• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > লেজার প্রিন্টারের খুঁটিনাটি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:৫৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৭ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রিন্টার
তথ্যসূত্র:
হার্ডওয়্যার
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
লেজার প্রিন্টারের খুঁটিনাটি

প্রিন্টার এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া একটি আউটপুট ডিভাইস৷ কোনো ডকুমেন্ট বা কোনো ছবির হার্ডকপি সংরক্ষণ করার জন্য প্রিন্টারের জুড়ি মেলা ভার৷ বাজারে অনেক রকমের প্রিন্টার পাওয়া যায়, তার মধ্যে ডটমেট্রিক্স, বাবলজেট, ইঙ্কজেট, সলিড ইঙ্ক, টোনার বেইজড, লেজার প্রিন্টার উল্লেখযোগ্য৷ কিন্তু যখন প্রিন্টের মানের ব্যাপারটি মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে লেজার প্রিন্টার সামনের কাতারে এসে দাঁড়ায়৷ কারণ লেজার প্রিন্টারের প্রিন্ট কোয়ালিটি অসাধারণ এবং এসব প্রিন্টারের প্রিন্ট করার গতি অনেক বেশি অন্যটির তুলনায়৷ দামের দিক থেকে একটু চড়া বলে অফিস-আদালতেই এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়৷ শুনলে অবাক হবেন, এখনকার সবচেয়ে দ্রুতগতির লেজার প্রিন্টারের প্রিন্ট করার গতি হচ্ছে সাদাকালো ২০০ পৃষ্ঠা প্রতি মিনিট এবং রঙিন ১০০ পৃষ্ঠা প্রতি মিনিট৷ তাহলে বুঝে নিন এর দাম কেন অন্যটির তুলনায় বেশি৷

আমরা তো শুধু কমপিউটারে প্রিন্ট করার কমান্ড দেই আর প্রিন্টার থেকে প্রিন্ট হয়ে তা বের হয়ে আসে৷ কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই প্রিন্টিং কথাটি সম্পন্ন হতে প্রিন্টারের অভ্যন্তরে কত জটিল প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয়৷ আসলে ব্যাপারটি খুব একটা জটিল কিছু নয়৷ সহজভাবে ও সংক্ষেপে লেজার প্রিন্টারের অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালীর একটি বর্ণনা উপস্থাপন করা হলো আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে৷ লেজার প্রিন্টার কাজ করে ৬টি ধাপে৷ ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো -

আমরা জানি দুটি বিপরীত চার্জধর্মী কণা একে অপরকে আকর্ষণ করে ও সংযুক্ত হয়, আর একই চার্জধর্মী কণা পরস্পরকে বিকর্ষণ করে৷ লেজার প্রিন্টারে বিপরীত চার্জধর্মী কণার এই আকর্ষণ বলকে অস্থায়ী আঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ লেজার প্রিন্টারের মূল অংশ ফটোরিসেপ্টর হচ্ছে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফটোকনডাকটিভ বস্তু দিয়ে গঠিত সিলিন্ডার বা রিভলভিং ড্রাম৷ স্থির, তড়িত্ বা স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি দিয়ে এই ফটোরিসেপ্টরটি চার্জিত করা যায়৷ চার্জগুলো ফটোরিসেপ্টরের ওপর স্থাপন করার জন্য করোনাওয়্যার (তার বা প্রাইমারি চার্জ রোলার ব্যবহার হয়৷



এই ধাপে যে ডকুমেন্ট বা ছবি প্রিন্ট করতে হবে সেই ইমেজটিকে যাতে প্রিন্টার বুঝতে পারে সেই কোডে রূপান্তরিত করা হয়৷ এখনকার উন্নত প্রিন্টারগুলোতে প্রাইমারি প্রিন্টার ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে Hewlett Packard (HP Printer Command Language (PCL) এবং Adobe -এর Post Script এই দুটি বেশি ব্যবহার হয়৷ এই ভাষা মূল ইমেজকে ডট দিয়ে প্রকাশের পরিবর্তে গাণিতিক মানের সাহায্যে প্রকাশ করে তা বিটম্যাপ আকারে সংরক্ষণ করে৷ এই প্রক্রিয়ায় প্রিন্টার সূক্ষ্মভাবে ও নিখুঁতভাবে যেকোনো ইমেজ পড়তে পারে এবং বিটম্যাপ ইমেজ তৈরির কারণে উচ্চ রেজ্যুলেশন দিতে পারে যা প্রিন্টের মান সুন্দর করে৷ মূল ইমেজ থেকে রূপান্তরিত নতুন ইমেজটিকে রাস্টার ইমেজ বলা হয়৷ রাস্টার ইমেজটি Raster Image Processor (RIR)-এরথেকেলেজারের মাধ্যমে একটি ঘূর্ণায়মান বহুতলীয় আয়নার ওপর ফেলা হয়৷ ইমেজটি প্রতিফলিত হয়ে আরো কিছু লেন্সের ভেতর দিয়ে ফটোরিসেপ্টরের ওপর পড়ে৷ ফটোরিসেপ্টরটি ঘুরতে থাকে এবং এর গায়ে সুন্দরভাবে ইমেজটির একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়ে যায়৷ লেজার ব্যবহারের ফলে ইমেজটি চার্জ আকারে ফটোরিসেপ্টরের গায়ে সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে লেখা হয়ে যায়৷



এখানে ফটোরিসেপ্টরে ধারণ করা ইমেজটির ওপর ডেভেলপার রোলার দিয়ে টোনার বসানো হয়৷ টোনার হচ্ছে পজিটিভ চার্জযুক্ত খুবই সূক্ষ্ম কার্বন বা কালারিং এজেন্ট (কালারপিগমেন্ট) মিশ্রিত শুষ্ক প্লাস্টিক পাউডার৷ ফটোরিসেপ্টরের গায়ে নেগেটিভ চার্জযুক্ত ইমেজের ওপর টোনারের পজিটিভ কণার মধ্যে আকর্ষণের ফলে তা সংযুক্ত হয়৷ কিন্তু ফটোরিসেপ্টরের যে স্থানে ইমেজ নেই সেই স্থানকে বিকর্ষণ করে, তাই ওই অংশ সাদা থেকেযায়৷ সহজভাবে বলা যায় একটি সফট ড্রিংকসের ক্যান নিয়ে তাতে কিছু কিছু স্থানে আঠা লাগিয়ে যদি ময়দার ওপর দিয়ে গড়িয়ে নেয়া হয় তবে দেখা যাবে শুধু আঠাযুক্ত স্থানে ময়দা লেগে আছে, অন্য স্থান ফাঁকা৷ ব্যাপারটি ঠিক এরকমই৷

৪র্থ ধাপ : ট্রান্সফারিং

এই ধাপে কাগজটিকে একটি উত্তপ্ত রোলার ও একটি রবার নির্মিত প্রেসার রোলারের মাঝখান দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হিট রোলারটির তাপমাত্রা প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়৷ এই তাপ ও চাপের ফলে কাগজে টোনার লেপ্টে যায় এবং প্রিন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়৷ রোলার দুটিকে একত্রে ফিউসার বলা হয়৷ এই ধাপটি সম্পন্ন করতে প্রিন্টারের নব্বই শতাংশ শক্তি ব্যয় হয়৷ রোলারে এই তাপ আসে এর ভেতর দিয়ে যাওয়া হিট ল্যাম্পের সাহায্যে৷ প্রিন্টারের ভেতরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য ভেন্টিলেশন ফ্যান ব্যবহার হয়৷

ষষ্ঠ ধাপ : ক্লিনিং

এপ্রিন্টিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর একটি তড়িত্ নিরপেক্ষ নরম প্লাস্টিক ব্লেড ফটোরিসেপ্টর থেকে টোনার সরিয়ে নেয় এবং ডিসচার্জ ল্যাম্পের সাহায্যে তা মুছে ফেলে৷ নিম্নমানের টোনার ব্যবহারের করা ফলে ক্লিনিং প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে৷ এর ফলে কাগজ আটকে যাওয়া, কাগজে অনাকাঙিক্ষত দাগ পড়া, প্রিন্টের মান খারাপ হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়৷ তাই ভালোমানের টোনার ব্যবহার করা উচিত৷

প্রিন্টার অনেকদিন টিকিয়ে রাখার জন্য এর যত্ন নেয়া উচিত৷ ভালো সুবিধাজনক স্থানে প্রিন্টার রাখা, ধুলোবালি থেকে রক্ষা করা, ভালো পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা, রোলারগুলো মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা, ভালো মানের কালি ব্যবহার ইত্যাদি করা হলে প্রিন্টার অনেকদিন ভালো থাকবে৷ এটি আকারে ছোট বলে ব্যবহারেও সুবিধা৷ কিন্তু তারপরও লেজার প্রিন্টারের কদর বেশি এর কোয়ালিটি ও দ্রুততার গুণে৷

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com

প্রিন্টার এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া একটি আউটপুট ডিভাইস৷ কোনো ডকুমেন্ট বা কোনো ছবির হার্ডকপি সংরক্ষণ করার জন্য প্রিন্টারের জুড়ি মেলা ভার৷ বাজারে অনেক রকমের প্রিন্টার পাওয়া যায়, তার মধ্যে ডটমেট্রিক্স, বাবলজেট, ইঙ্কজেট, সলিড ইঙ্ক, টোনার বেইজড, লেজার প্রিন্টার উল্লেখযোগ্য৷ কিন্তু যখন প্রিন্টের মানের ব্যাপারটি মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে লেজার প্রিন্টার সামনের কাতারে এসে দাঁড়ায়৷ কারণ লেজার প্রিন্টারের প্রিন্ট কোয়ালিটি অসাধারণ এবং এসব প্রিন্টারের প্রিন্ট করার গতি অনেক বেশি অন্যটির তুলনায়৷ দামের দিক থেকে একটু চড়া বলে অফিস-আদালতেই এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়৷ শুনলে অবাক হবেন, এখনকার সবচেয়ে দ্রুতগতির লেজার প্রিন্টারের প্রিন্ট করার গতি হচ্ছে সাদাকালো ২০০ পৃষ্ঠা প্রতি মিনিট এবং রঙিন ১০০ পৃষ্ঠা প্রতি মিনিট৷ তাহলে বুঝে নিন এর দাম কেন অন্যটির তুলনায় বেশি৷

আমরা তো শুধু কমপিউটারে প্রিন্ট করার কমান্ড দেই আর প্রিন্টার থেকে প্রিন্ট হয়ে তা বের হয়ে আসে৷ কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই প্রিন্টিং কথাটি সম্পন্ন হতে প্রিন্টারের অভ্যন্তরে কত জটিল প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয়৷ আসলে ব্যাপারটি খুব একটা জটিল কিছু নয়৷ সহজভাবে ও সংক্ষেপে লেজার প্রিন্টারের অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালীর একটি বর্ণনা উপস্থাপন করা হলো আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে৷ লেজার প্রিন্টার কাজ করে ৬টি ধাপে৷ ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো -

আমরা জানি দুটি বিপরীত চার্জধর্মী কণা একে অপরকে আকর্ষণ করে ও সংযুক্ত হয়, আর একই চার্জধর্মী কণা পরস্পরকে বিকর্ষণ করে৷ লেজার প্রিন্টারে বিপরীত চার্জধর্মী কণার এই আকর্ষণ বলকে অস্থায়ী আঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ লেজার প্রিন্টারের মূল অংশ ফটোরিসেপ্টর হচ্ছে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফটোকনডাকটিভ বস্তু দিয়ে গঠিত সিলিন্ডার বা রিভলভিং ড্রাম৷ স্থির, তড়িত্ বা স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি দিয়ে এই ফটোরিসেপ্টরটি চার্জিত করা যায়৷ চার্জগুলো ফটোরিসেপ্টরের ওপর স্থাপন করার জন্য করোনাওয়্যার (তার বা প্রাইমারি চার্জ রোলার ব্যবহার হয়৷

এই ধাপে যে ডকুমেন্ট বা ছবি প্রিন্ট করতে হবে সেই ইমেজটিকে যাতে প্রিন্টার বুঝতে পারে সেই কোডে রূপান্তরিত করা হয়৷ এখনকার উন্নত প্রিন্টারগুলোতে প্রাইমারি প্রিন্টার ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে Hewlett Packard (HP Printer Command Language (PCL) এবং Adobe -এর Post Script এই দুটি বেশি ব্যবহার হয়৷ এই ভাষা মূল ইমেজকে ডট দিয়ে প্রকাশের পরিবর্তে গাণিতিক মানের সাহায্যে প্রকাশ করে তা বিটম্যাপ আকারে সংরক্ষণ করে৷ এই প্রক্রিয়ায় প্রিন্টার সূক্ষ্মভাবে ও নিখুঁতভাবে যেকোনো ইমেজ পড়তে পারে এবং বিটম্যাপ ইমেজ তৈরির কারণে উচ্চ রেজ্যুলেশন দিতে পারে যা প্রিন্টের মান সুন্দর করে৷ মূল ইমেজ থেকে রূপান্তরিত নতুন ইমেজটিকে রাস্টার ইমেজ বলা হয়৷ রাস্টার ইমেজটি Raster Image Processor (RIR)-এরথেকেলেজারের মাধ্যমে একটি ঘূর্ণায়মান বহুতলীয় আয়নার ওপর ফেলা হয়৷ ইমেজটি প্রতিফলিত হয়ে আরো কিছু লেন্সের ভেতর দিয়ে ফটোরিসেপ্টরের ওপর পড়ে৷ ফটোরিসেপ্টরটি ঘুরতে থাকে এবং এর গায়ে সুন্দরভাবে ইমেজটির একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়ে যায়৷ লেজার ব্যবহারের ফলে ইমেজটি চার্জ আকারে ফটোরিসেপ্টরের গায়ে সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে লেখা হয়ে যায়৷

এখানে ফটোরিসেপ্টরে ধারণ করা ইমেজটির ওপর ডেভেলপার রোলার দিয়ে টোনার বসানো হয়৷ টোনার হচ্ছে পজিটিভ চার্জযুক্ত খুবই সূক্ষ্ম কার্বন বা কালারিং এজেন্ট (কালারপিগমেন্ট) মিশ্রিত শুষ্ক প্লাস্টিক পাউডার৷ ফটোরিসেপ্টরের গায়ে নেগেটিভ চার্জযুক্ত ইমেজের ওপর টোনারের পজিটিভ কণার মধ্যে আকর্ষণের ফলে তা সংযুক্ত হয়৷ কিন্তু ফটোরিসেপ্টরের যে স্থানে ইমেজ নেই সেই স্থানকে বিকর্ষণ করে, তাই ওই অংশ সাদা থেকেযায়৷ সহজভাবে বলা যায় একটি সফট ড্রিংকসের ক্যান নিয়ে তাতে কিছু কিছু স্থানে আঠা লাগিয়ে যদি ময়দার ওপর দিয়ে গড়িয়ে নেয়া হয় তবে দেখা যাবে শুধু আঠাযুক্ত স্থানে ময়দা লেগে আছে, অন্য স্থান ফাঁকা৷ ব্যাপারটি ঠিক এরকমই৷

৪র্থ ধাপ : ট্রান্সফারিং

এই ধাপে কাগজটিকে একটি উত্তপ্ত রোলার ও একটি রবার নির্মিত প্রেসার রোলারের মাঝখান দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হিট রোলারটির তাপমাত্রা প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়৷ এই তাপ ও চাপের ফলে কাগজে টোনার লেপ্টে যায় এবং প্রিন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়৷ রোলার দুটিকে একত্রে ফিউসার বলা হয়৷ এই ধাপটি সম্পন্ন করতে প্রিন্টারের নব্বই শতাংশ শক্তি ব্যয় হয়৷ রোলারে এই তাপ আসে এর ভেতর দিয়ে যাওয়া হিট ল্যাম্পের সাহায্যে৷ প্রিন্টারের ভেতরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য ভেন্টিলেশন ফ্যান ব্যবহার হয়৷

ষষ্ঠ ধাপ : ক্লিনিং

এপ্রিন্টিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর একটি তড়িত্ নিরপেক্ষ নরম প্লাস্টিক ব্লেড ফটোরিসেপ্টর থেকে টোনার সরিয়ে নেয় এবং ডিসচার্জ ল্যাম্পের সাহায্যে তা মুছে ফেলে৷ নিম্নমানের টোনার ব্যবহারের করা ফলে ক্লিনিং প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে৷ এর ফলে কাগজ আটকে যাওয়া, কাগজে অনাকাঙিক্ষত দাগ পড়া, প্রিন্টের মান খারাপ হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়৷ তাই ভালোমানের টোনার ব্যবহার করা উচিত৷

প্রিন্টার অনেকদিন টিকিয়ে রাখার জন্য এর যত্ন নেয়া উচিত৷ ভালো সুবিধাজনক স্থানে প্রিন্টার রাখা, ধুলোবালি থেকে রক্ষা করা, ভালো পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা, রোলারগুলো মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা, ভালো মানের কালি ব্যবহার ইত্যাদি করা হলে প্রিন্টার অনেকদিন ভালো থাকবে৷ এটি আকারে ছোট বলে ব্যবহারেও সুবিধা৷ কিন্তু তারপরও লেজার প্রিন্টারের কদর বেশি এর কোয়ালিটি ও দ্রুততার গুণে৷

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৭ - ডিসেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস