করোনার জন্য ডিজিটাল সমাধান
মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রী
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
১৩ মার্চ ২০২০ খবরটা মোবাইল ওয়ার্ল্ডের লাইভ কর্মকাÐ থেকে
আমার মেইলে এসেছিল। এখন প্রতিদিনই বুলেটিনটি পাই।
করোনা আμান্ত বিশ্বের জন্য খবরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার
নিজের কাছে মনে হয়েছে। ব্রিটিশ টেলিকমের পধ্র ান নির্বাহী ফিলিপ
জেনসেন করোনাভাই ানো। তিনি ব্রিটিশ সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগের
নির্দেশনা মেনে চলছেন বলেও জানানো হয়। ব্রিটেন গত ১১ মার্চ
করোনাকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে। ১২ মার্চ পযর্š Í ব্রিটেনে
করোনা আμান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৯৬। ব্রিটিশ জনস্বাস্থ্য বিভাগের
পরামর্শ অনুসারে করোনা লক্ষণ দৃশ্যমান হলে রোগীকে সাতদিন
স্বেচ্ছাবন্দিত্ব নিতে হবে। প্রশড়বটা থেকেই যাবে তিনি গৃহবন্দি থেকে
কেমন করে তার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এ রকম প্রশড়ব দেখা
দেবে ব্রিটিশ রাজকুমার, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বা ¯া^ স্থ্যমন্ত্রীর জন্যও।
একথা প্রযোজ্য হবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনো দেশের
মন্ত্রী সম্পর্কেও। করোনাভাইরাসের যে অবস্থা তাতে কোনো দেশের
কোনো মন্ত্রী-প্রধানমšী¿ , গ্রæপ অব কোম্পানিজের প্রধান নির্বাহী এর
কবলে পড়ে গৃহবন্দি বা হাসপাতালবন্দি হবেন না তার কোনো নিশ্চয়তা
বা খতিয়ান কেউ দিতে পারবে না। এই সময়ের মাঝে বাংলাদেশেও
আমরা ঘরে বসে কাজ করছি। আমাদের পধ্র ানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার
দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক
করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এখন নিয়মিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করছেন। বাড়িতে বসে অফিস-বৈঠক
করা, সভা করা, দিবস উদযাপন করা এখন বাংলাদেশে অতি সাধারণ
একটি কাজ। দেশের টেলিকম অপারেটর ও অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান
বহুদিন আগে থেকেই এই ব্যবস্থায় কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে
জনবহুল দেশ চীন করোনার প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে ফেলেছে।
ওদের জীবনযাত্রা এখন স্বাভাবিক হওয়ার পথে। করোনার জন্মস্থান
এখন করোনামুক্ত। আমাদের প্রতিবেশী জনবহুল দেশ ভারত এখনও
যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন বা ইতালির মতো না হলেও প্রবলভাবে সতর্ক রয়েছে
সেটি সীমান্ত বন্ধ করার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের পুরো
দেশটাই এখন অন্তরীণ। বিশ্ব যে এখন সীমান্তহীন তারও প্রমাণ
আমরা নিজেরাই পেলাম। দক্ষিণ এশিয়ার নীতি-নির্ধারকেরা ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে পরস্পর আলোচনা করে প্রমাণ করলেন যে
ডিজিটাল প্রযুক্তি সীমান্তরেখাটিকে বিলীন করে দিয়েছে। আমরা স¤ব¢ ত
এই প্র ম আমাদের বয়সকালের সেরা অনুষ্ঠানটিকে কায়িক রূপরেখা
থেকে ডিজিটাল করে দিয়েছি। ১৭ মার্চ ’২০ আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানটিকে ডিজিটাল
করেছি। এরপর থেকে বস্তুত সব রাষ্ট্রীয়, রাজৈনিতক, সামাজিক ও
ব্যক্তিগত কাজ ডিজিটাল হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম
বন্ধ করে দেওয়ার ফলে মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানটি মাঠ থেকে টিভি,
কমপিউটার বা স্মার্টফোনের পর্দা য় উঠে এলো। এরই মাঝে দেশের
অতি সাধারণ মানুষও ব্রিটেনের ফিলিপ জেনসেনের মতো ঘরে বসে
অফিস করা শুরু করেছেন। এতে যে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে তাও
নয়। ২৫ মার্চ ২০২০ আমি আমার বিভাগের এডিপি সংμান্ত সভা
করলাম জুমে। একইভাবে সভাসমূহ এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ/স্কাইপেতে
বা পেশাদারি ভিডিও পদ্ধতিতেও সম্পনড়ব করা হচ্ছে। টিভির টক শো
এখন জুম স্ট্রিমইয়াগ বা ফেসবুক লাইভ হয়ে গেছে। যোগাযোগের
জন্য ইন্টারনেট বা মোবাইল প্রযুক্তি তো আছেই। যারা ভাবেন যে
এসব ভীষণ দামি বা জটিল প্রযুক্তি তারা ভুল ভাবছেন। এসব মোটেই
দামি বা জটিল প্রযুক্তি নয়। তবে বিদেশ থেকে আসা কয়েক লাখ লোক
সরকারি নির্দেশ অনুসারে ১৪ দিনের গৃহবন্দিত্ব না মেনে, পর্যটন কেন্দ্র
ইত্যাদিতে ভিড় জমিয়ে বা সভা-সমাবেশ-বিয়ের অনুষ্ঠান-রাজনৈতিক
জমায়েত ইত্যাদি করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। প্রযুক্তির এই
যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরাও এই সংকট কাটিয়ে উঠতে
করোনার জন্য
ডিজিটাল সমাধান
১৫ কমপিউটার জগৎ জুলাই ২০২০
মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রী
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
ড্রাইভ থ্রো পরীক্ষা
ফিলিপ জেনসেন
পারি। আশা করি সবাই এটি উপলব্ধি করবেন। ইতোমধ্যেই বাজারে-
দোকানে যে চাপ ছিল তা ডিজিটাল কমার্সে ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত
হতে শুরু করেছে। বসছে কোরবানির ডিজিটাল হাট। ভয়েস বা ডাটায়
পারস্পরিক যোগাযোগ সম্ভবত এখন সবচেয়ে বেশি। মানুষ বস্তুত
ডিজিটাল জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ সেখানে ইন্টারনেট, ফেসবুক বা টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া
হচ্ছে। এমনকি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।