লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
তাসনীম মাহ্মুদ
মোট লেখা:১২৭
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
ব্যবহারকারীর পাতা
বিদায় উইন্ডোজ এক্সপি : ব্যবহারকারীরা কী করবেন?
আর মাত্র কয়েক দিন পর কমপিউটার জগৎ-এর ২৪তম বর্ষপূর্তি সংখ্যাটি যখন পাঠকের হাতে পৌঁছবে, তখন থেকে অর্থাৎ ৮ এপ্রিল ২০১৪ সালে উইন্ডোজ এক্সপির সব ধরনের সিকিউরিটি সাপোর্ট বন্ধ হয়ে যাবে। মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস ২০০১ সালে তার নতুন পণ্য উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম চালু করার সময় ঘোষণা দেন, ৮ এপ্রিল ২০১৪ সালে মাইক্রোসফট তার দীর্ঘদিনের পুরনো এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সিকিউরিটি আপডেট দেয়া বন্ধ করে দেবে।
৮ এপ্রিল ২০১৪ সালে এক্সপির সিকিউরিটি আপডেট ইস্যু মাইক্রোসফট বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও এখনও এটি উইন্ডোজ ঘরনার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক ব্যবহার হওয়া অপারেটি সিস্টেম। সারা বিশ্বে বাসায় এবং অফিসে পিসি ব্যবহারকারীদের প্রতি তিনজনের একজন এখনও এক্সপি ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, কিছু এটিএম, ব্যাংক, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি, এনজিওসহ অনেক কনজ্যুমার ব্যবসায় ও অন্যান্য বাণিজ্যিক সিস্টেমে এখনও এক্সপি ব্যবহার হচ্ছে। যদি আপনি একজন এক্সপি ভক্ত বা ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে উইন্ডোজ ব্যবহারের শেয়ার পরিসংখ্যান জানার জন্য Netmarketshare.com, NetApplication সাইটে ভিজিট করে দেখতে পারেন। এরা পরিমাপ করে ওয়েব ব্রাউজারের ব্যবহারের শেয়ার, সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহারের শেয়ার এবং অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের শেয়ার। এ লেখায় যে শেয়ারের পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে, তা ২০১৩ সালের জুলাই মাসের তথ্যঅনুযায়ী।
netmarketshare.com-এর তথ্যানুযায়ী এক্সপি এখনও সব ধরনের ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে ৩৭ শতাংশের বেশি ব্যবহার হচ্ছে, যা উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীর চেয়ে কম ও উইন্ডোজ ৭-এ ব্যবহারের শেয়ার ৪৪.৫ শতাংশ। উইন্ডোজ ৮-এর ব্যবহারের শেয়ার মাত্র ৫.৪ শতাংশ, ভিস্তার শেয়ার ৪.২৪ শতাংশ এবং ম্যাক ওএস এক্স সাম্প্রতিক ভার্সনের শেয়ার মাত্র ৩.৩ শতাংশ।
কোন ধরনের ব্যবহারকারীর পরিমাণ কতটুকু, তা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে এক্সপির সিকিউরিটি সাপোর্টের ডেডলাইন ঘনিয়ে এলেও এক্সপির ব্যবহার গত ৭-৮ মাসে কমেছে ২.৩ শতাংশ। জানুয়ারি ২০১৩-এ এক্সপির ব্যবহারের শেয়ার ছিল ৩৯.৫১ শতাংশ, সেখানে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭.২ শতাংশ, উইন্ডোজ ৮-এর ব্যবহারকারী সামান্য বেড়েছে এ সময়ের মধ্যে। জানুয়ারি ২০১৩ সালের ব্যবহারের শেয়ার ছিল ২.৩ শতাংশ, সেখানে জুলাইয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭ শতাংশ।
হিসাবটা আরেকভাবে দেখা যাক। মাইক্রোসফটের অনুমান, ১.৫ বিলিয়ন সক্রিয় উইন্ডোজ ব্যবহারকারী যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে সারা বিশ্বে এখনও ৫১ কোটি পিসিতে এক্সপি রান করছে। সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব মেশিন ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এবং ম্যালিশাস আক্রমণের জন্য খুবই সহজ শিকার হয়ে পড়বে, যদি মাইক্রোসফট তার সাপোর্ট প্রত্যাহার করে নেয়।
২০০১ সালে মাইক্রোসফট এক্সপি বিক্রি শুরু করে, যা উইন্ডোজের সমালোচিত অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ভিসত্মা, উইন্ডোজ ৭ ও উইন্ডোজ ৮-এর অনেক আগে। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে এক্সপির স্বাভাবিক জীবনচক্র সাইকেল বাড়ানো হয়েছে। তবে উইন্ডোজের নতুন ভার্সন অফার করে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো সুদৃঢ় সিকিউরিটি ব্যবস্থা, যার পারফরম্যান্সও অনেক ভালো। বিশেষ করে নতুন ওয়েব সার্ভিস এবং টাচ এনাবল প্রোগ্রাম। তারপরও অনেক কোম্পানি, বিজনেস এবং সরকারি এজেন্সি তাদের ডেস্কটপ ও ল্যাপটপে এক্সপির প্রতিস্থাপন করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না- এমন তথ্য দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেটমার্কেটশেয়ার ডটকম। এ প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় ফুটে উঠেছে, সারা বিশ্বে এক্সপির দখলে রয়েছে পার্সোনাল কমপিউটারের ৩০ শতাংশের বেশি। আবার অন্যদের অনুমান, এখনও এক্সপি ব্যবহারকারী ২০ কোটিরও বেশি।
ওয়েস্ট স্যান জোস এ বে এরিয়া কমপিউটারম্যান রিপেয়ার শপের মালিক কেভিন মেগুইরি (Kevin Meguire) বলেন, ‘এক্সপি হলো একটি সলিড অপারেটিং সিস্টেম। ব্যবহারকারীরা সবাই এতে অভ্যসত্ম হয়ে পড়েছেন। এক্সপির সাথে কম্প্যাটির অন্যান্য আরও অনেক সফটওয়্যার আছে এবং প্রতিষ্ঠানের সব কর্মচারী এগুলো ব্যবহারে অভ্যস্ত।
বেশ কয়েকটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম এবং সিকিউরিটি সফটওয়্যার প্রস্ত্ততকারক বলেন, তাদের পণ্য এক্সপির সাথে কাজ চালিয়ে যাবে, তবে তারা হয়তো পুরোপুরি প্রটেকশন দিতে পারবে না। সিমেনটেকের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র ডিরেক্টর গ্যারি ইগ্যান বলেন, ‘সিকিউরিটি প্রোগ্রাম ম্যালওয়্যার শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারবে। তবে এগুলো অপারেটিং সিস্টেমের অভ্যন্তরের ভলনিয়ারিবিলিটি রিপেয়ার করতে পারবে না, যেগুলো strongly recommends
বেশিরভাগ সফটওয়্যার কোম্পানির মতো মাইক্রোসফট নিয়মিতভাবে সিকিউরিটি আপডেট বা প্যাচ অবমুক্ত করে উইন্ডোজের জন্য, যা ফ্রি ডিস্ট্রিবিউট করা হয় ডাউনলোডের মাধ্যমে নতুন ভলনিয়ারিবিলিটি হিসেবে। মাইক্রোসফট পরিকল্পনা করেছে এক্সপির জন্য এ সুবিধা ৮ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিতে, তবে নতুন উইন্ডোজ ভার্সনের জন্য আপডেট অব্যাহতভাবে অবমুক্ত করে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
এর ফলে হ্যাকারেরা এক্সপি সিস্টেমে আক্রমণ করার জন্য নতুন রোডম্যাপ তৈরি করতে পারে। কেননা কিছু কিছু ভলনিয়ারিবিলিটি উইন্ডোজের একাধিক ভার্সনে ইফেক্ট করতে পারে। যখন মাইক্রোসফট কোনো প্যাচ রিলিজ করবে পরবর্তী ভার্সনের জন্য, তখন হ্যাকারেরা চেক করে দেখবে একই সুযোগ কাজে লাগানো যায় কি না এক্সপির আনপ্যাচ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে।
ইন্টারনেট সিকিউরিটি
এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমচালিত কমপিউটার হবে হ্যাকারদের সহজ টার্গেট এবং যার নিয়ন্ত্রণ খুব সহজেই বটস নিয়ে নিতে পারে বা অটোমেটেড প্রোগ্রামগুলো, যা ছদ্মবেশে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম নতুন অপারেটিং সিস্টেমের অন্যান্য পিসিকেও আক্রান্ত করতে পারে। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে এমন কথা বলেছেন অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রস্ত্ততকারকের চিফ অপারেশন অফিসার
৮ এপ্রিলের পর এক্সপি ব্যবহারকারীদের করণীয়
এক্সপির আসন্ন ডেডলাইন ৮ এপ্রিল ২০১৪। এমন অবস্থায় এক্সপি ব্যবহারকারীদের সামনে রয়েছে কিছু অপশন। এর মধ্যে একটি হলো চূড়ান্তভাবে উইন্ডোজের নতুন ভার্সন ব্যবহার করা। মাইক্রোসফট অবশ্য আশা করছে জনসাধারণ উইন্ডোজের সর্বশেষ ভার্সন কিনবে। যদিও উইন্ডোজ ৮-এর ইন্টারফেসের এত ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যে, দীর্ঘদিন এক্সপি ব্যবহারকারীরা কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। এই অপারেটিং সিস্টেমের জন্য দরকার বেশি মেমরি এবং প্রসেসিং ক্ষমতা, যা কিছু কিছু পুরনো কমপিউটার প্রদান করতে পারে।
উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম কিছুটা এক্সপির সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও এটি প্রথম বাজারে আসে ২০০৯ সালে, যা এখন খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। শুধু অ্যামাজন উইন্ডোজ ৭ বিক্রি করে একটি কিটে, যা অবশ্যই নতুন হার্ডড্রাইভে ইনস্টল করতে হবে অথবা ওই হার্ডড্রাইভে ইনস্টল করতে হবে, যা সম্পূর্ণভাবে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। এটি একটি কৌশলী উপায়। আরও বেশি ব্যবহারবান্ধব ইনস্টলেশন কিট খুঁজে পেতে পাবেন যদি আপনি খোঁজ করেন। অনেক স্টোরে এখনও উইন্ডোজ ৭ যুক্ত পিসি পাওয়া যায়। এসব জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বী অপারেটিং সিস্টেমযুক্ত অর্থাৎ অ্যাপল এবং গুগলের ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ পাওয়া যায়।
তবে যারা সত্যি সত্যি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার চালিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য নিচে বর্ণিত বিশেষজ্ঞদের উপদেশগুলো অবশ্যই পালনীয় :
প্রথমত, আপডেটেড অ্যান্টিম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম ব্যবহার করার ব্যাপারটি নিশ্চিত করম্নন। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ রিকমেন্ড করেন দু’টি অ্যান্টিম্যালওয়্যার ব্যবহার করার জন্য। কেননা একটি অ্যান্টিম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম কিছু খুঁজে পেলেও অন্যটি খুঁজে নাও পেতে পারে। মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়াল একটি ফ্রি অ্যান্টিম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম, যা এখন ডাউনলোড করা যেতে পারে। ৮ এপ্রিলের পর আপনি এক্সপি ভার্সন ডাউনলোড করা সম্ভব নাও হতে পারে। যদিও মাইক্রোসফট বলছে, এরা অনির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য আপডেটগুলো ডিস্ট্রিবিউট করবে।
দ্বিতীয়ত, ওয়েব ব্রাউজিংয়ের জন্য গুগল ক্রোম বা মজিলা ফায়ারফক্সে সুইচ করুন। উভয়েই এক্সপির সাথে কাজ করা চালিয়ে যাবে এবং এগুলোর সাথে রয়েছে সর্বশেষ ব্রাউজার সিকিউরিটি ফিচার। মাইক্রোসফটের সর্বশেষ দুটি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এক্সপির সাথে কাজ করবে না। যেহেতু এক্সপ্লরারের পুরনো ভার্সন অপেক্ষাকৃত নতুন ওয়েবসাইটে কাজ করে না।
তৃতীয়ত, বিশ্বসত্ম ওয়েবসাইটে অনুগত থাকা এবং এক্সপি কমপিউটার ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাংকিং শপিং বা গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য আছে, এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকা। সবচেয়ে ভালো হয়, এক্সপি কমপিউটারকে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং কমপিউটারকে শুধু ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিড বা গেম প্লের কাজে ব্যবহার করা। গেম প্লের ক্ষেত্রে শুধু ওইসব গেম প্লে করা যাবে, যেগুলো আগে থেকেই কমপিউটারে ইনস্টল করা আছে।
এখানে উলিস্নখিত উপদেশগুলো অনুসরণ করলে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন, তবে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত থাকা যাবে না কোনোভাবেই। তাই বিশেষজ্ঞেরা উপদেশ দেন পিসিকে আপগ্রেড করার জন্য। তবে এক কথা সত্যি, অনেক ব্যবহারকারী আছেন যারা যতদিন সম্ভব এভাবেই কাজ চালিয়ে যাবেন পিসি আপগ্রেড না করেই। ফলে এরা সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
হোম পিসি ব্যবহারকারীদের জন্য অপশন
মাইক্রোসফটের সাপোর্টের শেষে নিরাপদ থাকার জন্য বেশ কিছু অপশন রয়েছে। প্রথম অপশন হলো আপনার বর্তমান পিসিকে আপগ্রেড করা। খুব কম পুরনো পিসি আছে যেগুলো উইন্ডোজ ৮.১ রান করতে সক্ষম হবে। উইন্ডোজ ৮.১ হলো উইন্ডোজের সর্বশেষ আপডেটেড ভার্সন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ব্যবহারকারীর উচিত উইন্ডোজ আপগ্রেড অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাউনলোড করে রান করানো, যাতে চেক করা যায় পিসি উইন্ডোজ ৮.১-এর সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট মেটাতে পারে কি না। এরপর যদি আপনার পিসি আপগ্রেড করতে সক্ষম হয়, তাহলে টিউটোরিয়াল অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
আর বিস্তারিত তথ্যের জন্য নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়ে নিন। আপনি ইচ্ছে করলে নতুন পিসি কিনে নিতে পারেন। যদি আপনার বর্তমান পিসি উইন্ডোজ ৮.১ ভার্সন রান করতে না পারে, তাহলে আপনার উচিত নতুন পিসি কেনা। যদি উইন্ডোজ এক্সপিতেই থাকার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো হবে নিমণরূপ :
সিকিউরিটি
উইন্ডোজ এক্সপির জটিল সিকিউরিটি আপডেট ছাড়া আপনার পিসি ভলনিয়ারেবল হয়ে উঠবে ক্ষতিকর ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এবং অন্যান্য ম্যালিশাস সফটওয়্যার দিয়ে, যা আপনার ব্যবসায়ের ডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি বা ক্ষতি করতে পারে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এক্সপি ব্যবহারকারীকে পুরোপুরি রক্ষা করতে পারবে না, যদি মাইক্রোসফটের সিকিউরিটি সাপোর্ট না থাকে।
কমপ্লায়েন্স
যেসব ব্যবসায় পরিচালিত হয় নৈতিক বাধ্যবাধকতার নিয়মে, যেমন ঐওচঅঅ, সেগুলো কমপ্লায়েন্স রিকোয়ারমেন্ট সন্তুষ্ট করতে পারে না।
ইন্ডিপেনডেন্ট সফটওয়্যার ভেন্ডরের সাপোর্টের ঘাটতি
৮ এপ্রিলের পর অনেক সফটওয়্যার ভেন্ডর তাদের সফটওয়্যার পণ্যকে উইন্ডোজ এক্সপি পরিবেশে রান করানোর জন্য সাপোর্ট করবে না। কেননা এরা আর উইন্ডোজ এক্সপির আপডেট পাবে না। উদাহরণস্বরূপ, নতুন অফিস অ্যাপ্লিকেশন আধুনিক উইন্ডোজের সুবিধা গ্রহণ করবে, তবে এক্সপিতে রান করবে না।
হার্ডওয়্যার ম্যানুফেকচারার সাপোর্ট
বেশিরভাগ পিসি হার্ডওয়্যার প্রস্ত্ততকারক কোম্পানি বর্তমান ও নতুন হার্ডওয়্যারে এক্সপির সাপোর্ট বন্ধ করে দেবে। এর অর্থ হচ্ছে উইন্ডোজ এক্সপি রান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ড্রাইভার নতুন হার্ডওয়্যারে নাও পাওয়া যেতে পারে।
৮ এপ্রিলের পর উইন্ডোজ এক্সপির সাপোর্ট শেষেও উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টল করা এবং সক্রিয় করা যাবে। এক্সপিচালিত কমপিউটার এখনও কাজ করবে, তবে সেগুলো মাইক্রোসফটের আপডেট সাপোর্ট পাবে না বা সক্ষম হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট লিভারেজ করতে। ৮ এপ্রিলের পর উইন্ডোজ এক্সপির রিটেইল ইনস্টলেশনের জন্য দরকার হবে অ্যাক্টিভেশন।
অফিস ২০০৩-এর সাপোর্ট বন্ধ হয়ে যাবে
উইন্ডোজ এক্সপির সাথে সাথে ৮ এপ্রিল অফিস ২০০৩ পণ্যের সাপোর্টও বন্ধ হয়ে যাবে। ৮ এপ্রিলের পর
মাইক্রোসফট অফিস ২০০৩ যেসব সাপোর্ট পাবে না তা নিমণরূপ :
* অ্যাসিসটেড সাপোর্ট।
* অনলাইন কনটেন্ট আপডেট।
* মাইক্রোসফটের কাছ থেকে সফটওয়্যার আপডেট।
* ক্ষতিকর ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এবং অন্যান্য ম্যালিশাস সফটওয়্যার, যেগুলো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে সেগুলো থেকে পিসিকে সুরক্ষার জন্য সিকিউরিটি আপডেট।
৮ এপ্রিলের পরও ব্যবহারকারীরা অফিস ২০০৩ স্টার্ট ও রান করতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা যদি মাইক্রোসফটের সাপোর্ট ও আপডেট পেতে চান, তাহলে অফিসের নতুন ভার্সন দিয়ে আপডেট করে নিতে পারেন।
ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com