• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সিক্রেটওয়ার্ল্ড পে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৮ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সিক্রেটওয়ার্ল্ড পে
প্রে

ডিজঅনরড দেখে আঁতকে উঠেছেন! পিলে চমকে গিয়েছে মেট্রোলাস্টলাইট খেলতে গিয়ে! বসে পড়ুন প্রে নিয়ে, বাকি সবকিছু ছেলেখেলা মনে হবে। সত্যিকার অর্থেই অসাধারণকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে প্রে। খেলতে খেলতে গেমার হয়তো নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন যে কিছু সত্য হয়তো না জানাই শ্রেয়। গেমটি পুরোটাই স্টোরিভিত্তিক, তাই স্টোরিলাইনের কোনো কিছু বলে স্পয়লার দিতে চাচ্ছি না। তবে অনুরোধ থাকবে বিশাল গেমটি ডাউনলোড দেয়ার আগে অবশ্যই ইউটিউব থেকে প্রে সিনেম্যাটিক ট্রেইলার দেখে নেবেন, কারণ সব গেম সবার জন্য নয়। গেমটি নতুন রিলিজ হওয়ার পরপরই জয় করে নিয়েছে সহস্র গেমারের মন। গেমটি রোলপ্লেয়িং জনরার উপর এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। প্রে গেমটি অন্য যেকোনো রোলপ্লেয়িং গেম থেকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়, কারণ এতে রয়েছে অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা আর অনন্যসাধারণ কী কনফিগারেশন। সম্পূর্ণ ফ্রি মোড গেম হওয়া সত্তে¡ও গেমারের যেকোনো সিদ্ধান্ত গেমের ঘটনাপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে না, কিন্তু পরিবর্তিত হয়ে যাবে গেমএন্ডিং। অস্ত্র এবং বিভিন্ন প্রকরণের ক্রাফটিং সুবিধা গেমারকে দেয়, যা মেট্রোলাস্টলাইট বা আনচার্টেডের মতো গেমগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। গেমটির শুরুতে বিভিন্ন পাওয়ার ট্রেন্ডের মাঝ থেকে নিজস্ব চরিত্র নির্ধারণ করে নিতে হয়। এতে রয়েছে ইচ্ছেমতো ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ এবং চলাচলের সুবিধা। গেমার সম্পূর্ণ ম্যাপে ইচ্ছেমতো বিচরণ করতে পারবে শুধু একটি শর্তেÑ বেঁচে থাকতে হবে। গেমারের ইচ্ছের প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া হয়েছে। গেমার সম্পূর্ণ ম্যাপে যেখানে খুশি সেখানে যা ইচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ করতে পারবে। চিরায়ত রোলপ্লেয়িং গেমের

ঘটনাপ্রবাহের সাথে যখন অত্যাধুনিক গ্রাফিক্স এবং মনোরম ভয়ঙ্কর গেমিং পরিবেশ ও শব্দশৈলী একাকার হয়ে যায় তখন গেম ছেড়ে উঠে পড়া সত্যিই অসম্ভব হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বড় মাধুর্য লুকিয়ে আছে গেমগুলোর সাউন্ড ট্র্যাকে, প্রত্যেকটি সুর যেন বিশেষ করে ওই ধরনের পরিস্থিতির জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর প্রত্যেক সত্যের আছে অদ্ভুত সব ক্ষমতা, যা গেমারের ক্ষমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করবে।

গেমটির মাঝে একটা অন্যরকম আমেজ আছে; শুরুটা হয় আকাশ চিরেÑ যারা বিজ্ঞান নিয়ে কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকেন, তারা ভাবতে পারেন যা নেই তা নিয়ে আবার কাটাকাটি কী করে! তবে অসাধারণ সুন্দও গ্রাফিক্স তাদের চিন্তাভাবনা সব থামিয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য করবে। আকাশ চিরে গেমারের নামার কারণও আছে কারণ গেমারকে এখন কোনো নায়ক বা কোনো ভিলেনের চরিত্রে নয়, খেলতে হবে স্বয়ং গডের চরিত্রে। এবার গেমিং মিলেছে ধর্ম এবং ইতিহাসের সাথে। যুক্তিকে মিশিয়েছে কল্পনায়, জাদুকে মিশিয়েছে বিজ্ঞানে। প্রতিষ্ঠা করতে পারে নিজের বিশ্বাসকে। সব মিলিয়ে অনন্যসাধারণ স্টোরিলাইন, মনোমুগ্ধকর গ্রাফিক্স, বাস্তবসম্মত অডিও-ভিজ্যুয়ালাইজেশন। গেমিং জগৎ গত তিন বছরে যেই পর্যায়ে পৌঁছেছে তার বছরত্রয়ীর শেষের ক্যানভাসে শেষ আঁচড় দেয়ার মতো একটি মাস্টারপিস। গেমারকে খেলতে হবে অ্যাম্বাসেডর থেকে শুরু করে কম্ব্যাটান্ট হিসেবে। মুখোমুখি হতে হবে সম্ভাব্য সব বাস্তবতার।

গেম রিকোয়ারমেন্ট

উইন্ডোজ : ৭/৮.১/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৫ ২.৩ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র‌্যাম : ৮ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭/৮.১/১০, ভিডিওকার্ড : ২ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার ৩২ + গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ডকার্ড, কিবোর্ড ও মাউস

সিক্রেটওয়ার্ল্ড

গেমটির নাম যেমন অদ্ভুতুড়ে, গেমপ্লেও ঠিক তেমনই। গেমের স্টোরিলাইন গেমারদের তাদের পাওয়ার স্ট্রাগল নিয়ে। গেমারকে পার হয়ে যেতে হবে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, বিশাল এবড়োথেবড়ো পর্বতমালা, জটিল সব গোলকধাঁধা, পুরনো অট্টালিকা, পারদভর্তি গুহা, মৃত মানুষের দেশ, ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি। যুদ্ধ করতে হবে ভয়ঙ্কর সব দানব, ড্রাকুলা, কীটপতঙ্গ, কঙ্কাল প্রভৃতির সাথে। গেমারের পুরো যাত্রাই প্রতিস্তর বিপদসঙ্কুল আর আকস্মিকতায় ভরা। এর মাঝে গেমারকে সমাধান করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ধাঁধা, অর্জন এবং প্রতিষ্ঠা করতে হবে বিশ্বাস। আর শ্যাডো অব দ্য কলসাসের পাঁড় ভক্তরাও এখানে খুঁজে পাবেন তাদের পছন্দসই বিশালাকৃতির টাইটানদের সাথে যুদ্ধ এবং তার পাশাপাশি যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব। খুঁজে ফিরতে হবে বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া গুপ্তধন। গেমার ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্নভাবে অর্জন করা জাদুমন্ত্র আর অদ্ভুত ক্ষমতাসম্পন্ন সব অস্ত্র। প্রত্যেকটি যুদ্ধে থাকবে অনন্যসাধারণ থ্রিডি শো, যা গেমারকে মুগ্ধ করবে। গেমের পুরোটাই সুন্দও গ্রাফিক্যাল টেক্সচার দিয়ে তৈরি, তাই গেমারেরা গেমটিকে বেশ ভালোমতোই উপভোগ করবেন বলা যায়। কারণ এর কম ক্লাসিক গেমিং প্রোডাকশন ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই আসে। এখন ভেতরের কথাগুলো বলে নেয়া যাক, গেমটি নানা ছোট ছোট গল্পে বিভক্ত। প্রত্যেকটি গল্প একটির চেয়ে আরেকটির সৌন্দর্যেও ভয়াবহতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। এই প্রচন্ডতার সবকিছু শেষ করে ফেলা যাবে মাত্র একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণের মধ্যেই হয়তো। আর এই দ্রুতলয়ের গেমিং গেমারকে তার সর্বোচ্চ শক্তির শেষটুকু ব্যবহার করতে বাধ্য করবে।

গেমটিতে আছে ননলিনিয়ার ম্যাপিং, যা এর মজাদার বৈশিষ্ট্যগুলোকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। এতে আছে ব্যাকড্র্যাফটিং, ওপেন এন্ডেডনেচার, শেষ না হওয়া স্কিলসেটস, নিত্যনতুন জায়গা। শুরুতে ডিপকমব্যাট সিস্টেমটাকে ঠিকমতো ঠাহর করা যাবে না, আস্তে আস্তে যখন বেসিক পাঞ্চ আর কিক বাদেও হুয়ান নতুন কমপ্লিমেন্টারি স্কিলগুলো অর্জন করতে থাকবে তখন জ্যাব, আপারকাট, হাইজাম্প ট্যাকটিক্স থেকে শুরু করে কিছুক্ষণের জন্য মুরগিতে বদলে যাওয়া সবকিছুই ডিপকমব্যাটে গেমারকে সাহায্য করবে।

গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮.১/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৩ ২.০ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র‌্যাম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭/৮.১/১০, ভিডিওকার্ড : ১ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার ১২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ডকার্ড, কিবোর্ড ও মাউস
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৮ - জুলাই সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস