লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
লুৎফুন্নেছা রহমান
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
অফিস স্যুটের যুদ্ধ : মাইক্রোসফট বনাম লিব্রে অফিস
দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোসফট অফিস স্যুট বাজারে প্রচলিত বিদ্যমান অফিস স্যুটগুলোর মধ্যে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখে আসছে। অবশ্য এর অর্থ এই নয়, মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের বিকল্প হিসেবে লিনআক্স পরিবারের ফ্রি লিব্রে অফিস স্যুটকে কোনোভাবে বিবেচনা করা যায় না। অথচ আমাদের দৈনন্দিন কমপিউটিং জীবনে যেসব কাজ সম্পাদনে মাইক্রোসফট অফিস স্যুট ব্যবহার হয়, সেসব কাজের অনেকগুলোই সম্পাদন করা যায় লিব্রে অফিস স্যুটের মাধ্যমে। এ দুটি অফিস স্যুটের মধ্যে কীভাবে তুলনা করা যায়, তা এ লেখায় ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে তুলে ধরা হয়েছে। এ লেখায় আরও দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে অফিস স্যুটের পেইড অপশন ফ্রি পাওয়া যায় কি না।
এ কথা সত্য, ফ্রি লিব্রে অফিস স্যুটের সাথে মাইক্রোসফটের পেইড অফিস স্যুটের তুলনা করা অনেকেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, এই শ্রেণি ব্যবহারকারীদের কাছে ফ্রি লিব্রে অফিস স্যুটের সাথে মাইক্রোসফটের পেইড অফিস স্যুটের তুলনা করাটা অযৌক্তিক। মজার ব্যাপার, এ স্যুট দুটির ফিচারগুলো অনেক কাছাকাছি ধরনের, যা কল্পনার বাইরে। লিব্রে অফিস উইন্ডোজ, ওএস এক্স এবং লিনআক্সসহ অনেক সিস্টেমের সাথে কম্প্যাটিবল, যেখানে মাইক্রোসফট অফিসের নতুন ভার্সন উইন্ডোজ ৭ ও উইন্ডোজ ৮-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এছাড়া কোনটি ভালো বা কোনটি অধিকতর ফিচারসমৃদ্ধ শুধু এগুলোই বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়, বরং বিবেচ্য বিষয় হলো এগুলো আপনার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারছে কি না, যা মাইক্রোসফট অফার করে থাকে অথবা এ ফিচারগুলো ফ্রি পাচ্ছেন কি না। লিব্রে অফিস স্যুটের সর্বাধুনিক ভার্সন হলো ৪.১। এখন ব্যবহারকারীদের উচিত লিব্রে অফিসের সাথে মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের তুলনামূলক পার্থক্য নিরূপণে আরও গভীরে পরখ করে দেখা।
যেহেতু সংক্ষেপ্ত পরিসরে অফিস স্যুটের প্রতিটি ফিচার একটি একটি করে বর্ণনা করা সম্ভব নয় সেহেতু যদি সুনির্দিষ্ট ফিচারের প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে এ লেখাটি আপনাকে যথেষ্ট সহায়তা করবে। এ লেখার মাধ্যমে আপনি একটি ভালো ধারণা পাবেন, কোন কোন ফিচার কোন কোন স্যুটের মধ্যে রয়েছে।
ওয়ার্ড প্রসেসিং : ওয়ার্ড বনাম রাইটার
ওয়ার্ড প্রসেসর প্রসঙ্গে আলোচনার শুরুতেই উঠে আসে সেরা অপশন লিব্রে অফিস রাইটার এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের কথা। যদি ইতোপূর্বে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে রাইটারও অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাইটার কার্যকারিতার দিক থেকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
সরাসরি ফিচারের আলোকে বলা যায়, রাইটার এবং ওয়ার্ড দুটোই অবিশ্বাস্যভাবে একইরকম। ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান ফিচারের প্রায়ই চমৎকার গ্রামার চেকার, একটি সলিড অটো সেভ সিস্টেম, বিভিন্ন ধরনের ফরম্যাট সাপোর্ট এবং আরও কিছু ফিচার রাইটারে রয়েছে। আপনি যদি একজন ওয়ার্ড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে রাইটারে জাম্প করে গেলে আপনাকে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। কেননা, এ দুটির অপারেশন এবং লুক প্রায় একইরকম। অনুরূপভাবে যদি এবারই প্রথম আপনি অফিস স্যুট ব্যবহার করতে যাচ্ছেন, তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে রাইটার ব্যবহার করা। কেননা, এটি সহজে শেখা এবং ব্যবহার করা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের এডিটিং এবং ট্র্যাক পরিবর্তনের অপশন ছিল ওয়ার্ডের দুর্বল ফিচার। রাইটারে আপনি সহজেই ট্র্যাক পরিবর্তন, এডিট প্রদর্শনসহ সব কাজ করতে পারবেন। অনেকেই রাইটারের সহজ-সরল ট্র্যাক পরিবর্তনের লেআউটের কারণে ওয়ার্ডের চেয়ে বেশি পছন্দ করে।
বটম লাইন
রাইটার এবং ওয়ার্ড কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করার পরও উভয় অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের অনুপস্থিতি পরিলক্ষেত হয়নি। রাইটার একটি কার্যকর এবং সক্ষম ওয়ার্ড প্রসেসর, যার সবই অনেকটা ওয়ার্ডের মতো করে কাজ করতে পারে। এসব কারণেই অনেকের কাছে উইন্ডোজের জন্য সেরা ওয়ার্ড প্রসেসর হলো রাইটার। আপনার ওয়ার্ড প্রসেসর যা যা করতে পারে, তার সবকিছুই যদি একটি রাইটার ওয়ার্ড প্রসেসর দিয়ে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে তা অনেকেই বেছে নেবেন ফ্রি হওয়ার কারণে।
স্প্রেডশিট : এক্সেল বনাম ক্যালক
অফিস স্যুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো স্প্রেডশিট এবং এ ক্ষেত্রে দীর্ষদিন ধরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছে মাইক্রোসফট এক্সেল। আপনি স্প্রেডশিটকে কীভাবে ব্যবহার করবেন তার ওপর ভিত্তি করে লিব্রে অফিসের ক্যালক ব্যবহার করতে পারবেন, যা আপনার প্রয়োজনীয় অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি এক্সেলের ইকো সিস্টেমের জন্য অর্থ খরচ করছেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যালক এবং এক্সেল একইভাবে কাজ করে। যদি আপনি একজন সাধারণ স্প্রেডশিট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে সম্ভবত এ দুইয়ের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। উভয়ই বেসিক ক্যালকুলেশন করতে পারে, হ্যান্ডেল করতে পারে লাইট তথা সাধারণ গণিত এবং বিভিন্ন উপায়ে টেবল অর্গানাইজ করতে পারবেন। তবে যাই হোক, যদি আপনি প্রচুর পরিমাণে এক্সেল ম্যাক্রো এবং প্রোগ্রামিং ব্যবহার করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় ক্যালক্ ব্যবহারকারীদেরকে এ ক্ষেত্রে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।
কেননা ক্যালকের রয়েছে এর নিজস্ব ম্যাক্রো ল্যাঙ্গুয়েজ এবং এটি সবসময় এক্সেলের ভিবিএ ফরম্যাটের সাথে কম্প্যাটিবল নয়। এর অর্থ, যদি আপনি এক্সেল থেকে ক্যালকে সুইচ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনাকে প্রচুর চেষ্টা করতে হবে ম্যাক্রোগুলোকে আবার করার জন।
বটম লাইন
যদি আপনি স্প্রেডশিটে নতুন বা সাধারণ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে ক্যালক দিয়ে আপনার সে চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। তবে আপনি যদি এমন কোনো পরিবেশে কাজ করে থাকেন, যেখানে প্রচুর ম্যাক্রো শেয়ার করতে হয়, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে এক্সেল ব্যবহার করা। উভয়ই খুব সহজে ব্যবহার করা যায় একই ধরনের ফাইল ফরম্যাট ব্যবহার করে এবং ফিচারগুলো খুব কাছাকাছি ধরনের।
প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার : পাওয়ারপয়েন্ট বনাম ইমপ্রেস
পাওয়ারপয়েন্ট শব্দটি সঙ্গতকারণেই দীর্ঘদিন ধরে প্রেজেন্টেশন শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। পাওয়ারপয়েন্ট মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের একটি শক্তিশালী সফটওয়্যারের অংশ, যা প্রেজেন্টেশনের কাজগুলো অন্য যেকোনো প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারের চেয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারে। লিব্রে অফিসের প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারটি হলো ইমপ্রেস।
ইমপ্রেস প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারটির মূল ইস্যু এখনও মাঝে-মধ্যে পাওয়ারপয়েন্টের প্রেজেন্টেশন ইম্পোর্ট করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ ইমপ্রেস প্রেজেন্টেশনে কিছু ফন্ট মিশিংসহ অন্যান্য রেন্ডারিং সমস্যা দেখা যায়। অর্থাৎ ইমপ্রেস প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার দিয়ে চমৎকার ও আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন তৈরি করা গেলেও তা পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মতো তেমন আকর্ষণীয় নয়। এতে সস্নাইড অ্যানিমেশন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি ভিডিও এক্সপোর্টের সাপোর্ট নেই। ইমপ্রেসে যেমন নেই অ্যানিমেটেড ডায়াগ্রামের সুবিধা, তেমনি নেই একটি গ্রম্নপ হিসেবে প্রেজেন্টেশনের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করার সক্ষমতা।
এগুলো সব ইমপ্রেশনের জন্য খারাপ সংবাদ হলেও ইমপ্রেস বিভিন্ন ধরনের ফরম্যাটে প্রেজেন্টেশন এক্সপোর্ট করতে পারে, যা প্রেজেন্টেশন শেয়ারিংকে করেছে অনেক সহজতর। কেননা, একে পাওয়ারপয়েন্ট ছাড়া অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে হয় না। এ দুটো প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারই বেশ সহজভাবে স্টার্ট করা যায় এবং মোটামুটিভাবে একইভাবে ব্যবহার করা যায়, যদিও উভয় প্রেজেন্টেশন বিস্ময়করভাবে জাদুকরের মতো আপনাকে কোনো অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারে গৌরব এনে দেবে না।
বটম লাইন
লিব্রে অফিসের ইমপ্রেস পুরোপুরি এক সক্ষম সফটওয়্যার। তবে আপনি যদি এমন লোকের সাথে কাজ করে থাকেন, যারা সচরাচর পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে থাকে, তাহলে আপনি হয়তো কিছু কম্প্যাটিবিলিটি ইস্যুর মুখোমুখি হতে পারবেন। যদি আপনার নিজের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে চান, তাহলে ইমপ্রেস সফটওয়্যার ভালোই কাজ করে।
ডাটাবেজ সফটওয়্যার :
অ্যাক্সেস বনাম বেজ
মাইক্রোসফট ও লিব্রে অফিস স্যুট উভয় স্যুটে সম্পৃক্ত করা সবচেয়ে বড় সফটওয়্যারটি হলো ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস দীর্ঘদিন ধরে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্টের জন্য ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে লিনআক্স পরিবারের লিব্রে অফিস স্যুটের বেজ অ্যাক্সেসের এক চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আমাদের সবার কাছে মোটামুটিভাবে পরিচিত। বেজ এবং অ্যাক্সেসের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো পর্যাপ্ততা। বেজ এবং এক্সেসের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো পর্যাপ্ততা। এক্সেস শুধু উইন্ডোজ পরিবেশ উপযোগী করে ডেভেলপ করা হয়েছে কিন্তু বেজ উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনআক্স পরিবেশ উপযোগী করে ডেভেলপ করা হয়েছে। এর বাইরে এ সফটওয়্যার দুটি যথেষ্ট তুলনাযোগ্য। উভয়ই তৈরি করতে পারে ফরম, রিপোর্ট, এসকিউএল এবং টেবল যখন বাইরের ডাটাবেজকে যুক্ত করবে। বেজকে গণ্য করা হয় ছোট স্কেলের ডাটাবেজ হিসেবে এবং এটি নিজের থেকে কোনো কিছুই রান করে না। সুতরাং আপনার যদি স্ট্যান্ডঅ্যালোন ডাটাবেজের দরকার হয়, তাহলে অ্যাক্সেস ব্যবহার করতে পারেন।
ইন্টারফেসভিত্তিক উভয় প্রোগ্রামের ব্যবহারবিধি প্রায় একই ধরনের। যদি আপনি ইতোমধ্যে অ্যাক্সেস ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই বেজে জ্যাম্প করবে।
বটম লাইন
ডাটাবেজ সফটওয়্যারটি অফিস স্যুটের বাকি সফটওয়্যারগুলোর মতো নয়। আপনি এবং আপনার কোম্পানি যা ব্যবহার করে থাকে, ডাটাবেজ প্রোগ্রাম তারচেয়েও বেশি কিছু। বেজ অবিচ্ছিন্নভাবে গুঝছখ, চড়ংঃমৎবঝছখ এবং ঞযঁহফবৎনরৎফ-এর সাথে চমৎকারভাবে কাজ করতে পারে। যেখানে অ্যাক্সেস অবিচ্ছিন্নভাবে আউটলুক এবং প্যারাডক্সে কাজ করে। উভয়ে তাদের প্রয়োজন অনুসারে কাজ করার জন্য ম্যানেজ হয়। সুতরাং আপনি যা ব্যবহার করেন, তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহৃত কনটেক্সটের ওপর।
কোন স্যুট আপনার জন্য সেরা
লিব্রে অফিস এবং মাইক্রোসফট অফিসের বেশিরভাগ অংশে রয়েছে একই সফটওয়্যারের স্যুট। ব্যতিক্রম শুধু একটি আউটলুক। লিব্রে অফিসে ই-মেইল ক্লায়েন্ট প্যাক অবস্থায় পাবেন না। সুতরাং আপনার যদি আউটলুক বা এর সমতুল্য কোনো কিছুর দরকার হয়, তাহলে আপনি এখানে তেমন কিছুই পাবেন না। এছাড়া বাকি স্যুট প্রায় একই রকম।
যদি আর্থিক দিকটিকে বিবেচনায় আনেন, তাহলে লিব্রে অফিস আপনার জন্য হবে সেরা। আর যদি আপনার কাজের ধরন বুঝে মনে করেন মাইক্রোসফট অফিস স্যুট আপনার জন্য তেমন একটি দরকারি নয়, তাহলে লিব্রে অফিসকে বিবেচনায় আনতে পারেন। কেননা, লিব্রে অফিস ইদানীং প্রচুর ফিচার অফার করছে, যা আপনার চাহিদা মেটাতে পারবে। লিব্রে অফিস এক্সটেনশন সাপোর্ট করে, যার অর্থ আপনি লুককে কাস্টোমাইজ করতে পারবেন, ফিচার এবং ফিল স্যুট থেকে স্যুটে আপনার চাহিদা অনুযায়ী করা হয়েছে। সৌভাগ্যবশত, দুটি অফিস স্যুটই সাধারণত চমৎকারভাবে একই সাথে কাজ করতে পারে। সুতরাং যদি লিব্রে অফিস ব্যবহার করতে চান, তাহলে কয়েক দিন তা ব্যবহার করে দেখতে পারেন আপনার চাহিদা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না।
যদি লিবে অফিস স্যুট আপনার চাহিদা মেটাতে না পারে, তাহলে ওপেন অফিস দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। লিব্রে অফিস এবং ওপেন অফিস উভয়ই একই ফাউন্ডেশনে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এগুলো তুলনামূলকভাবে একই। লিব্রে অফিস কিছুটা বেশি আপডেটেড