• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > একগুচ্ছ অ্যাপ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আনোয়ার হোসেন
মোট লেখা:৭৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
অ্যাপ
তথ্যসূত্র:
মোবাইলপ্রযুক্তি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
একগুচ্ছ অ্যাপ
শীতের প্রকোপে কমে গেলেও অ্যাপের বাজার আছে আগের মতোই। নতুন নতুন অনেক অ্যাপ বাজারে চলে এসেছে। অ্যাপ ডেভেলপারেরা প্রতিদিনই নতুন নতুন অ্যাপ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বা পুরনো অ্যাপকে আরও নিখুঁত এবং বেশি সুবিধা সংবলিত করছেন। প্রতিদিন মুক্তি পাওয়া সব অ্যাপ ট্র্যাক করা খুব কঠিন। এমনকি ভালোগুলোর মধ্যে ভালো অ্যাপ চিহ্নিত করাও বেশ কঠিন। কঠিন এই কাজকে সহজ করার জন্য সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া কিছু অ্যাপের বিস্তারিত এখানে তুলে ধরা হলো।

বিট টরেন্ট লাইভ
সিনেমা পাগলেরা বিট টরেন্টের সাথে আগেই পরিচিত। এখন বিট টরেন্টের সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যান্ড্রয়িড ডিভাইসেও। এই অ্যাপের সাহায্যে লাইভ স্ট্রিমিং উপভোগ করা যাবে। এ ছাড়া এই অ্যাপের সাহায্যে উপভোগ করা যাবে নিউজ, খেলাধুলা, লাইভ ইভেন্ট, বিনোদনমূলক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অ্যাপটিতে প্রতিদিনিই নতুন নতুন চ্যানেল যুক্ত হচ্ছে।
বাইট স্নেপ
স্বাস্থ্য সচেতন সবাই জানতে চান তারা কী খাচ্ছেন, কত ক্যালরি গ্রহণ করছেন ইত্যাদি সব তথ্য। প্রতিটি খাবারের ধরন বুঝে এগুলোর পুষ্টি ও ক্যালরির পরিমাণ হিসাবে রাখা সহজসাধ্য কাজ নয়। এই অ্যাপের সাহায্যে খাবার ট্র্যাক করা যাবে খুবই সহজে। এজন্য যে খাবার আপনি খাবেন, তার ছবি নিলেই হবে। ছবি নিয়ে কিছু বিষয় নিশ্চিত করলেই হয়ে গেল ট্র্যাকিং করা। বাইট স্নেপ ছবি দেখে খাবারের ক্যালরি, ম্যাক্রো ও পুষ্টির পরিমাণ নির্ধারণ করে দেবে। ফলে মুক্তি পাওয়া যাবে প্রতিটি খাবারের জন্য ম্যানুয়ালি খাদ্যমানের হিসাব রাখার ঝামেলা থেকে।
পোস্টিউর
ফোন আমাদের প্রতিদিনের এক অবিচ্ছেদ্য যন্ত্র। গবেষণা বলছে, গড়ে একজন ব্যবহারকারী প্রতিদিন তার ফোনের দিকে ৮৫ বার তাকিয়ে থাকেন বা দেখেন। দুশ্চিমত্মার কারণটি অন্য জায়গায়। আমরা যেভাবে ফোন ধরে রাখি, এর ফলে আমাদের ঘাড়ে ২৭ কেজি পর্যন্ত চাপ পড়ে! এটা ঠিক কতটা চাপ তা বোঝার জন্য ফোনে কথা বলার সময় দুই ঘণ্টার জন্য মাথায় ২৭ কেজি ওজন চাপিয়ে দেখতে পারেন। ফোন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে এবং এটি ভবিষ্যতেও থাকবে। ফোনকে যেহেতু বাদ দেয়া যাবে না, তাই আমাদের ফোন ধরার ভঙ্গি বা অঙ্গভঙ্গিতে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার, যাতে ঘাড়ের ওপর কম চাপ পড়ে। পোস্টিউর অ্যাপটি ফোন ধরার সঠিক ভঙ্গি সম্পর্কে জানাবে। এটি ব্যবহারকারীকে ঘাড়ে চাপ পড়ে এমন ভঙ্গিতে ফোন ধরা অবস্থায় শনাক্ত করে সতর্ক কওে দেবে যেন সঠিক পজিশনে যাওয়া যায়। এর ফলে চোখের সমান উচ্চতা বা সঠিক ভঙ্গিতে ফোন ধরার অভ্যাস হয়ে যাবে এবং ঘাড়ের ওপর চাপ কমে যাবে।
টুন টাস্টিক থ্রিডি
কার্টুনপ্রেমীদের জন্য দারুণ একটি অ্যাপ। আরও স্পষ্ট করে বললে যারা কার্টুন দেখার সাথে সাথে মনে মনে কার্টুন বানানোর ইচ্ছে পোষণ করেন, তাদের জন্য এই অ্যাপ। এই অ্যাপ দিয়ে ব্যবহারকারী নিজের মতো করে ড্রইং, অ্যানিমেট ও বর্ণনা দিতে পারবেন। খুব সহজ একটি অ্যাপ। পছন্দমতো চরিত্রকে স্ক্রিনজুড়ে নড়াচড়া করে, নিজের গল্পটি বলে দিলেই হবে। টুন টাস্টিক আপনার ভয়েজ ও অ্যানিমেশন রেকর্ড করে নিয়ে ডিভাইসে থ্রিডি ভিডিও রূপে স্টোর করবে। এটি নক্ষত্রম-লগত অ্যাডভেঞ্চার, ব্রেকিং নিউজ, রিপোর্ট, ভিডিও গেম ডিজাইন, ফ্যামিলি ফটো অ্যালবাম বা আপনার কল্পনার যেকোনো কিছুর জন্য শক্তিশালী একটি টুল।
মুড কাস্ট ডায়রি
মুডের ওপর অনেক কিছুই নির্ভরশীল। মুড ভালো না থাকলে কোনো কাজই ভালোভাবে সম্পন্ন করা হয়ে ওঠে না। তাই যদি প্রতিদিনের মুডের ও কার্যক্রমের অবস্থা বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করে ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তবে কেমন হয়? মুড কাস্ট ডায়রি এ কাজে সহযোগিতা করার একটি অ্যাপ। অ্যাপটি ব্যবহারকারীর প্রতিদিনের মুডের সাথে সাথে কার্যক্রম চিহ্নিত করে রাখে। একই সাথে অ্যাপটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট যেমন- ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য অ্যাপ থেকে পোস্ট দেখে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। সেসব সংগ্রহ করা তথ্য ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর মুডের ভবিষ্যদ্বাণী দেয়। এর সংগ্রহ করা তথ্য থেকে ব্যবহারকারী পুরনো বাজে অভ্যাস চিহ্নিত করে সেটা বাদ দিয়ে নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
স্কুইজ
অনেকেরই নিজের সম্পর্কে অভিযোগ- কীভাবে টাকা পয়সা খরচ হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছেন না, সেভিং তো থাকছেই না বরং ধারদেনায় ডুবে যাচ্ছেন। এর মানে হলো অভিযোগকারী খরচের খাতগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেন না বা দেয়ার সময় পান না। ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক হিসাব রাখার জন্য দারুণ একটি অ্যাপ স্কুইজ। এটি সব বিলের হিসাব রাখার পাশাপাশি ক্যাটাগরি অনুযায়ী সব খরচকে ভাগ করে রাখে। ফলে ব্যবহারকারী খুব সহজেই বুঝতে পারেন কোন খাতে বেশি খরচ হচ্ছে। বেশি খরচ হওয়া খাতে খরচের লাগাম টেনে ধরার মাধ্যমে সেভিংয়ের জন্য কিছু টাকা বাঁচানোও যেতে পারে। এই অ্যাপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী সচেতন হয়ে খরচ কমিয়ে সেভিংয়ে মনোযোগ দিতে পারেন।
স্ক্রিনস
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে স্পিস্নট স্ক্রিন বা স্ক্রিন খ--ত করার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। কিন্তু অ্যান্ড্রয়িড ডিভাইসে স্পিস্নট স্ক্রিন ফিচারটি দেখা যায় না। স্ক্রিনস অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়িড ডিভাইসে স্পিস্নট স্ক্রিন মোড সুবিধা নিয়ে এসেছে। এই অ্যাপের সাহায্যে হোম স্ক্রিনে শর্টকাট বানিয়ে সেখান থেকে খুব সহজেই স্পিস্নট স্ক্রিনের মাধ্যমে এক সাথে দুটি অ্যাপ চালু করা যাবে। অ্যাপটি ওপেন করে যে দুটো অ্যাপ আপনি চালু করতে চাচ্ছেন সিলেক্ট করে দিয়ে শর্টকাটের নাম দেয়ার পরই সেটা হোম স্ক্রিনে চলে আসবে।
ফিডব্যাক : hossain.anower009@gmail.coma

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস