• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > রেন্ট-এ-কোডার : ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: জাকারিয়া চৌধুরী
মোট লেখা:৩৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ফ্রিল্যান্স
তথ্যসূত্র:
ফলোআপ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
রেন্ট-এ-কোডার : ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট

কমপিউটার জগৎ-এর গত সংখ্যায় আমরা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের নানা দিক, সম্ভাবনা, টাকা উত্তোলনের উপায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম৷ পাঠকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷ এই সংখ্যায় একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট www.RentACoder.com নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে৷



রেন্ট-এ-কোডার হচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক মার্কেট প্লেস, যেখানে প্রোগ্রামারদের স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ করে দেয়৷ এই সাইটে প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন, রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), গেম ডেভেলপমেন্টসহ অসংখ্য ধরনের কাজ পাওয়া যায়৷ অতীতে কমপিউটারভিত্তিক ব্যবসায়-বাণিজ্যের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের লোকাল বা আঞ্চলিক সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হতো৷ এতে সার্ভিসের গুণগত মান ভালো হতো না এবং অনেক ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি হতো৷ বর্তমানে রেন্ট-এ-কোডারের মতো সাইটগুলো আউটসোর্সিংয়ের যে সুযোগ করে দিয়েছে তাতে ক্লায়েন্টরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাছাই করে তুলনামূলকভাবে কম খরচে ভালো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারছে৷ অন্যদিকে প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, অপারেটর এবং অন্য পেশাজীবীরা তাদের ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছে৷



রেন্ট-এ-কোডারে দুই ধরনের ব্যবহারকারী আছে৷ যারা এই সাইটে প্রজেক্ট পোস্ট করে তাদেরকে বলা হয় বায়ার এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় কোডার৷ বলা বাহুল্য, এই সাইটে কোডার বলতে শুধু প্রোগ্রামারই নয়, বরং সব ফ্রিল্যান্সারকেই বুঝায়৷ এ পর্যন্ত প্রায় ২,৯৭,০০০ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে৷

রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো

সাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে৷ কোডার বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো হলো :

০১. অ্যাকাউন্ট তৈরি করা

সাইটের প্রথম পৃষ্ঠার নিচের অংশ থেকে Login নামের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন৷ লগইন পৃষ্ঠা থেকে Create your free account লিঙ্কটি ক্লিক করুন৷ এই অংশে আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে৷ সাইটটি তখন আপনাকে একটি ই-মেইল পাঠাবে৷ ই-মেইলে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে সাইটটিতে প্রবেশ করুন এবং আপনার আইডি নিশ্চিত করুন৷

০২. ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে৷ ইউজার ইনফরমেশন পৃষ্ঠায় আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে৷

স্ক্রিন নেম :

এই অংশে কোম্পানির নাম, আপনার পুরো নাম বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারেন৷ সাইটের সব ক্ষেত্রে এই নামটি আপনার পরিচয় বহন করবে৷
পাসওয়ার্ড :

এই অংশে একটি পাসওয়ার্ড দিন, যা প্রতিবার সাইটে লগইন করার সময় ব্যবহার করতে হবে৷

বিলিং তথ্য :

বিলিংয়ের বিভিন্ন টেক্সটবক্সগুলোতে আপনার নাম এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিন৷ ব্যক্তিগতভাবে সাইটে কাজ করতে চাইলে বিলিংকোম্পানি ঘরটি খালি রাখুন৷ পরবর্তী সম চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিলিং অংশে দেয়া ঠিকানায় আপনাকে চেক পাঠানো হবে৷

০৩. টাকা তোলার উপায়

এই ধাপে আপনাকে টাকা তোলার যেকোনো একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে৷ রেন্ট-এ-কোডার থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা তোলা যায়, যা কমপিউটার জগৎ-এর গত সংখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে৷ এই ধাপটি যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই নতুন পাঠকদের সুবিধার জন্য তা আরেকবার বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো৷

স্নেইল মেইল চেক : এই পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম৷ প্রতিবার টাকা তুলতে খরচ পড়বে মাত্র ১০ ডলার, যা চেকের মাধ্যমে আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে৷ তবে এটি একটি সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি৷ সাইটে রেজিস্ট্রেশনের সময় ঝামেলা এড়াতে প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতিটি সিলেক্ট করতে পারেন৷ পরে যেকোনো সময় অন্য পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে পারবেন৷

ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার :

টাকা তোলার একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার৷ এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পুরো টাকা বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এসে জমা হয়ে যাবে৷ তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি৷ প্রতিবার টাকা তুলতে মোট ৫৫ ডলার খরচ পড়বে৷ এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে আপনাকে নিচে উল্লিখিত তথ্যগুলো সাইটে দিতে হবে (চিত্র-২) :

যুক্তরাষ্ট্র ব্যাংকের নাম :

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত একটি ব্যাংকের নাম যা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করবে৷ এজন্য আপনি আপনার ব্যাংকে গিয়ে জেনে নিন, এরা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকে৷

ইউএস ব্যাংক এবিএ রাউটিং নাম্বার : যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওই ব্যংকের রাউটিং নাম্বার, যা আপনি ব্যাংকটির ওয়েবসাইটে পেয়ে যেতে পারেন৷ ব্যাংকের সাইট না পেলে গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন৷

 বেনিফিসিয়ারি ব্যাংক : দেশে অবস্থিত আপনার ব্যাংকের নাম এবং ঠিকানা৷
 SWIFT অ্যাড্রেস : আপনার ব্যাংকের SWIFT কোড৷
 বেনিফিসিয়ারি নেম : আপনার নাম অর্থাৎ ব্যাংকে যে নামে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে সেই নাম৷
 বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট : আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার৷
 বেনিফিসিয়ারি ব্যাংক শাখা : আপনার ব্যাংকের শাখা এবং ঠিকানা৷


পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড



উপরের দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড (চিত্র-৪)৷ সম্প্রতি প্রায় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই মাস্টার কার্ড সার্ভিস চালু করেছে৷ এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে এটিএম-এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন৷ এজন্য এককালীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর মাসিক খরচ পড়বে সর্বমোট ১০ ডলারের মতো৷ এটিএম থেকে প্রতিবার টাকা তোলার জন্য খরচ পড়বে ২.১৫ ডলার৷ এজন্য প্রথমে রেন্ট-এ-কোডারের মাধ্যমে পাইওনিয়ার সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে৷ তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি মাস্টার কার্ড পৌঁছে যাবে৷ কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী তা সচল করতে হবে এবং ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে৷ পরে এই নাম্বারের মাধ্যমে এই কার্ডটি সাপোর্ট করে এমন যেকোনো এটিএম থেকে টাকা সহজেই তুলতে পারবেন৷ কার্ডটি সফলভাবে সচল করার পর রেন্ট-এ-কোডার সাইটের My Pay Options অংশে এসে কার্ডটির প্রাপ্তিস্বীকার করতে হবে৷ এরপর প্রতি মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেন্ট-এ-কোডার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে টাকা লোড করবে৷

০৪. ই-মেইল এলার্ট এবং অন্যান্য তথ্য

প্রতিদিন নতুন নতুন কাজের তথ্য, বায়ারের রিপ্লাই এবং সাইটের অন্যান্য তথ্য ই-মেইলের মাধ্যমে পেতে চাইলে এই পৃষ্ঠায় ঠিক করে দিন৷ এই পৃষ্ঠার নিচের অংশে ইচ্ছে করলে আপনি আপনার ফোন নাম্বার, বায়ারের সাথে চ্যাট করার জন্য ম্যাসেঞ্জারের আইডি দিতে পারেন৷ সাধারণত আপনি কখনই আপনার ফোন নাম্বার এবং ই-মেইল ঠিকানা বায়ারকে দিতে পারবেন না৷ তবে কাজের মূল্য ৫০০ ডলারের বেশি হলে সাইটি নিজে থেকেই এই তথ্যগুলো বায়ারকে জানাবে৷ তখন আপনি বায়ারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন৷ তবে সবচেয়ে নিরাপদ হলো সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে বায়ারের সাথে যোগাযোগ করা৷

০৫. নির্দিষ্ট ধরনের প্রজেক্ট ফিল্টার করা

আপনি যে ধরনের প্রজেক্টে কাজ করতে চান, তা এই ধাপে ঠিক করে দিতে হবে৷ প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্সের বা অন্য যে বিষয়ে আপনি কাজ করতে চান তা সিলেক্ট করুন, ফলে নতুন প্রজেক্টের পৃষ্ঠায় শুধু আপনার কাঙ্খিত প্রজেক্টগুলোই দেখতে পাবেন৷ এই ধাপে প্রজেক্টের বিভিন্ন মূল্যের ওপর ভিত্তি করে আরেকটি ফিল্টার করতে পারবেন (চিত্র-৪)৷ সাইটে ১০০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার ডলারের প্রজেক্ট বিভাগ আছে৷ প্রাথমিকভাবে ১০০ ডলারের প্রজেক্ট বিভাগ সিলেক্ট করুন, পরে সাইটে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেশি মূল্যের প্রজেক্টগুলো ফিল্টার করতে পারেন৷



০৬. রিজ্যুমে তৈরি করা

এই ধাপে আপনার একটি রিজ্যুমে তৈরি করে নিন৷ এই পৃষ্ঠায় দুটি টেক্সটবক্স পাবেন৷ প্রথমটিতে আপনার নিজের বা কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য দিন৷ দ্বিতীয় বক্সে যে বিষয়গুলোতে ‍আপনার অভিজ্ঞতা ‍আছে, তা উল্লেখ করুন৷ এ তথ্যগুলো আপনার প্রোফাইল পৃষ্ঠায় সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷ বায়ার এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ দেবে৷ তাই রিজ্যুমে যথাসম্ভব আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল রাখতে চেষ্টা করবেন৷ প্রয়োজনে অন্যান্য কোডারের প্রোফাইল থেকে আইডিয়া নিতে পারেন৷ তবে কখনই আপনার ই-মেইল ঠিকানা, ফোন নাম্বার বা অন্য কোনো তথ্য, যা দিয়ে বায়ার আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে, তা উল্লেখ করতে পারবেন না৷ এই পৃষ্ঠায় আপনি আপনার ছবি বা আপনার কোম্পানির লোগো দিতে পারবেন৷

একটি বিড রিকোয়েস্টের বিভিন্ন তথ্য

সাইটে একটি প্রজেক্টের মূল পৃষ্ঠায় (Bid Request) বিভিন্ন ধরনের তথ্য থাকে (চিত্র-৫)৷ সফলভাবে বিড আবেদন করার জন্য এই তথ্যগুলো ভালোভাবে জানা খুবই জরুরি৷ নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো :

Posted by : এ অংশে বায়ারের স্ক্রিন নাম ও অন্য কোডার প্রদত্ত বায়ারের গড় রেটিং দেখায়৷ স্ক্রিন নামের লিঙ্কে ক্লিক করে বায়ার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে৷



Approved on : এই প্রজেক্টটি যে তারিখে রেন্ট-এ-কোডারে পোস্ট করা হয়েছে, তা দেখাবে৷

Deadline : এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে সর্ব্বোচ্চ সময়সীমা।

Phase : একটি প্রজেক্ট কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত-বিড করা, কাজ শুরু করা, কাজ জমা দেয়া, শতভাগ মূল্য পরিশোধ ইত্যাদি৷ এই অংশে প্রজেক্টের সর্বশেষ অবস্থা দেখাবে৷

Pay Type : বায়ার দুই ধরনের পদ্ধতিতে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করতে পারে৷ সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য অথবা আপনার প্রতিঘণ্টা কাজের জন্য৷ এই সাইটে বেশিরভাগ কাজ পাওয়া যায় সম্পূর্ণ প্রজেক্ট হিসেবে৷

Max Accepted Bid : এই প্রজেক্টে বিড করতে আপনি সর্বোচ্চ যে পরিমাণ মূল্য উল্লেখ করতে পারেন৷ অন্যভাবে বলতে গেলে বায়ারের সর্বোচ্চ বাজেট এই অংশে দেখা যাবে৷

Expert Guarantee : অনেক প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এই অংশটি আপনি দেখতে পাবেন, যেখানে বায়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য উল্লেখ করে দেয় (প্রজেক্টের মূল্যের ১০% বা ২০%)৷ এর অর্থ হচ্ছে প্রজেক্টটি শুরু করার সময় ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাইটে সিকিউরিটি হিসেবে জমা করতে হবে৷ যদি ডেডলাইনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আপনি কাজটি জমা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে এ পরিমাণ অর্থদণ্ড আপনাকে দিতে হবে৷ সময়মতো কাজ জমা দিলে সম্পূর্ণ মূল্য আপনি ফেরত পাবেন৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কোডার ডেডলাইনের আগে কাজ জমা দেয়ার অঙ্গীকার করে, কিন্তু পরে ঠিক সময়ে কাজ জমা দেয় না৷ এই পদ্ধতিটি বায়ারকে সিরিয়াস এবং দক্ষ কোডার নির্বাচনে সাহায্য করে৷

Project Type : এই অংশে প্রজেক্টের ধরন উল্লেখ করা থাকে : ক্ষুদ্র, মাঝারি না বড়, যার মূল্য ১০০ ডলারের কম থেকে শুরু করে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে৷ ধরা যাক, কোনো একটি ক্ষুদ্র প্রজেক্টের ধরন হচ্ছে ১০০ ডলার বা তার চেয়ে বেশি এবং বিডের সর্বোচ্চ সীমা হচ্ছে ৫০০ ডলার৷ এক্ষেত্রে একজন কোডারকে ১০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলারের মধ্যে বিড করতে হবে৷ এরপর বায়ার সিদ্ধান্ত নেবে কাকে কাজটি দেবে৷

Bidding Type : একটি বিড রিকোয়েস্ট কয়েক ধরনের হতে পারে : সবার জন্য উন্মুক্ত, নির্দিষ্ট কয়েক জনের জন্য উন্মুক্ত বা শুধু একজন কোডারের জন্য উন্মুক্ত৷ সবার জন্য উন্মুক্ত (Open Auction) প্রজেক্টের ক্ষেত্রে যেকোনো কোডার বিড করতে পারবে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে বায়ার ঠিক করে দেয় কোন কোন কোডার এই প্রজেক্টের জন্য বিড করতে পারবে৷

বিড রিকোয়েস্ট পৃষ্ঠার পরবর্তী অংশে প্রজেক্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা থাকে৷ বিড করার আগে সম্পূর্ণ তথ্য ভালোভাবে পড়ে নিন এবং কাজটি আপনি করতে পারবেন কি-না, তা নিশ্চিত হোন৷ অনেক ক্ষেত্রে বায়ার অতিরিক্ত ফাইলের মাধ্যমে প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে থাকেন৷ বিড করার আগে ফাইলটি অবশ্যই ডাউনলোড করে দেখে নিন এবং ক্লায়েন্টের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন৷ এই পৃষ্ঠার সর্বশেষ অংশে আপনি বিড করার জন্য অথবা বায়ারকে আপনার মতামত জানানোর জন্য একটি অংশ পাবেন (চিত্র-৬)৷ এই অংশের মধ্যে আছে-

Bid Amount : এ প্রজেক্ট আপনি কত ডলারে সম্পন্ন করতে ইচ্ছুক, তা উল্লেখ করুন৷ আপনি যদি বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত না হোন অথবা আরো তথ্য জানার জন্য বায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে চান, তাহলে এই ঘরটি খালি রাখুন৷ এই ঘরে মূল্য উল্লেখ করলে আপনার মেসেজটি একটি বিড হিসেবে গণ্য হবে এবং খালি রাখলে মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে৷

Expert Guarantee : প্রজেক্টের শুরুতে যদি বায়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য নিরাপত্তার জন্য জমা দিতে বলে, তাহলে সেই পরিমাণ মূল্য (শতকরাহিসেবে) এখানে উল্লেখ করুন৷ অন্যক্ষেত্রে এই ঘরটি খালি রাখুন, তা না হলে অযথা ঝামেলায় পড়বেন৷

Comment : এই অংশে প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য, প্রশ্ন, পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন৷ সাথে সাথে আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু তথ্য, আগের কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে পারেন৷ তবে প্রজেক্ট সম্পর্কিত সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য, আপনার মানসিক দৃঢ়তা, সঠিক সময়ে কাজ দেয়ার অঙ্গীকার ইত্যাদি কাজ পাবার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে৷ মন্তব্যের সাথে আপনার ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি দেয়া থেকে বিরত থাকুন৷

Attachment : বায়ারের সুবিধার জন্য মন্তব্যের সাথে আপনি অতিরিক্ত কোনো ফাইল, অতীতে কোনো প্রজেক্টের স্ক্রিনশট ইত্যাদি জিপ ফাইল আকারে আপলোড করতে পারবেন৷ তবে কখনই পূর্বে তৈরি করা কোনো প্রজেক্ট বা প্রজেক্টের অংশবিশেষ আপলোড করতে পারবেন না৷

Make Bid/Comment : সর্বশেষে এই বাটনটি ক্লিক করে আপনার বিড অথবা মন্তব্য সম্পন্ন করুন৷



শেষ কথা

রেন্ট-এ-কোডার সাইটের নিয়মকানুন খুব কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়, যা বায়ার এবং কোডারের মধ্যে একটি আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে৷ রেন্ট-এ-কোডারের মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কল্যাণে হাজারো কোডার তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে৷ তবে এই সাইটের সার্ভিস চার্জ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি, প্রতিটি কাজের ১৫ শতাংশ কোডারকে পরিশোধ করতে হয়৷ আরেকটা অসুবিধা হচ্ছে সাইটে গোল্ডমেম্বার বলতে কোনো কিছু নেই, যা অন্যান্য সাইটগুলোতে আছে৷ তারপরও এই সাইটি ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বায়ার এবং কোডারদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এবং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে৷

কজ ওয়েব


ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৮ - জুলাই সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস