• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বিসিএস কমপিউটার সিটির ‘সিটিআইটি ২০১৬’ মেলা অনুষ্ঠিত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সোহেল রানা
মোট লেখা:৪০
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিবেদন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বিসিএস কমপিউটার সিটির ‘সিটিআইটি ২০১৬’ মেলা অনুষ্ঠিত
ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিসিএস কমপিউটার সিটিতে ১৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ১৪তম কমপিউটার মেলা ‘সিটিআইটি ২০১৬’। বিসিএস কমপিউটার সিটির নিজস্ব আঙ্গিনায় প্রায় দুই লাখ বর্গফুট জায়গায় ‘ডিজিটাল শিক্ষা শিশুদের অধিকার’ সেস্নাগানে হয়েছে এবারের মেলা। এই মেলায় তথ্যপ্রযুক্তির পরিচিত ব্র্যান্ডের কমপিউটার সামগ্রী প্রায় ১৬৫টি স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনসহ সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। এসব পণ্যসামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- কমপিউটার হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার পণ্যসামগ্রী, নেটওয়ার্ক ডাটা কমিউনিকেশন পণ্যসামগ্রী, মাল্টিমিডিয়া আইসিটি শিক্ষা উপকরণ ল্যাপটপ, ডিজিটাল জীবন-ধারাভিত্তিক প্রযুক্তি ও পণ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা আইসিটি ব্র্যান্ড ডিসপ্লে করার জন্য প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থা করা হয়। বিসিএস কমপিউটার সিটির নিচতলায় সজ্জিত মঞ্চে প্রতিদিন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিল শিশু চিত্রাঙ্কন, গেমিং, ডিজিটাল ফটোগ্রাফি, ক্যুইজ এবং রক্তদান কর্মসূচি ছাড়াও বেশ কিছু ভিন্নধর্মী আয়োজন।
সিটিআইটি-২০১৬’র দর্শনার্থীদের জন্য ছিল স্পেসশিপে এলিয়েন ও জাদু প্রদর্শনী। শিশুদের জন্য ছিল ভৌতিক টানেল।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, এই মেলা জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক মেলা। এই মেলার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে- এটা আমার বিশ্বাস। এ ধরনের আয়োজন তরুণদেরকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জববার। মেলার এমন সেস্নাগান নির্ধারণ করায় তিনি আয়োজকদের প্রশংসা করেন। মেলার যে সেস্নাগান নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি আহমেদ হাসান। তিনি বলেন, এ মেলায় আমরা শিশুদের ডিজিটাল শিক্ষা পাঠদানে গুরুত্ব দিচ্ছি। অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জানান সিটিআইটি মেলা ২০১৬’র সমন্বয়ক মুজিবুর রহমান স্বপন।
উদ্বোধন শেষে মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। মেলায় প্রবেশমূল্য ছিল ১০ টাকা। প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিনামূল্যে প্রবেশের সযোগ পান। এছাড়া প্রতিবন্ধীরা বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশে অগ্রাধিকার পান। প্রতিদিন প্রবেশ টিকেটের ওপর র্যাসফেল ড্রর মাধ্যমে দেয়া হয় আকর্ষণীয় সব প্রযুক্তিপণ্যের পুরস্কার। মেলায় ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সের প্রায় ২০০ প্রতিযোগী তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সাথে ছিল প্রতিবন্ধীদের একটি গ্রুপ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, বিসিএস কমপিউটার সিটির সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল, মেলার সমন্বয়ক মুজিবুর রহমান স্বপন প্রমুখ।
মেলা উপলক্ষে দর্শনার্থী, ক্রেতাদের জন্য ছিল শাটল বাস। এ মেলা আগামী প্রজন্ম অর্থাৎ শিশুরা যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে, সে চিন্তা করে সাজানো হয়। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল থেকে দল বেঁধে মেলায় ঘুরতে আসে স্কুল শিক্ষার্থীরা। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিদিন মঞ্চ মাতান দেশের সঙ্গীত তারকারা।
মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যে ছিল অফার। আসুসের পণ্য কিনে স্ক্র্যাচকার্ড ঘষে পাওয়া যায় ল্যাপটপ, জেনফোন, রাউটার, জ্যাকপট ও টি-শার্ট। এছাড়া আসুস ব্যবস্থা করে গেমিং জোনের। লেনোভোর পণ্য কিনেও স্ক্র্যাচকার্ড ঘষে পাওয়া যায় মনিটর, প্রিন্টার, ট্যাব, মোবাইল, পেনড্রাইভ, মাউসসহ নানা প্রযুক্তিপণ্য। এইচপি, ডেলের পণ্য কেনার ওপর ছিল ৫০০ টাকার গিফট ভাউচার। এছাড়া ডেল পণ্য কেনার ওপর ছিল র্যা ফেল ড্রয়ের সুযোগ। কমপিউটার ভিলেজ থেকে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ কিনলে লটারির মাধ্যমে পাওয়া যায় ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। তাদের পণ্যগুলোয় দুই বছর পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিসিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে প্রতিষ্ঠানটির সারাদেশের যেকোনো শাখায়। রিশিত কমপিউটার্স থেকে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ পিসি কিনলে যেকেউ একসাথে পান ডিনার সেট, কফি সেট ও স্যুপ সেট। মেলায় হাইটেক প্রফেশনাল দেয় ৯৯৯৯ ও ১৭৯৯৯ টাকায় ডেস্কটপ পিসি কেনার সুযোগ। সাথে উপহার হিসেবে ছিল একটি প্রযুক্তিপণ্য। আরএস কমপিউটার্স ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা ছাড় দেয় ল্যাপটপে এবং ডেস্কটপ পিসিতে ৩ শতাংশ ছাড়। সাথে ছিল উপহার। টিপি লিঙ্ক থেকে রাউটার কিনলে পাওয়া যায় ২০ শতাংশ ছাড়। সাথে একটি টি-শার্ট। স্পিড টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স থেকে ইনজিনিয়াস ক্লাউড নামে একটি রাউটার কিনলে পাওয়া যায় ৮ জিবি পেনড্রাইভ। ইন্টারনেট সিকিউরিটি ‘ই-স্ক্যান’ কিনলে সাথে একটি স্মার্টফোন ফ্রি দেয় স্পিড টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। প্রতিষ্ঠানটি বাজারে এনেছে ইনজিনিয়াস ক্লাউড নামে একটি রাউটার। এটি কিনলে সাথে পাওয়া যায় ৮ জিবি পেনড্রাইভ। এছাড়া এদের যেকোনো পণ্য কেনার ওপর ছিল ২ থেকে ৫ শতাংশ ছাড়। কমপিউটার সোর্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রো মেলা উপলক্ষে প্রতিটি ইন্টারনেট সিকিউরিটিতে দেয় মূল্যছাড়। কমপিউটার ভিলেজ থেকে ইন্টেলের ইন্টারনেট সিকিউরিটির সাথে দেয় একটি মগ।
এবারের মেলা আয়োজনের প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল এইচপি। এছাড়া সহযোগী স্পন্সর ছিল আসুস, এসার, লেনোভো, গিগাবাইট, আরমাগার্ডেন, হিটাচি, ডেল ও মাইক্রো ট্রেন্ড।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস