• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > শেষ হলো - আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ’০৯
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ রিপোর্টার
মোট লেখা:৩৭৯
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
শেষ হলো - আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ’০৯



কমপিউটার জগৎ প্রতিনিধি \

বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে যেকোনো ধরনের মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা খুব কম হয়। শুধু কম হয় বললে বোধহয় ভুল হবে। বলা যায় হয়ই না প্রায়। কিন্তু এসব মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে যেখানে উন্নতির একমাত্র পন্থা শিক্ষা ও প্রযুক্তি। তাই ছাত্রদের উৎসাহ দেয়া প্রয়োজন অনেক মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে সরকারিভাবে এ ধরনের কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় না। যা কিছু হয়, তা বেসরকারিভাবে এবং দেশের কিছু আগ্রহী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে।

বাংলাদেশে কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল কাদেরের আগ্রহ সূত্রে প্রথম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল। ১৯৯২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কমপিউটার জগৎ খুঁজে বের করে ওমর আল জাবির মিশোর মতো প্রতিভাকে। যিনি আইসিটিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন পেইজফ্লেক্স তৈরি করে। এ ধরনের প্রতিভা অন্বেষণই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য।



প্রতিবছর আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৪ জুলাই এরই ধারাবাহিকতায় আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল বাংলাদেশ জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ’০৯।

১৯৯২ সাল থেকে মোটামুটি প্রতিবছর একটি করে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কমপিউটার জগৎ আয়োজিত প্রথম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয় বরং সব পর্যায়ে উন্মুক্তভাবে। তখন ৪টি গ্রুপে মোট ৮১ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এখন প্রতিবছরই দেশের কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ‘বাংলাদেশ জাতীয় আমত্মঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ০৯’-এর সহায়তা করেছে আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশ।

এ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ৩৩৪ জন প্রতিযোগী অংশ নেয় বাংলাদেশের ৩৩টি প্রাইভেট এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এর মধ্যে শুধু বুয়েট থেকেই ৩টি দল অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয় বুয়েট এবং রানার্সআপ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিযোগিতার চিফ অ্যাডজুডিকেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম, আহছানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাদ উল্লাহ, কমপিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ওয়ান ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ অন্যরা।

ড. সাদ উল্লাহ বলেন, দেশের উন্নতির জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া কোনো উপায় নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য এধরনের প্রতিযোগিতাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এজন্য স্কুল পর্যায় থেকে যুগোপযোগী কমপিউটার শিক্ষা প্রয়োজন, যাতে সে পর্যায় থেকেই প্রোগ্রামাররা উঠে আসে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনে আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহ থাকবে। সেই সাথে প্রোগ্রামারদের স্পোর্টসম্যানশিপ জরুরি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।



আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা এধরনের ভালো কিছু করার জন্য সবসময়ই সচেষ্ট। দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, ওখানে সবাই ওয়াশিং মেশিনে কাপড় পরিষ্কার করে। কিন্তু বাংলাদেশে ওয়াশিং মেশিন কেউ পছন্দ করে না, কারণ এখানে গৃহপরিচারিকা সস্তা। তো ছাত্রদের কাছে প্রোগ্রামিংও যেন এরকম সস্তা বিষয় হয়ে না যায় সে ব্যাপারে শিক্ষক-অভিভাবক সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের আগের ক্যাম্পাসে স্থান সঙ্কুলানের অভাবে এ ধরনের কিছু করতে পারিনি। এখন এসব সমস্যা দূর হয়েছে বলে আমরা এই প্রতিযোগিতার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিতে পেরেছি। ২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব কমপিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স টেকনোলজি আইসিসিআইটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে। এবছর এটি এমআইএসটিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস