• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ম্যালওয়্যার সংক্রমণসূচকে বাংলাদেশ তৃতীয়
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিবেদন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ম্যালওয়্যার সংক্রমণসূচকে বাংলাদেশ তৃতীয়
ম্যালওয়্যার সংক্রমণসূচকে বাংলাদেশ তৃতীয়
মাইক্রোসফট এশিয়া গত ৭ জুন প্রকাশ করেছে ‘ম্যালওয়্যার ইনফেকশন ইনডেক্স ২০১৬’। এই সূচকে দেখা গেছে, এশিয়ার মধ্যে যে দেশগুলো ম্যালওয়্যার সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। রিপোর্টে বিভিন্ন দেশের ম্যালওয়্যার ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনা করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। একই সাথে কোন দেশ ম্যালওয়্যারে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত, তা বিবেচনা করে বাজারের অবস্থানও নির্ণয় করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেছে মাইক্রোসফট ম্যালওয়্যার প্রটেকশন সেন্টার এবং মাইক্রোসফট সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট।
বিশ্বের মধ্যে যে পাঁচটি দেশ সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যার ঝুঁকিপ্রবণ, তার মধ্যে চারটিই এশিয়ার। আর এই দেশ চারটি দেশ হচ্ছে অবস্থানক্রমে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও নেপাল। এই অবস্থানক্রম নির্ণয় করা হয়েছে কমপিউটার এনকাউন্টারিং ম্যালওয়্যারের ওপর ভিত্তি করে। এই চারটি দেশ ২০১৫ সাল শেষে প্রতিটিতেই গড়ে ৪০ শতাংশেরও বেশি কমপিউটার ম্যালওয়্যার এনকাউন্টার করছে। বিশ্বে এই এনকাউন্টারের গড় হার ছিল ২০.৮ শতংশ, ২০১৫ সালের প্রথম চার মাসের তুলনায় ১৭.৬ শতাংশ বেশি।
সবচেয়ে বেশি এনকাউন্টার করা ম্যালওয়্যার হচ্ছে : এধসধৎঁব, ঝশববুধয এবং চবধষং। প্রথমটি একটি ম্যালাসিয়াস কমপিউটার ওয়ার্ম। এটি সাধারণত ছড়ায় এক্সপ্লয়েট কিট ও সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে। দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি হচ্ছে ট্রোজান। এসব ম্যালওয়্যার চুরি করতে পারে ইউজারদের ব্যক্তিগত ইনফরমেশন। এগুলো ডাউনলোড করে আরও ম্যালওয়্যার অথবা পিসিতে একটি ম্যালাসিয়াসকে হ্যাকারকে ঢোকার সুযোগ করে দেয়। আসলে ‘উইন্ডোজ ডিফেন্ডার অ্যাডভান্সড থ্রেট হান্টিং টিম’ গত এপ্রিলে জানিয়েছিল, এরা ‘প্লাটিনাম’ নামে একটি সাইবার অপরাধী গোষ্ঠীর কথা জানতে পেরেছে। এই গোষ্ঠী ২০০৯ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে হামলার লক্ষ্যবস্ত্ততে পরিণত করে আসছে দক্ষেণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান, গোয়েন্দা সংস্থা ও টেলিযোগাযোগ জোগানদাতাদের।
মাইক্রোসফট এশিয়ার ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যান্ড ডিজিটাল ক্রাইমস ইউনিট’-এর আঞ্চলিক পরিচালক কেশব ধাকাদ বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সফিস্টিকেটেড ও টার্গেটেড সাইবার হামলা কমপিউটার ও ইন্টারনেট ইউজার সেগমেন্টে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান ডাটা ও ইনফরমেশন। সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠানের ২০০ দিন সময় লাগে এটুকু জানতে যে, এরা সাইবার হামলার শিকারে পরিণত হয়েছে। আমরা নজর রাখছি চারটি সাধারণ আইটি এনভায়রনমেন্ট সমস্যার ওপর। প্রথমত, পুরনো আইটি অ্যাসেটের ব্যবহার, এগুলো অসংরক্ষেত অথবা প্রকৃতগতভাবে নন-জেনুইন। দ্বিতীয়ত, অব্যবস্থিত ও অনিয়ন্ত্রিত আইটি পণ্যের ব্যবহার, ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ। তৃতীয়ত, ইউজারের দুর্বল সাইবারহাইজিন এবং কোম্পানির ভেতরের লোকদের অবহেলাজনিত আচরণ। চতুর্থত, সময়মতো আধুনিক সাইবার হামলার ঝুঁকির ওপর নজর রাখা, চিহ্নিত করা ও অপসারণ করায় কোম্পানিগুলার অসক্ষমতা। এগুলো হচ্ছে সাইবার ঝুঁকির অন্যসব কারণের মধ্যে কয়টি সাধারণ কারণ।’
মাইক্রোসফট এশিয়া এ অঞ্চলে টেকনোলজিতে আস্থা গড়ে তোলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সাইবার হামলা মোকাবেলার লক্ষে্য মাইক্রোসফট গত মার্চে দক্ষেণ কোরিয়ায় একটি নতুন সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (সিএসসি) চালু করেছে। এর আগে একই ধরনের একটি কেন্দ্র ফেব্রম্নয়ারিতে চালু করা হয়েছে সিঙ্গাপুরে। সিএসসির পদক্ষেপ হচ্ছে বৃহত্তর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সাইবার অপরাধ মোকাবেলা করা। একই সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকার ও সাইবার সিকিউরিটিসংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করে তোলা। এসব সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার হচ্ছে মাইক্রোসফটের যুক্তরাষ্ট্রের রেডমন্ডে অবস্থিত মাইক্রোসফট ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিটের সম্প্রসারণ
মেক্সিকোর
‘ডিজিটাল ক্রিয়েটিভ সিটি’
পরনে ভালুকের লোমের তৈরি প্যান্ট। গায়ে স্টার্টআপের (নয়া গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান) লোগোওয়ালা টি-শার্ট। চোখে তারের ফ্রেমের চশমা। এরা জনাবিশেক কোডার। এসব তরুণের কারও মুখে সিগারেট। কেউ কফি পান করছেন কাগজের তৈরি কাপে। এরা ব্যস্ত আইফোন স্ক্রলিংয়ের কাজে। এদের পেছনে রয়েছে একটি কো-ওয়ার্কিং স্পেস, যেখানে কাজ করেন ৮৫০ জন টেক ওয়ার্কার। এখানে কয়েক ডজন স্টার্টআপ তৈরি করছেন অ্যাপ, বের করছেন নানা ডিজাইন। আবহ অনেকটা সিলিকন ভ্যালির মতো। এটি গুয়াদালাজারা, মেক্সিকোর ‘ডিজিটাল ক্রিয়েটিভ সিটি’। এটি মেক্সিকোর দক্ষেণ সীমান্তের একটি শহর এবং জ্যালিসকো স্টেটের রাজধানী। বিদেশী টেক জায়ান্টদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে এই ডিজিটাল ক্রিয়েটিভ সিটি। অনেক স্থানই দাবি করে পরবর্তী সিলিকন ভ্যালির মতো কিছু একটা হওয়ার। নিউইয়র্ককে বলা হয় ‘সিলিকন অ্যালি’। আর লস অ্যাঞ্জেলেসকে বলা হয় ‘সিলিকন বিচ’। কিন্তু মেক্সিকোর ডিজিটাল ক্রিয়েটিভ সিটি ‘গুয়াদালাজারা’র সাফল্য দেখে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে মেক্সিকোতেই কি হতে যাচ্ছে পরবর্তী সিলিকন ভ্যালি?
জ্যালিসকো স্টেটের ইনোভেশন মিনিস্ট্রির দেয়া তথ্যমতে- ২০১৪ সালের পর থেকে গুয়াদালাজারার ৩০০ স্টার্টআপে প্রায় ১২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর অনেকটাই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল হিসেবে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এখানে রয়েছে কয়েক হাজার স্টার্টআপসহ কিছু বস্নুচিপ জায়ান্ট। এদের সুবাদে জ্যালিসকো স্টেট বছরে রফতানি করে ২১০০ কোটি ডলারের টেক পণ্য ও সেবা। আইবিএম, ওরাকল, ইন্টেল, এইচপি, ডেল ও গেমসফটের মতো বহুজাতিক অনেক কোম্পানির রয়েছে স্যাটেলাইট অফিস। জ্যালিসকো স্টেটে রয়েছে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে সুবিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ‘টেকনোলজিকো ডি মনটেরে’। এখান থেকে বছরে বের হয় সাড়ে ৮ হাজার আইটি গ্র্যাজুয়েট। জ্যালিসকো এগিয়ে যাচ্ছে এর প্রযুক্তি খাত নিয়ে। এর প্রযুক্তি খাত এখন আউটসোর্সিং করে বছরে আয় করছে ১২০০ কোটি ডলার। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফার্ম রঞবীরপড়-এর ১২১ জনবলের ১০৭ জনেরই কর্মস্থল গুয়াদালাজারা। এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অনুরাগ কুমার বলেন, গুয়াদালাজারায় ব্যবসায় করা আর আমেরিকায় ব্যবসায় করা একই কথা।
অনুরাগ কুমার একজন ভারতীয় অভিবাসী। তিনি পিটার্সবার্গে যান ১৯৮২ সালে। তিনি সেখানে টিসিএসে মেক্সিকান টিমের সাথে কাজ করেন পাঁচ বছর। তাকে মাসে দুইবার টেক্সাস থেকে গুয়াদালাজারায় বিমানে যেতে হতো। তার কোম্পানি মেক্সিকো সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে ‘এন্টাপ্রিনিউয়ারশিপ অ্যাওয়ার্ড’। এটি ২০১৫ সালে দ্রুত বেড়ে ওঠা কোম্পানির তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি। এর রয়েছে শতাধিক গ্রাহক। এর গ্রাহকদের মধ্যে আছে কিছু বিখ্যাত কোম্পানিও- ম্যাকডোনাল্ড’স, আইবিএম। আর পার্টনারশিপ আছে অ্যাপসিলারেটর ও মাইক্রোসফটের সাথে। এর বছরে আয় ৫০ লাখ ডলার। এটি এখনও কোনো মার্কেট লিডার নয়, তবে এটি এর গ্লোবাল কাস্টমারদের সাথে নিয়ে বেড়ে উঠছে একটি মাঝারি আকারের কোম্পানি হিসেবে।
এর রিটেনশন রেট সিলিকন ভ্যালির সাথে প্রতিযোগিতা করার মতো। রিটেনশন রেট হচ্ছে রিটেইন্ড কাস্টমারের সংখ্যা ও ঝুঁকিপ্রবণ কাস্টমারের সংখ্যার অনুপাত। এ কথা ঠিক, এইচপি ও ওরাকলের মেধাবীদের সাথে প্রতিযোগিতা করা কঠিন। এরপরও অনুরাগ কুমার ও তার সহকর্মী অভিজিত প্রধান বলেন, তারা মেক্সিকান গুইলেরমো অর্তেগার মতো মেধাবীজনকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। অর্তেগা উদ্যোক্তা হিসেবে আইটেক্সিকোর থার্ড ফাউন্ডার হিসেবে কোম্পানি পরিচালনা করেন। একজন স্থানীয়কে পেয়ে কোম্পানি পরিচালনা অনেক সহজ হয়েছে। অনুরাগ কুমার মনে করেন, মেক্সিকোতে উত্তম স্টার্টআপ পরিস্থিতি বিদ্যমান। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের লাগোয়া, আছে ট্যারিফ-লেস বাণিজ্য সুবিধা, আইপি প্রটেকশন, সহজ ভিসা-প্রক্রিয়া, সহজে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া-আসা করা যায়, এইচ১ ও এল১-এর কোনো প্রয়োজন নেই। জেলিকসো উৎপাদিত যেকোনো পণ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় পাঠানো যায়। এটি ভারতের চেয়েও কাস্টমার-ইফেক্টিভ।
মেক্সিকোতে স্টার্টআপ আন্দোলন শুরু ২০১১ সালে। ২০১১ সালে মেক্সিকোর ‘মেক্সিকান ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’ নামের ফার্মের ২০ হাজার ডলার বিনিয়োগের আগে সেখানে কোনো ভেঞ্চার ফান্ডিং ছিল না। এই ফান্ড পায় ৫০০ স্টার্টআপ। এখন মিডিয়ান সিড ইনভেস্টমেন্ট ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলার
সর্বাধিক ম্যালওয়্যার ঝুঁকিপ্রবণ ১৫ দেশ
০১. পাকিস্তান ০২. ইন্দোনেশিয়া ০৩. বাংলাদেশ
০৪. নেপাল ০৫. ভিয়েতনাম ০৬. ফিলিপাইন
০৭. কম্বোডিয়া ০৮. ভারত ০৯. শ্রীলঙ্কা
১০. থাইল্যান্ড ১১. মালয়েশিয়া ১২. সিঙ্গাপুর
১৩. তাইওয়ান ১৪. চীন ১৫. হংকং

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - জুলাই সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস