লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
নিনোকুনি গেম
নিনোকুনি
নিনোকুনি সহজে গেমারের মুড সেট করে দেবে। এই ব্লকবাস্টার আর পিজি ফ্যান্টাসির শুরু হবে ভয়ঙ্কর অন্ধ কূপ দিয়ে আর এমনই তার ভিজ্যুয়ালাইজেশন যে, যারা ক্লস্ট্রফোবিক তাদের এটা নিয়ে না বসাই ভালো। এর পরের অংশ আবার টানেল থেকে একেবারেই আলাদা। শ্বাসরুদ্ধ করা পরিবেশ ফেরারি হিসেবে পালানো। সেই পালানোর ওপর একটি ফোকাস আর একটি ফোকাস মেকানিক্স আর এনভায়রনমেন্টাল আর্কিটেক্ট দিয়ে মিশ্রিত করা হয়েছে এমনভাবে যে, দৌড়ানোর সময় রাস্তার নুড়ি থেকে স্কাইলাইন পর্যন্ত কিছুই চোখ এড়াবে না। গেমটিতে আছে কনটেন্ট, আছে সুন্দর স্টোরিলাইন, আছে হিউমার। আর সবচেয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে ক্লাস সিস্টেম এবং স্কিলট্রি আর ওরিফাইনড, ক্লাসিক এবং চয়েসসেন্ট্রিক। এখন ভেতরের কথাগুলো বলে নেয়া যাক। গেমটি নানা ছোট ছোট গল্পে বিভক্ত। প্রত্যেকটি গল্প একটির চেয়ে আরেকটির সৌন্দর্যের ভয়াবহতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। এই প্রচন্ডতায় সবকিছু শেষ করে ফেলা যাবে মাত্র একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণের মধ্যেই হয়তো। আর এই দ্রুতলয়ের গেমিং গেমারকে তার সর্বোচ্চ শক্তির শেষটুকু ব্যবহার করতে বাধ্য করবে আর গেমার পাবেন ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল দেখার মতোই উত্তেজনা।
গেমাররা হয়তো এখন ভাবছেন এত তাড়াহুড়ো আর উত্তেজনার মাঝে হয়তো গেমটার অনেক অংশই ঠিকমতো বুঝে উঠা যাবে না। কিন্তু ব্যপারটা ঠিক এর উল্টো। গেমের প্রত্যেকটি চরিত্রের চারিত্রিক গভীরতা সম্পূর্ণতা নিয়ে গেমের প্রত্যেকটি অংশকে সৌন্দর্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছে। নিখুঁত স্টোরিলাইন, হৃদয় আঁকড়ানো রোলপ্লেয়িং সব মিলিয়ে গেমটি ‘ওর্থ দ্য টাইম’। এখানে প্রত্যেকটি এপিসোডের মধ্যে ওপরে বলা বিষয়গুলো ছাড়াও আরও একটা মজার ব্যাপার আছে। গেমটির প্রত্যেকটি অংশই মৌলিক, রিদমিক এবং নতুনত্বসম্পন্ন। প্রত্যেকটি ব্যাটল ভিন্ন ভিন্ন ট্যাকটিকসকে বের করে নিয়ে আসে। আর
প্রত্যেক অনুভূতি তার মানবিক চূড়াকে স্পর্শ করে যায়। গল্পের প্রতিটি বাঁকে গেমারকে হতে হবে হতভম্ব, বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায়। একপর্যায়ে গেমার শিখে নেবেন শক্তিশালী সব জাদু, দ্রুত জীবন বাঁচানোর দক্ষতা। পাওয়া যাবে ক্রসবো, গ্রেনেড, ধারালো ফাঁদ আরও অনেক কিছু। কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে গেমারকে নির্ভর করতে হবে নিজের সিদ্ধান্তগুলোতে, যার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে সবকিছুর ভবিষ্যৎ। সব মিলিয়ে গেমার খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন পুরো গেমিং ম্যাট্রিক্সের সাথে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮.১/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৩ ১.৫ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যাম : ৪ গিগাবাইট, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ১০+ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস
ইয়াকুজা
গেমটি অবশ্যই ‘ব্লাডবাথ’ ধরনের গেম। সেটার আগে কখনও ভেবেছেন কি কোন ধরনের মানুষ জীবন নয়, অর্থ নয়, রাষ্ট্র, দর্শন কিংবা ধর্মও নয়; শুধু সম্মানের জন্য যুদ্ধ করে এমনভাবে যেখানে কিছু হারাবার ভয় নেই, যাকে কি না বলে ফাইট ফর অনার। ইয়াকুজা একটি হ্যাক অ্যান্ড ¯ক্ল্যাশ গেম, যেখানে গেমারকে খেলতে হবে একজন রিকনস্ট্রাক্টেড হিউম্যান হিসেবে। বিভিন্ন শক্তিশালী এজেন্ট, সেনাবাহিনী, রোবটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে গেমারকে।
গেমিং জগতের সবচেয়ে পুরনো জনরা বোধহয় প্লাটফর্ম অ্যাকশন গেমিং আর এর মৌলিক ধারণার ওপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গেমিং ইন্ডাস্ট্রিগুলো গড়ে উঠেছে। সেই ঐতিহ্যের ধারা ফিরিয়ে আনবে এবার ‘আইসি’। আর জাপানের এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আরও প্রকট এখানে। আর সেখানকার কিংবদন্তি ‘আইসি’ নিয়ে এবারের কাহিনী। গেমটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে হিরো যদি মারা পরেও তারপরও গেমারকে একেবারে প্রথম থেকে খেলা শুরু করতে হবে না। ক্লাসিক টুডি প্ল্যাটফর্ম অ্যাকশন গেমিংয়ের এটি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এখানে গেমারকে বিভিন্ন কায়দায় জাদু আর নানা অস্ত্রের সাহায্যে অসংখ্য মায়াবী জাদুপূর্ণ ঘর পার হতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে অসংখ্য মৃতদেহ, জাদুকর, জম্বি, যোদ্ধা এমনকি জীবন্ত জলছবিদের সাথেও।
গেমটিতে গেমারের প্রথম লক্ষ্য থাকবে স্বর্ণভান্ডার। এরজন্য পথে গেমার পাবেন বিভিন্ন ধরনের ম্যাপ, রত্নভান্ডার, অস্ত্র, আপগ্রেড। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন ধরনের রিউন্স, যেগুলো দিয়ে গেমার তার হিরোর নানা জাদুকরী ক্ষমতার শক্তি বাড়াতে পারবেন। গেমারকে গেমের শুরুতেই তিনজন হিরো থেকে যেকোনো একজনকে নিয়ে খেলা শুরু করতে হবে। প্রত্যেক হিরোর রয়েছে আলাদা আলাদা ক্ষমতা, ভিন্নতর স্টোরিসেট। প্রত্যেক বসব্যাটল গেমারের গেমিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাবে অনন্য এক উচ্চতায়। গেমটির সম্পূর্ণ স্বাদ-আস্বাদন করতে চাইলে সব মোডেই ভিন্ন ভিন্নভাবে পুরো গেমটি শেষ করতে হবে। আর যারা এখনও ভাবছেন সামুরাই গান অন্যান্য যেকোনো সাধারণ প্ল্যাটফর্ম গেমগুলো থেকে ভিন্নতর কিছু নয়, তাহলে দেরি না করে এখনই গেমটি নিয়ে বসে পড়ুন।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮.১/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৩ ১.৫ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যাম : ৪ গিগাবাইট, ভিডিও কার্ড : ১ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ১২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস