• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বিগত ক’বছরের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজেট
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: হিটলার এ. হালিম
মোট লেখা:২২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
বাজেট
তথ্যসূত্র:
বাজেট ও ‍আইসিটি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বিগত ক’বছরের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজেট
২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি তথা বিসিএস সরকারের কাছে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। বরাদ্দের এই টাকা প্রযুক্তি ও সেবাপণ্যের গবেষণা, উন্নয়ন, বিপণন এবং দেশের সব স্কুলে কমপিউটার ল্যাব তৈরিতে খরচ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে দেশের প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রধান কারিগর তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য করে এ খাত-সংশ্লিষ্টদের আগামী সাত বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে সুবিধা দেয়ারও আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি। বিএসএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ আগামী বাজেটে ইন্টারনেটের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, অন্তত পাঁচ বছরের জন্য প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ের বাড়ি ভাড়ার ওপর ৯ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবি পেশ করেছেন। সংগঠনটি আমদানি পর্যায়ে এটিভির হার অন্তত ১ শতাংশ কমানো, সরবরাহ পর্যায়ে কোনো ভ্যাট আরোপ না করা এবং আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে কোনো আয়কর আরোপ না করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে দাবি জানিয়েছে।
বিসিএস মনে করে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যেহেতু প্রতিটি ক্ষেত্রকে ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় এনে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় আনতে হয়, সেহেতু ডিজিটাল ডিভাইসের জন্য বিদ্যমান এইচএস কোড পুনর্বিন্যাস করা দরকার। এখন বিভিন্ন ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণের (মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ডিজিটাল ক্যামেরা, ২৭ ইঞ্চি পর্যন্ত মনিটর) শুল্ক নিয়মিতভাবে কমানো অব্যাহত রাখা, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, পিসির চার্জার, পাওয়ার সাপ্লাই, কুলিং ফ্যান, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, স্মার্ট কার্ড, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি পণ্যে অসম হারে শুল্ক দিতে হয়। অন্যদিকে আমদানি পর্যায়ে প্রযুক্তিপণ্যের ওপর ভ্যাটের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ হারে কর আরোপ করতে হয়। এর দায় প্রকারান্তরে ভোক্তাকেই বহন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের ভিত্তি হিসাবে আমদানি মূল্যের ওপর ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ধরা হয়।
এদিকে ইন্টারনেটের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। যদিও সরকার এরই মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর থেকে ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে, কিন্তু গ্রাহক পর্যায়ে তা না কমানোয় ইন্টারনেট চার্জে তা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
সিম কর প্রত্যাহারের দাবি মোবাইল ফোন অপারেটরদের
মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের ওপর থেকে সব ধরনের কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব। একই সাথে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট কর কমানোরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ খাতের প্রতিনিধিরা এ দাবি জানান। অ্যামটবের পক্ষ থেকে বলা হয়, মোবাইল গ্রাহকদের প্রতিটি সিম ও রিম কার্ডের বিপরীতে ১১০ শতাংশ টাকা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১৯০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। ফলে একটি সিম কার্ডে মূল্য অতিরিক্ত ৩০০ টাকা আরোপিত হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মোবাইল ফোন ব্যবহার করার স্বার্থে এই শুল্ক কর কমানো দরকার।
বিদ্যমান কর্পোরেট কর কমিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানির কর হার সাড়ে ২৭ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার সাড়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়। বর্তমানে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ হারে কর্পোরেট কর দিতে হয়। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে ১৫ শতাংশ ভ্যাটও কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়।
ভ্যাট প্রত্যাহার হলে ইন্টারনেট ব্যবহার খরচ কমবে ১৫ শতাংশ
ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট (মূল সংযোজন কর) প্রত্যাহার করা হলে ইন্টারনেট ব্যবহার খরচ কমবে। এতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা একই খরচে আগের চেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। চাইলে খরচ না কমিয়ে গতি বাড়িয়ে নিতে পারবে।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি দাবি জানিয়ে আসছে ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট কমাতে। আইএসপিএবির সহ-সভাপতি সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ ১৫ শতাংশ কমে যাবে। আইএসপিগুলোর ব্যান্ডউইডথ কেনার সময় একবার এবং ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের বিলের ওপর ১৫ শতাংশ করে ভ্যাট দিতে হয়। ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে এই অতিরিক্ত খরচ দিতে হবে না। ২০০৪ সালের পর এখন পর্যমত্ম ব্যান্ডউইডথের দাম প্রতি মেগায় ৬৯ হাজার ২০০ টাকা কমলেও (বর্তমানে ২ হাজার ৮০০ টাকা) ইন্টারনেট খরচ সে অর্থে না কমার প্রসঙ্গটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সময়ের তুলনায় ইন্টারনেট খরচ কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, খরচ সে তুলনায় কমলেও ইন্টারনেটের গতি সে তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারনেটের দামের ওপর ১৬টি ফ্যাক্টর কাজ করে। ওই ফ্যাক্টরগুলোর দাম না কমিয়ে ব্যান্ডউইডথের দাম জিরো বা শূন্য করে ফেললেও ইন্টারনেটের দাম কমবে না। সূত্রগুলো সরকারের কাছে ব্যান্ডউইডথের সাথে আনুপাতিক হারে ফ্যাক্টরগুলোর দাম কমানোরও আহবান জানিয়েছে। ফ্যাক্টরগুলোর দাম আনুপাতিক হারে কমালে বর্তমানের চেয়েও আরও কম দামে গ্রাহকেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ভ্যাট প্রত্যাহার না হওয়ায় হতাশা
২০১৩-১৪ অর্থবছরে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছে বিসিএস, বেসিস ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি।
বেসিসের সে সময়ের সভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর বলেন, জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯-এ ৭০০ কোটি টাকার জাতীয় আইসিটি উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব থাকলেও বাজেটে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসেনি।
তবে দেশের ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগ বাড়াতে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওপর থেকে শুল্ক কমায় খুশি এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বিগত বছরগুলোর তুলনায় তিন গুণেরও বেশি বাড়ানোয় সন্তষ প্রকাশ করা হয়। বিগত বছরে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১৩৭ কোটি টাকা, যা এ বছর বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
বেসিস সভাপতি আরও উলেস্নখ করেন, বাজেটে ই-গভর্ন্যান্স আইসিটি স্কিল ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সেই সাথে আইসিটি খাতের উন্নয়নে আগামী অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে বলে উল্লেখ করা হলেও এ অর্থ কোন কোন খাতে খরচ করা হবে তার কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। তবে বাজেটকে ইতিবাচক বলেছেন বিসিএস সভাপতি মোসত্মাফা জববার। তিনি ইন্টারনেটের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের কোনো সুপারিশ না থাকায় অসন্তষ প্রকাশ করলেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ থাকায় খুশি।
ওয়েবক্যাম, ডিজিটাল ক্যামেরা ও সার্ভারের র্যারকে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর সুপারিশকে এ খাতের জন্য অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর দাম কমবে।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের আমদানিতে প্রযোজ্য শুল্কহার ১২ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে এবং এর উৎপাদনে ব্যবহার্য উপকরণের ওপর প্রযোজ্য শুল্কহার ২৫ ও ১২ থেকে শুল্কহার শূন্য শতাংশ করারও প্রসত্মাবে সমেত্মাষ প্রকাশ করলেও আইএসপিএবির নেতারা ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করায় তারা হতাশ।
মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ও লিগ্যাল) জাকিউল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের আমদানি পর্যায়ে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্য ছিল। এই শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। বিষয়টি টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে অপারেটরেরা বেশিরভাগ সিম দেশের বাজার থেকে কিনে থাকে। তিনি বিশেষভাবে বাজেটের আগে সিম ট্যাক্স (৬০০ থেকে ৩০০ টাকা) এবং থ্রিজির স্পেক্ট্রামের ওপর থেকে ভ্যাট (১৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ) কমানোকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন।
২০১৪-১৫ বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবার ওপর থেকে সব ধরনের কর মওকুফ চান ব্যবসায়ীরা
২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবার ওপর থেকে সব ধরনের কর মওকুফ চান দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা। সরকার কর মওকুফ না করলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিলম্বিত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
১৯৯৮ সাল থেকে বাজেটে কমপিউটার যন্ত্রাংশ আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু ৬ শতাংশ শুল্কসহ অন্য কর থাকায় কমপিউটারের দাম প্রত্যাশিতভাবে কমছে না।
বাজেটে কমপিউটার যন্ত্রাংশের ওপর থেকে ওই ৬ শতাংশ শুল্কসহ অন্যান্য কর মওকুফের আবেদন জানায় বিসিএস, বেসিস, আইএসপিএবি, বাংলাদেশ মোবাইল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এবং মোবাইল ফোন অপারেটরেরা।
তাদের মতে, সুলভে সবার কাছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা পৌঁছাতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে না। শুল্ক মওকুফ না হলে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবায় দাম কমবে না। উচ্চমূল্যে এসব পণ্য ও সেবা কিনলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিলম্বিত হবে।
বাজেটে সরকারকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানান বিসিএসের সে সময়ের সভাপতি মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আয়কর নেয়া হচ্ছে। এটিকে তিনি ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন। এর পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২ শতাংশ এবং রাজস্ব বাজেটে ৩ শতাংশ বরাদ্দ দেয়ারও দাবি জানান তিনি। সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম হার্ডওয়্যার পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ বিষয়ে বলেন, ৩ শতাংশ শুল্ক ও ৩ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) মওকুফ করা হলে হার্ডওয়্যার পণ্যের দাম আরও কমত। তিনি জানান, মোবাইল ফোনে ১২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও ডিজিটাল ক্যামেরায় এ হার ৫৩ শতাংশ। মোবাইল ফোনেই এখন হাই কনফিগারেশন ক্যামেরা থাকায় ডিজিটাল ক্যামেরার কাজ মোবাইল ফোনেই করা যাচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্ক্যানার ও প্রিন্টারে সব মিলিয়ে ৫৭ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। নেটওয়ার্কিং পণ্য হার্ডওয়্যার শ্রেণীর মধ্যে পড়লেও এর ওপর অধিক শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে। সরকারের এ বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আইএসপিএবি সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জু ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, ব্যান্ডউইডথের দাম কমালেই হবে না। ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে ইন্টারনেট উচ্চমূল্যেই থেকে যাবে।
বেসিসের সে সময়ের সভাপতি ফাহিম মাশরুর মনে করেন, দেশে ই-কমার্স লেনদেনে আগামী ৩-৫ বছর ভ্যাট প্রত্যাহার করা উচিত। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার জন্য প্রযোজ্য ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে এ খাতের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তিনি রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটা করা সম্ভব হলে আরও বেশি পরিমাণে রাজস্ব স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আদায় করা সম্ভব।
অন্যদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি সিম ট্যাক্স প্রত্যাহার। এবার তা বেশ জোরেশোরেই উচ্চারণ করছেন অপারেটরগুলোর কর্তাব্যক্তিরা। এদিকে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলালিংকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, সিম ট্যাক্স কমানো নয়, পুরোপুরি প্রত্যাহার করা উচিত। সিম ট্যাক্স প্রত্যাহার হলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে বলেও তিনি মনে করেন। এ ছাড়া সিমের ওপর ৬৫ শতাংশ আমদানি পর্যায়ের শুল্ক এবং ৫ শতাংশ রেগুলেটরি সারচার্জ কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান ।
ফিডব্যাক : hitlarhalim@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস