লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
ডব্লিউইউবিতে পঞ্চম জাতীয় কমটেক ফেস্টিভাল-২০১৬
তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক জ্ঞান থাকলে সহজেই নতুন নতুন উদ্ভাবনে নিজেকে নিয়োজিত করা যাবে। এ ছাড়া নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজন একনিষ্ঠতা। কমপিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে বলে বলেছেন বক্তারা। গত ২৪ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ডব্লিউইউবি) তাদের পান্থপথ ক্যাম্পাসে জমকালোভাবে শুরু করে ‘৫ম জাতীয় কমটেক ফেস্টিভাল।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে ডব্লিউইউবি এ ফেস্টিভাল আয়োজন করে। দুই দিনব্যাপী ফেস্টিভালে ছিল বিভিন্ন আয়োজন। উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোর্শেদা চৌধুরী, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম নুরুল ইসলাম ও বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জববার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মুশফিক এম চৌধুরী।
অতিথিদের অনুষ্ঠান শুরুর পর একে একে চলতে থাকে রোবটিক্স কনটেস্ট, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ইনোভেটিভ অ্যাপস কনটেস্ট, আইডিয়া কনটেস্ট, ওয়ার্কশপ, প্রজেক্ট শোকেসিং, বটবল প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীরা। এ ছাড়া আইটি অলিম্পিয়াড, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গেমিং কনটেস্টে কলেজ পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও আইটি ফেয়ার ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। আইটি ফেয়ারে সাম্প্রতিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করতে অংশ নেয় বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কোম্পানি।
বটবল বা রোবটিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। তাদের মধ্যে বিজয়ী হন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শাহরিয়ার কবির ও উদয় জালাল।
আইডিয়া কনটেস্টে জয়লাভ করে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি টিম ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের টিম রানার্স আপ হয়।
প্রজেক্ট শোকেসিংয়ে বিজয়ী হয় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘টিম-স্পার্ক’ ও রানার্স আপ হয় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টিম ‘ডি-বট’।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি ইনোভেটিভ মোবাইল অ্যাপ প্রদর্শন করে। এই বিভাগে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি গেমের অ্যাপের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয় ডিজিটাল-বি ও সরকারি খাস জমি শনাক্তকরণ অ্যাপের জন্য রানার্স আপ হয় কোডেক্স সফটওয়্যার।
তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া টিমের মাঝে বিজয়ী হয় ঢাকা কমার্স কলেজ ও রানার্স আপ হয় ঢাকা কলেজ।
দুই দিনব্যাপী এই ফেস্টিভালে তিনটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ, দেশের প্রথিতযশা প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণে ক্যারিয়ার, বিগডাটা ও আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ও প্রযুক্তি খাতে দেশকে নেতৃত্ব প্রদান বিষয়ক পাঁচটি প্যানেল আলোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে চারটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, যা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এবারের ফেস্টিভালে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর সহকারী সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল হক অনুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। প্রতিবছর এই ফেস্টিভালে একজন করে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিককে সম্মাননায় ভূষিত করা হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
দুই দিনব্যাপী এই ফেস্টিভাল গত ২৫ নভেম্বর পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয়। পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ও সিএসই বিভাগের প্রধান কাজী হাসান রবিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী। র্যা ফেল ড্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা এয়ার টিকেট, স্মার্টফোন, হোটেল সী গালের সৌজন্যে কক্সবাজারে তিন দিন-দুই রাত থাকার সুবিধা। এছাড়া ২০টি অতিরিক্ত পুরস্কার দেয়া হয়