• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডব্লিউসিআইডি ২০০৯ সম্মেলনে বাংলাদেশ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: এম. এ. হক অনু
মোট লেখা:২৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ডব্লিউসিআইডি
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডব্লিউসিআইডি ২০০৯ সম্মেলনে বাংলাদেশ



ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (ডব্লিউসিআইডি) ২০০৯ সম্মেলন আগামী ১০ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ‘উন্নয়নের জন্য আইসিটি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে এই সম্মেলনের আয়োজন। বিশ্বের সব নামকরা গবেষকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস। এখানে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের আইসিটি প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে থাকেন। ডব্লিউসিআইডি সম্মেলনের মূল থিম হচ্ছে আইসিটি ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। এখানে আইসিটি দেশে সামগ্রিক অর্থনীতিতে কিভাবে ভূমিকা রাখে তার আলোচনার পাশাপাশি এগিয়ে যাবার কর্মপন্থা বের করা হয়।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে অংশ নেয়ার প্রস্ত্ততি হিসেবে বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ডব্লিউসিআইডি ২০০৯ গত ২৩ মে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনের বিজনেজ সেন্টারে পূর্বপ্রস্ত্ততি সম্মেলনের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিল মাসিক কমপিউটার জগৎ, বাংলাদেশ এনজিও’স নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, আপলোড ইয়োর সেলফ এবং বাংলা ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। সাপোর্ট পার্টনার ছিল বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও জেএএন অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড। সম্মেলনের আহবায়ক ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন এবং সচিব এম. এ. হক অনু। ওয়ার্কিং গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলেন এএইচএম বজলুর রহমান, এ এ মুনির হাসান এবং ফারহানা এ রহমান।

ডব্লিউসিআইডি ২০০৯ সম্মেলনে সংসদ সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিনিধি দলের ডেপুটি প্রধান হচ্ছেন সংসদ সদস্য ড. মোঃ আকরাম হোসাইন চৌধুরী। অন্যান্যরা হচ্ছেন : ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমপিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক ড. এম এ মোত্তালেব, বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ডব্লিউসিআইডি’র সচিব এবং কমপিউটার জগৎ-এর সহকারী সম্পাদক এম. এ. হক অনু, ইন্ডিপেডেন্ট ইউনিভার্সিটি লেকচারার মোঃ সাইফুদ্দিন খালেদ, ইয়ং পাওয়ার ইন সোসাল অ্যাকশনের প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ভট্টাচার্য্য ও ডি.নেট-এর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আফরিন তানজিন।


অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান

ডব্লিউসিআইডি ২০০৯-এর প্রোগ্রাম ও প্রিপারেটরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান সম্মেলন সম্পর্কে বলেন-

ডব্লিউসিআইডি’র মূল থিমেটিক ১২টি বিভাগের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশকে আমরা ডব্লিউসিআইডিতে উপস্থাপন করার প্রস্ত্ততি নিয়েছি। এজন্য ১২টি এরিয়ার ওপরে সারা দেশ থেকে জাতীয় উন্নয়নে এই ১২টি থিমেটিক এরিয়ার উপরে গবেষণা প্রবন্ধ, রিপোর্ট, কেস স্টাডিজ ইত্যাদি আহবান করা হয়।

ডব্লিউসিআইডিতে অংশগ্রহণের জন্য একটি প্রিপকমের (প্রিপারেটরি কমিটি) আয়োজন করা হয়। এখানে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যায়। ১২টি থিমের ওপর ৩৪টি প্রবন্ধ এবং ‘আইসিটি ফর বিল্ডিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ১২টি থিম হলো- আইসিটি ফর এডুকেশন, পোভার্টি ইরাডিকেশন, ডিজাস্টার প্রিভেনশন, রিসোর্স সেভিং, কমার্স, গভর্নেন্স, এগ্রিকালচার, ট্রান্সপোর্টেশন, ডাটা, ইনফরমেশন শেয়ারিং, জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি এবং আইসিটি ফর পাবলিক হেলথ। সেখান থেকে পরবর্তীতে মূল প্রবন্ধসহ ২০টি প্রবন্ধ ডব্লিউসিআইডি ২০০৯ বেইজিংয়ে উপস্থাপনের জন্য মনোনীত করা হয়। এই উপস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে আইসিটির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোকপাত করা হবে।

এখানে আমি আরো বলতে চাই, ডব্লিউসিআইডিতে যোগদানের জন্য বেইজিংগামী বাংলাদেশ দলের প্রধান হিসেবে সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে আইসিটি দিয়ে কিভাবে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে বক্তব্য রাখবেন।

এ সম্মেলনে জাতিসংঘ থেকে পুরো বিশ্বের আইসিটিতে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়াও চীন সরকারের আইসিটিক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এখানে উন্নয়নশীল দেশসমূহ আইসিটি ব্যবহার করে কিভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন করেছে এবং করছে তা উপস্থাপিত হবে। বিশেষত ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) সম্মেলনের বিভিন্ন সুপারিশভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। বর্তমানে চীনকে আইসিটিতে অন্যতম সুপার পাওয়ার বলা হচ্ছে। দেশটি আইসিটি ব্যবহার করে সে দেশের জনগণের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ঘটিয়েছে যা কারো অজানা নয়। সুতরাং এ জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ কিভাবে আইসিটি ব্যবহার করে দেশের সমৃদ্ধি আনয়ন করবে তা আরো বাস্তবভিত্তিকভাবে উপলব্ধি করতে পারবে। চীন কিভাবে এই আইসিটিতে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পারলো তা আমরা সেদেশের আইসিটি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানতে পারবো। তাছাড়াও চীনের সাথে আমরা কোনো সহযোগিতার ভিত্তিতে আইসিটির উন্নয়নমূলক কাজে যৌথভাবে অংশ নিতে পারি কি না তা খতিয়ে দেখবো।

২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার কর্মপন্থাসমূহ এই উপস্থাপনায় বলা হবে। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় পূর্বপ্রস্ততি সম্মেলনে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ বিষয়ে অনেক তথ্য ও উপদেশ প্রদান করেন। সুতরাং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এটাই হবে আমাদের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ। এর ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকৃত রূপরেখা তৈরি করে তার বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব। এ বিষয়ে আমরাও বিশেষজ্ঞদের সাথে মত বিনিময় করবো।

এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়া এবং চীনকেই শুধু প্ল্যেনারী সেশনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। মালয়েশিয়া এবং চীন ইতোমধ্যেই আইসিটিতে ব্যাপক উন্নতি করেছে। সুতরাং এই দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশকেও একই কাতারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে তা বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সম্মান বয়ে আনবে। তাই এই পৃথক সেশন কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এখানে তুলে ধরতে হবে আমরাও আইসিটিতে উন্নয়নের সহযোগী।

কজ ওয়েব

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা