লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
কমপিউটার জগৎ-এর ২৬ বছর পূর্তিদিনের কথা
এটি এপ্রিল মাস। মাসিক কমপিউার জগৎ-এর প্রতিটি এপ্রিল সংখ্যাই এর বর্ষপূর্তি সংখ্যা। আমাদের এবারের এপ্রিল সংখ্যাটি হচ্ছে কমপিউটার জগৎ প্রকাশনার ২৬ বছর পূর্তিসংখ্যা। এই এপ্রিল সংখ্যাটি আমাদের পাঠকদের হাতে যথারীতি তুলে দেয়ার মাধ্যমে কার্যত আমরা কমপিউটার জগৎ-এর ২৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনার গৌরবে গৌরাবান্বিত হলাম। প্রকাশনায় কোনো ধরনের ছেদ না দিয়ে এই ২৬ বছর এর প্রকাশনা অব্যাহত রাখার বিষয়টিকে যথার্থ কারণেই একটি গৌরবের বিষয় হিসেবে আমরা বিবেচনা করি। কারণ, বাংলাদেশের মতো একটি ছোট্ট পাঠক বলয়ের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির মতো একান্তভাবেই একটি কাঠখোট্টা বিষয়ে মাতৃভাষা বাংলায় একটি সাময়িকী নিয়মিত ২৬ বছর ধরে একটানা নিয়মিত বের করাটা ছিল সত্যিই এক কঠিন কাজ। তা ছাড়া আছে অনলাইন গণমাধ্যমেরও দাপট। এর মাঝেও কমপিউটার জগৎ-এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে এর নিয়মিত প্রকাশনার কঠিন কাজটি আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি বলে আমাদের মধ্যে এক ধরনের সুখবোধ বা গৌরববোধ থাকাটাই স্বাভাবিক। সেই স্বাভাবিকতাকে ধারণ করেই এ নিয়ে কমপিউটার জগৎ-এর ২৬ বছর পূর্তিদিনে সেই সুখবোধ ও গৌরববোধ করছি। কমপিউটার জগৎ নিয়ে আমাদের এই সুখবোধ বা গৌরববোধের আরেকটি জায়গাও আমাদের রয়েছে। সে ক্ষেত্রটি হচ্ছে, এই ২৬ বছর আমরা কমপিউটার জগৎ-কে পাঠকনন্দিত পর্যায় রাখতে পেরেছি, যে সূত্রে পত্রিকাটি এই ২৬ বছর জুড়ে বাংলাদেশে সর্বাধিক প্রচার সংখ্যার আইটি ম্যাগাজিনের রেকর্ড ধরে রাখতে পেরেছে।
এই কাজটি যে সহজ ছিল না, তার একটি সহজবোধ্য প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। আজ থেকে ২৬ বছর আগে এ দেশের প্রথম আইটি ম্যাগাজিন হিসেবে কমপিউটার জগৎ প্রকাশনার পর এ দেশে বাংলা ভাষায় বিগত দুই দশকে আমরা বেশ কয়েকটি আইটি ম্যাগাজিন প্রকাশ হতে দেখেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু আইটি ম্যাগাজিন বাজারে এসেছিল নামিদামি কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে। কিন্তু আইটি ম্যাগাজিন প্রকাশনার নানা প্রতিকূল পরিবেশে এগুলো হয় নিয়মিত প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে পারেনি, নয়তো এগুলোর প্রকাশনা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু কমপিউটার জগৎ এর আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রেখে শত প্রতিকূলতার মাঝেও এর নিয়মিত প্রকাশনা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ২৬ বছর নিয়মিত কমপিউটার জগৎ প্রকাশ করার পেছনে যাবতীয় কৃতিত্ব কমপিউটার জগৎ পরিবারের, তেমনটি আমরা মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, কমপিউটার জগৎ-এর সম্মানিত লেখক, পাঠক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা, পরামর্শক, পৃষ্ঠপোষক ও শুভাকাঙক্ষীদের সক্রিয় সমর্থনের কারণেই এই অসাধ্য সাধন আমরা করতে পেরেছি। তাদের কাছ থেকে এই আন্তরিক ও সক্রিয় সমর্থন না পেলে আমাদের পক্ষে একক প্রয়াসে এর এই নিয়মিত প্রকাশনা অব্যাহত রাখা হয়তো কিছুতেই সম্ভব হতো না। তাই শুরুতেই এই ২৬ বছর বর্ষপূর্তির মাসে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই আমাদের সম্মানিত লেখক, পাঠক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা, পরামর্শক, পৃষ্ঠপোষক ও শুভাকাঙক্ষীবর্গকে। একই সাথে আমরা বিশ্বাস করি, তাদের সক্রিয় সমর্থন নিয়ে আগামী দিনেও কমপিউটার জগৎ এর প্রকাশনা যথারীতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।
বরাবর ছিলাম প্রতিশ্রুতিশীল
কমপিউটার জগৎ বরাবর ছিল এর পাঠকদের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল। এবং এই প্রতিশ্রুতি ধারণ করেই আমাদের এই ২৬ বছরের পথচলা। আমরা আজকের এই ২৬তম বর্ষপূর্তির দিনে পাঠকবর্গকে এই প্রতিশ্রুতি দিতে চাই- আসছে দিনগুলোতেও সেই প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে আমরা থাকব অবিচল। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আমাদের সরল প্রতিশ্রুতি ছিল- আমরা কখনই নেতিবাচকতাকে প্রশ্রয় দেব না। নেতিবাচক সাংবাদিকতা তথা হলুদ সাংবাদিকতাকে কখনই প্রশ্রয় দেব না। বরাবর সাংবাদিকতার ইতিবাচক সড়কপথে হাঁটব। মোট কথা, আমাদের সুদৃঢ় বিশ্বাস ছিল- বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে ইতিবাচক সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই। তাই তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যেখানে ঠিক যতটুকু বলার দরকার, ঠিক ততটুকুই বলেছি। এর মাধ্যমে কার্যত আমরা এই ২৬ বছর কমপিউটার জগৎ-কে করে তুলতে পেরেছি এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের এক অনন্য হাতিয়ার। এখানে আমাদের মাঝে আরেকটি স্থির বিশ্বাসও বরাবর কাজ করেছে। আর এই বিশ্বাসটি হচ্ছে- ‘একটি পত্রিকাও হতে পারে একটি আন্দোলনের হাতিয়ার’। এই বিশ্বাসনির্ভরতাও ছিল আমাদের সাফল্যের একটি উপাদান। এর সূত্র ধরেই কমপিউটার জগৎ-কে এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ করে তুলতে পেরিছি। এ জন্য আমাদেরকে একই সাথে ভাঙতে হয়েছে প্রচলিত সাংবাদিকতার অর্গল। বেরিয়ে আসতে হয়েছে গতানুগতিক সাংবাদিকতার বলয় থেকে। আমাদের মধ্যে এই উপলব্ধি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে যে, শুধু প্রতিটি মাস শেষে একটি করে ম্যাগাজিন বের করে পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার মাঝে আমাদেরকে বৃত্তাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। তাই আমাদের স্থির সিদ্ধান্ত ছিল- দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে আমাদেরকে নামতে হবে প্রচলিত সাংবাদিকতার বাইরে নানামুখী তৎপরতায়। তাই নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ করা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আমাদেরকে আয়োজন করতে হয়েছে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার, প্রদর্শনীর, প্রযুক্তিমেলা ও সংবাদ সম্মেলনের। সময়ের প্রয়োজনীয় দাবিটি যেমন তুলে ধরতে হয়েছে কমপিউটার জগৎ-এর পাতায়, তেমনি এ নিয়ে চালাতে হয়েছে নানাধর্মী প্রচারাভিযান। যেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষীয় পর্যায়ের নানাজনের কাছে। বোঝানোর চেষ্টা করতে হয়েছে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা। এ ব্যাপারে কখনও কখনও আয়োজন করতে হয়েছে সংবাদ সম্মেলনের। এ ধরনের তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনে নানাধর্মী ইতিহাসের জন্ম দিতে পেরেছি। (দেখুন চলতি সংখ্যায় প্রকাশিত ‘২৬ বছরের মাসিক কমপিউটার জগৎ’)।
কমপিউটার জগৎ যেনো ইতিহাসের পাতা
বাংলাদেশের সিকি শতাব্দীর ইতিহাস জানতে হলে কমপিউটার জগৎ-এর এই ২৬ বছরের প্রতিটি সংখ্যার প্রতিটি পাতায় চোখ রাখতে হবে। কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ইতিহাসের আকড় হয়ে থাকবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। কারণ, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোন ধারায় প্রবাহিত হয়েছে কিংবা প্রবাহিত হতে চেয়েছে, তার খোঁজ মিলবে কমপিউটার জগৎ-এর পাতায় পাতায়। তাই যদি বলা হয়, কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ইতিহাসের এক অনন্য দলিল, তবে একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে কখন কোন দাবি উঠেছে, কারা সে দাবি তুলেছিল, কোন দাবি কখন কতটুকু পূরণ হলো না হলো, দাবি আদায়ে কার কী ভূমিকা ছিল, দাবি আদায়ে কাদের কতটুকু গাফিলতি ছিল, কিংবা কতটুকু ইতিবাচক অবদান ছিল, বাংলাদেশের কখন কোন সময়ে কোন প্রাযুক্তিক স্তরে উত্তরণ ঘটেছে, বাংলাদেশ কখন কোন সম্ভাবনার হাতছানির মুখোমুখি হয়েছিল, কখন কীভাবে আমরা সেই সম্ভাবনার কথা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি, কখন দাবি তোলা হলো কমপিউটার পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের, কীভাবে সেই দাবি পূরণ হলো, কখন আমরা অপটিক্যাল ফাইবার সংযুক্তির তাগিদ জাতির সামনে সবার আগে তুলে ধরলাম, আর এই সংযুক্তি কখন পেলাম, কেনো এই সংযুক্তি পেতে অনাকাঙিক্ষত দেরি হলো, কখন সর্বপ্রথম দাবি উঠল আমাদের নিজস্ব উপগ্রহ উৎক্ষেপণের, সে দাবি পূরণে ধারাপ্রবাহই বা কী, কখন এ দেশে প্রথম কমপিউটার আনা হলো, কারা আনল, কখন এ দেশে শুরু হলো প্রথম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, এ প্রতিযোগিতার শুরুটাই বা কারা কীভাবে করল, কখন শুরু হলো এ দেশের প্রথম কমপিউটার মেলা, কখন আমরা পেলাম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার কর্মসূচি, কখন কারা দাবি তুলল ইন্টারনেট ভিলেজের, কখন কারা দাবি তুলল সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি উদ্যান তথা হাইটেক পার্কের, এই সিকি শতাব্দী ধরে এ দেশের আইটিসংশিস্নষ্ট সংগঠনগুলোই বা কী ধরনের তৎপরতায় জড়িত ছিল, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের গতিধারাই বা কী ছিল, আইটি খাতে কোথায় ছিল আমাদের সাফল্য, আর কোথায় ছিল ব্যর্থতা- ইত্যাদি জানতে হলে কমপিউটার জগৎ-এর পাতায় চোখ রাখতে হবে বৈ কি। তাই আমরা দাবি করতে পারি, কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির এক ঐতিহাসিক দলিল। যারা শুরু থেকে নিয়মিত কমপিউটার জগৎ-এর পাঠক তারা নিশ্চয় স্বীকার করবেন, এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ইতিহাসে কমপিউটার জগৎ এ পর্যন্ত পালন করতে সক্ষম হয়েছে এক অসমান্তরাল ভূমিকা। ফলে আমরা এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক ইতিহাসের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছি, যা কমপিউটার জগৎ-এর পাঠকমাত্রই জানেন। কমপিউটার জগৎ-এর এই ২৬তম বর্ষপূর্তিতে আমরা এ ক্ষেত্রে আগামী দিনে আরও উজ্জ্বলতর ভূমিকা পালনের ব্যাপারে আশাবাদী।
সবচেয়ে বেশি যাকে মনে পড়ছে
কমপিউটার জগৎ-এর এই ২৬ বছর পূর্তিতে যাকে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে, তিনি হচ্ছেন কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেরণা পুরুষ অধ্যাপক মরহুম মো: আবদুল কাদের। নিভৃতচারী এই মানুষটি ছিলেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। বিভিন্ন মহলে তিনি বিবেচিত ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ’ অভিধায়। তিনি সম্যক উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও অর্থনীতিতে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে অগ্রগতির স্বর্ণ শিখরে নিয়ে পৌঁছাতে হলে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে হবে। মূলত সেই উপলব্ধি সূত্রেই কমপিউটার জগৎ প্রকাশনায় তিনি উদ্যোগী হন। আর এই কমপিউটার জগৎ-এর মাধ্যমে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সাহসিকতার সাথে তুলে ধরতে থাকেন। তিনি কমপিউটার জগৎ-এর প্রথম সংখ্যায় এর প্রচ্ছদ কাহিনীর মাধ্যমে ‘জনগণের হাতে কমপিউটার চাই’ দাবি উপস্থাপনের মাধ্যমে কার্যত এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সূচনা করেন। একই সাথে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সাথে সংশিস্নষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলেন। তিনি প্রতিটি সরকারের আমলেই সরকারের ভুল পদক্ষেপ ও নীতির সমালোচনা কমপিউটার জগৎ-এর মাধ্যমে প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সামনে যখন তথ্যপ্রযুক্তি যে সম্ভাবনা হাতছানি দিয়েছে তা বিস্তারিতভাবে কমপিউটার জগৎ-এর মাধ্যমে তুলে ধরতে থাকেন। সবিশেষ উল্লেখ্য, তিনি যখনই যে দাবি হাজির করেছেন, তা করেছেন পুরোপুরি নির্মোহভাবে, শুধু জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রেখে। ফলে আজ পর্যন্ত কমপিউটার জগৎ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে যেসব দাবি জাতির সামনে তুলে ধরেছে, এর সবগুলোই ব্যাপকভাবে জনসমর্থন পেয়েছে। এসব দাবির অনেকগুলোই পূরণ হয়েছে, আবার সরকার পক্ষের অদূরদর্শিতার কারণে অনেকগুলোই পূরণের অপেক্ষায়।
মরহুম আবদুল কাদের সেই নববই দশকের গোড়ার দিকে কমপিউটার জগৎ প্রকাশনার কাজটি যখন শুরু করেন, তখন এ দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের সাংবাদিকের বড় অভাব ছিল। তবে শুরুতেই এ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য বিজ্ঞান সাংবাদিক মরহুম নাজিম উদ্দিন মোস্তানকে তিনি হাতে পেয়েছিলেন। তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই। তবে কমপিউটার জগৎ-কে পাঠকপ্রিয় করে তুলতে তার অবদান ছিল প্রশংসনীয়। তার এই অবদানের কথা আজকে এই দিনে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আমরা যারা কমপিউটার জগৎ পরিবারের সাথে ছিলাম বা এখনও আছি, তাদের পেশাগত মানোন্নয়নে মরহুম আবদুল কাদেরের একটা প্রয়াস বরাবর সক্রিয় ছিল। তবে বলা দরকার, কমপিউটার জগৎ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আত্মমর্যাদার প্রতি তিনি ছিলেন অতিমাত্রায় সচেতন। ফলে তার সাথে কাজ করায় ছিল অন্য ধরনের আমেজ।
তা ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের লেখক সৃষ্টিতে ছিল তার সচেতন নজর। কমপিউটার জগৎ-এর লেখকদের লেখক সম্মানী প্রকাশের সাথে সাথে যাতে লেখকদের হাতে পৌঁছে, সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করায় তার ছিল কড়া নজর। তার অবর্তমানে আমরা এখনও সেই ধারা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সচেতন। ফলে কমপিউটার জগৎ-এ লিখে লেখকেরা এখনও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
এর বাইরে মানুষ আবদুল কাদের যেমনি ছিলেন পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্বশীল, তেমনি সামাজিক দায়বোধও ছিল তার যথার্থ। যারা তার সাহচর্য পেয়েছেন, তারা এ কথাটি অকপটে স্বীকার করেন।
তার অবর্তমানে আমরা যারা কমপিউটার জগৎ-এর হাল ধরেছি, তারা তারই শেখানো সড়কপথে হাঁটছি। সে জন্য আমাদের পথচলায় আস্থার ভিতটাও বেশ মজবুত
বিশে^র প্রায় ৩০ কোটি বাংলা ভাষাভাষির কাছে কমপিউটারকে জনপ্রিয় করার প্রথম এবং একমাত্র নিয়মিত প্রকাশনা
‘মাসিক কমপিউটার জগৎ’
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ
‘জনগণের হাতে কমপিউটার চাই’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৯১ সালের ১ মে যাত্রা শুরু করেছিল কমপিউটার জগৎ। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম কমপিউটার প্রযুক্তিবিষয়ক নিয়মিত মাসিক পত্রিকা। এরপর একে একে কেটে গেছে ২৬টি বছর। শুধু জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রথাগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই আবদ্ধ থাকেনি এ পত্রিকাটি। কমপিউটার নামের যন্ত্রটিকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত করে তোলার জন্য প্রযুক্তি আন্দোলনের দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে প্রসিদ্ধ সাংবাদিকতার বাঁধ ভেঙে। সংবাদ সম্মেলন, কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা আর প্রদর্শনীর আয়োজন করে বোদ্ধামহলে স্বীকৃতি লাভ করেছে এ হিসেবে, যা শুধু একটি পত্রিকাই নয়, বরং দেশে কমপিউটার প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ক্ষেত্রে একটি আন্দোলন। এভাবেই অগণিত পাঠক, কমপিউটারপ্রেমী আর শুভানুধ্যায়ীদের পেয়ে কমপিউটার জগৎ এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে।
দীর্ঘ ২৬ বছরের পথপরিক্রমায় কমপিউটার জগৎ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন, সংবাদ সম্মেলন, প্রোগ্রামিং ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতা এবং দেশে-বিদেশে ই-কমার্স মেলার আয়োজন করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে কেন সর্বমহলে স্বীকৃতি পেয়েছে, তা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।
‘জনগণের হাতে কমপিউটার চাই’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৯১ সালের ১ মে যাত্রা শুরু করেছিল কমপিউটার জগৎ। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম কমপিউটার প্রযুক্তিবিষয়ক নিয়মিত মাসিক পত্রিকা। এরপর একে একে কেটে গেছে ২৬টি বছর। শুধু জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রথাগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই আবদ্ধ থাকেনি এ পত্রিকাটি। কমপিউটার নামের যন্ত্রটিকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত করে তোলার জন্য প্রযুক্তি আন্দোলনের দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে প্রসিদ্ধ সাংবাদিকতার বাঁধ ভেঙে। সংবাদ সম্মেলন, কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা আর প্রদর্শনীর আয়োজন করে বোদ্ধামহলে স্বীকৃতি লাভ করেছে এ হিসেবে, যা শুধু একটি পত্রিকাই নয়, বরং দেশে কমপিউটার প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ক্ষেত্রে একটি আন্দোলন। এভাবেই অগণিত পাঠক, কমপিউটারপ্রেমী আর শুভানুধ্যায়ীদের পেয়ে কমপিউটার জগৎ এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে।
দীর্ঘ ২৬ বছরের পথপরিক্রমায় কমপিউটার জগৎ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন, সংবাদ সম্মেলন, প্রোগ্রামিং ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতা এবং দেশে-বিদেশে ই-কমার্স মেলার আয়োজন করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে কেন সর্বমহলে স্বীকৃতি পেয়েছে, তা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।
সাইবার নিরাপত্তার ৩ সিদ্ধান্ত
ইমদাদুল হক
ব্যক্তি হিসাব এমনকি রাজকোষ থেকে চুরি যাচ্ছে অর্থ। ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে চলছে প্রতারণা। থেমে নেই পরিচয় নকল করে অপপ্রচার-প্রপাগা-া ছড়ানো। ফাঁদে ফেলে গোপনে আড়ি পেতে লঙ্ঘিত হচ্ছে গোপনীয়তা বা ব্যক্তিস্বাধীনতা। প্রতিশোধের নামে ক্লিকে ক্লিকে ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিহিংসা। অন্তর্জালের কূপে কূপে ওঁৎ পেতে থাকা জান্তবের নখরাঘাতে রক্তাক্ত হচ্ছে ব্যক্তি, সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রও। অর্থাৎ প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ধোঁকা দেয়া, প্রলোভন দেখিয়ে সর্বস্বান্ত করা থেকে শুরু করে সমাজে জনরোষ সৃষ্টির মতো ঘটনা যেন বেড়েই চলেছে। সমাজ-দেশের গ-- পেরিয়ে জন্ম দিচ্ছে মহাত্রাসের। আবার এই জঞ্জাল মুক্ত করতে গিয়ে আগাছার সাথে কখনও কখনও উপড়ে যাচ্ছে শেকড়সুদ্ধ গাছ। ফলে সাইবার জগত নিয়ে ইতোমধ্যেই জনমনে দেখা দিয়েছে ভীতি ও শঙ্কা। বিরাজ করছে অস্থিরতা। এ অবস্থা মোকাবেলা করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশিস্নষ্টদের। কেননা, সাইবার দুনিয়ার নেই কোনো নির্দিষ্ট সীমানা। সুনির্দিষ্ট গ--, সংস্কৃতি বা ভাষা না থাকায় বৈচিত্র্যময় এই জগত বহু পথ-মত ও সংস্কৃতির মানুষের সরব উপস্থিতিতে কোলাহলময় থাকে। এই জগতের আকর্ষণটাও দিনকে দিন সুতীব্র হয়ে উঠছে। এখানে সবাই যেন রাজা। বাধাহীন এই দুনিয়ায় তাই ইতোমধ্যেই দেখা দিয়েছে নানা বিশৃঙ্খলা। নিয়ত হালনাগাদ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখানে কোনো শৃঙ্খল বা বাঁধ কাজে লাগছে না। বিব্রতকর এ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বিশ্ব সুশীল সমাজ। দুশ্চিমত্মায় সরকার-প্রশাসন।
এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষে্য গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত হয় ‘আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলন’। সম্মেলনে সাইবার আকাশকে নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা। তাদের ভাষায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সাইবার আকাশকে মুক্ত রাখতে হবে সম্মিলিতভাবে। একক ব্যক্তি, সংগঠন, গোত্র, সমাজ কিংবা দেশ বা সরকারের পক্ষে সাইবার আকাশ নিরাপদ রাখা সম্ভব নয়। প্রতিরোধ-প্রতিশেধকের চেয়ে প্রাযুক্তিক সক্ষমতা বাড়ানো আর সচেতনতাকে পুঁজি করেই ভার্চুয়াল আগ্রাসন মোকাবেলা করতে হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ
সেমিনারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনকল্পে ‘রূপকল্প ২০২১’ প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে দ্রুততম সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে দৃঢ়তা ব্যক্ত করা হয়। ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সবার জন্য আইনি সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের প্রস্ত্ততিতে ডিজিটাল রূপান্তরের কথাও জোরেশোরে উচ্চারিত হয়। প্রযুক্তিসেবার মাধ্যমে দেশজুড়ে সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশাসন ক্ষেত্রে মানোন্নয়ন, টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বহুপক্ষীয় সাংগঠনিক প্রচেষ্টায় খুব দ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়। সাইবার আকাশের নিরাপত্তার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা জোরদার করা ও ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে প্রযুক্তি বিকাশে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিষয়।
সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত লিভারেজ ইন আইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজের সুযোগ তৈরি এবং সরকারের সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের অধীনে একটি কমপিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম গঠনের বিষয়টিও সাধুবাদ লাভ করে। উঠে আসে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ও অগ্রগতি বিষয়ে। এ সময় দেশের সাইবার আকাশকে নিরাপদ না রাখলে আবশ্যকীয় উদ্ভাবনাগুলো আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কোনো কাজেই আসবে না বলে বারবারই উচ্চারিত হয়েছে বিশেষজ্ঞদের কণ্ঠে। ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে সৃষ্ট অপরিমেয় সুযোগের ফলে সমাজে যে নতুন একটি স্তর সৃষ্টি হয়েছে, তাও হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক বার্তা উচ্চারিত হয়। বলা হয়েছে, প্রাযুক্তিক রূপান্তরে প্রান্তিক মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে উন্নয়নের সব সূচকই দুর্বল হয়ে পড়বে। ভেঙে পড়বে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকার ব্যবস্থাও হুমকির মুখে পড়বে। অবশ্য সাইবার হুমকি মূলত বৈশ্বিক, জেঁকে বসা এবং নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি সমস্যা। তাই এই সমস্যা মোকাবেলায় উত্তরাধিকার নিরাপত্তা মানসিকতাকে চাঙ্গা করা চাই। প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিক কাঠামোতে পরিবর্তন এনেই বিষয়টি মোকাবেলায় প্রস্ত্ততি নিতে হবে। সাইবার হামলা চিহ্নিত করতে শাসন কাঠামো, প্রক্রিয়া এবং দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে বাংলাদেশ থেকেই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাইবার হামলা রোধে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সেমিনারে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও প্রস্তাবনা ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
সিদ্ধান্তসমূহ
ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই নিজ উদ্যোগে ডিজিটাল সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই নিজ উদ্যোগে তাদের প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তার দায় বহন করতে হবে। এই দায় কোনোভাবেই অন্য প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় থাকা ডিজিটাল সম্পদ যেমন- নাগরিকের ব্যক্তিগত/ পরিচিতিমূলক তথ্য, স্বত্বাধিকারের নথি ইত্যাদি আইনানুগ গোপনীয়তার সাথে অবশ্যই হেফাজত করতে হবে। সার্টের (CERT) মতো জাতীয় সংগঠনগুলো মূলত নির্দিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় শনাক্ত করবে। এ সংস্থাগুলোর কাছ থেকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রত্যাশা করা যাবে না।
সাইবার নিরাপত্তা হলো ব্যবস্থাপনার বিষয়, প্রাযুক্তিক বিষয় নয়
সাইবার আক্রমণের প্রকৃতি ও পরিধি অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি শুধু প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে না। কমপিউটার ব্যবহার, ডিজিটাল রূপান্তর এবং অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার মতোই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনতিবিলম্বে নিজ উদ্যোগে এসব ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তৎপর হতে হবে।
ডিজিটাল সম্পদ পরিচালনায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে
ক. সাইবার সচেতন প্রতিটি সংগঠন/প্রতিষ্ঠানকে তাদের অর্গ-চার্ট (সাংগঠনিক তালিকা) সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণপূর্বক হালনাগাদ করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এবং এ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব বণ্টন; এমনকি বাজেট সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকতে হবে।
খ. সাইবার নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের কর্মপরিধি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তা নিয়মিত রিপোর্ট করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিষ্ঠানের হেড অব আইটিকে প্রদত্ত প্রতিবেদনে প্রাযুক্তিক বিষয়টি নিশ্চিত করাই যথেষ্ট নয়।
গ. প্রতিটি সাইবার সচেতন প্রতিষ্ঠানেরই সাইবার নিরাপত্তার ওপর একটি প্রায়োগিক রোডম্যাপ থাকতে হবে। এই রোডম্যাপটি ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদিত হতে হবে