• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সাদিক ইকবালের নেতৃত্বে ডিএনসিসির মোবাইল অ্যাপ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
অ্যাপ
তথ্যসূত্র:
অ্যাপ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সাদিক ইকবালের নেতৃত্বে ডিএনসিসির মোবাইল অ্যাপ
ঢাকা উত্তরের বাসিন্দাদের জন্য ‘নগর’ নামে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির জন্য নাগরিক সুবিধার নানা ফিচার সংবলিত এই অ্যাপটি তৈরি এবং উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও শিক্ষকের সমন্বিত একটি দল। সম্প্রতি রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অ্যাপটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক। এ ধরনের একটি অ্যাপ তৈরি করায় ডিএনসিসি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, অত্যাধুনিক সুবিধাসমৃদ্ধ এ ধরনের অ্যাপ ডিএনসিসির নাগরিকদের সেবার পাশাপাশি বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি চূড়ান্ত স্বীকৃতি এনে দেবে।
এ অ্যাপের মাধ্যমে ডিএনসিসির ডিজিটাল যাত্রা শুরু হয়েছে জানিয়ে মেয়র আনিসুল হক বলেন, শুধু ঢাকা নয় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে বসে এ অ্যাপের সুবিধা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ও নগর অ্যাপের পরিকল্পনাকারী জামিল আজহার বলেন, বিইউর আরবান ল্যাবের গবেষণার মাধ্যমে অত্যাধুনিক এ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যাতে একজন নাগরিক সব সেবা পান। সহযোগিতা পেলে এ অ্যাপকে আরও আধুনিক করা হবে।
রাস্তা খারাপ, ময়লা-আবর্জনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অবৈধ দখলদারিত্ব, ঘুষ, দুর্নীতি ও মশার উপদ্রব- এই সাত ধরনের নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হলে ‘নগর’-এর মাধ্যমে অভিযোগও ডিএনসিসিতে সরাসরি জানাতে পারবেন তারা। ইতোমধ্যে অনেক ব্যবহারকারী ব্যবহার করছেন নগর অ্যাপ, পেয়েছেন ফলাফল। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ছবি তোলার পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নগর কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে। অভিযোগগুলো করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন জোনের ড্যাশবোর্ডে অভিযোগ ও মতামত আকারে সংরক্ষিত হবে। অভিযোগের ধরন অনুযায়ী সেগুলো সমাধান করার পর তা ড্যাশবোর্ডে স্থান পাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিযোগকারীকে জানানো হবে।
অ্যাপটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এর সার্বিক ত্বত্তাবধানে থাকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান সাদিক ইকবাল জানান, ‘উইন্ডোজ ও আইওএস প্লাটফর্মের জন্য আমাদের কাজ চলছে এবং মেয়রের আরও কিছু কাজ যেমন বিল পেমেন্ট সিস্টেমের কাজ চলছে। এ ছাড়া অ্যাপটি কীভাবে আরও ইউজার ফ্রেন্ডলি করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।’
এ ছাড়া অ্যাপটিতে রয়েছে জরুরি এসওএস বাটন। তাতে প্রেস করলে তিন সেকেন্ডের মধ্যে আত্মীয়স্বজন ও নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে বিপদসঙ্কেত দেখানো হবে। অ্যাপটিতে হাসপাতাল, ফায়ার স্টেশন, পুলিশ স্টেশনসহ জরুরি তথ্যসেবাও পাওয়া যাবে। এ অ্যাপটির যোগাযোগ নেটওয়ার্কের এক প্রান্তে রয়েছেন সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ, অপর প্রান্তে ডিএনসিসি ও পুলিশ বাহিনী। গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে যেকোনো নাগরিক পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। অবশ্য এজন্য অ্যান্ড্রয়িড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - সেপ্টেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস