• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বিসিসি’র নাম তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতর রাখার প্রস্তাব
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ রিপোর্টার
মোট লেখা:৩৭৯
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
বিসিএস কমপিউটার শো
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বিসিসি’র নাম তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতর রাখার প্রস্তাব

কমপিউটার জগৎ রিপোর্ট -

বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নাম ও সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল তথা বিসিসি’র নাম দেয়া হয়েছে ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতর’। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায়ই প্রস্তাবিত এই অধিদফতর কাজ করবে।



প্রস্তাবনার কৌশলগত বিষয়বস্ত্ত হিসেবে ১০টি উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এগুলো হলো:

০১. সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা/সাম্যতা :

প্রতিবন্ধী অথবা বিশেষ সহায়তা লাগতে পারে এমন ব্যক্তিসহ সবাইকে নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ পদ্ধতির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা, লিঙ্গ সমতা, সমসুযোগ এবং সমঅংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ করা।

০২. উৎপাদনশীলতা :

কৃষি এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট আকারের শিল্প খাতসহ অর্থনীতির সব খাতে আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চতর উৎপাদনশীলতা অর্জন করা।

০৩. সম্পূর্ণতা/অখন্ডতা :

জনসেবা দেয়ায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা এবং অধিকতর দক্ষতা অর্জন।

০৪. শিক্ষা ও গবেষণা :

আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার পরিধি এবং মান দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা, শিক্ষার সর্বস্তরে এবং সরকারি পর্যায়ে কমপিউটার সাক্ষরতা নিশ্চিত করা, যথোপযুক্ত গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে সৃষ্টিশীলতা উৎসাহিত করা, মেধাসম্পদ সৃষ্টি করা এবং জীবনের সবক্ষেত্রে আইসিটি আত্তীকরণ।

০৫. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি :

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিতে বিশ্বমানের আইসিটি পেশাজীবী তৈরি করা।

০৬. রফতানি উন্নয়ন :

অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ববাজারের চাহিদা মেটাতে, বৈদেশিক বাণিজ্য হতে আয় বাড়াতে, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে একটি সমৃদ্ধ সফটওয়্যার শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা দেয়া, ই-কমার্স/ই-বিজনেস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাণ শিল্পে উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

০৭. স্বাস্থ্য পরিচর্যা :

আইসিটির উদ্ভাবনী প্রয়োগের মাধ্যমে সব নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

০৮. সর্বজনীন প্রবেশাধিকার :

জনসেবার বাধ্যবাধকতা হিসেবে সবার জন্য ইন্টারনেট/টেলিকম সংযোগ নিশ্চিত করা।

০৯. পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা :

একদিকে শিল্প এবং ভোক্তা নির্গত বর্জ্য এবং শিল্পোন্নত দেশের অত্যধিক কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ দ্বৈত সঙ্কটের মুখোমুখি। সেই সঙ্কট নিরসনের জন্য আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব সবুজপ্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং আত্তীকরণ, দূষিত বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রস্ত্ততিমূলক সময় কমানো এবং জলবায়ু ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।

১০. আইসিটিতে সহায়তা দেয়া :

দেশব্যাপী আইসিটির কার্যকর ব্যবহার ও আত্তীকরণ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ এবং আইনী কাঠামোসহ উপযুক্ত অবকাঠামো উন্নয়ন করা।

রূপকল্প তথা ভিশন হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ, প্রয়োগ ও ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের সক্ষমতা বাড়ানো, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতীয় লক্ষ্য অর্জনের সহায়তা দেয়া।

প্রস্তাবনায় ৫টি লক্ষ্য বা মিশনের কথা বলা হয়েছে।

এগুলো হলো :

তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট নীতিমালা এবং কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, উপযুক্ত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি মানবসম্পদ উন্নয়ন, দেশের কমপিউটারায়ন ও অটোমেশনে সহায়তা দেয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবার মান নির্ধারণ।

প্রস্তাবিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতরের পদের সাংগঠনিক কাঠামোর সারসংক্ষেপ হলো :

মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ১টি পদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক/সমমানের পদ ২টি, পরিচালক/সমমানের পদ ১০টি, উপ-পরিচালক/সমমানের পদ ৭১টি, সহকারী পরিচালক/সমমানের পদ ৪৯৪টি, অন্যান্য ১ম শ্রেণীর পদ ১১২৪টি, ২য় শ্রেণীর পদ ৬৫টি, ৩য় শ্রেণীর পদ ১৫৯২টি এবং ৪র্থ শ্রেণীর পদ ১৭২৬টি। মোট জনবল প্রস্তাবিত ৫,০৮৫ জন। এর মধ্যে বর্তমানে অনুমোদিত পদ ১০১টি। নতুন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ৪,৯৮৪টি পদের।

মহাপরিচালকের দফতরে জনবল থাকবে ৭ জন। মহাপরিচালক, জনসংযোগ কর্মকর্তা, স্টাফ অফিসার, কমপিউটার অপারেটর, স্টেনোগ্রাফার (পিএ) এবং ২ জন এমএলএসএস।

সাংগঠনিক কাঠামোতে মহাপরিচালকের নিচে থাকবেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও বাস্তবায়ন) এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও বাস্তবায়ন)-এর আওতায় কাজ করবেন পরিচালক (প্রশাসন ও লজিস্টিক্স), পরিচালক (বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ) এবং ৬টি বিভাগীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতরের কার্যালয়।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)-এর আওতায় থাকবেন পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)/সিনিয়র সিস্টেমস অ্যানালিস্ট, পরিচালক (গবেষণা ও মূল্যায়ন)/সিনিয়র সিস্টেমস অ্যানালিস্ট এবং ৬টি বিভাগীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতরের কার্যালয়।

পরিচালক (প্রশাসন ও লজিস্টিক)-এর আওতায় রয়েছেন উপ-পরিচালক (প্রশাসন), উপ-পরিচালক (লজিস্টিক্স), সহকারী পরিচালক (প্রশাসন), সহকারী পরিচালক (লজিস্টিক্স), হিসাব শাখা এবং লাইব্রেরি শাখা, পরিচালক (বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ)-এর আওতায় রয়েছেন উপ-পরিচালক (বাস্তবায়ন), উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ), সহকারী পরিচালক (বাস্তবায়ন) এবং সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ)।

পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)/সিনিয়র সিস্টেমস অ্যানালিস্টের আওতায় রয়েছেন উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)/সিস্টেমস অ্যানালিস্ট/সিনিয়র প্রোগ্রামার এবং সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)/প্রোগ্রামার। পরিচালক (গবেষণা ও মূল্যায়ন)/সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্টের আওতায় রয়েছেন উপ-পরিচালক (গবেষণা ও মূল্যায়ন)/সিস্টেম অ্যানালিস্ট সিনিয়র প্রোগ্রামার এবং সহকারী পরিচালক (গবেষণা ও মূল্যায়ন)/প্রোগ্রামার।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস