\কমপিউটার ও ইন্টারনেট ছাড়া প্রতিদিনের জীবন এখন অচলপ্রায়। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় প্রতিটি মুহূর্তই আমরা এ দুয়ের সুফল ভোগ করছি। শুধু জীবনযাত্রায় নয়, ব্যবসায়-বাণিজ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। এখন শুধু হাটে বসেই নয়, ঘরে বসেই কমপিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেচাকেনা চলছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়-বাণিজ্য আন্তর্জাতিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে হাতের মুঠোয়। উন্নত বিশ্বে অনেক আগেই ঘরে বসে ব্যবসায়-বাণিজ্যের যাত্রা শুরু হলেও আমাদের দেশে খুব বেশিদিনের নয়। প্রচার ও জ্ঞানের অভাবে প্রসারিত হতে পারেনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়-বাণিজ্যের এ ক্ষেত্রটি, যা ই-বাণিজ্য বা ই-কমার্স নামে পরিচিত। তবে সম্ভাবনাময় এ ক্ষেত্রটিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি। আর এ সচেতনতা সৃষ্টির কাজটি শুরু করে বাংলাদেশে কমপিউটার যন্ত্রটিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়ার আন্দোলনকারী তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ম্যাগাজিন মাসিক কমপিউটার জগৎ। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় কমপিউটারের জন্য এ বছরের শুরুতে দেশে প্রথমবারের মতো ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের মাধ্যমে ই-বাণিজ্যের প্রচার ও প্রসারের কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ৭-৯ ফেব্রুয়ারি কমপিউটার জগৎ-এর আয়োজনে ঢাকায় ই-বাণিজ্য মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়। পরে এ মেলাকে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ থেকে ৬ এপ্রিল সিলেটে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় ই-বাণিজ্য মেলা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা। পরে ৪ থেকে ৬ জুলাই চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় ই-বাণিজ্য মেলা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা।
আয়োজনের উদ্দেশ্য
মেলার আহবায়ক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-বাণিজ্য দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি সম্ভাবনাময় খাত। এর মাধ্যমে দেশের যেমনি ব্যবসায়-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি আনা যায়, তেমনি নাগরিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় অভাবনীয় গতিশীলতা। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এ যুগে ই-বাণিজ্য ছাড়া ব্যবসায়-বাণিজ্য করা অনেকটাই কঠিন। দেশে ই-বাণিজ্য সম্পর্কে জনসচতেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যই এ মেলার আয়োজন। এছাড়া দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো বাংলাদেশে ব্যবসায় করছে, তাদের পণ্য ও সেবাকে সম্ভাব্য ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরাও এ মেলার লক্ষ্য ছিল। একই সাথে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা ই-বাণিজ্যের সাথে জড়িত, তারা মেলাতে সম্মিলিতভাবে যাতে এ বাণিজ্যকে প্রসারিত করতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করাও প্রাধান্য পায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় দেশের প্রথম ই-বাণিজ্য মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় কমপিউটার জগৎ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় এ মেলাটি পর্যায়ক্রমে ৬টি বিভাগে করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারই অংশ হিসেবে সিলেটে দ্বিতীয় ও চট্টগ্রামে দেশের তৃতীয় ই-বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণিল উদ্বোধন
চট্টগ্রাম মেলার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুলস্নাহ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. ইবরাহীম খান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রফেসর মোহাম্মদ ইফতেখার মনির এবং মেলার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এহতেশাম উদ্দিন মাসুম।
প্রধান অতিথি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনেক আগেই ই-বাণিজ্যের সূচনা হলেও তা বেশিদূর এগুতে পারেনি। এর মূল কারণ আমাদের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং কমপিউটার জগৎ স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রথমে ঢাকায় ও পরে সিলেটে ই-বাণিজ্য মেলা করে। বিভাগীয় শহরগুলোতে ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে এ মেলা আয়োজন করা হয়। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ই-বাণিজ্যের প্রসার ঘটলে এ খাত অনেকাংশে এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্প এর মধ্যে অন্যতম। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দুই বছরে ১০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ই-বাণিজ্যসহ দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজ করতে মোবাইল অ্যাপস স্টোর তৈরির কার্যক্রম চলছে। চট্টগ্রামের পর দেশের বাইরে বাংলাদেশের ই-বাণিজ্যকে প্রসারিত করতে আগামী সেপ্টেম্বরে লন্ডনে ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুলস্নাহ বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ ই-বাণিজ্য মেলা এখানকার মানুষের অনলাইনে বেচাকেনার ক্ষেত্রে আগ্রহী করবে। এমনকি প্রবাসীরা তার প্রিয়জনদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপহার কিনে দিতে পারবেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: আবদুল মান্নান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় মানুষ এখন ঘরে বসেই সব কিছু পেতে চায়। আর দেশে ই-বাণিজ্যকে সম্প্রসারণ করতে ই-বাণিজ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আয়োজনে যা ছিল
চট্টগ্রামে ই-বাণিজ্য মেলার প্রতিটি দিনই তরুণ-তরুণীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে ই-বাণিজ্যের সুফল পেতে আগামী প্রজন্ম পরিচিত হতে আসে দেশের বিভিন্ন ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে। মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন ই-প্রতিষ্ঠান তুলে ধরেছে তাদের সেবা ও পণ্য। এরা তুলে ধরে কীভাবে কত সহজে সেবা ও পণ্য কেনা যায়। তিন দিনব্যাপী এ মেলায় ই-বাণিজ্যের সাথে জড়িত দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে। মেলায় মোট ৫১টি প্রদর্শক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। উদ্বোধনের পর থেকে মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
মেলায় বিশেষভাবে চোখে পড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের অংশ নেয়ার বিষয়টি। এতে মোট ১৯টি ব্যাংক তাদের অনলাইন কার্যক্রম দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরে মেলায়। জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু নাসের চৌধুরী জানান, মেলায় আমাদের বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম তুলে ধরা হচ্ছে। যেমন মোবাইল ব্যাকিং, এটিএম সেবা, ক্রেডিট কার্ড, অনলাইনে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো ইত্যাদি। বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণকে এসব বিষয়ে সম্পৃক্ত করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই বাস্তবায়িত হবে। ঢাকা ব্যাংকের রিজিওনাল ম্যানেজার একেএম শাহনেওয়াজ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে অবশ্যই ই-বাণিজ্যের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে হবে।
মেলায় মাত্র ৫ হাজার ৯৯৯ টাকায় এমএসবি ও এইচটিএস ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট কমপিউটার আনে আপনজোন ডটকম। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাহিদুর রব জিকো জানান, তারা ট্যাবলেটগুলো তাইওয়ান থেকে তৈরি করে আনেন। আরও বিভিন্ন দামের ও মানের ট্যাবলেট রয়েছে আপনজন ডটকমে। এছাড়া রয়েছে পেনড্রাইভ, ব্লু-টুথ ডিভাইস, মোবাইল ঘড়ি, মডেম ইত্যাদি। মেলা উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি পণ্যে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়। এছাড়া আপনজোন ডটকমের চলে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। দর্শনার্থীরা ই-বাণিজ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। ই-বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে বেচাবিক্রি ডটকম সাইটে যেকোনো পণ্য ক্রয়ে ছিল ২০ শতাংশ ছাড়। এছাড়া ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক, ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ অনলাইনে বেচা যায় এমন সব পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করে। মেলার অংশ হিসেবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা প্রদর্শন করে মেলায়। এর মধ্যে ইজিবাই৬৯, ইটএনজয়, বেচাবিক্রি ডটকম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান কাঁচা শাকসবজি, তৈরি খাবার, মোবাইল রিচার্জ, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, তৈরি পোশাক ইত্যাদির জন্য অনলাইনে ফরমায়েশ নিয়ে ওই নির্দিষ্ট পণ্য গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরে বসেই কেনাকাটা করতে পারবে যেকেউ।
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়েও তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে গেছে। সেই তথ্য ও সেবা সর্বস্তরের মানুষকে জানান দিতেই মেলায় বিভিন্ন উপজেলার তথ্যকেন্দ্রের স্টল বসে। এসব স্টলে তাদের তথ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারেন দর্শনার্থীরা। মেলায় অংশ নেয়া এসব প্রতিষ্ঠান মেলার মাধ্যমে তাদের সেবার বিভিন্ন নমুনা, সুফল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াস চালায়।
সমাপনী অনুষ্ঠান
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঈদ ই-বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে কমপিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার অবশ্যই জানতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় কমপিউটার না জানলে আগামীতে চাকরি হবে না। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য আইন ও নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এখন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আববাস, এস আলম গ্রম্নপের এজিএম কামরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলা একাডেমির আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
আয়োজনের পেছনে যারা
ঈদ ই-বাণিজ্য মেলার স্পন্সর হিসেবে ছিল এস আলম গ্রম্নপ। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল রেডিও টুডে, সময় টেলিভিশন, সিসিএল ও দৈনিক আজাদী। এছাড়া নেটওয়ার্কিং পার্টনার হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নলেজ পার্টনার হিসেবে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, কমিউনিকেশন পার্টনার হিসেবে আপনজোন ডটকম, বস্নগ পার্টনার হিসেবে সামহোয়্যার ইন বস্নগ এবং ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল এফএনএফ।
ক্যুইজ প্রতিযোগিতা
চট্টগ্রাম ঈদ ই-বাণিজ্য মেলায় অনলাইন ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আপনজোন ডটকম ও কমপিউটার জগৎ। ক্যুইজের প্রশ্ন www.aponzone.com, www.facebook.com/ECommerceFair এবং www.facebook.com/comjagat -এ প্রকাশ করা হয়। মেলা প্রাঙ্গণে সরাসরি ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন দর্শনার্থীরা। বিজয়ীদের আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়।
ওয়েবে ই-বাণিজ্য মেলা
এবারের মেলাকে সহজে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে মেলার বিভিন্ন আপডেট প্রকাশ করা হয়। ফেসবুকে www.facebook.com/ECommerceFair ঠিকানার পেজ লাইক করে আগ্রহীরা মেলার ছবি, ছাড়সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারেন। এছাড়া মেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.e-commercefair.com থেকেও জানা যায় প্রয়োজনীয় তথ্য। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানসহ তিন দিনব্যাপী এ মেলা comjagat.com ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করে।
প্রস্ত্ততি আগামীর
আগামী ৭-৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বের লন্ডনের গস্নুচেস্টার মিলিনিয়াম হোটেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৩’। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয়, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং কমপিউটার জগৎ এ মেলার আয়োজন করছে। আগের মেলার সাফল্যেসূত্রেই উদ্যোগ নেয়া হয় লন্ডনে এ ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের। মেলার প্রস্ত্ততি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আয়োজকেরা মনে করেন, এটি নিছক একটি ই-বাণিজ্য মেলাই নয়, এটি হবে লন্ডনে ডিজিটাল বাংলাদেশেরই আংশিক উপস্থাপন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ই-বাণিজ্য সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যেমনি জানার সুযোগ পাবেন, তেমনি মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের পণ্য ও সেবা বৃহত্তর পরিবেশে প্রদর্শন এবং প্রচারের সুযোগ পাবে ।
কজ