লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
বাংলাদেশ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে আছে ইউজেস গ্যাপ
বাংলাদেশ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে আছে ইউজেস গ্যাপ
GSM Association সাধারণত পরিচিত ‘জিএসএমএ’ নামে। যা পুরো কথায় ‘গ্লোবাল সিস্টেমস ফর
মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন’। এটি একটি শিল্প সমিতি। কাজ করে বিশ্বব্যাপী মোবাইল
নেটওয়ার্ক অপারেটরদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। ৭৫০টিরও বেশি মোবাইল অপারেটর জিএসএমএ’র পূর্ণ
সদস্য। বৃহত্তর মোবাইল ইকোসিস্টেম পরিমন্ডলের আরো ৪০০ কোম্পানি এর সহযোগী সদস্য। ইন্ডাস্ট্রি
প্রোগ্রাম,ওয়ার্কিং গ্রুপ ও ইন্ডাস্ট্রি অ্যাডভোকেসি বিষয়ে নানা উদ্যোগ-আয়োজনের মাধ্যমে জিএসএমএ
এর সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। সদ্য সমাপ্ত মার্চ ২০২১-এজিএসএমএ ‘এচিভিং মোবাইলএনাবল্ড ডিজিটাল ইনক্ল্যুশন ইন বাংলাদেশ’তথা ‘বাংলাদেশে মোবাইলসমৃদ্ধ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন, ব্যর্থতা ও করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত রয়েছে। এসব নিয়েই আমাদের বক্ষ্যমাণ এ প্রতিবেদন। তৈরি করেছেন মুনীর তৌসিফ
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের
উচ্চাকাক্সক্ষার ক্ষেত্রে ২০২১ সালটি এ
দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। এটি এ দেশের
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিদিবস। একই সাথে এটি
‘রূপকল্প ২১’-এর বছরও। বাংলাদেশ সরকারের
রোডম্যাপ হচ্ছে এ বছরের মধ্যেই দেশটিকে মধ্য-
আয়ের দেশে রূপান্তর। অপরদিকে সরকার গ্রহণ
করেছে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা:
‘রূপকল্প ২০২১- ৪১’। ২০২১-৪১ সালেরএই
প্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে
দেশটিকে উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশে এবং ২০৪১
সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করা।
মোবাইল শিল্প ও আর্থ-সামাজিক সূচক
আলোচ্য রিপোর্ট মতেÑ সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে বাংলাদেশ জোরালো আর্থ-সামাজিক
অগ্রগতি অর্জন করেছে। উৎপাদন বেড়ে যাওয়ার
ফলে বিগত এক দশকে বাংলাদেশে অর্থনীতির
প্রবৃদ্ধি ঘটেছে গড়ে বছরে ৬.৮ শতাংশ হারে। ১৯৯৫ সাল থেকে
দেশের কৃষিখাত দ্রæত উৎপাদন প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে, কৃষিখাতে
বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ২.৭ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে শুধু চীনই বাংলাদেশের চেয়ে
বেশি প্রবৃদ্ধি হার অর্জনের দাবিদার। এর পেছনে সহায়ক ভ‚মিকা পালন
করেছে সুষ্ঠু ও নীতি-কাঠামো অব্যাহত রাখা এবং প্রযুক্তি ও গ্রামীণ
অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের বিষয়টি।এর ফলে বাংলাদেশে দরিদ্র
মানুষের সংখ্যাও কমে এসেছে। ১৯৯১ সালেযেখানে দেশের ৪৪.২
শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল, সেখানে ২০২০ সালে সেই হার কমে আসে
সাড়ে ২৯ শতাংশে। এ ক্ষেত্রে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ইতিবাচক
ভ‚মিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ বেশকিছু মানব উন্নয়ন সূচকের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
অর্জন করেছে। এর মধ্যে আছে: বয়স্ক শিক্ষা, গড় আয়ু, নারী-পুরুষের
বৈষম্য কমিয়ে আনা, শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা এবং স্কুলে ছাত্রভর্তির হার
বাড়িয়ে তোলা।বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ যেটি
‘গেøাবাল জেন্ডার গ্যাপ সূচকে’ সেরা ১০০ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত
হতে সক্ষম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের
অবস্থান ৫০তম। জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)
অর্জনেবাংলাদেশ ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে দুটি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে তোলা, এসডিজি অর্জনসহআর্থ-
সামাজিক উন্নয়নে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তি মুখ্য ভ‚মিকা পালন
প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে
সরকারের উন্নয়ন প্রত্যাশা পূরণে ডিজিটাল ইনক্ল্যুশন জরুরি
দেশে কভারেজ ও ইউজেসে রয়েছে ব্যাপক ব্যবধান
২০২০ সালে দেশে ইউজেস গ্যাপ ৬৭ শতাংশ
মাত্র ২৮ শতাংশ বাংলাদেশী মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক
অথচ ৯৫ শতাংশ এলাকা ফোরজি কভারেজের আওতায়
কভারেজের বাধা ফ্র্যাগমেন্টেড লাইসেন্স রিজিম
ফিরে যেতে হবে কনভার্জড লাইসেন্সিং রিজিমে
টেকনোলজি নিউট্রাল স্পেকট্রাম অ্যাসাইন করতে হবে
সামাজিক দায় তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার
অপারেটরদের ওপর বৈষম্যমূলক করারোপ বন্ধ করতে হবে
যথাযথ আইনগত ও নীতিগত অবকাঠামো গড়া প্রয়োজন
ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে সরকারকে কাজ করতে হবে
ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট উৎসাহিত করতে হবে
বাড়াতে হবে স্থানীয় কনটেন্টের প্রাসঙ্গিকতা
ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশ এগিয়েছে
এসডিজি অর্জনে সহায়ক ভ‚মিকা ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তির
কিছু মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে
মোবাইল ইন্টারনেটে সার্বজনীন অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে
করেছে। ইন্টারনেটে প্রবেশের প্রাথমিক উপায় হচ্ছে মোবাইল ফোন
এবং এটি হচ্ছে বাংলাদেশে ব্যবহারের প্রধান ডিজিটাল টেকনোলজি।
বিশেষ করে স্বল্প-আয়ের মানুষ, নারী ও গ্রামের মানুষের কাছে
ইন্টারনেট পৌঁছানোর ক্ষেত্রে মোবাইলই হচ্ছে প্রাথমিক উপায়। এর
মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মোবাইল ইকোসিস্টেমের সরাসরি প্রভাব ও
উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বেড়ে চলার বিষয়ও। অর্থনীতিতে এই
সুফল বয়ে এনেছে বিভিন্ন খাতে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মোবাইল প্রযুক্তি অব্যাহতভাবে
অধিকতর উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরে এই প্রযুক্তির অবস্থান সামনের
কাতারে।২০১৯ সালে বাংলাদেশ মোবাইল প্রযুক্তি ও সেবার
অর্থনৈতিক মূল্য ছিল ১৬০০ কোটি ডলার, যা জিডিপির ৫.৩ শতাংশের
সমান। বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে অনন্য ৯ কোটির মতো মোবাইল
ফোন গ্রাহক, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের চেয়ে কিছু
বেশি। কভিড-১৯ সময়ে সামাজিক যোগাযোগের প্রধান হাতিয়ার হয়ে
উঠেছে মোবাইল ফোন। করোনা অতিমারীর সময়ে অতিরিক্ত সংযোগ
জোগানোর পাশাপাশি মোবাইল ফোন অনেক সেবার ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে
যোগাযোগের লাইফলাইন। মোবাইল অপারেটরেরা নাগরিক সাধারণ
ও সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে আসছে।
উন্নয়ন প্রত্যাশা ও মোবাইল শিল্প
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যাশা পূরণের ওপর মোবাইল প্রযুক্তির
সরাসরি প্রভাব রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি সরকারগুলোকে
সুযোগ করে দেয় প্রচলিত ধরনের অবকাঠামো, তহবিল ও দক্ষতার
অভাব মোকাবেলা করে উন্নয়ন প্রত্যাশাকে এগিয়ে নেয়ায়। বাংলাদেশের
বিষয়টিও এ থেকে আলাদা নয়। বাংলাদেশ সরকারের‘ভিশন ২০৪১’এর ভিত্তি নির্মিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়ে। এর লক্ষ্য
আইসিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত আর্থ-সামাজিক রূপান্তর
ঘটানো। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যাশায় মোবাইল প্রযুক্তি সে ভ‚মিকাই
পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করতে সুনির্দিষ্ট কৌশল ও
কর্মপরিকল্পনার উল্লেখ রয়েছে বাংলাদেশের অষ্টম পাঁচসালা (২০২০-
২০২৫) পরিকল্পনায়। এর মুখ্য ধারণা হচ্ছে : ‘চৎড়সড়ঃরহম চৎড়ংঢ়বৎরঃু
ধহফ ঋড়ংঃবৎরহম ওহপষঁংরাবহবংং’। এর সারকথা হচ্ছে: ‘সমৃদ্ধি বাড়িয়ে
তোলা ও অন্তর্ভুক্তিতার প্রসার ঘটানো’। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য আগামী
৫ বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনার মেয়াদ শেষে গড় প্রবৃদ্ধি বছরে সাড়ে
৮ শতাংশ অর্জন এবং সেই সাথে দারিদ্র্যের হার ১৫.৬ শতাংশে
নামিয়ে আনা, যা ২০২০ সালে ছিল সাড়ে ৩০ শতাংশে।
অষ্টম পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে প্রেক্ষিত পরিকল্পনার
(২০২১Ñ২০৪১) সামাজিক ও আর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাথে
সামঞ্জস্য রেখে। তা ছাড়া নজর রাখা হয়েছে, বাংলাদেশ যেন কভিড
১৯ মোকাবেলা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পারে।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি
জিএসএমএ প্রণীত আলোচ্য প্রতিবেদনের মুখ্য বিষয় ছিল
বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি। এ সম্পর্কে রিপোর্টে উল্লেখ করা
হয়Ñ সরকারের উন্নয়ন প্রত্যাশা পূরণে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির
প্রভাব সর্বোচ্চ মাত্রায় নিয়ে পৌঁছানোর জন্য ডিজিটাল ইনক্ল্যুশন
তথা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি জোরদার করে তোলাহচ্ছে একটি মৌলিক
পদক্ষেপ। এর অর্থ মোবাইল ইন্টারনেটে সার্বজনীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক
প্রবেশ তথা অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার কাজটি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন
করতে হবে, যাতে কেউই বিকাশমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে পিছিয়ে না
পড়ে। ডিজিটাল ইনক্ল্যুশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রভ‚ত অগ্রগতি অর্জন
করেছে। বিগত দশকে বাংলাদেশে মোবাইল পেনিট্রেশন বেড়েছে ৬
গুণ। দেশে কভারেজ গ্যাপ কমে এসেছে। অর্থাৎ মোবাইল ব্রডব্যান্ড
নেটওয়ার্ক এলাকার বাইরে বসবাসকারীদের সংখ্যা কমে এসেছে।
দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায়। এ থেকে
বুঝা যায় মোবাইল অপারেটরেরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ
করছে। তা সত্তে¡ও বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ এ নেটওয়ার্কের বাইরে
রয়েছে এবং এদের ডিজিটাইজেশনের উপকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার
আশঙ্কা রয়েছে। এর কারণ, ইউজেস গ্যাপ। কারণ, এরা মোবাইল
ব্রডব্যান্ড কভারেজ এরিয়ায় বসবাস করেও মোবাইল ইন্টারনেট
ব্যবহার করে না। ২০২০ সালের শেষে এই ইউজেস গ্যাপ ছিল
৬৭ শতাংশ, যার অপর অর্থ মাত্র ২৮ শতাংশ বাংলাদেশী মোবাইল
ইন্টারনেটের গ্রাহক।এটি গুরুত্ব ও অবস্থানের দিক থেকে পাকিস্তানের
সমপর্যায়ে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
ভারতে ৩৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৫০ শতাংশ। কভারেজ ও ইউজেসের
মধ্যে এই ব্যাপক পার্থক্য থেকে বুঝা যায় চাহিদা আপনাআপনি
সরবরাহকে অনুসরণ করে না। নেটওয়ার্ক কভারেজ সম্প্রসারণকে
ছাড়িয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল ডিভাইড কমিয়ে আনার জন্য সরকার,
মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও সুশীল সমাজকে চিহ্নিত করতে
হবে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রগুলোকে। যাতে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির
ক্ষেত্রে ব্যবহারগত বাধা (ইউজেস ব্যারিয়ার) দূরহয়।কভারেজ ও
ইউজেসের মধ্যকার ব্যবধান কমিয়ে এনে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি অর্জনের
জন্য প্রয়োজন সরকার ও অপারেটরদের একসাথে কাজ করা।
মোবাইল ইন্টারনেট অ্যাডাপশন যাতে বাড়ে সে জন্য নীতিমালা ও
বিধিবিধান বাস্তবায়ন জোরদার করতে হবে। একই সাথে চালাতে হবে
কাঠামোগত উন্নয়নের কাজ।সেই সাথে প্রয়োজন সরকারের সর্বাত্মক
পদক্ষেপ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ডিজিটাল উদ্যোগ বাস্তবায়ন।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির বাধাগুলো
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি অর্জনে আমাদের সামনে বিদ্যমান রয়েছে
দুই ধরনের বাধা: ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধা (ইউজেস ব্যারিয়ার) এবং
কভারেজের ক্ষেত্রে বাধা (কভারেজ ব্যারিয়ার)। এসব বাধা দূর করতে
সরকার ও অংশীজনের সর্বাত্মক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ দরকার
বলে এই প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ইউজেস ব্যারিয়ার : আলোচ্য রিপোর্ট মতেÑ ব্যবহারের ক্ষেত্রে
বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করতে বাংলাদেশকে নিচের চারটি নীতিমালা
ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট
অ্যাডাপশনের উদ্যোগগুলোজোরদার হবে।
এক: কর, ভর্তুকি ও বিজনেস ইনোভেশনের ক্ষেত্রে যথাযথ নীতি
ও বিধিবিধান অবলম্বন করে বাড়িয়ে তুলতে হবে অ্যাফর্ডিবিলিটি;
দুই: একটি ব্যাপক এভিডেন্স-ভিত্তিক কাঠামোর আওতায়
মানুষকে উপযুক্ত ডিজিটাল জ্ঞান ও দক্ষতাসমৃদ্ধ করতে হবে;
তিন: ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট উৎসাহিত করার মাধ্যমে
স্থানীয় সেবা ও অ্যাপের মাধ্যমে সেবা ও কনটেন্টের প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতে হবে; এবং
চার: যথাযথ আইনগত নীতিগত অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে,
যা সহায়তা করবে নিরাপত্তা রক্ষায়।
কভারেজ ব্যারিয়ার: কভারেজের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাগুলো
অপসারণ করতে নিচে উল্লিখিত রাজস্ব ও বিধিবিধান-সংক্রান্ত
নীতিমালা কাজে লাগিয়ে অবকাঠামো চালু করায় সহায়তা দিতে হবে।
এক: ফ্র্যাগমেন্টেড লাইসেন্সিং রিজিম সংস্কার করতে হবে। ফিরে
যেতে হবে কনভার্জড লাইসেন্সিং রিজিমে;
দুই: সেক্টরকেন্দ্রিক ও মোবাইল অপারেটরদের ওপর বৈষম্যমূলক
করারোপ কমিয়ে আনতে হবে এবং করারোপ পদ্ধতি সরলতর করতে হবে;
বাংলাদেশে মোবাইল বাজার সূচক
এক দশকে দেশে মোবাইল পেনিট্রেশন বেড়েছে ৬ গুণ
সার্ভিং মোবাইল কানেকশন ১৯ কোটি
অনন্য (ইউনিক) মোবাইল গ্রাহক ৯ কোটি
পেনিট্রেশন ৫৪ শতাংশ (ডিসেম্বর ২০২০)
সার্ভিং ইন্টারনেট মোবাইল কানেকশন ১০.২০ কোটি
অনন্য (ইউনিক) ইন্টারনেট মোবাইল গ্রাহক ৪.৭১ কোটি
পেনিট্রেশন ২৮ শতাংশ (ডিসেম্বর)
সক্রিয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ৩.২৩ কোটি
দিনে গড় লেনদেন ২১০ কোটি ডলার
মোবাইল প্রযুক্তি ও সেবার বার্ষিক অর্থমূল্য ১৬০০ কোটি ডলার
এই অর্থমূল্য জিডিপির ৫.৩ শতাংশের সমান
তিন: টেকনোলজি নিউট্রাল স্পেকট্রাম অ্যাসাইন করতে হবে, যা
শেয়ারিং ও সেকেন্ডারি ট্রেডিংয়ের জন্য বৈধ বিবেচিত হবে; এবং
চার: সামাজিক-দায় তহবিল টার্গেটেড, টাইম-বাউন্ড করা
বিধিবিধানিক কাঠামোর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, এবং তা সুষ্ঠু
ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। যদি যৌক্তি