• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কমপিউটার জগৎ-এর আঠারো বছর যার যার চোখে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
বছর পূর্তি
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ৩
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কমপিউটার জগৎ-এর আঠারো বছর যার যার চোখে




কমপিউটার জগৎ-এর আঠারো বছর যার যার চোখে-

মূল নামের বর্ণক্রমে শুভেচ্ছা বাণীগুলো উপস্থাপিত হলো



শেখ আব্দুল আজিজ
প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লীডস কর্পোরেশন

কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশের প্রথম নিয়মিত প্রকাশিত আইটিবিষয়ক জনপ্রিয় পত্রিকা। এ পত্রিকা সূচনালগ্ন থেকে দেশের আইটি সেক্টরের অবদান ও সুফল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করে আসছে। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, যে সময় কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশনা শুরু হয়, তখন এটি ছিল একটি দুঃসাহসিক কাজ বা প্রচেষ্টা। কেননা, সে সময় কমপিউটার সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা ছিল না। এ দুঃসাহসিক কাজটি অত্যন্ত সফলতার সাথে করেছেন মরহুম আবদুল কাদের। আজ বাংলাদেশ আইটি সেক্টর যে এ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার পেছনে কমপিউটার জগৎ-এর ভূমিকা অসীম। কমপিউটার জগৎ তার লেখনীতে দেশের নীতিনির্ধারণী মহলকে অবহিত যেমন করেছে, তেমনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জোরালো দাবি রেখেছে। এখন অনেক আইটি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে যেগুলোর প্রেরণার উৎস কমপিউটার জগৎ। কমপিউটার জগৎ এক সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করেছে। মরহুম আবদুল কাদের যেভাবে সাহসিকতার সাথে সময়ের দাবিগুলো জাতির সামনে তুলে ধরে এক সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিয়েছিলেন, তা শ্রদ্ধাভরে স্মরণে রাখা উচিত। আমরা চাই কমপিউটার জগৎ আবদুল কাদেরের নীতি ও আদর্শকে সমুন্নত রেখে অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। কমপিউটার জগৎ-এর সফলতা কামনা করি।
....................................................................................................................



আফতাবুল ইসলাম
প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী, ইন্টারন্যাশনাল অফিস ইকুইপমেন্ট

তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ মাসিক কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশে প্রথম বাংলায় প্রকাশিত নিয়মিত আইটিবিষয়ক পত্রিকা। পত্রিকাটি দেশের কমপিউটারের ব্যাপক প্রসারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবদুল কাদের এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি। এদেশের আইটি সেক্টরের উন্নতির জন্য ডাটা এন্ট্রি, সফটওয়্যার পার্ক, কর মওকুফ প্রভৃতির দাবিতে তিনি ছিলেন সোচ্চার। তরুণ সমাজের মধ্যে আইটি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশে প্রথম কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তিনি বিস্ময় সৃষ্টি করেন। আমার কাছে মনে হয়, তিনি শুধু একজন ব্যক্তি নন, একটি ইনস্টিটিউশনও। কমপিউটার যে দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার হতে পারে সে উপলব্ধিতে তার পত্রিকা কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশনা শুরু হয় ‘জনগণের হাতে কমপিউটার চাই’ দাবিতে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, এটা তারই ধারাবাহিকতার ফসল। আবদুল কাদেরের আদর্শ ও নীতি অটুট রেখে কমপিউটার জগৎ এগিয়ে যাক- এ প্রত্যাশা করি। কমপিউটার জগৎ পত্রিকার সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
....................................................................................................................



আজিজুর রহমান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইনডেক্স আইটি লি.

নিঃসন্দেহে বলা যায়, কমপিউটার জগৎ এদেশে আইটিবিষয়ক পত্রিকাগুলোর মধ্যে অগ্রপথিক। এ পত্রিকাটি সবসময় যুগোপযোগী বিষয়গুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরে আসছে। আমাদের দেশে আইটি সেক্টরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ পত্রিকাটির যথেষ্ট অবদান রয়েছে। বাংলাদেশে আইসিটি সেক্টরে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কমপিউটার জগৎ তার সূচনালগ্ন থেকে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও যেন এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে সে প্রত্যাশা করি।
....................................................................................................................



মোহাম্মদ আবু নাসের
প্রধান নির্বাহী, আলোহা আইশপ

কমপিউটার জগৎ-এর ১৮ বছর পূর্ণ হলো- এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের আইসিটি অঙ্গনে এক মাইলফলক। কমপিউটার জগৎ এমন এক পত্রিকা, যা এর সূচনালগ্ন থেকে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হিসেবে এমনসব বিষয় নির্বাচন করে আসছে যার যথাযথ বাস্তবায়ন হলে আমাদের অর্থনীতির চেহারাটাই পাল্টে যেত। দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে এমন কোনো বিষয়ই কমপিউটার জগৎ-এর দৃষ্টি এড়ায়নি। তাছাড়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর প্রতি সচেতনতা সৃষ্টিতে কমপিউটার জগৎ-এর ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বিশ্বব্যাপী এপলের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। সুতরাং কমপিউটার জগৎ-এর উচিত এপলের বিভিন্ন পণ্যের ওপর আলাদা বিভাগ খোলা। কমপিউটার জগৎ পরিবারের সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
....................................................................................................................



আব্দুল্লাহ এইচ কাফী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেএএন অ্যাসোসিয়েটস

কমপিউটার জগৎ-এর ১৮ বছর পূর্তিতে এ পত্রিকা পরিবারের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। বাংলাদেশের আইটি খাতকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে এ পত্রিকার অবদান অনস্বীকার্য। বাংলা আইটিবিষয়ক পত্রিকা হবে, এটা ১৫-২০ বছর আগে আমরা ভাবতেও পারেনি। এ দুঃসাহসিক কাজটি করে গেছেন অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রচারবিমুখ মানুষ মরহুম আবদুল কাদের। তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে যেসব লেখালেখি করেছেন এবং দাবি জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন, তা যদি আমরা আমলে নিতাম বা গুরুত্ব দিতাম, তাহলে দেশের অর্থনীতির ভিত অনেক সুদৃঢ় হতো। বিস্ময়কর হলেও সত্য, মরহুম আবদুল কাদের আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে যেসব বিষয়ে জাতিকে সচেতন করতেন বা করতে চেষ্টা করেছেন তার পত্রিকার মাধ্যমে, আজ সেগুলোর কিছু কিছু বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চলছে। কমপিউটার জগৎ-এর আরেকটি অন্যতম সফলতম দিক হলো আইসিটিসংশ্লিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখা।

কমপিউটার জগৎ-এর আইটি খাতে অবদানের জন্য মরহুম আবদুল কাদেরকে জাতির শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা উচিত। পত্রিকাটি বাংলাদেশের আইসিটি অঙ্গনে সময়ের দর্পণ। কমপিউটার জগৎ শুধু একটি পত্রিকা নয়, আমার কাছে মনে হয় একটি ইনস্টিটিউশন।
....................................................................................................................



মোস্তাফা জববার
সভাপতি, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি

তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক একটি সাময়িকী পত্রিকার আঠারো বছর অতিক্রম করা মোটেই কম কথা নয়। কমপিউটার জগৎ অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে এই কাজটি করেছে। মরহুম অধ্যাপক আবদুল কাদের যদি আজ সেই কৃতিত্বের স্বীকৃতি পেতেন তবে আমি অনেক খুশি হতে পারতাম। তারপরও এই পত্রিকার নিয়মিত লেখক ও এই শিল্পের একজন কর্মী হিসেবে কমপিউটার জগৎ-এর এই সাফল্যকে নিজের বলেও মনে করি।

কামনা করি, আরও অনেক বড় সাফল্য আসুক কমপিউটার জগৎ-এর।
....................................................................................................................



জসীম উদ্দীন খন্দকার
পরিচালক, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রা. লি.

বাংলাদেশে আইসিটি অঙ্গনে কমপিউটার জগৎ-এর ১৮ বছর পূর্তি নিঃসন্দেহে এক গৌরবান্বিত অধ্যায়ের সূচনা বলা যায়। বাংলাদেশে আইসিটি অঙ্গনে এর অবদান অনস্বীকার্য। এ পত্রিকা যখন প্রকাশিত হয়, তখনকার সময়ের প্রেক্ষাপটে বলা যায় এটি ছিল কমপিউটার বিষয়ে এক সাহসী পদক্ষেপ। সে সময়ে শুধু আইটি বিষয়ের ওপর একটি বাংলা ম্যাগাজিন নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হবে, এটি অনেকের কল্পনার বাইরে ছিল। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এ পত্রিকাটি তখন থেকে ব্যাপকভাবে পাঠক সমাদৃত হয় গুণগত মানের এবং সময়োপযোগী প্রকাশনার জন্য। এ পত্রিকাটি তার সূচনালগ্ন থেকে দেশের জনসাধারণকে আইসিটির ব্যাপারে সচেতন করার প্রয়াস চালিয়ে আসছে। আমরা চাই আগামীতেও যেন কমপিউটার জগৎ তার অতীতের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সময়োপযোগী লেখা পাঠকদের সামনে যেমন তুলে ধরবে তেমনি নিজেদের শীর্ষ অবস্থানকে অক্ষুণ্ণ রাখবে।
....................................................................................................................



মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড

বাংলা ভাষায় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ম্যাগাজিনের অগ্রপথিক কমপিউটার জগৎ ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনামূলক প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ও নিবন্ধ প্রকাশ করে আসছে। এছাড়া কমপিউটারে বাংলা ব্যবহার, জনসচেতনতা তৈরি, কমপিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়াতে, প্রোগ্রামিং, কমপিউটার সামগ্রীর দাম কমানো, প্রযুক্তিক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে পুরস্কারের প্রবর্তন, টেলিকম প্রযুক্তির পরিচিতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কমপিউটার জগৎ-এর অবদান অনস্বীকার্য। একথা বলতেই হয়, দেশের তথ্যপ্রযুক্তির জাগরণের পেছনে রয়েছে কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক আবদুল কাদেরের অবদান।

আরেকটি বিষয়- বর্তমানে আইসিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক গবেষণার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমার জানা মতে দেশে কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই। স্মার্ট টেকনোলজিসের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা থাকবে- এ বিষয়ে কমপিউটার জগৎ যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ রাখবে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় করণীয়টুকু করবে। সর্বোপরি কমপিউটার জগৎ বরাবরের মতোই সময়োপযোগী নিবন্ধ প্রকাশসহ তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।
....................................................................................................................



মো: ফয়েজউল্যাহ খান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিজনেসল্যান্ড লিমিটেড

দীর্ঘ ১৮ বছর বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে প্রগতিশীল বিশ্বের নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে কমপিউটার জগৎ-এর যে অক্লান্ত প্রয়াস তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। পত্রিকাটি একদিকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে সাহায্য করছে, অন্যদিকে মানুষের প্রযুক্তিগত জ্ঞান আহরণে বিশাল দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে। আমি কমপিউটার জগৎ-এর সার্বিক উন্নতি কামনা করছি। সাথে সাথে তাদের এ প্রয়াস যাতে গোটা জাতিকে প্রযুক্তির উচ্চতর সোপানে পৌঁছে দিতে পারে, সেই আশা করছি।
....................................................................................................................



মাহফুজ রহমান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মাল্টিলিঙ্ক ইন্টারন্যাশনাল কো. লি.

মাল্টিলিঙ্কের পক্ষ থেকে কমপিউটার জগৎ-এর ১৮ বছর পূর্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন। বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধিলাভের জন্য ১৯৯০ সাল থেকে অবদান রেখে আসছে কমপিউটার জগৎ। বর্তমানে এটি একটি আন্তর্জাতিকমানের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বাংলা পত্রিকা। আমরা এ পত্রিকার অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।
....................................................................................................................



মনসুর আহমেদ চৌধুরী
প্রধান নির্বাহী, বাইনারি লজিক

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে কমপিউটার জগৎ-এর একটি ধারাবাহিক ভালো ভূমিকা রয়েছে। এখানে তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করায় পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হয়। ফলে কমপিউটার জগৎ-এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এর জনপ্রিয়তা। আমি কমপিউটার জগৎ-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
....................................................................................................................



মুজিবুর রহমান স্বপন
সভাপতি, বিসিএস কমপিউটার সিটি

আমি তখন চাকরিতে। ১৯৯১ সালের কথা। জানতে পারলাম একটি পত্রিকা যা সমস্ত অবয়বে কমপিউটার, অর্থাৎ কমপিউটারবিষয়ক মাসিক। বিস্মিত হলাম, ভালো লাগল। কারণ, তখন আমার পেশার বিরাট অংশজুড়ে কমপিউটার। আর নেশার সম্পূর্ণটাই কমপিউটার। ঐ পত্রিকার জন্য লেনিন আমার কাছ থেকে একটি লেখা নিল। বড় বেশি বর্ণহীন, গন্ধহীন লেখা।

১৯৯৬ সালে কমপিউটার ব্যবসায় শুরু করি। ব্যবসায়ের সূচনা লগ্নে কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল কাদেরের সাথে পরিচয় হয়। দেখতে কালো লোকটা, ভেতরে এত সাদা, এত পরিষ্কার ! আমার খুব ভালো লাগল। তিনি চাইতেন একটি মানসম্পন্ন পত্রিকা বের করতে। লেখা ছাপার আগে তিনি প্রতিটি শব্দ পড়তেন। শুরু থেকেই কমপিউটার জগৎ একটি মানসম্পন্ন পত্রিকা। আজও এ ধারা অক্ষুণ্ণ আছে। আসলে কমপিউটার জগৎ আমাদের কমপিউটার প্রকাশনার একটি ব্র্যান্ড।
....................................................................................................................



রফিকুল আনোয়ার
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রা. লি.

কমপিউটার জগৎ এদেশে প্রথম নিয়মিত আইটিবিষয়ক জনপ্রিয় পত্রিকা। এ পত্রিকা তার সূচনালগ্ন থেকে সাধারণ পাঠকের উপযোগী করে সাবলীল ভাষায় নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করে যে জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। পাঠকদের উপযোগী লেখালেখি প্রকাশের পাশাপাশি দেশের নীতিনির্ধারণী মহলকে সচেতন করার প্রয়াসও লক্ষণীয়। দেশের আইসিটি অঙ্গনে অগ্রযাত্রায় কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবদুল কাদেরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তার অবদানকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া উচিৎ। কমপিউটার জগৎ অতীতের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে পাঠকসাধারণকে অবহিত করবে- এটি আমাদের প্রত্যাশা। এর সাথে অবশ্যই থাকবে কলসেন্টার, টেলিমেডিসিন, সফটওয়্যার পার্ক ইত্যাদি জাতীয় ইস্যুভিত্তিক লেখা-যা আমাদের নীতিনির্ধারণী মহলকে অবহিত করবে। কমপিউটার জগৎ তার শীর্ষ অবস্থান অক্ষুণ্ণ রাখবে এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। কমপিউটার জগৎসংশ্লিষ্ট সবার মঙ্গল কামনা করি।
....................................................................................................................



এ.টি. শফিকউদ্দিন আহমেদ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল কমপিউটার ভিশন

কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশে সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ও জনপ্রিয় বাংলা আইটি পত্রিকা। এর মান এখনো আগের মতো অব্যাহত আছে। এ পত্রিকাটি তার সূচনালগ্ন থেকে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। এক্ষেত্রে মরহুম আবদুল কাদেরের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে পাঠকসাধারণের সামনে নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে লেখালেখির পাশাপাশি কমপিউটার জগৎ সরকারি মহলকে সচেতন করার ক্ষেত্রে অতীতের মতো ভূমিকা রাখবে এ প্রত্যাশা করি। কমপিউটার জগৎ-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
....................................................................................................................



মো: সবুর খান
চেয়ারম্যান, ডেফোডিল কমপিউটারস

কমপিউটার জগৎ তার অব্যাহত প্রকাশনার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে দেশের আপামর জনসাধারণকে যেভাবে সচেতন করে আসছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আগামীতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে আমি সে প্রত্যাশা করি। বিশ্বের বিভিন্ন জনপ্রিয় ও সুপ্রতিষ্ঠিত আইটি ম্যাগাজিনগুলোর ওয়েব ভার্সন থাকে। আমরা প্রত্যাশা করি কমপিউটার জগৎ-এরও একটি সমৃদ্ধ ওয়েব ভার্সন থাকবে। কেননা এটা এখন যুগের চাহিদা। জেনে সুখী হলাম, এ কাজটি এরই মধ্যে সূচিত হয়েছে। আমি কমপিউটার জগৎ-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
....................................................................................................................



মোস্তফা সামসুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ফ্লোরা লিমিটেড

কমপিউটার জগৎ-এর ১৮ বছর পূর্তি নিঃসন্দেহে আনন্দের সংবাদ। কমপিউটার জগৎ দেশের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেবার ক্ষেত্রে এক পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এক কথায় বলা যায়, জনগণের মাঝে এবং সরকারি নীতিনির্ধারণী মহলে আইসিটি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে কমপিউটার জগৎ অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। কমপিউটার জগৎ-এর গঠনমূলক লেখালেখি, নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল আলোচনা পাঠকদেরকে কমপিউটার কেনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছে, যা প্রকারান্তরে আইটি ব্যবসায়ীদেরকে সহায়তা দেয়। এ পত্রিকার দিকনির্দেশনামূলক লেখাগুলো নতুন কর্মক্ষেত্রের দিক উন্মোচিত হওয়ায় বেকারত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখে।

সম্প্রতি আমাদের দেশের আইটি প্রজেক্টের বেশকিছু কাজ আসছে, যা যথাযথ লোক বা ব্যবসায়ীরা পাচ্ছে না। সে ব্যাপারে কমপিউটার জগৎ অতীতের মতো সোচ্চার হয়ে উঠবে এ আমাদের প্রত্যাশা। তাছাড়া কমপিউটার জগৎ তার পত্রিকার জব কর্নার নামে একটি বিভাগ খুলতে পারে যেখানে শুধু আইসিটিসংশ্লিষ্ট পেশার খবর থাকবে।
....................................................................................................................



সারোয়ার আলম
প্রধান নির্বাহী, ইউনাইটেড কমপিউটার সেন্টার

কমপিউটার জগৎ-এর ১৮ বছর পূর্তিতে আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন। বাংলাদেশের আইসিটি অঙ্গনে আজকের যে অবস্থান, তার জন্য কমপিউটার জগৎ-এর বলিষ্ঠ অবদান রয়েছে। কমপিউটার জগৎ প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন টেকনোলজি সম্পর্কে তথ্য পাঠকদের সামনে তুলে ধরছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আগামী দিনেও অব্যাহতভাবে সাবলীল ভাষায় নিত্যনতুন টেকনোলজি সম্পর্কে লেখালেখি করে পাঠক সমাজকে সচেতন করবে, প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরবে- সেটা সবার প্রত্যাশা। কমপিউটার জগৎ-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
....................................................................................................................



স্বদেশ রঞ্জন সাহা
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্যাটকম কমপিউটার

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কমপিউটার জগৎ-এর ভূমিকা অসীম। আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে কমপিউটার জগৎ তার সূচনালগ্ন থেকে ভূমিকা রেখে আসছে। আইসিটি শিল্প বিকাশে অতীতের মতো কমপিউটার জগৎ-এর অব্যাহত সাপোর্ট আমরা পাবো- এ প্রত্যাশা করি। এ পত্রিকার লেখাগুলো চমৎকার। তবে ছাপার মান ও পেজ মেকআপের ক্ষেত্রে আরো বৈচিত্র্য এবং নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা উচিত।
....................................................................................................................



হাবিবুল্লাহ এন করিম
সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস

কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রথম ডেডিকেটেড পত্রিকা, যা এদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক মাইলফলক। অনেক কষ্টের পথ-পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে পত্রিকাটি এ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার পেছনে ছিল কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবদুল কাদেরের নিরলস প্রচেষ্টা। তার প্রচেষ্টা ও স্বপ্নকে আমাদের যথাযথ সম্মান করা উচিৎ। কমপিউটার জগৎ পত্রিকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এদেশের যুবশ্রেণীকে আইসিটিতে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াস। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ডজনখানেক আইসিটিবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে, যার প্রেরণার উৎসই হলো কমপিউটার জগৎ। শুধু আইসিটি বিষয়ে যে জার্নালিজম হতে পারে, তারও পথপ্রদর্শক কমপিউটার জগৎ।

কমপিউটার জগৎ যে উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, তার সুফল মরহুম আবদুল কাদের দেখে যেতে পারেননি, কিন্তু আমরা তার সুফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছি। লোকাল সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিকে উৎসাহ দিতে দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডেভেলপ করা বিভিন্ন সফটওয়্যারের ওপর আলাদা একটি বিভাগ খোলা উচিৎ কমপিউটার জগৎ-এর।
....................................................................................................................



আহমেদ হাসান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রায়ান কমপিউটার্স

কমপিউটার জগৎ আমাদের পুরো জগৎ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বুঝতে হলে এ পত্রিকা হাতে নিতেই হবে। এটি যে আমাদের হ্যান্ডবুক হয়ে গেল, তা কিন্তু শুধু আজ হয়নি। ১৮ বছর আগে যখন কোথাও কেউ ছিল না আমাদের কমপিউটার জীবন নিয়ে কথা বলার, তখন কমপিউটার জগৎ হাতে এসেছিল ঝলমলে সৌষ্ঠব নিয়ে। তাইতো আজ যে-ই বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বুঝতে আসে, সে SAP হোক কিংবা ইন্টেল বা SONY VAIO হোক প্রথমে খুটিয়ে জানতে চায় কমপিউটার জগৎ কি লিখলো।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা