• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ইন্টারনেটে আয়ের অনেক পথ পর্ব-১
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: নাহিদ মিথুন
মোট লেখা:২২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আউটসোর্সিং
তথ্যসূত্র:
আউটসোর্সিং
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ইন্টারনেটে আয়ের অনেক পথ পর্ব-১
আউটসোর্সিং কাজ করে আয় করার ওপর প্রশিক্ষণভিত্তিক ধারাবাহিক এ লেখার বিষয়গুলো হলো- স্পিকরাইট, আর্টিকল লিখা, লোগো/ব্যানার ডিজাইন, এসইও, সিপিএ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, গুগল অ্যাডসেন্স, ভিএ, ডাটা এন্ট্রি, প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স, অনলাইনভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়, ওয়েব ডেভেলপমেন্টসহ আরও কিছু বিষয়। এগুলো জানা অবশ্যই দরকার।
আউটসোর্সিং কাজ করে আয় করার জন্য সুপরিচিত সাইটগুলো হলো- odesk.com, elance.com, freelancer.com, getacoder.com, ifreelance.com ইত্যাদি। এসব সাইটে কাজ করতে গেলে অনেক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। তবে দক্ষ লোকের প্রতিযোগী কম। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ের এমন অনেক কাজ আছে, যেগুলোতে আপনাকে কারও সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে না। শুধু মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
আউটসোর্সিং কাজ করে ভালো আয় করতে গেলে কয়েকটি মৌলিক বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিতে হবে- ০১. কী কাজ করব। ০২. দক্ষতা। ০৩. কোথায় কাজ করব। ০৪. কীভাবে পেমেন্ট পাব। এবার বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
০১. কী কাজ করব : আউটসোর্সিংয়ে কাজ করে আয় করার জন্য অনেক কাজ রয়েছে। আপনাকে বেছে নিতে হবে একটি নির্দিষ্ট কাজ, যা করতে আপনার ভালো লাগে। কেননা, ওই নির্দিষ্ট কাজটিতে পুরো দক্ষতা আনতে হলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরও কিছু কাজ জানতে হয়। যেমন- পিএইচপি জানতে হলে মাইএসকিউএল জানা প্রয়োজন। আরেকটু এগিয়ে গেলে জাভাস্ক্রিপ্ট, অ্যাজাক্স ইত্যাদি জানতে হবে। তাই নির্দিষ্ট কাজ নিয়ে এগিয়ে যান।
০২. দক্ষতা : কাজ নির্দিষ্ট করার পর উক্ত কাজটি শিখে ও চর্চা করে দক্ষ হয়ে উঠুন। দক্ষতার জন্য প্রয়োজন চর্চা করা, একই কাজ বারবার করা।
০৩. কোথায় কাজ করব : অনেক সময় অভিযোগ পাওয়া যায়, কাজ করেছি কিন্তু পেমেন্ট পাওয়া যায় না। পেমেন্ট না পাওয়ার কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। যেমন- ক. সঠিক জায়গায় কাজ করেননি, খ. সঠিকভাবে কাজটি বোঝেননি ও গ. সঠিকভাবে কাজটি করেননি। তাই আমাদের জানতে হবে কোথায় কাজ করলে আমরা অবশ্যই পেমেন্ট পাব।
০৪. কীভাবে পেমেন্ট পাব : আউটসোর্সিং কাজ করে আয়ের টাকা তোলার অন্যতম উপায়গুলো হলো পেপাল, পেওনার, স্ক্রিল ডটকম, চেক, ডাইরেক্ট ব্যাংক ডিপোজিট।
আর্টিকল রাইটিং
এ পর্বে আমরা শিখব আর্টিকল লিখে কীভাবে আয় করা যায়। একটি আর্টিকল লিখে ১ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব যদি সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় কাজ করেন। নানা বিষয়ে আর্টিকল লেখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর্টিকল লেখার জন্য আপনাকে সাহিত্যিক হতে হবে না। আপনার প্রয়োজন হবে কিছু সফটওয়্যার ও কৌশল। এগুলো থাকলে যেকোনো বিষয়ে আর্টিকল লিখতে পারবেন। বিষয়গুলো হলো- যদি আপনার ক্লায়েন্টের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বিষয়বস্ত্ত লিখতে অপারগ হন, তাহলে ভিজিট করুন www.ezine.com সাইটে। এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্ত্ত অনুযায়ী আর্টিকল খুঁজে বের করুন।
আপনার ব্রাউজার থেকে www.ezine.com-এ প্রবেশ করুন। এটি একটি আর্টিকল সাইট। এই সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রচুর আর্টিকল রয়েছে। আর্টিকল যে বিষয়ের ওপর হোক না কেন, এখান থেকে প্রয়োজনীয় আর্টিকলটি খুঁজে বের করতে সার্চ বক্সে বিষয় লিখে সার্চ দিলে আপনার সার্চ সংক্রান্ত অনেকগুলো আর্টিকল চলে আসবে।
এবার যেকোনো একটি আর্টিকল নির্বাচন করুন। আর্টিকলটি আপনার কমপিউটারে নোটপ্যাড বা এমএস ওয়ার্ডে কপি করে সেভ করুন। এই আর্টিকলটি সরাসরি আপনার ক্লায়েন্টকে দেবেন না। আর্টিকলটির অর্থ ঠিক রেখে বাক্যগুলোকে পরিবর্তন করে কমপিউটারে সেভ করলে আপনার জন্য একটি আর্টিকল তৈরি হবে।
এবার আর্টিকলটির গ্রামার ও স্পেলিং মিসটেক চেক করে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করার জন্য জিনজার সফটওয়্যারটি ব্যবহার করুন। জিনজার সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে দুইভাবে ব্যবহার করা যায়। জিনজার সফটওয়্যারটি ইনস্টল হয়ে গেলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড চালু করলেই কাজ হবে। এবার আর্টিকলটির গ্রামার ও স্পেলিং মিসটেক চেক করতে পালক চিহ্নিত আইকনে ক্লিক করুন। ফলে প্রতিটি লাইন চেক করতে থাকবে।
এবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রামার ও স্পেলিং মিসটেক সংশোধন করতে Approve-এ ক্লিক করুন। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ছাড়াও আপনি জিনজার সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এটিকে এখন একটি সফটওয়্যার দিয়ে Duplicate check করবেন। সফটওয়্যারটির নাম হচ্ছে DUPEFREEPRO।
dupefree সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার লেখা আর্টিকল ও মূল বা অরিজিনাল আর্টিকলের মধ্যে কতটুকু পার্থক্য তা জানতে পারবেন। লক্ষ করুন, এই সফটওয়্যারটির নিচে একটি (%) রয়েছে। আপনি মূল আর্টিকলটি (যেটি আপনি ezine থেকে কপি করেছেন) dupefree সফটওয়্যারের প্রথম ঘরে ও আপনার লেখা আর্টিকলটি দ্বিতীয় ঘরে দিয়ে নিচের Compare-এ ক্লিক করলে আপনার লেখা আর্টিকলটি মূল ইজাইন আর্টিকল থেকে কতটুকু ডুপ্লিকেট করেছে তা ওই (%) ঘরে দেখা যাবে।
এর অর্থ হচ্ছে আপনার লেখা আর্টিকলটি মূল আর্টিকলের সাথে তুলনা করলেন। আপনার (%) যদি সর্বোচ্চ ২০ দেখায়, তাহলে আপনার লেখা আর্টিকলটি ক্লায়েন্টকে দিতে পারবেন। কারণ, শতকরা ২০ ভাগের বেশি হলে আর্টিকলটি গুগল ডুপ্লিকেট হিসেবে চিহ্নিত করবে।
এছাড়া একটি সাইট থেকেও আর্টিকল চেক করতে পারবেন। যেমন- http://searchenginereports.net/আর্টিকল check.aspx এই সাইটে আপনার লেখা আর্টিকল ইনসার্ট করলে আর্টিকলের ডুপ্লিকেট বাক্যগুলোকে হাইলাইট করবে।
ছবিতে চিহ্নিত স্থানে আপনার আর্টিকলটি পেস্ট করে create report-এ ক্লিক করলে ডুপ্লিকেট বাক্যগুলো নিচে চলে আসবে। সেগুলো পরিবর্তন করুন।
সুতরাং, কোনো বিষয়ের ওপর লিখতে চাইলে সেই বিষয়ের ওপর ভালো ধারণা না থাকে, তবে যে ধাপগুলোর মাধ্যমে আপনার লেখা পূর্ণাঙ্গ করতে পারেন তা হলো :
* ezine.com * ehow.com * readbud.com
* আর্টিকেল bases.com থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনটি আর্টিকল নিন।
* এই তিনটি থেকে আর্টিকল থেকে একটি আর্টিকল তৈরি করুন।
* এই আর্টিকলটিকে এমনভাবে পরিবর্তন করবেন যাতে সোর্স আর্টিকলগুলোর সাথে ডুপ্লিকেট না হয়। আর্টিকল লেখা সহজ করার জন্য ওয়ার্ড ফ্লাড সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। আর্টিকলটির গ্রামার ও স্পেলিং মিসটেক চেক করে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করার জন্য জিনজার সফটওয়্যারটি ব্যবহার শুরু করুন।
* এবার DupeFreePro সফটওয়্যার দিয়ে সোর্স আর্টিকলগুলোর সাথে আপনার লেখা আর্টিকলগুলোর সাথে ডুপ্লিকেট চেক করুন।
* Duplicate থাকলে Modify করুন।
* এবার Online-এ Duplicate Check করার জন্য http://searchenginereports.net/ সাইট ব্যবহার করুন।
আমরা এতক্ষণ শিখলাম কীভাবে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও আর্টিকল লেখা যায়। এবার দেখা যাক, আর্টিকল রাইটার হিসেবে কোথায় কাজ করবেন :
০১. www.textbroker.com ০২. Jobs.problogger.net
০৩. jobs.uhaul.com ০৪. create.demandstudios.com/writer
০৫. crowdsource.com ০৬. elance.com
০৭. odesk.com ০৮. freelancer.com ০৯. getacoder.com
ফিডব্যাক : mentorsystms@gmail.com

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস