লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
মোহাম্মাদ আব্দুল হক
মোট লেখা:১৭
লেখা সম্পর্কিত
লেখার ধরণ:
সাইবার সন্ত্রাস
রিজার্ভ চুরির পাঁচ বছর পরও কাটেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাযুক্তিক দুর্বলতা
রিজার্ভ চুরির পাঁচ বছর পরও কাটেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাযুক্তিক দুর্বলতা
মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভয়াবহ রিজার্ভ
চুরির ঘটনা ওই ব্যাংকের প্রাযুক্তিক
দুর্বলতার উল্লেখযোগ্য এক ইতিহাস হয়ে
আছে। এই ঘটনার পাঁচ বছর পরও এখনো
কাটেনি ব্যাংকটির প্রাযুক্তিক দুর্বলতা। এর
পেছনে রয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সীমাহীন
দুর্বলতা। এর জায়মান উদাহরণ হচ্ছে, গত ১৩
এপ্রিল ২০২১-এর অর্থ লেনদেনের দুটি প্রধান
মাধ্যমই অকার্যকর হয়ে যাওয়ার সর্বসাম্প্রতিক
ঘটনা। সেদিন একসাথে অকার্যকর হয়ে যায়
আন্তঃব্যাংক রেপো ও কলমানি লেনদেনের
এমআই মডিউলও। দেশের পেমেন্ট ব্যবস্থার
প্রধানতম তিনটি মাধ্যম অকার্যকর থাকায়
গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভোগান্তি চরমে
পৌঁছে। একই সাথে কারিগরি ত্রæটির শিকার
হয়ে ডাউন হয়ে যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের
ওয়েবসাইট। জানা যায়Ñ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডাটা সার্ভারে ত্রæটি ও সমন্বয়হীনতার কারণে
এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
প্রযুক্তিগত এ বিপর্যয়ের ফলে থমকে যায়
দেশের ব্যাংক খাতের পেমেন্ট ব্যবস্থা।
লেনদেনের তিনটি মাধ্যমে দৈনিক গড়ে প্রায়
১৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। টানা
পাঁচ দিন লেনদেন ব্যবস্থায় যে বিপর্যয় সৃষ্টি
হয়, সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০ বছরের
ইতিহাসে এই প্রথম। ১৮ এপ্রিল সীমিত
আকারে আবার লেনদেন সচল হয়।
আমার জানি, বাংলাদেশে অটোমেটেড
ক্লিয়ারিং হাউজের (বিএসিএইচ) মাধ্যমে
অনলাইনে আন্তঃব্যাংক চেক নিষ্পত্তি হয়।
গ্রাহকেরা বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস
ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন)
ব্যবহার করেও এক ব্যাংক থেকে অন্য
ব্যাংকে টাকা পাঠান। দেশে আন্তঃব্যাংক
ডিজিটাল লেনদেনের অন্যতম একটি মাধ্যম
বিইএফটিএন। সেবাটি এক দশক আগে চালু
হলেও এর পরিসর ছিল সীমিত। চলমান
করোনা মহামারীতে বিইএফটিএন মাধ্যমে
লেনদেন বেড়েছে।
হঠাৎ করে ব্যাংক খাতের পেমেন্ট
ব্যবস্থায় এই বিপর্যয়ের ওপর একটি জাতীয়
দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়Ñ দেশের ব্যাংক
খাতের লেনদেনের আকার ও পরিমাণ
বিচারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রযুক্তি সক্ষমতা
অনেকটাই দুর্বল। রিজার্ভ চুরির ৫ বছর পার
হওয়ার পরও প্রাযুক্তিক সক্ষমতা বাড়ানোর
দিকে যথাযথ নজর দেয়া হয়নি। ছোটখাটো
ত্রæটি-বিচ্যুতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক
পুরোপুরি ভেন্ডর প্রতিষ্ঠাননির্ভর। দক্ষ জনবল
নিয়োগ দেয়া কিংবা নিজস্ব জনবলকে দক্ষ
করে তোলার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট মনোযোগ
দেয়া হয়নি। সময়ের সাথে তাল মেলাতে
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাংকটির বিনিয়োগও
যৎসামান্য। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের
প্রযুক্তিগত ভঙ্গুরতা কাটেনি। এ ক্ষেত্রে
কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে,
গত ১৩ এপ্রিল পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপর্যয়
দেখা দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা
হয়েছিলÑ বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি সার্ভারের
সংযোগকারী বিটিসিএলের অপটিক্যাল
ফাইবার ক্যাবল সংযোগের ত্রæটির কারণে
পেমেন্ট ব্যবস্থায় এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, বিটিসিএলের
সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল ৪০ মিনিট। অথচ
বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন ব্যবস্থা ঠিক
হতে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে
হয়েছে। সেদিনও ইএফটির মাধ্যমে লেনদেন
করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ড. রফিকুল মতিনের গণমাধ্যমে
দেয়া বক্তব্য ছিল : ‘১৩ এপ্রিল বেলা ৩টা
৪০ মিনিটে বিটিসিএলের সংযোগের সমস্যার
বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো
হয়। ত্বরিত পদক্ষেপ নিয়ে ৪টা ২০ মিনিটের
মধ্যে আমরা ত্রæটি সারিয়ে দিই। লেনদেন
ব্যবস্থায় যে সঙ্কট হয়, সেটি বাংলাদেশ
ব্যাংকের নিজস্ব সমস্যার কারণে হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে
আমাদের চিঠিও দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী
সময়ে দেখা যায়, বিটিসিএলের সংযোগ
বিচ্ছিন্ন ছিল ৪০ মিনিট। কিন্তু বাংলাদেশ
ব্যাংকের লেনদেন ব্যবস্থা ঠিক হতে ১৮
এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সেদিনও
ইএফটির মাধ্যমে লেনদেন সম্ভব হয়নি।’
আমাদের সবারই জানা, বাংলাদেশ
ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনার এখনো কোনো
নিষ্পত্তি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দেশের বাইরে
কয়েকটি দেশে মামলা চলছে। অভ‚তপূর্ব
ভয়াবহ সাইবার হামলার মাধ্যমে বড় অঙ্কের
রিজার্ভ চুরি নিয়ে তখন বেশ আলোচনাসমালোচনা চলে। এর জেরে বাংলাদেশ
ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নরকে বিদায় নিতে
হয়। তখন নানা প্রশ্ন দেখা দেয় দেশের
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাযুক্তি দুর্বলতা নিয়ে। এই
ঘটনার মাধ্যমে ব্যাংকটির প্রাযুক্তিক দুর্বলতার
বিষয়টি সাধারণ্যে সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
তখনই বিভিন্ন মহল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
প্রাযুক্তিক দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জোর
তাগিদ ও পরামর্শ দেয়া হয়। সরকারসহ
ব্যাংক কর্তৃপক্ষও নানা বক্তব্যের মাধ্যমে এসব
পরামর্শ ও তাগিদের যৌক্তিকতা স্বীকার করে
নেয়। কিন্তু এক সময় সরকার ও ব্যাংক কতৃর্
পক্ষ ব্যাংকটির প্রাযুক্তিক দক্ষতা ও সক্ষমতা
বাড়ানোর অপরিহার্যতার কথা বেমালুম ভুলে
যায়। ফলে ভঙ্গুর প্রাযুক্তিক কাঠামো নিয়েই
চলতে থাকে ব্যাংকটির কার্যক্রম। এরই ফলে
গত ১৩ এপ্রিল ব্যাংকটিতে ঘটে আরেকটি
প্রাযুক্তিক বিপর্যয়, যার ফলে টানা ৫ দিন
বন্ধ থাকে এর ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থা।
এমনি অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাযুক্তিক
দুর্বলতা তথা ভঙ্গুরতার বিষয়টি আবারো
আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
ইতিহাসের আলোকে
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে
জানা যায়Ñ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে
‘সেন্ট্রাল ব্যাংক স্ট্রেংদেনিং
প্রজেক্টের’ আওতায় কেন্দ্রীয়
ব্যাংকে অটোমেশনের প্রক্রিয়া
শুরু হয় ২০০৩ সালে। লক্ষ্য
ছিল পেপারলেস ব্যাংক ব্যবস্থায়
উত্তরণ। সে লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে
স্থাপন করা হয় দেড় শতাধিক
সার্ভার, ৪ হাজারেরও বেশি
কমপিউটার, ইলেকট্রনিক প্রিন্টার
ও স্ক্যানার। এর মাধ্যমে সার্বিক
লেনদেন ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ
করে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়।
বাংলাদেশে অটোমেটেড
চেক প্রসেসিং সিস্টেম চালু
হয় ২০১০ সালে। পরের বছর
অটোমেটেড পেমেন্ট সিস্টেমে
যোগ হয় বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক
ফান্ড ট্র্যান্সফার নেটওয়ার্ক
(বিআইএফটিএন) ও মোবাইল
ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস। ২০১২
সালে চালু হয় ন্যাশনাল পেমেন্ট
সুইস অব বাংলাদেশ (এনপিএসবি) এবং
২০১৫ সালে রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট
সিস্টেমস (আরটিজিএস) কার্যক্রম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরটিজিএস স্থাপনের
সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণেই
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
চুরির ক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়েছিল।
বিএসিএইচ প্রতিষ্ঠার পর এটি
পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান
কার্যালয়ে ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়।
আর দুর্যোগকালে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার
জন্য মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং
অ্যাকাডেমিতে স্থাপন করা হয় ডিজাস্টার
রিকভারি সাইট। বিএসিএইচের মাধ্যমে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সনাতনী পদ্ধতির নিকাশ
ব্যবস্থার পরিবর্তে উন্নত বিশ্বের মতো ইমেজ
বিনিময় পদ্ধতির চেক ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা
চালু হয়। দেশের আন্তঃব্যাংক লেনদেনের
প্রধানতম মাধ্যম এটি।
গত ১৩ এপ্রিল বিএসিএইচের মতিঝিল
সার্ভারের সাথে যুক্ত বিটিসিএলের একটি
সংযোগে ত্রæটি দেখা দিলে পুরো লেনদেন
ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে। অথচ একটি সার্ভারে
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি
এমনি প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাযুক্তিক সক্ষমতা,
দুর্বলতা ও ত্রæটি-বিচ্যুতি খতিয়ে দেখার জন্য এরই মধ্যে
একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে পুরো তথ্যপ্রযুক্তি
অবকাঠামো দেখাশোনার জন্য পুরনোদের জায়গায় এই কমিটির
ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নবগঠিত এই কমিটি আগামী ১৫ মে
তাদের এ সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। একই সাথে
ব্যাংকটি পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল
হকের নেতৃত্বে ‘আইসিটি অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠন
করা হয়েছে। এ কমিটি সামগ্রিক তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর সুষ্ঠু
ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। এ কমিটিতে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের ২২ কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে।
এই কমিটি এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব আইসিটি অবকাঠামো অর্থাৎ ডাটা
সেন্টার, নেয়ার ডাটা সেন্টার, ডিজাস্টার রিকভারি সাইট,
সার্ভার রুম, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করবে।
পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ক্রটি চিহ্নিত করে সব সেবা নতুন ডাটা
সেন্টারে স্থানান্তর করবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের পুরো আইসিটি সিস্টেম একটি চক্রের কাছে আটকে
ছিল, যে কারণে সময়োপযোগী অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
এর মাধ্যমে নতুন করে যাত্রা শুরু করবে পুরো আইসিটি সিস্টেম।
ত্রæটি হলে অন্যটির মাধ্যমে লেনদেন সক্রিয়
থাকার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে
একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়Ñ ক্লাস্টারিং
সিস্টেমের মাধ্যমে ১৪ জোড়া কম্পিউটারের
মাধ্যমে লেনদেন ব্যবস্থা পরিচালিত হতো।
এক্ষেত্রে একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে হওয়া
লেনদেনের তথ্য আপডেট হতো অন্য
কম্পিউটারে। কিন্তু প্রায় ১১ মাস আগে লাইনে
সমস্যার কারণে প্রতি জোড়া কম্পিউটারের
একটির লাইন বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। এতে একটি
কম্পিউটারের তথ্য অন্য কম্পিউটার বা
সার্ভারে আপডেট হয়নি। ফলে বিটিসিএলের
লাইনে সমস্যা হওয়ার পর পুরো বিএসিএইচ
সিস্টেমই অকার্যকর হয়ে যায়। একই
পরিস্থিতি হয়েছিল বিইএফটিএনের ক্ষেত্রেও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি ব্যবস্থাপনার
সাথে যুক্ত এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি জাতীয়
দৈনিকের প্রতিনিধিকে জানানÑ ডাটা সার্ভারের
কনফিগারেশন ভুল, ব্যাকআপ ডাটা না থাকা
ও কর্মীদের অদক্ষতার কারণে পেমেন্ট ব্যবস্থায়
অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। একটি সার্ভারের
ত্রæটি সারিয়ে তুলতে ১৫-২০ মিনিট সময়ের
দরকার হয়। কিন্তু বিস্ময়কর তথ্য হলো, পুরো
লেনদেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে
সপ্তাহ লেগেছে। আইটি ব্যবস্থাপনায়
যুক্ত বিভাগগুলোর সাথে পেমেন্ট
সিস্টেমস বিভাগের সমন্বয়হীনতার
কারণেই এটি হয়েছে।
অনুসন্ধানী রিপোর্ট মতে
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি বিভাগ
প্রযুক্তির বিষয়টি দেখভাল করে।
এর মধ্যে আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার
মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
বিভাগের অধীনে রয়েছে ৯টি
শাখা। আর ইনফরমেশন সিস্টেমস
ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট
বিভাগের অধীনে ১২টি উইং কাজ
করে। প্রায় ১০০ কম্পিউটার
ইঞ্জিনিয়ার ও ১২০ প্রোগ্রামার
কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।
তারপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
বেশিরভাগ কাজই পরিচালিত
হচ্ছে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
এক্ষেত্রে কোর ব্যাংকিংয়ের ভেন্ডর
প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে
ভারতের টাটা কনসালট্যান্সি
সার্ভিসেস। ডাটা সার্ভারের ক্ষেত্রে
ফ্লোরা লিমিটেড, মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে
ইজেনারেশন, স্টোরেজের ক্ষেত্রে ডাটা এজ
এবং ওমেগা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেন্ডর
প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক
নির্বাহী পরিচালক জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
যেকোনো সাধারণ ত্রæটি সারিয়ে তুলতেও
ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হচ্ছে। এক্ষেত্রে
ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের কাছে সব ধরনের
পাসওয়ার্ড দিতে হয়। এ কারণে বাংলাদেশ
ব্যাংকের প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়Ñ কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের আইটি ও পেমেন্ট ব্যবস্থা উন্নত
করার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের
কয়েকটি বিভাগ পেমেন্ট ব্যবস্থার সাথে
সম্পৃক্ত। সবগুলো বিভাগের সাথে আলাপআলোচনা করে সীমাবদ্ধতার ক্ষেত্রগুলো
চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে
জানা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি
ব্যবস্থাপনার সাথে দেশের সম্মানও জড়িত।
ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে যা যা করা দরকার,
তা অবশ্যই দ্রæত করতে হবে