• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মাল্টিপ্লান কমপিউটার সিটি মেলায় ২১ জনকে আইসিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সোহেল রানা
মোট লেখা:৪০
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিবেদন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মাল্টিপ্লান কমপিউটার সিটি মেলায় ২১ জনকে আইসিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান
‘ভিশন টু সার্ভ গো উইথ আইসিটি’ সেস্নাগানে দেশের অন্যতম বৃহত্তম কমপিউটার মার্কেট রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের কমপিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্লান) ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ‘ডিজিটাল আইসিটি মেলা ২০১৬’। সপ্তমবারের মতো কমপিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত এবারের মেলায় সাড়ে ৬ শতাধিক প্রতিষ্ঠান সবশেষ প্রযুক্তির কমপিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করে। বাড়তি আয়োজনের পাশাপাশি মেলায় ছিল বিশেষ ছাড় ও উপহার।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার দেশ। এই দেশে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে খুব আগ্রহ। সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল ল্যাব থেকে শুরু করে ইন্টারনেট সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। আমি কমপিউটারের ওপর ভ্যাট তুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব।’
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ডিজিটাল শব্দটি সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার ইতোমধ্যে হাইটেক পার্ক, বিপিও সামিট, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করেছে এবং সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছে।’
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন ৭ কোটি তরুণ রয়েছে। কিছুদিন আগেও ওয়াইফাই শব্দটির সাথে অনেকে পরিচিত ছিল না। কিন্তু এখন এই শব্দটি সবার কাছে পরিচিত। তরুণদেরকে আরও বেশি উৎসাহী করে তুলতে হবে। তাহলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’
বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জববার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০০৮ রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেয়ার পর সবাই হাস্যকর হিসেবে নিয়েছিল। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ হাসি নয়, বাস্তব রূপ। ইন্টারনেট হচ্ছে মৌলিক চহিদা আর এই চাহিদা সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজ করতে হবে সরকারকে।’
সাবেক সংসদ সদস্য ও বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোড দোকান মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘আইসিটি খাতকে বিকশিত করতে হলে আমাদের সবাইকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে। তাহলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব।’
বিসিএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান এসএ কাদের কিরণ উভয়েই বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমাদের ব্যবসায়ীদের একটি চাওয়া আমাদেরকে ভ্যাটমুক্ত রাখেন।’
অনুষ্ঠানে কমপিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও মেলার আহবায়ক তৌফিক এহে্সান
বলেন, ‘দেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে কমপিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এবং এর সুফল ছড়িয়ে দিয়ে বহু প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই নিয়মিত এ মেলার আয়োজন করা হয়।’
মেলায় ছিল প্রযুক্তিপণ্যের ওপর আকর্ষণীয় মূল্যছাড়। মেলার সময় ছিল প্রতিদিন র্যা ফেল ড্রর মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার, রক্তদান কর্মসূচি, এন্ট্রিপাসের সাথে ফ্রি মুভি দেখার সুব্যবস্থা, ফ্রি ইন্টারনেট, ওয়াইফাই ও গেমিং জোন, ফটোগ্রাফি ও সেলফি প্রতিযোগিতা, শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব, আধুনিক প্রযুক্তিপণ্যের প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন। এছাড়া মেলার তৃতীয় দিন অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। মেলার শেষ দিন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য দেয়া হয় গুণীজন সংবর্ধনা।
আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পেলেন য়ারা
মেলার শেষ দিন সন্ধায় দেয়া হয় ‘ডিজিটাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড ২০১৬’। দেশের আইসিটি খাতে বিশেষ অবদান রেখেছেন এমন ২১ জনকে দেয়া হয় গুণীজন সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেস্ট। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জামিলুর রেজা চৌধুরী (তথ্যপ্রযুক্তিবিদ), মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (মরণোত্তর, সিনিয়র ব্যবসায়ী), আবদুল কাদের (মরণোত্তর, তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতা), মোহাম্মদ আজিজুল হক (সিনিয়র ব্যবসায়ী), শেখ আবদুল আজিজ (সিনিয়র ব্যবসায়ী), সাইদ এম কামাল (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), সাজ্জাদ হোসেন (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), মোস্তাফা জববার (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), আফতাব উল ইসলাম (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), আবদুলাহ এইচ কাফী (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), মো: সবুর খান (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), এসএম ইকবাল (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), ফয়েজ উল্যাহ খান (সাবেক সভাপতি, বিসিএস), এএইচএম মাহফুজুল আরিফ (সভাপতি, বিসিএস), আক্তারুজ্জামান মঞ্জু (সাবেক সভাপতি, আইএসপিএবি), মাহাবুব জামান (সাবেক সভাপতি, বেসিস), এএসএম আবদুল ফাত্তাহ (ব্যবসায়ী ও সংগঠক), আহমেদ হাসান জুয়েল (ব্যবসায়ী ও সংগঠক), মোহাম্মদ জহির উল ইসলাম (ব্যবসায়ী ও সংগঠক), ভূইয়া মোহাম্মদ ইনাম লেলিন (তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতা) এবং পলস্নব মোহাইমেন (তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতা)।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পিছিয়ে নেই। আমাদের সবাইকে এই দেশের জন্য কাজ করতে হবে। আজ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি জানাতে চাই- আসুন, সবাই দেশকে ভালোবাসি।’
এবারের মেলার গোল্ড স্পন্সর ছিল এইচপি, আসুস, স্যামসাং ও লেনোভো। সিলভার ছিল স্পন্সর লজিটেক ও এমএসআই। এছাড়া স্পন্সর হিসেবে ছিল টিপিলিংক, রেপো ও ইসেট।


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস