• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সমস্যা ও সমাধান
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা
সমস্যা : আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। আমার পিসিতে নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দেয়ার পর থেকে কিছু সফটওয়্যার ঠিকভাবে কাজ করছে না, যেমন-অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর, ফটোশপ, কেএম প্লেয়ারসহ আরও কিছু সফটওয়্যার। প্রথমে উইন্ডোজ ওপেন না হওয়াতে উইন্ডোজ সেটআপ দেই। এতে সমাধান না হওয়ায় প্রসেসর, র‌্যাম খুলে ব্লেয়ার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করার পরও কাজ না করায় নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দেই। এখন উইন্ডোজ ওপেন হলেও আমার প্রয়োজনীয় সফটওয়ারগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে না এবং গ্রাফিক্সের কাজে খুব সমস্যা হচ্ছে।এক মাসের মধ্যে তিনবার উইন্ডোজ সেটআপ দিলাম। কিন্তু ফলাফল শূন্য। এর সমাধান কী? বারবার উইন্ডোজ সেটআপ দিলে কি পিসির কোনো ক্ষতি আছে? অরিজিনাল উইন্ডোজ সিডি কোথায় পাব? এর দাম কত? আমার পিসির কনফিগারেশন হলো-ইন্টেল কোরআই থ্রি প্রসেসর ৩.১ গিগাহার্টজ, র‌্যাম ২ গিগাবাইট, হার্ডডিস্ক ৫০০ গিগাবাইট ও গিগাবাইট এইচ৬১এম-এস২পি-বি৩ মাদারবোর্ড। আমি কি আবার উইন্ডোজ সেটআপ দেব? বর্তমানে ইলাস্ট্রেটর বারবার আনইনস্টল করে আবার ইনস্টল করে চালাচ্ছি। তারপরও মাঝেমধ্যে কমান্ড ঠিকভাবে কাজ করছে না। আমার পিসির বয়স দেড় বছর। সিডি রাইটারে কোনো সিডি থাকলে উইন্ডোজ ওপেন হতে অনেক সময় নেয়। এর কারণ কী?
-মায়েন, ঢাকা
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সমাধান : নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দেয়ার পরে নতুন করে সব সফটওয়্যার ইনস্টল করলে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ভাইরাস কোনো প্রয়োজনীয় ফাইল করাপ্ট করলে বা হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর থাকলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর আছে কি না তা ভালো করে চেক করে দেখুন এবং ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পুরো হার্ডডিস্ক স্ক্যান করে নিন। তারপরও প্রত্যাশিত ফল না পেলে আপনার বর্তমান উইন্ডোজ ডিস্ক বদলে নতুন আরেকটি ডিস্ক দিয়ে চেষ্টা করে দেখুন। বারবার হার্ডডিস্ক ফরম্যাট দিলে হার্ডডিস্কের আয়ু কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রকৃত উইন্ডোজ ডিস্ক বিসিএস কমপিউটার মার্কেটসহ কয়েকটি বড় কমপিউটার মার্কেটে পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ১২-১৩ হাজার টাকার মতো। অপটিক্যাল ড্রাইভে ডিস্ক রেখে কমপিউটার চালু করলে সিস্টেম প্রথমে ডিস্ক ড্রাইভ সাপোর্টে চালু হওয়ার চেষ্টা করে এবং ড্রাইভে থাকা ডিস্কটি বুটেবল কি না তা পরীক্ষা করে দেখে। যদি বুটেবল উইন্ডোজ ডিস্ক হয়, তবে তা ডিস্ক সাপোর্টে পিসি রান করে। যদি ডিস্ক বুটেবল না হয়, তবে ডিস্ক ড্রাইভে চেষ্টা করার পর তা হার্ডডিস্কে খুঁজে দেখে অপারেটিং সিস্টেম আছে কি না। তারপর তা হার্ডডিস্কে থাকা অপারেটিং সিস্টেম চালু করে। বায়োস থেকে প্রাইমারি বুট ডিভাইস হিসেবে হার্ডডিস্ক নির্বাচন করলে এ সমস্যা হবে না। তবে আবার উইন্ডজ ইনস্টল করতে চাইলে সিডি-রম ফাস্ট বুট ডিভাইস হিসেবে নির্বাচন করে দিতে হবে নতুবা ডিস্ক ড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ ইনস্টল করা যাবে না।
সমস্যা : আমি অনেক দিন ধরে ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করি। প্রায় ২-৩ মাস ধরে আমি ইউটিউব থেকে ১০৮০পি ভিডিও ডাউনলোড করতে পারছি না। ভিডিও অপশনে ১০৮০পি দেখালেও তা ডাউনলোড করা যায় না। সর্বোচ্চ ৭২০পি ডাউনলোড করা যায়। এর কারণ কী? আমি কীভাবে ইউটিউব থেকে ১০৮০পি ভিডিও ডাউনলোড করতে পারব?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-নায়েম
সমাধান : আপনি কোন ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করছেন- ব্রডব্যান্ড না মডেম? আপনার পিসির নেট স্পিডের ব্যাপারেও কিছু জানাননি। এছাড়া ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, তাও উলেস্নখ করেননি। ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য কোন ব্রাউজার ব্যবহার করেন সে সম্পর্কেও কিছু বলেননি। সফটওয়্যারজনিত সমস্যার সমাধান দেয়ার জন্য অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা গুরম্নত্বপূর্ণ। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারজনিত কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য পিসি কনফিগারেশন জানা দরকার। একইভাবে ইন্টারনেট সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান সঠিকভাবে দেয়ার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন টাইপ, নেট স্পিড, ব্রাউজার, ডাউনলোডার সফটওয়্যার ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার সংশিস্নষ্ট তথ্য জানতে পারলে ভালো হয়। আপনি ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করে থাকলে, সেটি দিয়ে কোন মানের ভিডিও ডাউনলোড করবেন তা সহজেই বাছাই করতে পারবেন। অনেক সময় ব্রাউজার ও ডাউনলোড সফটওয়্যারের ভার্সনের সাথে মিল হয় না এবং কিছু পস্নাগ-ইন ঠিকভাবে কাজ করে না। এ ধরনের সমস্যার জন্য অনেক সময় এমনটি হতে পারে। বিসত্মারিত জানলে আরও ভালো সমাধান দেয়া সম্ভব হতো।

সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল ডুয়াল কোর ৩ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ইন্টেল ডিজি৪১ডবিস্নউভি মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ মাদারবোর্ড ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমার পিসিতে আলাদা কোনো গ্রাফিক্স কার্ড নেই এবং আমি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করি উইন্ডোজ সেভেনের থিম দিয়ে। আমার পিসিতে উইন্ডোজ সেভেন ডার্ক এডিশন বা নরমাল উইন্ডোজ ইনস্টল করলে কিছু সমস্যা হয়। পিসিতে গেম চালু করতে গেলে মাঝেমধ্যে মনিটরের স্ক্রিন কালো হয়ে যায়, হার্ডডিস্কের বাতি নিভে যায়, কিন্তু পাওয়ার বাতি জ্বলে ও স্পিকার দিয়ে উল্টাপাল্টা সাউন্ড শোনা যায়। আমার পিসিতে কোনো অ্যান্টিভাইরাস নেই। দয়া করে সমস্যার সমাধান দেবেন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-শুভ্র দেব
সমাধান : ভালোমানের ডিস্ক থেকে উইন্ডোজ ইনস্টল করে নিন ও গেম খেলার জন্য গ্রাফিক্স কার্ড কিনে নিন। বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড হয়তো গেমটি চালাতে পারছে না। ভালো গ্রাফিক্স কার্ডের সাথে ভালো পাওয়ার সাপস্নাই ইউনিটও কিনে নিলে পাওয়ারজনিত কোনো সমস্যায় পড়বেন না। কোন গেমটি চালাতে গিয়ে এমন সমস্যা হচ্ছে তা জানালে প্রশ্নের উত্তর আরও ভালো করে দেয়া সম্ভব হতো। আপনার পিসির কনফিগারেশন মোটামুটি ভালোই। সাথে একটি ভালোমানের গ্রাফিক্স কার্ড থাকলে আপনার নতুন গেম চালাতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আপনার পিসির হার্ডডিস্ক স্ক্যান করে দেখুন কোনো ব্যাড সেক্টর রয়েছে কি না এবং অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করম্নন। গেমের সাথে যে ক্র্যাক বা কিজেন ফাইলগুলো আসে সেগুলোর বেশিরভাগেই ভাইরাস থাকে। ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা সবার জন্য উচিত।
সমস্যা : আমি নতুন ল্যাপটপ কিনব। সে ব্যাপারে কিছু তথ্য জানতে চাই। আমার বাজেট ৩৫-৪০ হাজার টাকার মতো। এর মধ্যে কি ভালো কোনো কোরআই থ্রি ল্যাপটপ পাব, যাতে মাস ইফেক্ট ২ বা আর্মা ৩ মানের গেম খেলতে পারব? আমার পছন্দ-আসুস এক্স৪৫১সিএ কোরআই থ্রি, এইচপি প্যাভিলিয়ন জি৪ কোর আই থ্রি ২২১৯ইউ, ডেল ইন্সপাইরন ৩৪২১ কোরআই থ্রি ৩২১৭ইউ ও এসার ফোর্থ জেনারেশন ৪০১০ইউ। এগুলোর মধ্যে আমার জন্য ভালো হবে কোনটি? এইচপি সিস্নকবুক ১৪-বি০৬৫টিএক্সআই ফাইভ মডেলের ল্যাপটপটি কেমন হবে ও এর দাম কত?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-এলটন, চট্টগ্রাম
সমাধান : সাধারণ ল্যাপটপ গেম খেলার উপযোগী নয়। গেম খেলার জন্য বিশেষভাবে বানানো ল্যাপটপ রয়েছে, যাকে গেমিং ল্যাপটপ বলে। গেমিং ল্যাপটপের দাম অনেক। সাধারণ ল্যাপটপগুলোতে মাঝারি মানের গেম খেলা সম্ভব। কিছু কিছু নতুন গেম চলবে লো বা মিডিয়াম ডিটেইলে। নতুন গেম খেলার উপযোগী ল্যাপটপ কিনতে চাইলে আপনাকে ইন্টেল কোরআই ফাইভ বা এএমডি এ৮/এ১০ এপিইউ ব্যবহার করতে হবে। ল্যাপটপে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড থাকলে ভালো হয়। ভালো ল্যাপটপের জন্য আপনার বাজেট কিছুটা বাড়াতে হবে। বাজেট বাড়াতে সমস্যা হলে এইচপি প্যাভিলিয়ন জি৪ কোরআই থ্রি ২২১৯ইউ পছন্দ করতে পারেন। কারণ এ ল্যাপটপটির প্রসেসরের ক্লকস্পিড ২.৪ গিগাহার্টজ, ৪ গিগবাইট ১৬০০ মেগাহার্টজ বাস স্পিড র্যাকম ও ইন্টেল এইচডি ৪০০০ চিপসেটের জিপিইউ রয়েছে। ল্যাপটপের বাজেট বাড়াতে সমস্যা না হলে আসুস এক্স৪৫০সিএ কোরআই ফাইভ ৩৩৩৭ইউ, এইচপি প্যাভিলিয়ন জি১৪-ব০৬৫টিএক্স কোরআই ফাইভ ৩৩১৭ইউ, ফুজিৎসু এলএইচ৫৩২ কোরআই ফাইভ ৩২৩০এম ইত্যাদি থেকে বাছাই করতে পারেন। এগুলোর দাম ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে। এইচপি সিস্নকবুক ১৪-বি০৬৫টিএক্স মডেলের ল্যাপটপটি কিনতে পারলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ এতে ২ এনভিডিয়ার ২ গিগাবাইট ৬৩০এম চিপসেটের গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে এবং বাকি কনফিগারেশনও গেম খেলার জন্য বেশ উপযোগী। দোকানভেদে ও যন্ত্রাংশভেদে এর দাম পড়তে পারে ৪৩-৪৯ হাজার টাকার মতো। ল্যাপটপ কেনার আগে ভালো করে স্পেসিফিকেশন দেখে নেবেন, যাতে সঠিক ল্যাপটপটি কিনতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, একই মডেলের ল্যাপটপে কোনো একটি যন্ত্রাংশ যেমন ১৬০০ মেগাহার্টজের র্যা মের বদলে ১৩৩৩ হার্টজের র্যা্ম থাকায় তার দাম কম হতে পারে। তাই দামের দিকে খেয়াল না করে আগে স্পেসিফিকেশন উপযুক্ত কি না তা ভালো করে দেখে নিয়ে পরে দামের দিকে নজর দিন। ল্যাপটপ কেনার সময় ওয়ারেন্টিসং সংশ্লিষ্ট তথ্য জেনে নিন।
সমস্যা : আমার ল্যাপটপের মডেল এইচপি ৪৩০, র্যা ম ২ জিবি ও হার্ডড্রাইভ ৩২০ জিবি। দুর্ঘটনাবশত আমার ল্যাপটপের এলসিডির ভেতরে খুব সামান্য পরিমাণ পানি ঢুকে পড়েছে এবং তা এলসিডির এক কোনায় বাষ্পাকারে লেগে আছে। আমি কীভাবে তা পরিষ্কার করব? এলসিডি খোলার প্রয়োজন হলে তা কি খুলে পরিষ্কার করা উচিত? এ অবস্থায় থাকলে ল্যাপটপের কোনো ক্ষতি হবে কী?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-গোলাম কিবরিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
সমাধান : এলসিডি স্ক্রিনের ব্যাপার। তাই কোনো ঝুঁকি নেয়াটা বোকামি। নিজে কিছু না করে অভিজ্ঞ লোক দেখান। আশপাশের ভালো কোনো ল্যাপটপ সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে সারিয়ে নিন। মনে রাখবেন, ছোট সমস্যা থেকে পরে আরও বড় সমস্যা হতে পারে। তাই দেরি না করে তড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিন
দৃষ্টি আকর্ষণ : কমপিউটার জগৎ-এর পিসির ঝুটঝামেলা বিভাগের সেবার মান ও প্রসার বাড়ানোর জন্য jhutjhamela@comjagat.com-এর পাশাপাশি jhutjhamela24@gmail.com নামে আরেকটি মেইল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। দুটি মেইলের যেকোনোটিতে মেইল করে আপনাদের সমস্যার কথা আমাদের জানান। আমরা যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে আপনাদের সমসার সমাধান জানানোর চেষ্টা করব।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস