষতায় অর্জন করেছেন অবিশ্বাস্য গতি৷ জীববিজ্ঞান, জৈবরসায়ন আর ইলেক্ট্রনিক্স প্রযুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে অণু-আকৃতির জৈব-চিপ তৈরিতে বিজ্ঞানীরা হয়ে উঠেছেন আশাবাদী৷ সেই জৈব-চিপের প্রয়োজন মানবীয় বৈশিস্ট্যাবলীকে পরিবর্তন করার সম্ভাব্যতা পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে৷ বায়োকমপিউটার আজ বাস্তবের পরশ পেতে চলেছে৷ জৈব-চিপ তৈরির গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, কয়েকটি দেশ এগিয়ে গিয়েছে অনেকদূর৷ যদিও বাণিজ্যিক উত্পাদনের মাধ্যমে সাধারণের ব্যবহারের জন্য এখনও এ প্রযুক্তি উন্মুক্ত করা হয়নি৷জৈব-চিপের মৌলিক বৈশিষ্ট্যাবলী, কার্য-কৌশল আর প্রায়োগিক সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোকপাতের মাধ্যমে আমাদের দেশীয় পাঠকদের একবিংশ শতাব্দীর ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত করার লক্ষ্যেই এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটি লিখেছেন ইকো আজহার৷