• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > চলছে এফআইসিসি : আর্থিক সফটওয়্যার উদ্ভাবনই লক্ষ্য
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ রিপোর্টার
মোট লেখা:৩৭৯
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
উন্নয়ন
তথ্যসূত্র:
উদ্যোগ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
চলছে এফআইসিসি : আর্থিক সফটওয়্যার উদ্ভাবনই লক্ষ্য


কমপিউটার জগৎ প্রতিনিধি \

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সফল ব্যবহারের জন্য জ্ঞান বাড়ানো এবং ব্যবসায়বিষয়ক অর্থনৈতিক সফটওয়্যার উদ্ভাবন ও এর বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরার সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ‘ফিন্যান্সিয়াল আইটি কেস কমপিটিশন’। প্রতিযোগিতার আয়োজক ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক তথা ডি.নেট এবং পৃষ্ঠপোষক সিটি ফাউন্ডেশন। বিশ্ববিদ্যালয় অংশীদার হিসেবে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশ তথা ইউল্যাব। এ ধরনের প্রতিযোগিতা দেশে এটিই প্রথম এবং এটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আর্থিক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও ইনফরমেশন সিস্টেম সলিউশন উদ্ভাবনে সহায়তা করবে।

প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১ জুলাই। এ উপলক্ষে ধানমন্ডির ইউল্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের উপাচার্য রফিকুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, ডি.নেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান, সিটি ব্যাংক এনএ’র গ্লোবাল করপোরেট এবং কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রধান আবরার এ. আনোয়ার, জুরি বোর্ডের সদস্য এবং প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিযোগিতার পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আকতার হোসেন।


প্রকল্প ‍উপস্থাপনা শুনছেন প্রতিমন্ত্রী স্থাপতি ‍ইয়াফেস ওসমান

ইয়াফেস ওসমান বলেন, প্রযুক্তিচর্চা করতে হবে মাতৃভাষায়। আর এটি যথাযথভাবে করা গেলে এর সুফল সবাই পাবে। ক্রিয়েটিভ বা উদ্ভাবনী চিন্তা থেকে সবাইকে এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি বাঙালি তার নিজস্ব সলিউশন নিজেরাই উদ্ভাবন এবং তৈরি করবে। সে দিন হয়তো দূরে নেই। সারা পৃথিবী তখন অবাক তাকিয়ে রবে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভজনক প্রকল্প বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে সেলফোন সলিউশনের কথা বলা যেতে পারে। সারাদেশে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়ায় এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ সেলফোন ব্যবহার করায় এ বিষয়ক সলিউশন নিঃসন্দেহে লাভজনক হবে। ছোট শিশুদের কাছ থেকেও কিন্তু অনেক কিছু শেখার আছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) আয়োজিত বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিযোগিতায় দেখা গেছে শিশুরা অসাধারণ মেধাবী। তারা এত কম বয়সে বিজ্ঞান নিয়ে যেভাবে চিন্তা করে তা থেকে বড়দের অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক জটিল সমস্যার সহজ সমাধান করতে পারে তারা। তাই ভালো উদ্ভাবনা যেই করুক না কেনো, তাদের অনুসরণ করতে আমাদের আপত্তি নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে পারি সে বিশ্বাস আমাদের মধ্যে আনতে হবে। এটা জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত ভালো কিছুর আশা করা ঠিক হবে না।

রফিকুল ইসলাম বলেন, শিল্প বিপ্লবের পর তথ্যবিপ্লব বিশ্বের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় ঘটনা। এই তথ্যবিপ্লব মানুষকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন এক উচ্চতায়। বিশ্ব এখন একে একাকার। তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা যেনো বিভাজন সৃষ্টি না করি। তথ্যপ্রযুক্তির সব সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

ড. অনন্য রায়হান বলেন, আমাদের শিল্প এবং শিক্ষার মধ্যে যে বড় ব্যবধান রয়েছে এই প্রতিযোগিতা তা কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। তার মতে, তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নতি করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নভাবে করা কাজ সার্বিক বিবেচনায় তেমন সুফল বয়ে আনবে না। এই ধরনের প্রতিযোগিতা ব্যবধানের মাঝে সেতু হিসেবে কাজ করবে। তাই আরো বেশি করে এ ধরনের ফিন্যান্সিয়াল আইটি কেস কমপিটিশন হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, যেকোনো কিছুর ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া দরকার। নইলে অনেক ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি হয়। এই প্রতিযোগিতার জন্য সিটি ব্যাংক এনএ স্পন্সর করেছে ৩০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ৯ হাজার ডলার দেয়া হবে প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের। বাকি অর্থ ব্যয় হবে সাংগঠনিক অন্যান্য কাজে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকবে ডি.নেটের ওয়েবসাইটে। যেকেউ তা দেখে মন্তব্য করার সুযোগ পাবেন।

আবরার এ. আনোয়ার এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিযোগীদের সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনে তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি, তা এভাবেই সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে।

অধ্যাপক ইমরান রহমান স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এদের বেশিরভাগই এসেছে বিবিএ এবং কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। সবার অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা সাফল্যমন্ডিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক সৈয়দ আকতার হোসেন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফিন্যান্সিয়াল আইটি কেস প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার নিয়ম, প্রকল্প তৈরির ধারাবাহিকতা এবং বিচারকদের নম্বর বণ্টনসহ সার্বিক বিষয় বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পাবে ৫ হাজার ডলার, প্রথম রানারআপ ২ হাজার এবং দ্বিতীয় রানারআপ পাবে ১ হাজার ডলার। অংশগ্রহণকারী ৫৪টি দলের মধ্যে তিন ধাপে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। ৮ আগস্ট দ্বিতীয় এবং ২৯ আগস্ট প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ১৭ জুন ইউল্যাব কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন ডি.নেটের নির্বাহী পরিচালক ড. অনন্য রায়হান এবং সিটি ব্যাংক এনএ’র প্রধান নির্বাহী মামুন রশিদ।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস