• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসি থেকে যেভাবে ম্যালওয়্যার অপসারণ করবেন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: তাসনুভা মাহমুদ
মোট লেখা:১০৩
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আইসিটি
তথ্যসূত্র:
পাঠশালা
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসি থেকে যেভাবে ম্যালওয়্যার অপসারণ করবেন
কমপিউটার বা ল্যাপটপ প্রভৃতি আমাদের কমপিউটিং জীবনকে যে করেছে শুধু সহজতর ও গতিময় তা নয়; বরং অনেক ক্ষেত্রেই ভাইরাস, ম্যালওয়্যারের কারণে আমাদের কমপিউটিং জীবন হয়ে উঠেছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাময়। ম্যালওয়্যার, ভাইরাস, ওয়ার্ম প্রভৃতি আমাদের স্বাভাবিক কমপিউটিং জীবনকে শুধু ব্যাহত করেনি, কলুষিতও করেছে। সুতরাং ব্যবহারকারীর মনে প্রশ্ন থেকেই যায়- কীভাবে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার মুক্ত থাকা যায়?
আপনার কমপিউটার বা ল্যাপটপ ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হয়েছে কি না, খুব সহজভাবে বুঝতে চাইলে খেয়াল করে দেখুন, আপনার কমপিউটার বা ল্যাপটপটি বিস্ময়কভাবে ধীরগতিতে রান করছে কি না, কিংবা ব্রাউজ করার সময় বিস্ময়কর উইন্ডো পপআপ করছে কি না অথবা আপনি ইনস্টল করেননি এমন সিকিউরিটি প্রোগ্রাম থেকে ভীতিকর সতর্ক বার্তাসহ এমন অনেক কিছু বিস্ময়করভাবে আবির্ভূত হচ্ছে কি না। যদি এগুলোর মধ্যে কোনো একটি বা সবগুলোর লক্ষণই কমপিউটার বা ল্যাপটপে দেখা যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন ভাইরাস, স্পাইওয়্যার বা অসংখ্য ধরনের ম্যালওয়্যারের মধ্য থেকে কোনো ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়েছেন, যা ওয়েবে ক্রমেই বেড়েই চলেছে।
এ লেখায় ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে পিসি বা ল্যাপটপ থেকে ম্যালওয়্যার, ভাইরাস বা স্পাইওয়্যার বা অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান যা নেটে ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করছে, সেগুলো দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর পিসি বা ল্যাপটপ পরিষ্কার করার কৌশল তথা ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস অপসারণ করার কৌশল।
পিসি বা ল্যাপটপ থেকে ম্যালওয়্যার দূর করার জন্য আমরা সাধারণত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। এ প্রোগ্রামগুলো হতে পারে অ্যামাজিং ফ্রি টু থেকে শুরু করে ফ্রি ড্রিভেন অ্যান্টিভাইরাস ইউটিলিটি পর্যন্ত সবকিছুই। এসব অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম পিসি বা ল্যাপটপকে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য স্ক্যান, রিয়েল-টাইম মনিটরিং, ফাইলের অনুসন্ধানমূলক অ্যানালাইসিস এবং প্রসেস করে যাতে নতুন হুমকি শনাক্ত করতে পারে।
লক্ষণীয়, অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করার অর্থ এই নয় যে আপনি ম্যালওয়্যার, ভাইরাস থেকে পুরোপুরি নিরাপদ। কেননা, সেরা কোনো অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামও শতভাগ অব্যর্থ বলা যায় না। কেননা, ইতোমধ্যে ম্যালওয়্যারে আপস-প্রবণ ডিভাইস আপনার নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস পেতে পারে। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে আপনার সিস্টেমে ম্যালওয়্যারের জায়গা করে দিতে পারে। কোনো কোনো ম্যালওয়্যার হতে পারে একটি রিমোট অ্যাক্সেস ট্রোজান, যা যথাসময়ে আক্রমণ করার জন্য সুপ্ত অবস্থায় অপেক্ষা করতে থাকে। আর এসব কারণে কেউ সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা ফিশিং স্কিমের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। এ চাতুর্যপূর্ণ কৌশল আপনাকে একটি আক্রান্ত লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করাতে বা ডাউনলোড করাতে প্রলুব্ধ করে। এছাড়া কিছু বাজে প্রোগ্রাম আছে, যেগুলো দেখতে অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিস্পাইওয়্যারের মতো আচরণ করে। কিন্তু এসব প্রোগ্রাম ইনস্টল করা মাত্রই আপনি ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।
সুতরাং সবসময় মূল সোর্স থেকে অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড করা উচিত এবং থার্ড-পার্টি ডাউনলোড সাইট এড়িয়ে চলা উচিত। কখন খুব খারাপ হামলা হবে তা বলা কঠিন। তবে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার প্রচুর লক্ষণ রয়েছে, যা ইতোমধ্যে ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অ্যান্টিভাইরাস আপডেট রাখা : প্রতিরোধ
চেক করে দেখুন আপনার পিসিতে থাকা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সবশেষ ভাইরাস ডেফিনেশনসহ আপটুডেট ফায়ারওয়াল, অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিস্পাইওয়্যারসমৃদ্ধ ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার আছে কি না। অ্যান্টিভাইরাস ভেন্ডরেরা নিয়মিতভাবে এ লিস্টকে আপডেট করে আসছে যখনই তারা নতুন কোনো ভাইরাস এবং ট্রোজানের মুখোমুখি হচ্ছে। যদি আপনার সফটওয়্যারটি এক দিনের জন্য আউট ডেটের হয়ে যায়, তাহলেও আপনি ম্যালওয়ারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকির মধ্যে পড়ে যাবেন।
যদি আপনার সিস্টেমে কোনো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা না থাকে, তাহলে র্যানঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস, যেমন- অ্যাভাস্ট ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস, এভিজি অ্যান্টিভাইরাস বা পান্ডা ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস প্রভৃতির মধ্য থেকে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
যদি আপনার আক্রান্ত পিসিকে ফিক্স করার দরকার হয়, তাহলে আপনাকে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে সম্পূর্ণ সিকিউরিটি স্যুটের জন্য। র্যা ঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি সিকিউরিটি স্যুট, যেমন- সিমেনটেক নরটন সিকিউরিটি প্রিমিয়াম, বিটডিফেন্ডার ইন্টারনেট সিকিউরিটি, বিটডিফেন্ডার টোটাল সিকিউরিটি, ক্যাসপারস্কি ইন্টারনেট সিকিউরিটি এবং ম্যাকাফি লাইভসেফ প্রভৃতির মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
যেভাবে ভাইরাস অপসারণ করবেন : পুরনো অবস্থায় ফিরে যাওয়া
সিকিউরিটি সফটওয়্যারটি আপটুডেট হওয়ার পরও যদি মনে হয় ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে প্রথম করণীয় হলো স্ক্যান রান করা, তবে এতে সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে। ম্যালওয়্যার সিস্টেমে একবার ইনস্টল হতে পারলে তা আপনার অ্যান্টিভাইরাসকে ডিজ্যাবল করে দেবে। যদি উইন্ডোজে সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট সেট করা থাকে, তাহলে আপনার জন্য কিছুটা সহায়ক হতে পারে। সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট নামের সহায়ক কৌশল আমাদের জানা থাকা দরকার। কোনো কারণে সিস্টেমে বিপর্যর্য় ঘটলে সিস্টেম রিস্টোর ব্যবহার করতে পারেন সিস্টেমকে রিসেট করার জন্য। এ কৌশল কাজ করলেও করতে পারে, আবার নাও কাজ করতে পারে। যেহেতু ম্যালওয়্যার রচয়িতারা বেশ স্মার্ট, তাই তারাও প্রস্ত্তত থাকে পরবর্তী কৌশলের জন্য। এ অবস্থায় জকরষষ নামের প্রোগ্রাম চালিয়ে দেখতে পারেন। এ প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে কোনো জানা ম্যালওয়্যার প্রসেস বিনষ্ট করার জন্য।
ভাইরাস আক্রান্ত হলে নিচে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন-
ধাপ-১ : সেফ মোডে এন্টার করা
প্রথমেই পিসি বা ল্যাপটপকে ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করুন। এ কাজটি করুন যেকোনো ম্যালওয়্যার সংযোগকে আনপ্ল্যাগ করে এবং আপনার ল্যাপটপের ওয়াই-ফাইয়ের সুইচ অফ করে। এবার উইন্ডোজের সেফ মোডে বুট করুন। এটি উইন্ডোজের এমন একটি ভার্সন, যা রান করে অনেক প্রোগ্রাম এবং প্রসেস ছাড়াই, যেগুলো সম্পূর্ণ উইন্ডোজ ভার্সনের জন্য দরকার। এটি আপনাকে পিসি ব্যবহারে সুযোগ দেবে তেমন কোনো ক্ষতি না করেই এবং এটি আপনাকে সহায়তা-সমস্যা খুজে পেতে ম্যালওয়্যার সেফ মোডে রান করতে পারে না।
উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ভিসতা বা উইন্ডোজ এক্সপিতে এ উইন্ডোজ সেফ মোডে বুট করতে চাইলে প্রথমে পিসিকে শাটডাউন করুন। এরপর পিসিকে চালু করুন এবং স্ক্রিনে কোনো কিছু দেখার সাথে সাথে F8 চাপতে থাকুন। এর ফলে আপনি অ্যাডভ্যান্স বুট অপশন (Advanced Boot Options) মেনু দেখতে পারবেন। এবার Safe Mode with Networking অপশন সিলেক্ট করে এন্টার চাপুন।
উইন্ডোজ ৮ ও উইন্ডোজ ১০ কিছুটা ভিন্ন। উইন্ডোজ ৮ ও উইন্ডোজ ১০ পিসি খুব দ্রুতগতিতে চালু হয়। ফলে F8 চাপার কোনো সময় পাওয়া যায় না। উইন্ডোজ ৮ ও উইন্ডোজ ১০-এর উইন্ডোজ লগইন স্ক্রিনে রিস্টার্ট বেছে নিন এবং Shift key চেপে ধরুন। এর ফলে আপনি পৌঁছে যাবেন উইন্ডোজের ট্রাবলশুট অপশনে, যেখান থেকে আপনি সিলেক্ট করতে পারবেন সেফ মোডে বুট করা।
যাদের সেফ মোড দরকার, তারা অবশ্যই কোনো না কোনো সময় পিসির কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। যদি আপনি লগইন করার পর শুধু বস্ন্যাক স্ক্রিন দেখতে পান, তাহলে CTRL+ALT+DEL চাপুন সিলেকশন স্ক্রিন আনার জন্য এবং বেছে নিন লগআউট, রিস্টার্ট। এরপর চেপে ধরলে আপনাকে নিয়ে যাবে Safe Mode বেছে নেয়ার জন্য।
ধাপ-২ : টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করা
এ ধাপটি তেমন জটিল না হলেও বেশ সহায়ক। টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করলে ভাইরাস স্ক্যানিংয়ের কাজের গতি বেড়ে যায়, ডিস্ক স্পেস ফ্রি হয় এবং ম্যালওয়্যারও ডিলিট করতে পারে। এবার সিলেক্ট করুন Start→All Programs (অথবা শুধু Programs→ Accessories→System Tools→Disk Cleanup। এবার বেছে নিন ডিলিট টেম্পোরারি ফাইল।
ধাপ-৩ : ডাউনলোড এবং রান করুন ম্যালওয়্যারবাইট
উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে, আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ভিন্ন এক ধরনের ম্যালওয়্যার স্ক্যানার যাতে আপনার বর্তমান অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যাটটি ম্যালওয়্যার শনাক্ত করতে পারছে না। তাই আমাদের উচিত অন-ডিম্যান্ড স্ক্যানার ব্যবহার করা, যা শুধু ম্যালওয়্যার ইনফেকশন সার্চ করে যখন প্রোগ্রাম ম্যানুয়ালি ওপেন করে স্ক্যান রান করানো হয়। এতে সুবিধা হচ্ছে, আপনি অন-ডিম্যান্ড স্ক্যানারের পাশাপাশি রিয়েল-টাইম সিকিউরিটি সফটওয়্যারও রান করাতে পারবেন।
এ লেখায় ব্যবহার করা হয়েছে অন-ডিম্যান্ড স্ক্যানার নামের ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার ফ্রি ভাইরাস টুল। ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার ফ্রি টুল চালু করতে চাইলে আপনাকে আবার ওয়েবে সংযুক্ত হতে হবে, যাতে আপনি ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টিম্যালওয়্যার টুলটি ডাউনলোড, ইনস্টল এবং আপডেট করতে পারেন। তবে স্ক্যানিংয়ের কাজ শুরু করার আগে আপনাকে আবার ইন্টারনেট সংযোগকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তবে পুরোপুরি নিরাপদ থাকার সেরা উপায় হলো অন্য কমপিউটারে ম্যালওয়্যারবাইটসকে ডাউনলোড করে তা ইউএসবি ফ্ল্যাশড্রাইভে সেভ করা এবং ওই ফ্ল্যাশড্রাইভকে আক্রান্ত কমপিউটার নিয়ে যান।
ম্যালওয়্যারবাইটস ডাউনলোড করার পর সেটআপ রান করে প্রোগ্রাম ইনস্টল করার উইজার্ড অনুসরণ করে চলুন। প্রোগ্রাম ইনস্টল হওয়ার পর ম্যালওয়্যারবাইটস আপডেটের জন্য চেক করবে এবং নিজেই অ্যাপ চালু করবে। ডাটাবেজ আউটডেটেড হয়ে গেছে- এ সংশ্লিষ্ট কোনো মেসেজ পেলে আপডেট ডাউনলোড করার জন্য ণবং সিলেক্ট করে ঙশ-তে ক্লিক করুন যখন প্রম্পট করবে যে প্রোগ্রাম সফলভাবে ইনস্টল হয়েছে।
প্রোগ্রাম ওপেন করার পর ডিফল্ট স্ক্যান অপশন হিসেবে ‘Perform quick scan’ সিলেক্টেড রাখুন এবং Scan বাটনে ক্লিক করুন।
ম্যালওয়্যারবাইটস ফুল-স্ক্যান অপশন অফার করলেও ম্যালওয়্যারবাইটস রিকোমেন্ড করে ব্যবহারকারীরা যেন প্রথমে ক্যুইক স্ক্যান পারফরম করেন। যেহেতু স্ক্যান যেভাবেই হোক সাধারণত সব সংক্রমণ খুঁজে বের করে। কমপিউটারের ওপর ভিত্তি করে ক্যুইক স্ক্যানের জন্য যেকোনো জায়গায় ৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় নিতে পারে, যেখানে ফুল স্ক্যানের জন্য ৩০ থেকে ৬০ মিনিট বা তারও বেশি সময় নিতে পারে। যখন ম্যালওয়্যারবাইটস স্ক্যান করতে থাকবে, তখন আপনি দেখতে পারবেন কতগুলো ফাইল বা অবজেক্ট সফটওয়্যার ইতোমধ্যেই স্ক্যান করা হয়ে গেছে এবং শনাক্ত করে কতগুলো ফাইল ম্যালওয়্যার বা কতগুলো ফাইল ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়েছে।
যদি ম্যালওয়্যারবাইটসের ক্যুইক স্ক্যান কোনো সংক্রমণ খুঁজে না পায়, তাহলে এটি স্ক্যানের ফলাফলসহ একটি টেক্সট ফাইল প্রদর্শন করে। এরপরও যদি মনে করেন, আপনার সিস্টেমে কিছু ম্যালওয়্যার থাকতে পারে, তাহলে ম্যালওয়্যারবাইটস দিয়ে ফুল স্ক্যান রান করানোর কথা ভাবতে পারেন এবং আগে উল্লেখ করা অন্যান্য স্ক্যানার দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সন্দেহজনক কোন ফাইলটি স্ক্যানার শনাক্ত করেছে তা দেখতে চাইলে স্ক্রিনে নিচের ডান প্রান্তে ঝপধহ Results বাটনে ক্লিক করতে হবে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষতিকর উপাদানগুলো সিলেক্ট করবে অপসারণ করার জন্য। যদি আপনি শনাক্ত হওয়া অন্যান্য আইটেম অপসারণ করতে চান, তাহলে সেগুলোও সিলেক্ট করুন। এরপর স্ক্রিনে নিচের বাম প্রান্তের Remove Selected বাটনে ক্লিক করুন সুনির্দিষ্ট সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য।
সংক্রমণ অপসারণ করার পর ম্যালওয়্যারবাইটস ওপেন করবে স্ক্যান এবং অপসারণযোগ্য ফাইলের লিস্টসংবলিত একটি টেক্সট ফাইল। এবার অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম সফলতার সাথে সিলেক্ট করা প্রতিটি আইটেম যথাযথভাবে অপসারণ করতে পেরেছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফলাফলে চোখ বুলিয়ে যান। রিমুভাল প্রসেস সম্পন্ন করার জন্য ম্যালওয়্যারবাইটস পিসি রিস্টার্ট করার জন্য প্রম্পট করতে পারে, যা আপনার করা উচিত।
যদি ক্যুইক স্ক্যান রান করানোর পরও আপনার সমস্যা অটলভাবে থেকেই যায় এবং দেখা যায় এটি অনাকাঙিক্ষত ফাইল অপসারণ করছে, তাহলে ম্যালওয়্যারবাইটস এবং ইতোমধ্যে উল্লেখ্য অন্যান্য স্ক্যানার দিয়ে ফুল স্ক্যান রান করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। যদি মনে হয় ম্যালওয়্যার অপসারিত হয়েছে, তাহলে রিয়েল-টাইম অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামসহ ফুল স্ক্যান রান করুন ওই ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য।
ভাইরাস রিমুভাল ডিভাইসে ফিক্সমিস্টিক ব্যবহার
এ ধাপের জন্য দরকার কিছু নগদ অর্থ খরচ করা। যদি ম্যালওয়্যারবাইটস আপনার সমস্যার সমাধান দিতে না পারে, তাহলে সে ক্ষেত্রে কিছু খরচ করতে পারেন। কখনও কখনও এমন অবস্থা হয় যে, সিকিউরিটি সফটওয়্যারে আপনার পিসি-ল্যাপটপ ওপেন করাটাও খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। অনলাইনে না গিয়ে প্রিইনস্টল সিকিউরিটি সফটওয়্যারসহ বুটেবল ইউএসবি স্টিক ব্যবহার করে পিসি স্ক্যান এবং ক্লিন করা হলো এক চমৎকার উপায়। অতি সম্প্রতি ইউএসবি ডিস্কে তৈরি করা সিকিউরিটি সফটওয়্যার প্যাকেজ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করুন।
লক্ষণীয়, যদি আপনি অফিসের জন্য একজন নেটওয়ার্ক অ্যাডমিন না হয়ে থাকেন, তাহলে এ ধরনের ডিস্ক আপনি পাবেন না।
ফিক্সমিস্টিক খুব সহজ এক ‘প্ল্যাগ অ্যান্ড প্লে’ অ্যান্টিভাইরাস ইউএসবি স্টিক। এটি খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। ফিক্সমিস্টিক হলো একটি সেলফ-বুটেবল ইউএসবি ডিভাইস, যা অপারেট করে এর নিজস্ব পরিষ্কার পরিবেশে। এটি শনাক্ত করতে পারে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার, যেমন- স্পাইওয়্যার, ট্রোজান, র্যা নসমওয়্যারসহ আরও অনেক। ক্যাসপারস্কি, সপোস এবং ভিপরি থেকে এটি সম্পৃক্ত করে সিকিউরিটি সফটওয়্যার। এটি প্ল্যাগ করে স্ক্যানিং শুরু করুন ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের জন্য

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - জুন সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস