• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পেইজা : অনলাইনে অর্থ উত্তোলনের সহজ উপায়
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: নাজমুল হক
মোট লেখা:১১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আউটসোর্সিং
তথ্যসূত্র:
ক্যারিয়ার
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পেইজা : অনলাইনে অর্থ উত্তোলনের সহজ উপায়
আধুনিক ই-বাণিজ্যের যুগে ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সহজতা ও নিরাপত্তা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন লেনদেন মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অর্থ বিনিময়ের ফলে অনাকাঙিÿত প্রতারণা ও ভোগামিত্মর ঘটনাটি আরও গভীর বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও অনলাইনে কেনাকাটা, মুদ্র্র্রার বিনিময় এবং অন্যান্য প্রয়োজনে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের বিশ^স্ততা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে, তবুও ট্রান্সফার চার্জ, আঞ্চলিক বিশেষায়িত সেবা, বিভিন্ন অর্থ লেনদেন মাধ্যমের (যেমন- ব্যাংক, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি) সাথে সমন্বয়সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় সঠিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে গ্রাহকদের প্রায়ই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয়। তবে পেইজা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পদ্ধতি এখন পর্যন্ত ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের যথেষ্ট ভালো ভূমিকা পালন করছে।
পেইজা কী
পেইজা হচ্ছে একটি অনলাইন অর্থ বিনিময় সেবাদানকারী ভার্চুয়াল পেমেন্ট গেটওয়ে, যার ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিভিন্ন ই-কমার্স স্টোর থেকে কেনাকাটা করা যায়, অর্থ লেনদেন ও মুদ্রা বিনিময় করা যায়, অন্যদিকে লোকাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মাস্টার কার্ডসহ অন্যান্য সেবার সাথে সমন্বয় করে সহজে অর্থ উত্তোলন ও লেনদেন করা যায়।
জনপ্রিয় ও নিরাপদ অর্থ লেনদেন পদ্ধতি অ্যালার্টপের নতুন ও পরিবর্তিত রূপ হিসেবে ২০১২ সাল থেকে পেইজা তাদের সেবা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে এর আঞ্চলিক অফিস থাকায় দেশীয় প্রায় সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসহ অন্যান্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের (যেমন- বিকাশ) সাথে সমন্বিতভাবে সেবা দিয়ে আসছে। এ ছাড়া কেনাকাটা ও মানি ট্রান্সফারের জন্য পেইজার রয়েছে নিজস্ব মাস্টার কার্ড।
সারাবিশ্বে প্রায় ১৯০টিরও বেশি দেশে ২১টি ভিন্ন ভিন্ন কারেন্সিতে ইউকেভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি এক কোটিরও বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়ে আসছে।
পেইজায় চার্জ, নিরাপত্তা ও গ্রাহক সুবিধা
এখন পেইজার অ্যাকাউন্ট করা সাধারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার মতোই। সাধারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো এখানে তিন ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা যায়। শুধু পাথর্ক্য করতে হয় অনলাইনে www.payza.com-এ সাইনআপ করে।
পেইজার যে দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট করার সুযোগ আছে, তার মধ্যে পারসোনাল টাইপের অ্যাকাউন্টটি করা ভালো। ফ্রিল্যান্সার বা অন্য সাইটে কাজ করেন, তারা এখানে সব ধরনের সুবিধা পাবেন।
পারসোনাল অ্যাকাউন্টটিতে টাকা গ্রহণ বা প্রেরণের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এখানে অন্য পেইজা ইউজার থেকে টাকা গ্রহণ করলে ২.৯০ শতাংশ + ০.৩০ ডলার ফি দিতে হয়। তবে এর আরেকটি সুবিধা হলো- ব্যবহারকারীর নিজের কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকলে পেইজা যুক্ত করে কোনো পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন ও গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিজনেস অ্যাকাউন্টের সাহায্যে আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি অ্যাকাউন্টের সাহায্যে একাধিক ব্যবসায় পরিচালনা করা যায়। এর সব সুবিধা ও সার্ভিস চার্জ https://www.payza.com/fees সাইট থেকে এখানে দেখে নিতে পারবেন।
কীভাবে পেইজা অ্যাকাউন্ট করা যাবে
প্রথমে www.payza.com এই লিঙ্কে ক্লিক করে Sign Up বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
০১. সাইন আপ বাটনে ক্লিকের পর নিচের ছবির মতো একটি পেজ আসবে। এখান থেকে পারসোনালে ক্লিক করুন।
০২. পারসোনালে ক্লিক করার পর ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী আপনার নাম, ই-মেইল, পাসওয়ার্ড বসিয়ে Get Started বাটনে ক্লিক করুন।
০৩. Get Started বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে ই-মেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে।
০৪. ই-মেইল চেক করুন, দেখবেন আপনার ই-মেইলে একটি মেইল এসেছে পেইজা থেকে। মেইল ওপেন করে Validate my email লিঙ্কে ক্লিক করুন। আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। Complete profile setup-এ ক্লিক করে আপনার বাকি তথ্যগুলো বসান- অবশ্যই (ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী) বাড়ির ঠিকানা। কেননা এরপর, আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে।
কীভাবে পেইজা অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করবেন
পেইজা অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুব কঠিন কাজ নয়। এক মিনিটেই এ অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যায়। তবে পেইজাতে শুধু অ্যাকাউন্ট থাকলেই হবে না। অবশ্যই তা ভেরিফাই হতে হবে। অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইও খুব একটা কঠিন নয়। অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে দুটি জিনিস প্রয়োজন- ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট।
আর Photo ID Validation পদ্ধতি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে চাইলে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সাথে পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরকার হবে। তবে Photo ID Validation পদ্ধতিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টের কোনো প্রয়োজন নেই।
ভেরিফাই করবেন যেভাবে
০১. আপনার পেইজা অ্যাকাউন্টে লগইন করে উপরে বাম দিকে Verify your account-এ ক্লিক করুন।
০২. এখান থেকে আপনার পছন্দের অপশনটি বেছে নিন এবং Document Validation অপশনটি সিলেক্ট করুন ।
০৩. ফটো আইডি অপশন থেকে যেকোনো একটি অপশন ন্যাশনাল আইডি কার্ড/পাসপোর্ট বেছে নিন এবং Upload a File থেকে আপনার ডকুমেন্টের স্ক্যান কপিটি সিলেক্ট করুন।
০৪. আপনার সাম্প্রতিক ফটো আপলোড করুন।
সবকিছু ঠিক থাকলে নেক্সট বাটন চাপুন। আপনার আপলোড করা ডকুমেন্টের প্রিভিউ দেখতে পাবেন। এরপর সেন্ড অপশনে ক্লিক করে রিকোয়েস্টটি সেন্ড করুন। ভেরিফিকেশন রিকোয়েস্ট দেয়ার ২-৩ দিনের মাধেই পেইজা থেকে রিপ্লাই পাবেন।
হয়ে গেল আপনার একটি ভেরিফাই পেইজা অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি অনলাইন কেনাকাটা করতে পারবেন। অনলাইনে কাজ করার অর্থ এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার হাতে পাবেন। পেইজা বাংলাদেশের সব ব্যাংক সাপোর্ট করে। তাই যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার টাকা তুলতে পারবেন।
পেইজা ব্যবহারের সুবিধা
০১. বাংলাদেশের জন্য পেইজা অনেক ভালো একটি পেমেন্ট গেটওয়ে। বাংলাদেশের জন্য তারা স্পেশালাইজড সার্ভিস দিয়ে থাকে www.payza.com/bangladesh-এর মাধ্যমে।
০২. পেইজা মাস্টার কার্ড দিয়ে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আনতে পারবেন।
০৩. আপনার পেইজা অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ দিয়ে টাকা লোড করতে পারবেন।
০৪. বাংলাদেশের অনেক অনলাইন শপ পেইজা সাপোর্ট করে। তাই আপনি পেইজা অ্যাকাউন্ট দিয়ে অনেক শপ থেকেই প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন
ফিডব্যাক : admin@freelancerstory.com


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - জানুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস